Author: desk

  • পাইকগাছার নদ-নদী থেকে একের পর এক লা-শ উদ্ধা-রের ঘটনায় জনমনে আ-তঙ্ক ছ-ড়াচ্ছে

    পাইকগাছার নদ-নদী থেকে একের পর এক লা-শ উদ্ধা-রের ঘটনায় জনমনে আ-তঙ্ক ছ-ড়াচ্ছে

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
    খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন নদ- নদী থেকে সম্প্রতি একের পর এক লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ ১৭ অক্টোবর শুক্রবার সকালে সোলাদানা বাজারের অদুরে শিবসা নদীর চর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করছে নৌ-পুলিশ। এক দিন আগে ১৬ অক্টোবর বৃহষ্পতিবার উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের জিরবুনিয়া গাছুয়া নদী থেকে খুলনার সোনাডাঙ্গা রানা খলিফার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৩ আগস্ট পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদ থেকে আশাশুনিয়া উপজেলার দর্গাপুর গ্রামের মৃত্যু ফজর আলী গাজীর ছেলে মোজাম গাজী (৭৩) লাশ উদ্ধার করছে নৌ-পুলিশ। ৩০ আগস্ট পাইকগাছায় শিবসা নদী থেকে এক অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, একই এলাকায় একটি গলাকাটা এবং বস্তাবন্দী লাশও উদ্ধার করা হয়েছিল এবং বিভিন্ন সময়ে আরও অনেক মৃতদেহ পাওয়া গেছে। খুলনার নদ নদীতে একের পর এক মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই মৃতদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনাগুলো জনসাধারণে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

    ইমদাদুল হক
    পাইকগাছা খুলনা।

  • কোটালীপাড়ায় বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শন করেছেন ডিসি মুহম্মদ কামরুজ্জামান

    কোটালীপাড়ায় বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শন করেছেন ডিসি মুহম্মদ কামরুজ্জামান

    কে এম সাইফুর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্মসচিব) মুহম্মদ কামরুজ্জামান।

    বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে তিনি কোটালীপাড়ায় পৌঁছে প্রথমে কোটালীপাড়া থানা পরিদর্শন করেন। এ সময় তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যগণ।

    পরে তিনি কোটালীপাড়ার ঘাঘর বাজারের বন্দর মসজিদ, পিঞ্জুরী ইউনিয়ন পরিষদ, কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইন্সটিটিউটশন ও মদরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ফাতেমাতুজ জোহরা কওমি মহিলা মাদ্রাসা ডহরপাড়া পরিদর্শন করেন।

    এছাড়াও জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান (যুগ্মসচিব) উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সূর্যমুখী, সরিষা, খেসারি ও মুসুর ডালের বীজ বিতরণ করেন।

    এরপর তিনি উপজেলা পরিষদের লাল শাপলা হলে তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পের প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে প্রশিক্ষণ ভাতার চেক বিতরণ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির মধ্যে অনুদানের চেক, এস কে এম এইচ উচ্চ বিদ্যালয় শিমুলবাড়ী কোটালীপাড়া ৫২তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর জেলা পর্যায়ে ছাত্রী (ফুটবল) চ্যাম্পিয়নদের মাঝে স্কুলব্যাগ বিতরণসহ কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠের জন্য ফুটবল ও নেটসহ ভলিবল বিতরণ করেন।

    এ সময় কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাগুফতা হক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কোটালীপাড়া মোঃ মাসুম বিল্লাহ, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতাউর রহমান
    সহ অন্যান্য কর্মকর্তাও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • চারঘাট আলহাজ্ব এম. এ হাদী ডিগ্রী কলেজে অভিভাবক সদস্য নির্বাচন

    চারঘাট আলহাজ্ব এম. এ হাদী ডিগ্রী কলেজে অভিভাবক সদস্য নির্বাচন

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার আলহাজ্ব এম. এ হাদী ডিগ্রী কলেজে অভিভাবক সদ্যস্য পদে নির্বাচন (১৮ অক্টোবর) শনিবার তিন অভিভাবক সদস্য নির্বাচনে ৮ জন প্রাথী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    উক্ত নির্বাচনে চারঘাট অভিভাবক সদস্য পদপ্রাথীদের মধ্যে চারঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম (বাচ্চু) নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন।

    জানা গেছে , চারঘাট বাজার ও থানার সদরে চারঘাট আলহাজ্ব এম. এ হাদী ডিগ্রী কলেজ ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ কলেজে মোট ভোটার সংখ্যা ৮১৯ জন। এ নির্বাচনে তিনটি প্যানেলে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

