Author: desk

  • রাজশাহীর গোদাগাড়ীর  মাটিতে বিদেশি ফল চাষ করে লাভ-বান হচ্ছে কৃষক

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীর মাটিতে বিদেশি ফল চাষ করে লাভ-বান হচ্ছে কৃষক

    মোঃ হায়দার আলী রাজশাহী থেকেঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীসহ বরেন্দ্র অঞ্চলে বিদেশী জাতের ফলের বস্পার ফল হচ্ছে। কৃষকের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। লবণ-মরিচ দিয়ে স্ট্রবেরি ভর্তা নিশ্চয়ই অনেকেই খেয়েছেন। বিভিন্ন শহর, গ্রামে এখন বিক্রি হচ্ছে। রীতিমতো দেশি ফলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফলন হয়েছে স্ট্রবেরির। অ্যাভোকাডো, ড্রাগন ফল, সৌদি খেজুর, তীনফল, কমলা এগুলোও এখন চাষ হচ্ছে গোদাগাড়ীতে । গত কয়েক দশকে আমাদের দেশে এসেছে অনেক বিদেশি ফল। প্রাথমিকভাবে কেউ নিতান্তই শখ করে চারা কলম বা বীজের মাধ্যমে এখানে নিয়ে এসেছেন গাছগুলো। পরে নার্সারির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। দেখা যাক এখন কী কী ফল এখানে জন্মে। অনেকে ছাঁদ বাগান নিজের বাড়িতে বা বারান্দার টবে আপনিও এসব ফলের চারা এনে লাগাতে পারেন।

    স্ট্রবেরি
    একসময় নির্দিষ্ট কিছু বাগানে সীমিত পরিমাণে দেখা গেলেও বর্তমানে গোদাগাড়ীসহ রাজশাহী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে চাষ হচ্ছে। গাছের (Fragaria vesca) গড়ন থানকুনিগাছের মতো, লতা মাটিতে গড়ায়। ফল একক, পরিপক্ব ফলের রং উজ্জ্বল লাল, গা-অসমান, খাঁজকাটা, তাতে বীজ থাকে। ফল সুগন্ধি, টক-মিষ্টি স্বাদের। এ ফলে আছে ভিটামিন এ ও সি।

    নাশপাতি
    নাশপাতি (Pyrus communis) মূলত শীতপ্রধান অঞ্চলের ফল। দেশের বিভিন্ন কৃষি উদ্যান ও গবেষণাকেন্দ্রে সীমিত পরিসরে চাষ হয়। খাগড়াছড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ২০০১ সালের দিকে বারি নাশপাতি-১ নামে আমাদের আবহাওয়া উপযোগী একটি নতুন জাতের নাশপাতির জাত উদ্ভাবন ও বাজারজাত শুরু করে। জন্মস্থানে কাঁচা অবস্থায় সবুজ থাকলেও আমাদের দেশে সহজলভ্য প্রজাতিটি বরাবরই খয়েরি রঙের।

    সৌদি খেজুর
    ময়মনসিংহ জেলার ভালুকায় আবদুল মোতালেবের বাগানে ২০০৬ সাল থেকেই ফল ধরতে শুরু করে। মূলত দেশি খেজুর শেষ হওয়ার দুই থেকে তিন মাস পর সৌদি খেজুরগুলো (Phoenix dactylifera) পাকতে শুরু করে। আমাদের আবহাওয়ায় এর অভিযোজনা চমৎকার হওয়ায় ব্যাপকভাবে রোপণ করা যেতে পারে। পুষ্টিগুণ অনেক ভালো হওয়ায় অন্তত দুটি খেজুর গাছ একটি পরিবারের সারা বছরের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। এখন গোদাগাড়ীসহ চাঁপাই নবাবগজ্ঞ, রাজশাহী, নাটোরসহ বিভিন্ন স্থানে চাষ করা হচ্ছে খেজুর।

