শেখ সাইফুল ইসলাম কবির বিশেষ প্রতিনিধি:গাজীপুরে সাংবাদিক অআসাদুজ্জামান তুহিনের হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও গ্রেফতারকৃত সকল আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে ফাঁসির দাবিতে এবং সাংবাদিক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা বাগেরহাট জেলা শাখার আয়োজনে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট )সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা বাগেরহাট জেলা শাখার আহবায়ক এম হেদায়েত হোসাইন লিটনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সৈয়দ শওকত হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান, সহ-সভাপতি এস এম রাজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর টুটুল, সাবেক সহ-সভাপতি নকিব সিরাজুল হক, অর্থ সম্পাদক মোল্লা মাসুদুল হক, দপ্তর সম্পাদক এস এম শামসুর রহমান, প্রেসক্লাবের সদস্য অলিপ ঘটক ,সাংবাদিক মোঃ কামরুজ্জামান শিমুল, শেখ মিরানুজ্জামান মিরন ,চুলকাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ সেকেন্দার মোড়ল, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সদস্য নকীব মিজানুর রহমান প্রমুখ।#
Author: desk
-

জীবননগরের সব স্কুল-কলেজে মোবাইল নি-ষিদ্ধের সি-দ্ধান্ত
আল আমিন মোল্লা,
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সকল স্কুল-কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।সভায় জীবননগর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে উপস্থিত সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে মতামত দেন এবং সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল আমীন বলেন, “সম্প্রতি পাশ্ববর্তী মহেশপুর উপজেলায় স্কুল-কলেজে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগে উপজেলার কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। আজকের সভায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সিদ্ধান্তের রেজুলেশন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে এবং পরিচালনা কমিটির সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। সকলে এগিয়ে এলে বিদ্যালয় ও কলেজে মোবাইল নিষিদ্ধ করা সম্ভব হবে।”
এছাড়া সভায় টানা বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সংস্কার, মৌসুমি সারের সংকট নিরসন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, ইভটিজিংসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
সভায় ইউএনও মো. আল আমীনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দজাদী মাহবুবা মঞ্জুর মৌনা, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জুয়েল শেখ, বিজিবি প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর, প্রেসক্লাব আহ্বায়ক রিপন হোসেন, সাংবাদিক আল আমীন মোল্লা, ওমর ফারুক প্রমুখ।
-

নে-শার টাকা না দেওয়ায় নলছিটিতে মা-দকাসক্ত ছেলে কু-পিয়েছে বাবাকে
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক
ঝালকাঠির নলছিটিতে নেশা করার টাকা না দেওয়ায় আব্দুস সোবাহান(৬৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে তার মাদকাসক্ত বখাটে ছেলে জুয়েল (২৫)কুপিয়ে জখম করেছে। ১৯ আগস্ট মঙ্গলবার ভোররাত সোয়া ৪( চার)টার দিকে উপজেলার বৈশাখিয়া চৌমাথা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যবসায়ী আবদুস সোবাহানকে বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ব্যবসায়ী আব্দুস সোবাহান বৈশাখিয়া বাজারে ব্যবসা ( রেস্টুরেন্ট)করেন। দোকান সংলগ্ন এলাকায় তার বাড়ি।
অভিযুক্ত জুয়েল ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বখাটে জুয়েল দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। নেশার টাকার জন্য প্রায়ই সে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করত। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সন্ধ্যায় জুয়েল তার বাবাকে টাকার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু তিনি টাকা দিতে রাজি হননি। এ নিয়ে বাবা- ছেলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জুয়েল ঘর থেকে চলে যায়। এবং সারারাত বাইরে কাটায়। মঙ্গলবার ভোর রাতে ফজরের নামাজের জন্য ওঠেন ওই ব্যবসায়ী। এবং অজু করতে বাইরে যাওয়ার জন্য ঘরের দরজা খুলেন। এ সময় জুয়েল ঘরে ঢুকে তার বাবার কাছে ফের টাকা চায় । টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সে তার বাবাকে কুপিয়ে জখম করে । এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
বৈশাখিয়া চৌমাথা বাজার কমিটির সভাপতি মো. খোকন খন্দকার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মাদকাসক্ত জুয়েল ইতোপূর্বে কয়েকবার নেশা করার জন্য টাকা না দেওয়ায় তার বাবাকে মারধর করেছে। জুয়েলের বাবা ব্যবসায়ী আব্দুস সোবাহান তার কাছে (নালিশ)অভিযোগও করেছিলেন। অভিযোগ পেয়ে তিনি জুয়েলকে শাসিয়ে ছিলেন। এমনকি পুলিশ দিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