    বিএনপির ২টি প্যানেল ও জামায়াতের ১ টি প্যানেল এরা হলেন, আব্দুলাহ আল কাফি, সাইদুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, জমির উদ্দিন, গোলাম মোস্তফা, মনিরুল, নজরুল ইসলাম ও আশাদুজ্জামান।

    এ বিষয়ে চারঘাট আলহাজ্ব এম. এ. হাদী ডিগ্রী কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ আবু তাহের বলেন, নির্বাচনে কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। আশা করছি সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একজন অভিভাবক তিনটি করে ভোট দিতে পারবেন।

    মোঃ মোজাম্মেল হক
    চারঘাট, রাজশাহী।।

  • ৬ দফা দা-বীতে কুমিল্লায় খেলাফত মজলিসের মা-নববন্ধন 

    ৬ দফা দা-বীতে কুমিল্লায় খেলাফত মজলিসের মা-নববন্ধন 

    তরিকুল ইসলাম তরুন, 

    কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর আলোকে খেলাফত মজলিস কুমিল্লা মহানগরীর উদ্যোগে ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবী তে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

    উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর সভাপতি ও কুমিল্লা ১ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত  সংসদ সদস্য প্রার্থী মাও সৈয়দ আব্দুল কাদের জামাল,, 

    মহানগর সেক্রেটারি মাও ইলিয়াস বিন হাসেম এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন শ্রমিক মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাও আবু বকর সিদ্দিকী ইসলামী ছাত্র মজলিস কুমিল্লা মহানগরীর সভাপতি মো ইকরামুল হক উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিস কুমিল্লা মহানগরীর প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাও আবুল কাশেম সহ বায়তুলমাল সম্পাদক মাও জাকির হোসেন, মাও এরশাদ উল্লাহ ছাত্র মজলিস কুমিল্লা মহানগরীর সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মাহদি যুব মজলিস এর নির্বাহী সদস্য মুফতী আব্দুর রহমান সহ খেলাফত মজলিস এর স্থানীয় দায়িত্বশীলবৃন্দ

  • গ্রাম আদালতে ন্যা-য় বিচার পাচ্ছে সলঙ্গা ইউনিয়নবাসী

    গ্রাম আদালতে ন্যা-য় বিচার পাচ্ছে সলঙ্গা ইউনিয়নবাসী

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
    অল্প সময়ে স্বল্প খরচে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে কাজ করে চলেছেন ৮ নং সলঙ্গা  ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত।মাত্র ১০ টাকা ফি দিয়ে ফৌজদারী আর ২০ টাকা ফি দিয়ে দেওয়ানী মামলার সুযোগ পাচ্ছেন।এতে নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে পারছেন বাদী-বিবাদীরা।শুধু তাই নয়,৯০ দিনের মধ্যে গ্রাম আদালতের  মামলা নিষ্পত্তির বিধান থাকলেও ১ মাসের আগেই এসব মামলা নিষ্পত্তি করছেন সংশ্লিষ্টরা। গ্রাম আদালত পরিচালনায় সবচেয়ে বেশি বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ এবং উপকৃত হচ্ছেন  জনগোষ্ঠী  সুযোগ উপকৃত হচ্ছেন প্রান্তিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠী,অসহায় পরিবার ও নারী ঘটিত মামলার বাদী বিবাধীরা।বিরোধ নিষ্পত্তি ছাড়াও বিবাদমান দুইটি পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃ স্হাপনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে সহজে বিচার পাবার আশায় ভুক্তভোগীরা ছোট ছোট বিরোধ নিয়ে থানা পুলিশ ও কোট কাচারী বা জেলা মোকাম আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছে না।গ্রাম আদালতে বাইরের কোন আইনজীবী নিয়োগের বিধান নাই।বাদী-বিবাদীরা নিজেদের কথা নিজেরাই বলতে পারে।সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন।পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর রানা ইসলাম গ্রাম আদালতের পেশকারের দায়িত্ব পালন করেন। সহযোগিতায় থাকছেন উপজেলা গ্রাম আদালত সমন্বয়কারী ছালমা খাতুন।গ্রাম আদালতের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন সংশ্লিষ্ট গ্রাম পুলিশ।ইতিমধ্যেই গ্রাম আদালতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রশংসা কুড়িয়েছেন বিচারক রফিকুল ইসলাম মন্টু।সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত গ্রাম আদালতের বিচারক ১ নং ওয়ার্ডে।র মেম্বর রফিকুল ইসলাম মন্টু এ প্রতিনিধি জানান,সরকার পতনের পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে।আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর পরিষদের সকলের সহযোগিতায় গত মার্চ হতে এ পর্যন্ত ৩৩ টি ফৌজদারি ও ৯টি দেওয়ানি নারী ঘটিত ১৪ টি মামলার শুনানি নিষ্পত্তি ও খারিজ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা  করেছি।বিচারক মন্টু  আরও জানান সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচারপ্রার্থী হলে পরিষদে আবেদন ফি ছাড়া অন্য কোন টাকা লেনদেনের সুযোগ নাই।সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের আওতাভুক্ত সাধারণ জনগণ যেন ন্যায় বিচার পেতে হয়রানী না হয় সে জন্য আমি পরিষদের সকল মেম্বরসহ সংশ্লিষ্টদের পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা কামনা করছি।