    ড্রাগন ফলঃ
    বাণিজ্যিকভাবে চাহিদা থাকায় দেশে প্রচুর পরিমাণে ড্রাগন ফলের (Hylocereus undatus) চাষ হচ্ছে। গাছ লতানো। সচরাচর চার রঙের ফল দেখা যায় বাজারে-লাল বাকল, লাল শাঁস; হলুদ বাকল, সাদা শাঁস; লাল বাকল, সাদা শাঁস; লাল বাকল, নীলচে লাল শাঁস। রঙের ভিন্নতা অনুযায়ী স্বাদের ক্ষেত্রেও তারতম্য লক্ষ করা যায়। শাঁসের ভেতর ছোট ছোট অজস্র কালো রঙের বীজ থাকে। লাল রঙের ফল থেকে চমৎকার প্রাকৃতিক রং পাওয়া যায়। এই রং শরবত তৈরিতেও ব্যবহার হয়। গোদাগাড়ীর কৃষকদের আসার আলো দেখাচ্ছে।

    অ্যাভোকাডো
    এখন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। গাছপ্রতি ফলন ও একেবারে কম নয়। অ্যাভোকাডোর (Persea americana) আদি আবাস আমেরিকা। ফল পরিণত হতে প্রায় সাত-আট মাস সময় লাগে। আকৃতিতে বেশ বড়-১ থেকে ২ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। ফল সাধারণত সালাদের মিশেল হিসেবেই ব্যবহার্য। সৌন্দর্যচর্চার উপকরণ হিসেবেও অনেকে ব্যবহার করেন। গোদাগাড়ী বেশ কয়েকটি ড্রাগন বাগানে চাষ করতে দেখা যাচ্ছে।

    প্রধান শিক্ষক মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, বিদেশী ফল বেশ লাভজনক, আমাদের ড্রাগনবাগানের পাশাপাশি সৌদি খেজুর, তীনফল,
    স্ট্রবেরির চাষ করে বেশ লাভ হচ্ছে। আমাদের নিকট হতে চারা, পরামার্শ নিয়ে অনেকেই বাগান করছেন।

    রাজশাহীর উপ-পরিচালক মোছাঃ ছালমা খাতুন জানান, দেশের কৃষিতে বিপ্লব ঘটেছে। কৃষক ভাইয়েরা দেশী ফলের সাথে পাল্লা দিয়ে চাষ করছেন, ড্রাগন, তীন, ড্রাগন, খেজুর, আঙ্গুর, কমলা, আপেল ফলসহ বিভিন্ন জাতের বিদেশী ফল। বেশ লাভবান হচ্ছে কৃষকগণ।

    গোদাগাড়ীর আর্দশ কৃষক, বঙ্গবন্ধু পদক প্রদকপ্রাপ্ত দেশী বিদেশী ফল চাষি মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, বিদেশী ফল চাষ করে দেশের কৃষকগণ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান বাখছেন।

    মোঃ হায়দার আলী
    গোদাগাড়ী, রাজশাহী।

  • দোয়ারাবাজার (ইউএনও)র বিশেষ বরাদ্ধে  দোহালিয়া প-য়েন্ট সড়কের এর সংস্কার কাজ স-ম্পন্ন

    দোয়ারাবাজার (ইউএনও)র বিশেষ বরাদ্ধে দোহালিয়া প-য়েন্ট সড়কের এর সংস্কার কাজ স-ম্পন্ন

    হারুন অর রশিদ,
    দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
    ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দোহালিয়া বাজার আজাদ ব্রাদার্স এন্ড টাওয়ার থেকে ভূমি অফিস পয়েন্টে পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দ ও গর্ত হয়ে জনদুর্ভোগে ছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। জন-প্রতিনিধি ও স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিশেষ বরাদ্দে দোহালিয়া পয়েন্টটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সংস্কার কাজের সভাপতি মো. সুনুর মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটি খানাখন্দের কারণে জনদূর্ভোগ লেগে থাকতো। দোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীমুল ইসলাম (শামিম) ও স্থানীয় জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনওর) বিশেষ বরাদ্দে রাস্তাটি সংস্কার করতে পেরে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

    দোয়ারাবাজার উপজেলা দক্ষিণের সাবেক আমির দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাস্তাটি বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দেে পরিনত ছিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের বরাদ্দে ও ইউপি সদস্য সুনুর মিয়ার অক্লান্ত পরিশ্রমে সড়কটি সংস্কার হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে প্রগতী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এর রাস্তাটি ও মেরামত করা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।