নলছিটি থানার ওসি মো. আব্দুস সালাম বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। -

জামালপুরে শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশসহ ইউএনও’র বিভিন্ন কর্ম-সূচি
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
জামালপুর সদরে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে
শিশুদের মাঝে শিক্ষামূলক বই বিতরণ, লাইব্রেরি উদ্বোধন ও অভিভাবক সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। কর্মসূচির অংশ হিসাবে সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের হাসিল গৌরীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ সহ শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষামূলক বই ও খেলাধুলার উপকরণ বিতরণ, লাইব্রেরি উদ্বোধন করেন তিনি।মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিন্নাত শহীদ পিংকির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. সালমা লাইজু।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী আছাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি জামালপুরের উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এমদাদুল হক এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ ছানা, মেষ্টা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে আজাদ মুক্তা, অভিভাবকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
শিক্ষা শুধু পরীক্ষার ফল নয়, এটি একটি প্রজন্ম গঠনের নির্মাণ প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াকে শুদ্ধ ও গুণগত করতে হলে প্রতিটি স্তরে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে”—এমন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচি পালন করেছেন জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিন্নাত শহীদ পিংকি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিন্নাত শহীদ পিংকি বলেন, “গুণগত শিক্ষা মানে শুধু পাসের হার নয়, বরং তা একজন শিক্ষার্থীর মূল্যবোধ, দক্ষতা ও ভবিষ্যৎ গঠনে ভূমিকা রাখে।”তিনি তার বক্তব্যে শিক্ষার মৌলিক দিক, সামাজিক চ্যালেঞ্জ এবং করণীয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুস্থ মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করতে অভিভাবক, শিক্ষক ও প্রশাসনকে একযোগে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী আছাদ জানান, ইউএনও জিন্নাত শহীদ পিংকি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষামূলক বই ও খেলাধুলার উপকরণ তুলে দেন। পাশাপাশি তিনি বিদ্যালয়ে একটি পাঠাগার স্থাপন করেন এবং সব শ্রেণিকক্ষকে মাল্টিমিডিয়া শিক্ষার আওতায় আনতে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
-

ঠাকুরগাঁওয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতি-ষ্ঠা বার্ষিকী পালন
মো:মনসুর আলী,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁওয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দলটির পক্ষ থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে মঙ্গলবার বিকেলে জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে র্যালিটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলি প্রদক্ষিণ করে পূর্বের স্থানে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে দলটির পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ঠাকুরগাঁও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাসুদুল ইসলাম মুন্নার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির সহাসচীব মির্জা ফখরুল এর ছোট ভাই মির্জা ফয়সল আমিন। গেষ্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিম, যুগ্ম সম্পাদক পয়গাম আলী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাসান মাহামুদ মামুন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন প্রমুখ। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কামরুজ্জামান কামুর সঞ্চালনায় এসময় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ। এসময় দলটির সকল নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। -

ময়মনসিংহ সদরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নি-য়োগে উন্মুক্ত লটারি
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকারের ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় স্বল্পমূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহের লক্ষ্যে ময়মনসিংহের সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগে উন্মুক্ত লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের ব্রহ্মপুত্র হলরুমে এ উম্মুক্ত লটারি কার্যক্রমের আয়োজন করা হলে উদ্বোধনী দিনে ৩ টি ইউনিয়নের লটারী কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। সময় স্বল্পতার কারণে একদিনে সকল ইউনিয়নের লটারী কার্যক্রম সম্পন্ন করতে না পারায়