  • রংপুরে জা-ল সনদে ১৮ বছর শিক্ষকতা, অধ্যক্ষের মদদে ইস্তফার মাধ্যমে অর্থ ত-ছরুফ চেষ্টা

    রংপুরে জা-ল সনদে ১৮ বছর শিক্ষকতা, অধ্যক্ষের মদদে ইস্তফার মাধ্যমে অর্থ ত-ছরুফ চেষ্টা

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধি:
    রংপুরে “তারাগঞ্জ ওয়াক্ফ এস্টেট কামিল মাদ্রাসায়” এনটিআরসিএ এর শিক্ষক নিবন্ধনের জাল ও ভুয়া সনদে কর্মরত সহকারি অধ্যাপক মো. মাহবুব রশিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ না করে উল্টো অধ্যক্ষের মদদে ইস্তফার মাধ্যমে অর্থ তছরুফ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
    তথ্য মতে, এনটিআরসিএ দপ্তর কর্তৃক দালিলিক ভাবে জাল ও ভুয়া সনদধারী এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশনা থাকা সত্বেও অভিযুক্ত শিক্ষক উক্ত প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের নিকট আত্মীয় হওয়ায় আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ না করে উল্টো চাকুরী ইস্তফার মাধ্যমে মাহবুব রশিদকে সরকারি অর্থ(বেতন ফেরৎ) তছরুফ চেষ্টায় সহযোগীতা করছেন মর্মে দাপ্তরিক ভাবে তথ্য পাওয়া গেছে।
    জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে “বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ আইন” ২০০৫ অনুযায়ী এনটিআরসিএ এর প্রথম শিক্ষক নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তি গত ২১/০৯/২০০৫ইং দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার শেষ তারিখ ছিল ১০/১০/২০০৫ইং। সেখানে মাহবুব রশিদ এর কামিল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের তারিখ ছিল- ২৬/০৯/২০০৫ইং। সে সময় অনলাইন ব্যবস্থা না থাকা এবং কামিল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের মাত্র ১৪ দিনের ব্যবধানে এনটিআরসিএ-তে ২০০ নম্বরের ভাইভা বিহীন পরীক্ষায় সাময়িক সনদ ছাড়া আবেদনের সুযোগ ছিলনা। এছাড়াও উক্ত শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আরবি প্রভাষক পদে একাডেমিক শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয় ছিল আরবি সাহিত্য(আদব) সহ দ্বিতীয় শ্রেণির কামিল শ্রেণি পরীক্ষায় পাশ করা। কিন্তু মাহবুবের একাডেমিক শিক্ষাগত যোগ্যতা কামিল শ্রেণির পরীক্ষায় পাশের বিষয় ছিল হাদিস। যা উক্ত শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণে তার যোগ্যতাই ছিলনা।
    অফিস সূত্রে জানা গেছে, এনটিআরসিএ এর নিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগকৃত ও কর্মরত শিক্ষকদের তথ্যাদি (২০০৫ হতে অক্টোবর ২০১৫ পর্যন্ত) যাচাই প্রক্রিয়ায় গত ০৪/১১/২০২০ইং তৎকালিন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. রোকসানা বেগম স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে তারাগঞ্জ ও/এ কামিল মাদ্রাসার ১১ জন শিক্ষকের মধ্যে ০১নং ক্রমিকে বর্ণিত শিক্ষকের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ সঠিক নয় মর্মে উল্লেখ করেন। অধ্যক্ষ এ.এস.এম আব্দুস সালাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনটি কালবেলা প্রতিনিধির সংগ্রহে রয়েছে। এতে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহবুব রশিদের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ ভুয়া ও জাল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।
    এছাড়াও ০৩/০৩/২০২৫ইং অধ্যক্ষ তার প্রতিষ্ঠানের স্বারক নম্বর- তা.কা.মা-৭৬/১/২০২৫ইং আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৩ মার্চ ২০২৫ইং এনটিআরসিএ দপ্তর স্মারক নম্বর: ৩৭.০৫.০০০০.০০০.০১০.০৫.০০০২.২৩.৩৭৪-এ মাহবুব রশিদ, পিতা- মো. মফছার আলী যার রোল- ২২৬০০৫২ এবং রেজিঃ নম্বর- ০৬৪১৮২৪৫/২০০৫ এর পদবি- প্রভাষক, বিষয়- আরবি শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি ভূয়া ও জালজালিয়াতি প্রমাণিত হয়। যা এনটিআরসিএ চিঠিতে মাহপরিচালক মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সহ আইসিটি সেল- এনটিআরসিএ, জেলা শিক্ষা অফিসার-রংপুর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অফিসার ইনচার্জ তারাগঞ্জকে অবগত করা হয়। সেখানে অধ্যক্ষকে আইনগত ভাবে মামলা করার নির্দেশনা প্রদান করা সত্বেও তিনি তা না করে, উল্টো মাহবুব রশিদের ইস্তফাপত্র অনুমোদনে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন।
    জাল ও ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে তারাগঞ্জ ও/এ কামিল মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহবুব রশিদ ১৭/০১/২০০৮ইং নিয়োগ পান এবং ২১/০১/২০০৮ইং যোগদানের পর ০১/০১/২০০৯ইং এমপিওভূক্ত হয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়াও অভিযুক্ত শিক্ষক মাহবুব রশিদের জাল ও ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধনের বিষয় গত ০৪/১১/২০ইং দাপ্তরিক ভাবে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আব্দুছ ছালাম জেনেও আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে গত ০১/০২/২০২৩ইং তাকে প্রভাষক পদ থেকে সহকারি অধ্যাপক পদে পদোন্নতিও করান।
    অভিযুক্ত শিক্ষক মাহবুব রশীদ মুঠোফোনে বলেন, আমি চাকুরী ইস্তফার বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু পারিবারিক সিদ্ধান্তে তা আপাতো স্থগিত আছে। এনটিআরসিএ এর শিক্ষকনিবন্ধনের জাল ও ভুয়া সনদে চাকরীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কল কেটে দেন এবং পরে আর কল রিসিভ করেননি।
    অধ্যক্ষ আব্দুছ ছালাম অফিস স্বাক্ষাৎকারে মাহবুব রশীদের চাকুরী ইস্তফা প্রদানের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মাহবুব রশীদ স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করতে চেয়েছিল,কমিটির মিটিং- এ আলোচনাও হয়েছিল। তবে তা গ্রহণ করা হয়নি, সিদ্ধান্ত স্থগিত আছে, এগুলো এখন সময় সাপেক্ষ ভবিষ্যৎ।
    এঘটনায়, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. এনায়েত হোসেন বলেন, শিক্ষক নিবন্ধনের ভুয়া সনদে চাকুরী করা এবং সুযোগ বুঝে চাকুরী ইস্তফার মাধ্যমে সরকারি বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা থেকে রক্ষার কোন উপায় নেই। অধ্যক্ষ কেন আইনগত ব্যবস্থা নেন নাই সে বিষয়ে আমি লিখিত ভাবে জানতে চাইবো।
    উল্লেখ্য যে- বিধান রয়েছে, জাল ও ভুয়া সনদে চাকুরী করলে উক্ত ব্যক্তিকে চাকুরীকালিন প্রাপ্ত বেতন বিধিমোতাক সরকারি কোষাগারে ফেরত প্রদান করতে হয়।সেখানে মাহবুব রশিদ এর জাল ও ভুয়া সনদের বিষয়ে এডহক কমিটির সভাপতি(এডিএম) বরাবর গত ২৪/০৩/২৫ইং এবং ১৩/০৮/২৫ইং দুই দফা অভিযোগ করা হলেও দায়িত্বপ্রাপ্তগণ কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। উল্টো অধ্যক্ষের মদদে প্রতিষ্ঠানটির এডহক কমিটির সভাপতি বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, রংপুর বরাবর গত ৩১/০৮/২৫ইং মাহবুব রশিদ তার চাকুরীর ইস্তফাপত্র জমা দেন। যাহা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ(এডহক কমিটি) অধিবেশন নম্বর- ০৪/২৫ তারিখ- ০৩/০৯/২৫ইং আলোচ্য সূচী ৬ এর আলোকে সর্বসম্মতিক্রমে ইস্তফাপত্র গ্রহণের ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যা সরকারি অর্থ (বেতন) তছরুফে সহযোগীতা করার শামিল বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