বুধবার ২০ আগস্ট উপজেলার খাগডহর, সিরতা,কুষ্টিয়া ইউনিয়ন ব্যাতীত অবশিষ্ট
৮টি ইউনিয়নের লটারী সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল ইসলাম প্রিন্স।উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল ইসলামের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত লটারি কর্মসূচির অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরিফুল ইসলাম প্রিন্স । এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দা তামান্না হোরায়রা,উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন,
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মাকসুদা খাতুন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও ভাবখালী ইউনিয়নের প্রশাসক আসমা উল হুসনা ফাতেমা জান্নাতুল ফেরদৌস,পরিসংখ্যান অফিসার মেহেদী হাসান,মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সার, কোতোয়ালী বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক হেলাল আহমেদ,
বিএনপি নেতা ও বোরর চর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতাহারুল ইসলাম বুলবুল,সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, বিভিন্ন ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক গণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মীরা।উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১১টি ইউনিয়নের জন্য মোট ২৪১টি আবেদন জমা পড়ে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ১০৯টি আবেদন অযোগ্য বিধায় বাতিল করা হয় এবং ১৩২টি আবেদন চূড়ান্ত বাছাইয়ে যোগ্য উত্তীর্ণ হয়। এতে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ৫৫জন আবেদনকারীকে উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ডিলার হিসেবে নির্বাচিত করা হবে। এই নিয়ে মঙ্গলবার ১৯ আগস্ট লটারি কার্যক্রম শুরু হলে সময় স্বল্পতার কারণে উদ্বোধনী দিনে ৩ ইউনিয়নে লটারী সম্পন্ন করে বাকী ৮ ইউনিয়নের লটারী কার্যক্রম বুধবার ২০ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স ইসলাম বলেন, “আমরা শতভাগ স্বচ্ছতার মাধ্যমে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে এগারটি ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন করতে কাজ করছি” তার পরেও কোন কারণে যদি কারো সন্দেহ হয়। তাহলে আমাদের নিকট লিখিত ভাবে আবেদন করলে ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
অপরদিকে ৩ ইউনিয়নের ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়ার শেষে লটারীতে বিজয়ী এক ডিলার বলেন উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে সুযোগ পাওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত। উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই যে তারা স্বচ্ছতার সাথে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।
-

সেনা জোন কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন আলিকদম ইউনিয়ন দল
থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি: মথি ত্রিপুরা।
বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলার ও ইউনিয়নের তরুণদের আরো একধাপ এগিয়ে নিতে আলীকদম উপজেলায় ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড এর অধীনস্থ ১৬ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট এর তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছে সেনা জোন কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা- ২০২৫। বিভিন্ন ইউনিয়নের ফুটবল দলের মাঝে সেনাবাহিনী কর্তৃক আয়োজিত ফুটবল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন দল নির্বাচনের আনন্দিত জনউল্লাসে আলীকদম উপজেলা আজ মুখরিত।
১৬ আগস্ট আলীকদম সেনানিবাসের সেনা জোন কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ আতিকুল করিম,পিএসসি, অধিনায়ক, ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। পরবর্তীতে প্রতিযোগিতার নক আউট পর্বের খেলা আরম্ভ হয়।
আলীকদম উপজেলার মোট চারটি ইউনিয়নের ফুটবল দলের মাঝে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গত ১৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহণ করার গৌরব অর্জন করে চৈক্ষাং ইউনিয়ন এবং আলীকদম সদর ইউনিয়ন।
ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ আতিকুল করিম, অধিনায়ক, ১৬ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উপ- অধিনায়ক, ১৬ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট, অধ্যক্ষ আলীকদম ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ , উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসি, আলীকদম থানা, আলীকদম উপজেলার ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণ এবং ফাইনালে অংশগ্রহণকারী দলের কারবারিবৃন্দ।
প্রধান অতিথি বলেন, এই আয়োজন শুধু একটি খেলার আয়োজন নয়, এটি বান্দরবান পার্বত্য জেলায় শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার এক অনন্য প্রয়াস। এই আয়োজন আলীকদম উপজেলার ইউনিয়ন গুলোকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং ক্রীড়ার মাধ্যমে
যুব সমাজকে আরো একধাপ এগিয়ে নেয়ার জন্য একটি মহৎ উদ্যোগ।তিনি আরও বলেন, প্রতিটি দল তাদের সামর্থ্য, কৌশল ও খেলোয়াড় সুলভ আচরণের মাধ্যমে অনন্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছে। আমাদের সকলের দায়িত্ব প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের খুঁজে বের করা, উৎসাহ দেয়া এবং উপযুক্ত সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে আরো ভালো পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। খেলাধুলো শুধুমাত্র একটি শারীরিক কসরত নয় বরং এটি তরুণদের মাঝে তৈরি করে ক্রীড়াশৈলী, নেতৃত্ব ও দেশ গঠনের উদ্দীপনা।
ফাইনাল খেলায় ১-০ গোলে, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে আলীকদম সদর ইউনিয়ন দল এবং রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে চৈক্ষাং ইউনিয়ন দল।
প্রধান অতিথি চ্যাম্পিয়ন এবং রানার আপ দলের মাঝে ট্রফি তুলে দেয়া ছাড়াও শ্রেষ্ঠ গোলরক্ষক শ্রেষ্ঠ গোলদাতা এবং শ্রেষ্ঠ খেলোয়ার কে ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে পুরস্কৃত করেন।শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হাওয়ার গৌরব অর্জন করায় আলীকদম সদর ইউনিয়ন দলের সোহেল বলেন, আজ সেনা জোন কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃত হওয়ায় আমি অনেক আনন্দিত। আমরা সাধারণত এমন ফুটবল প্রতিযোগিতার সুযোগ পাইনা। আমাদের আশা, আমরা এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আরো এগিয়ে যাবো এবং একদিন দেশের জন্য জাতীয় দলে খেলব।
সেনা জোন কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার ম্যাচগুলো দেখতে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে জন স্রোতের এক অনন্য সমারোহ হয়। নানান জনপদের আমাদের এই বান্দরবান জেলা এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আরো সৌহার্দমন্ডিত এবং একত্রতায় ভরে উঠবে। গড়ে উঠবে উঠবে একটি শক্তিশালী ক্রীড়া সংস্কৃতি।
-

কমিউনিটি বেজড্ মেডিকেল কলেজের ৩১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উ-দযাপন
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে কমিউনিটি বেজড্ মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশ (সিবিএমসিবি)-এর ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। আয়োজনের মধ্যে ছিলো-বর্ণাঢ্য র্যালী, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সম্মাননা, আতশবাজি, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও মেগা রেফেল ড্র। এতে কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।সোমবার(১৮ আগষ্ট) সকালে কলেজ প্রাঙ্গনে এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সিবিএমসিবি’র উদযাপন কমিটির আহবায়ক ডাঃ মামুনুর রশিদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-কলেজ গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ডাঃ শেখ মোঃ আব্দুল মান্নান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন- মাত্র ৩০ জন মিলে ৩১বছর আগে কমিউনিটি বেজড মেডিক্যাল কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ওই সময় অনেকেই ভাবতেই পারেননি যে এটি এত দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা পেশা সত্যিকার অর্থে একটি মহৎ পেশা।
ডাক্তার নাহিদা ইসলাম নিপা, ডাঃ আঞ্জুমান আরা ও ডাঃ সামসু রহমান সনির যৌথ সঞ্চালনায় এতে
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-কলেজের অধ্যক্ষ এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ডাঃ মাহফুজুর রহমান খান চৌধুরী, অধ্যাপক ডাঃ এম করিম খান, অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মোরশেদ আলম, অধ্যাপক ডাঃ মির্জা হামিদুল হক, অধ্যাপক মির্জা মনজুরুল হক, ডাঃ খাইরুল ইসলাম, বাংলাদেশ বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়াগোনেস্টিক ও নার্সেস এসোসিয়েশন ময়মনসিংহের সভাপতি ডাঃ মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী। এছাড়াও কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা তাদের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন। এরআগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এবং বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালী করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ সময় উদযাপন কমিটির যুগ্ন সম্পাদক ডাঃ ইমদাদুল হক শাকিল, অর্থ কমিটির আহবায়ক ডাঃ মোঃ তোফায়েল উদ্দিন আহমেদসহ সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।