  • ভারতে পা-লানোর সময় বরগুনা ও বরিশালের দুই আ.লীগ নেতা বিরামপুরে আ-টক

    ভারতে পা-লানোর সময় বরগুনা ও বরিশালের দুই আ.লীগ নেতা বিরামপুরে আ-টক

    জাকিরুল ইসলাম (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

    দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আজাদ রিপন (৪৮) এবং বরিশালের উজিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান ইকবালকে (৫৭) আটক করেছে পুলিশ।

    পুলিশ আটককৃতদের শুক্রবার দুপুরে (১৭ অক্টোবর) দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক।

    জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে মাহমুদুল আজাদ রিপন ও হাফিজুর রহমান ইকবাল বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর উদ্দেশ্যে অটোরিকশায় সীমান্তের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাঁরা পথ ভুলে ভেলারপাড় ব্রিজ এলাকায় গিয়ে স্থানীয় লোকজনকে সীমান্তের পথ জিজ্ঞেস করলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হলে থানা-পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

    আটক মাহমুদুল আজাদ রিপন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বরগুনা সদর উপজেলার চর কলোনি এলাকার আজহার আলীর ছেলে। হাফিজুর রহমান ইকবাল বরিশালের উজিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার কেশবকাবী গ্রামের রফিজ উদ্দিনের ছেলে।

    বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, আটক দুই ব্যক্তির নামে তাঁদের নিজ এলাকায় তিনটি করে রাজনৈতিক মামলা রয়েছে এবং পল্টন থানায়ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তাঁরা পলাতক ছিলেন। বিরামপুর থানা এলাকায় সন্দেহজনক ঘোরাফেরার অভিযোগে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

    মো: জাকিরুল ইসলাম জাকির
    বিরামপুর, দিনাজপুর।

  • বাংলাদেশের ক্যাডেট কলেজসমূহের ঈর্ষণীয় ফলাফল অর্জন-এইচএসসি ২০২৫

    বাংলাদেশের ক্যাডেট কলেজসমূহের ঈর্ষণীয় ফলাফল অর্জন-এইচএসসি ২০২৫

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।।

    ঢাকা, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ (বৃহস্পতিবার): ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলাদেশের ক্যাডেট কলেজসমূহ ঈর্ষণীয় ফলাফল অর্জন করেছে। এবারের পরীক্ষায় ১২টি ক্যাডেট কলেজ হতে সর্বমোট ৫৮৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৮৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে, পাশের হার শতভাগ এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৯৯.৬৬%। বিগত ২০২৪ সালেও এইচএসসি পরীক্ষায় ১২টি ক্যাডেট কলেজের জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার ছিল ৯৯.৬৬%।

    বাংলাদেশের ক্যাডেট কলেজসমূহ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল ও সভাপতি, ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা পরিষদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শুধুমাত্র ভালো ফলাফল অর্জনই নয়, বরং চৌকস ও সুনাগরিক হিসেবে ক্যাডেটদের গড়ে তোলাই ক্যাডেট কলেজগুলোর লক্ষ্য। এজন্য ক্যাডেটদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে লেখাপড়ার পাশাপাশি চরিত্র গঠন ও সহশিক্ষা কার্যক্রমকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। কলেজ থেকে শিক্ষা লাভের পর ক্যাডেটরা যেন বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সম্মানজনক অবস্থানে পৌছাতে পারে সেই লক্ষ্যে কলেজসমূহে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন শিক্ষা ও সহ-শিক্ষা কার্যক্রম সংযুক্ত হচ্ছে।

    ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটদের ধারাবাহিক সাফল্যের পেছনে রয়েছে ক্যাডেট কলেজের আভ্যন্তরীণ সু-শৃঙ্খল পরিবেশ, ক্যাডেটবৃন্দের অধ্যবসায়, নিয়মিত পড়াশোনা এবং আন্তরিক প্রচেষ্টা। ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা পরিষদের সুষ্ঠু দিকনির্দেশনা, ক্যাডেট কলেজসমূহের অভিজ্ঞ ও যোগ্যতাসম্পন্ন অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, অনুষদ সদস্যবৃন্দ, কর্মকর্তাবৃন্দ, কলেজে কর্মরত সকল শ্রেণির ব্যক্তিবর্গের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দের সহযোগিতায় এই সাফল্যজনক ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে।