উল্লেখ্য-ময়মনসিংহ শহর থেকে ১০ কি.মি দূরে ১৯৯৫ সনে ১৩ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে বৃহত্তর ময়মনসিংহের একমাত্র বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ‘‘কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ (সিবিএমসি)’’। ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষনের জন্য কলেজের সাথে তৈরী করা হয়েছে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ঠ একটি হাসপাতাল। ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে বিশাল ক্যাম্পাস এবং আবাসিক হোস্টেল। এছাড়াও রয়েছে লাইব্রেরী, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের সুব্যবস্থা, কমন রম্নম এবং টিচার্স- স্টুডেন্ট্স ফোরাম। প্রতি সপ্তাহে ১টি করে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লিনিক্যাল শিক্ষার জন্য। এ পর্যমত্ম কলেজ থেকে ৪৪৮ জন এমবিবিএস কোর্স সম্পন্ন করে বের হয়েছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহের একমাত্র বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ‘‘কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ’। এটি ১৯৯৫ সালে কমিউনিটি হেলথ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে ১ বছর মেয়াদী হাতে-কলমে শিখনসহ (Internship) স্নাতক পর্যায়ের ৫ বছর মেয়াদি এম.বি.বি.এস. শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে।
এ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল হচ্ছেন মরহুম মোফাখখারুল ইসলাম। বর্তমান এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান।
সম্প্রতি এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর সাবিবর আহমেদের উদ্দ্যোগে হাসপাতালের সেবার মান বৃদ্ধি ও স্বচ্ছতা আনয়নের লক্ষে সকল বিভাগে সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে।
-

কুড়িগ্রাম জেলায় মোবাইল কোর্ট অভি-যান
প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
কুড়িগ্রাম আদালতে ২টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং কুড়িগ্রাম জেলায় মোবাইল কোর্ট অভিযানে ১টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা।
বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুর এর উদ্যোগে কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনার সময় বিএসটিআই আইন- ২০১৮ এর ১৫ ও ২১ ধারা লংঘনের কারণে নিম্ন বর্ণিত ০২টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, কুড়িগ্রাম বরাবর মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা দায়েরকৃত প্রতিষ্ঠানগুলি হচ্ছে:
০১। মোঃ বেলাল হোসেন (২৮), মেসার্স বেলাল রোবো ফ্যাক্টরী, টাপুরচর, বুড়িরহাট, হলোখানা, সদর, কুড়িগ্রাম; পণ্য- ফার্মেন্টেড মিল্ক, মামলা নং- সিআর-৭৪৮/২৫ কুড়ি:
০২। মোঃ আলমগীর গাজী (৩৬), মেসার্স আতিফা ফুড প্রোডাক্টস, ধানের চাতাল, সিএন্ডবি ঘাট, সদর, কুড়িগ্রাম; পণ্য- আর্টিফিসিয়াল ফ্লেভার্ড ড্রিংকস ও চিপস, মামলা নং- সিআর-৭৪৯/২৫ কুড়ি:একইসাথে ১৮.০৮.২০২৫খ্রি. তারিখে জেলা প্রশাসন, কুড়িগ্রাম এবং বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুর এর সমন্বয়ে সদর, কুড়িগ্রামে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
উক্ত মোবাইল কোর্টে- মেসার্স মুকুল বেকারী, খলিলগঞ্জ, সদর, কুড়িগ্রাম প্রতিষ্ঠানকে বিস্কুট ও ব্রেড পণ্যের মোড়কজাত নিবন্ধন সনদ গ্রহণ ব্যতীত উৎপাদন, বিক্রয়-বিতরণ করায় ” ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন,২০১৮” এর ২৪(১)/৪১ ধারায় ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
মোবাইল কোর্টটি বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ বি এম মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কুড়িগ্রাম এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুর অফিসের কর্মকর্তা খন্দকার মোঃ জামিনুর রহমান, ফিল্ড অফিসার (সিএম) এবং মোঃ আহসান হাবীব, পরিদর্শক (মেট্রোলজি)।জনস্বার্থে বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুরের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
-

৪৮ কিলোমিটার সড়কই বে-হাল দশা নির্মাণ প্রকল্পে ধী-রগতি
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারায় প্রথম দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। সালে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। এরপর আরো ছয় মাস মেয়াদ বাড়িয়ে সংশোধন প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। এতে জমি অধিগ্রহণ ব্যয় তিন গুণ বাড়িয়ে ২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ৪৮ কিলোমিটার ছয় লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি ২০২১ সালের। তবে গতকাল রবিবার (১৭ আগস্ট) পর্যন্ত একটি উপজেলারও ভূমি অধিগ্রহণ শেষ করতে পারেনি ঝিনাইদহ ও যশোরের জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা। অধিগ্রহণের তালিকাভুক্তদের নানা অভিযোগ ও আপত্তি উপেক্ষা করেই গত ৮ আগস্ট ভূমির দাম নির্ধারণ করে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে ভুক্তভোগীরা তা প্রত্যাখ্যান করে মানববন্ধন করেছে। গত ১০ আগস্ট সকালে জেলার কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে তারা মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন থেকে জমির সঠিক মূল্য দাবিসহ ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনৈতিক টাকা দাবি, হয়রানি ও বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়।এ মহাসড়ক ধরে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার পণ্য ও যাত্রীবাহী যান বেনাপোল, দর্শনা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরসহ দক্ষিণের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে। খুলনার সঙ্গে রাজশাহীর যোগাযোগের একমাত্র সড়কপথও এটি। মহাসড়কটির যশোর অংশে ২০ কিলোমিটারজুড়ে তৈরি হয়েছে গর্ত। ঝিনাইদহ অংশের ২৮ কিলোমিটারের অধিকাংশ স্থানেও পিচ উঠে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এসব স্থানে ইটের সলিং দিয়ে কোনো রকমে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে রাখা হয়েছে। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পের মোট বরাদ্দের অর্ধেক জমিই অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছে। তবে সরকার পরিবর্তনের কারণে সময়মতো কাজ শুরু করা যায়নি।
এ ব্যাপারে প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। যার অর্ধেকই ছিল জমি অধিগ্রহণ ব্যয়। তবে সরকার পরিবর্তন হওয়ার কারণে আমরা সময়মতো কাজ শুরু করতে পারিনি। আবার জমিও ঠিকমতো অধিগ্রহণ করা যায়নি। এ কারণে প্রকল্পটি পুনর্মূল্যায়ন করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কেননা নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ার কারণে প্রকল্পের ব্যয়ও বেড়ে যাবে। সেখান থেকে সাড়া পেলে সড়কটির কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করা হবে।’ সওজ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উইকেয়ার প্রকল্পের আওতায় ছয় লেন প্রকল্পে সড়কটি তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ থেকে সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প উইকেয়ারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সওজের ঝিনাইদহ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘গত বছর বর্ষায় রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। এখন মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ঢালাই শুরু হয়েছে। সড়কটি এখন প্রকল্পের আওতায় চলে গেছে। এখানে আমাদের পক্ষ থেকে নতুন করে কিছু করার নেই।’
সরজমিন দেখা গেছে, যশোরের পালবাড়ি থেকে চুড়ামনকাটি পর্যন্ত আট কিলোমিটার পুরোটাই ভাঙ্গ। ঝিনাইদহের অংশে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থান ভেঙ্গে গেছে। বিষয়খালী এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে ইটের সলিং দেয়া রয়েছে। বাকি সড়কের বেশির ভাগ স্থানে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। স্থানীয়রা বলছেন, এক বছর সড়কটির এ অবস্থা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিছু স্থানে ইট বিছিয়ে দিয়েছে। তবুও চলাচলের উপযোগী হচ্ছে না। বড় গাড়িগুলো সড়কে চলাচল করলেও গর্তে পড়ে মাঝেমধ্যেই বিকল হয়ে যাচ্ছে। পালবাড়ি থেকে চুড়ামনকাটি পর্যন্ত সড়কের একাধিক স্থানে ইট বিছানো হয়। কিন্তু বেশিদিন স্থায়ী হয় না।
এ ব্যাপারে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের উইকেয়ার ফেজ-১-এর উপপ্রকল্প ব্যবস্থাপক-১ নিলন আলী বলেন, ‘পানির সংস্পর্শে এলে বিটুমিনাস সারফেস (বিটুমিন বা অ্যাসফল্ট দিয়ে তৈরি রাস্তার পৃষ্ঠ) নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে বর্ষায় রাস্তা সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। যেখানে বেশি সমস্যা ছিল, সেখানে ইট বিছিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন বৃষ্টি কমছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তার সংস্কারকাজ শুরু হবে। তাছাড়া রাস্তার পাশের জমি এখনো অধিগ্রহণ শেষ হয়নি। ছয় লেন সড়কের জন্য আমরা এখনো জমি পুরোপুরি বুঝে পাইনি। এজন্য কাজে ধীরগতি রয়েছে।’
আতিকুর রহমান
ঝিনাইদহ।