  • ঢাকায় শিক্ষকদের পি-টিয়ে আ-হত করার প্র-তিবাদে মান-ববন্ধন ও বিক্ষো-ভ

    ঢাকায় শিক্ষকদের পি-টিয়ে আ-হত করার প্র-তিবাদে মান-ববন্ধন ও বিক্ষো-ভ

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, উৎসব ভাতা বৃদ্ধি, এমপিওভুক্তকরণ ও ঢাকায় পুলিশ কতৃক শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শিক্ষক–-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সাড়ে ১০ টার সময় গোদাগাড়ীতে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা গোদাগাড়ী সদরে গোলচত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত শিক্ষক–কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। বর্তমান সময়ে বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তাদের জীবনযাপন কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাই দ্রুত ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন গোদাগাড়ী মহিলা কলেজর উপধ্যাক্ষ আব্দুল মালেক, হরিণ বিস্কা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সেলিম সানোয়ার পলাশ, সাসুলতান (রহ:) কামিল মাদ্রাসার আরবী বিভাগের অধ্যাপক শি মো: দুরুল হোদা, পিরিজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তিতুমীর, ভাটোপড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আয়েশা খাতুনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ।
    বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষকদের ন্যায্য প্রাপ্যতা নিশ্চিত না হলে শিক্ষার মানও উন্নত হবে না।
    সমাবেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় শিক্ষকদের পিটিয়ে আহত করা ও গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়। বক্তারা বলেন, শিক্ষকদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করা মানে শিক্ষা ব্যবস্থাকে অসম্মান করা।
    মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শতশত শিক্ষক–কর্মচারী অংশ নেন। তারা হাতে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দেন, ‘শিক্ষকদের দাবি মানতে হবে’, ‘শিক্ষার মর্যাদা রক্ষা করতে ২০ ভাগ বাড়ী, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, ৭৫ ভাগ উৎসব ভাতা মেনে নেয়ার জোর দাবী জানানো হয়।

    বক্তারা জানান, সরকার যদি দ্রুত এসব দাবি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন

    মোঃ হায়দার আলী
    রাজশাহী।।

  • গোদাগাড়ীতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অ-নির্দিষ্টকালের ক-র্মবিরতি চলছে

    গোদাগাড়ীতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অ-নির্দিষ্টকালের ক-র্মবিরতি চলছে

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে এবং পুলিশের বলপ্রয়োগের প্রতিবাদে গত সোমবার থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের অব্যাহতভাবে কর্মবিরতি চলছে। ফলে উপজেলার স্কুলকলেজে পাঠদান কার্যত যতদিন সরকার শিক্ষকদের দাবী না মানবে ততদিন ক্লাস বর্জন চলবে।

    এই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’। রোববার বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক অবস্থান কর্মসূচিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলনের নতুন ধাপ ঘোষণা করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী।

    রাজবাড়ীহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলবে। গত রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয় এবং একপর্যায়ে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষকদের পিটিয়ে পুলিশ আহত করেন দাবি আদায় ও শিক্ষকদের উপর পুলিশ বলপ্রয়োগের প্রতিবাদে এ আন্দোলন চলছে।
    অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালনকৃত বিভিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বলছেন, সরকার ঘোষিত বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির হার অত্যন্ত অপ্রতুল ও বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা এবং কর্মচারীদের উৎসবভাতা বাস্তবায়নের যৌক্তিক দাবিগুলো বিবেচনায় নিয়ে সরকার দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করবে। ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।।
    কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমাদের শিক্ষকদের দাবি সঙ্গতিপূর্ণ, আমরা শিক্ষকদের দাবি আদায়ের এই আন্দোলনের সাথে সহমত প্রকাশ করছি।
    উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমাবেশে শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা এবং কর্মচারীদের উৎসবভাতা উন্নীত করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। গত ৫ অক্টোবর শিক্ষক দিবসে ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়, যা শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তোলে। যতদিন বেসরকারি শিক্ষক ২০ ভাগ বাড়ীভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, ৭৫ ভাগ উৎসব ভাতার আর্দেশ জারী না করবে ততদিন শ্রেণী কার্যক্রম অব্যাহতভাবে বন্ধ
    থাকবে।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।