    প্রাক্তন ছাত্র ঐক্য পরিষদ প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ”র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন মোঃ আব্দুল্লাহ জনগুরুত্বপূর্ণ ছাতক দোয়ারাবাজার সড়কের দোহালিয়া বাজার সড়কটি সংস্কার হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
    এছাড়াও প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের রাস্তাটি জরুরি ভাবে মেরামত করা হলে কুমল মতি শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে কষ্ট লাঘব হবে।

    উপজেলা যুবদল নেতা হামদু মিয়া বলেন,
    দীর্ঘদিনের খানাখন্দ গর্ত ভরা দোহালিয়া ভূমি অফিস সংলগ্ন রাস্তাটি সংস্কার হওয়ায় ইউপি সদস্য সুনুর মিয়া, চেয়ারম্যান শামীমুল ইসলাম শামিম সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহোদয়কে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরূপ রতন সিংহ বলেন, সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এবং স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কাজটি সম্পন্ন হওয়ায় এলাকাবাসী উপকৃত হবে।

    সম্প্রতি সংস্কার কাজ শেষ হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনওর) তত্ত্বাবধানে বিশেষ তহবিল থেকে এই বরাদ্দ দেওয়ায় এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

  • নড়াইলে ইয়া-বা ট্যাব-লেটসহ দুইজন গ্রে-ফতার

    নড়াইলে ইয়া-বা ট্যাব-লেটসহ দুইজন গ্রে-ফতার

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
    নড়াইল ডিবি পুলিশের সফল অভিযানে ১৫৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুইজন গ্রেফতার
    মাদক ব্যবসায়ের সাথে। জড়িত মোঃ নূর নবী (২২) ও হিরো (৪২) নামের ০২ জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মোঃ নূর নবী (২২) নড়াইল সদর থানাধীন ভাটিয়া গ্রামের মোঃ আসলাম শেখের ছেলে ও হিরো (৪২) নড়াইল সদর থানাধীন বড়াশুলা গ্রামের মোঃ সৈয়দ ওলিয়ার রহমানের ছেলে। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, বুধবার (২০ (আগষ্ট’ রাতে নড়াইল জেলার সদর থানার পৌরসভাধীন ৩ নং ওয়ার্ড মহিসখোলা গ্রামস্হ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর সামনে পাঁকা রাস্তার উপর থেকে তাকে আটক করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহাদারা খান (পিপিএম) এর তত্ত্বাবধানে এসআই (নিঃ) জাহাঙ্গীর আলম, ও এএসআই(নিঃ) মোঃ আখতারুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে মোঃ নূর নবী (২২) ও হিরো (৪২) কে গ্রেফতার করে। এ সময় ধৃত আসামির নিকট থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য একশত তিপ্পান্ন পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। এ সংক্রান্তে নড়াইল সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর’র নির্দেশনায় মাদকমুক্ত নড়াইল গড়ার লক্ষ্যে জেলা পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।।

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি

  • র‌্যাব-১২ এর অভি-যানে ২১০ পিচ ইয়া-বা ট্যাবলেটসহ ০১ জন মা-দক ব্যবসায়ী গ্রে-ফতার

    র‌্যাব-১২ এর অভি-যানে ২১০ পিচ ইয়া-বা ট্যাবলেটসহ ০১ জন মা-দক ব্যবসায়ী গ্রে-ফতার

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানি সিরাজগঞ্জ এর অভিযানে তাড়াশ থানা এলাকা হতে ২১০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতারে র‌্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।

    ১। এরই ধারাবাহিকতায় অধিনায়ক র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর দিকনির্দেশনায় গত ১৯ আগস্ট ২০২৫ খ্রিঃ,বিকাল ১৭.১৫ ঘটিকায় র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল “সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানাধীন কালুপাড়া সাকিনস্থ জনৈক ডাক্তার ইউসুফ প্রামানিক এর পুকুর পাড়ের দক্ষিন পার্শ্বে অবস্থিত টিন শেডের মিলন মেমোরিয়াল কোচিং সেন্টারের পিছনে” একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ২১০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ০১ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

    ২। গ্রেফতারকৃত আসামি ১। মোঃ বুলবুল হোসেন (৬২), পিতা- মৃত শুকাল উদ্দিন সরকার, সাং- খুটিগাছা,(০৭ নং ওয়ার্ড তাড়াশ পৌরসভা), থানা- তাড়াশ, জেলা- সিরাজগঞ্জ।

    ৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামি দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর আড়ালে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট নিজ হেফাজতে রেখে পরস্পর যোগসাজশে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানা ও তার আশপাশ এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।

    ৪। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    এ ধরণের মাদক উদ্ধার অভিযান সচল রেখে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে র‌্যাব-১২ বদ্ধপরিকর।

    র‌্যাব-১২ কে তথ্য দিন – মাদকমুক্ত, বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।

  • র‌্যাব-১২ এর অভিযানে ১৬৫ বোতল ফেন্সিডি-লসহ ১ জন মা-দক ব্যবসায়ী গ্রে-ফতার

    র‌্যাব-১২ এর অভিযানে ১৬৫ বোতল ফেন্সিডি-লসহ ১ জন মা-দক ব্যবসায়ী গ্রে-ফতার

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানি সিরাজগঞ্জ এর অভিযানে সলঙ্গা থানা এলাকা হতে ১৬৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতারে র‌্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।

    ১। এরই ধারাবাহিকতায় অধিনায়ক র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর দিকনির্দেশনায় অদ্য ২০ আগস্ট ২০২৫ খ্রিঃ,রাত ১২.১৫ ঘটিকায় র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল “সিরাজগঞ্জ জেলার সলংগা থানাধীন রামারচরস্থ নাটোর হতে ঢাকাগামী মহাসড়কের উত্তর পার্শ্বে রয়্যাল রূপালী হাইওয়ে রেস্টুরেন্ট এর সামনে” একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৬৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ০১ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও তার সাথে থাকা ফেন্সিডিল ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ০১টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

    ২। গ্রেফতারকৃত আসামি ১। মোঃ সাহাজুল বিশ্বাস (৪৮), পিতা- মৃত এয়ার আলী বিশ্বাস, সাং- মুসলিম নগর(পূর্ব মহিষকুন্ডি), ইউনিয়ন-৪ নং হোগলবাড়ীয়া, থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া

    ৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামি দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর আড়ালে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল কুষ্টিয়া জেলা হতে সংগ্রহ করে নিজ হেফাজতে রেখে গাড়ীতে বহনপূর্বক স্থানান্তর করে দেশের বিভিন্ন জেলায় ক্রায়-বিক্রয় করে আসছে।

    ৪। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    এ ধরণের মাদক উদ্ধার অভিযান সচল রেখে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে র‌্যাব-১২ বদ্ধপরিকর।

    র‌্যাব-১২ কে তথ্য দিন – মাদকমুক্ত, বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।

  • আশুলিয়ায় সেনাবাহিনীর যৌ-থ অভি-যানে পৃথক স্থান থেকে দুই ভু-য়া ডিবিসহ ৪ জন গ্রে-ফতার

    আশুলিয়ায় সেনাবাহিনীর যৌ-থ অভি-যানে পৃথক স্থান থেকে দুই ভু-য়া ডিবিসহ ৪ জন গ্রে-ফতার

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে পৃথক স্থান থেকে দুই ভুয়া ডিবি পুলিশ ও নকল সিগারেট বিক্রেতা দুইজনসহ ৪ জনকে গ্রেফতার।

    বুধবার (২০ আগস্ট ২০২৫ইং) তারিখ সকালে ঘোষবাগ, আশুলিয়া এলাকায় জামগড়া আর্মি ক্যাম্পের নিয়মিত টহলের সময় টহল দলের কাছে আহত এক সিএনজি চালক সেনাবাহিনীর কাছে সহায়তা চান। ভুক্তভোগী জানান, চারজন ব্যক্তি নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার সিএনজি ছিনতাই করেছে এবং তাকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে রেখে গেছে।

    এ ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ টহল দল অভিযানে নামেন। স্থানীয় সূত্র ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রায় ৩ ঘণ্টার অনুসন্ধানে ছিনতাই হওয়া সিএনজিটি ভাদাইলের একটি গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্তদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া সিএনজি, ছিনতাই কাজে ব্যবহার করা সরঞ্জামসহ প্রায় ২০০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়। সেই সাথে আশুলিয়ার বাইপাইলে নকল সিগারেটসহ সাইফুল ও মেহেদী নামের দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সিএনজি ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

  • বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতি-ষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতি-ষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক
    ঝালকাঠির নলছিটিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়।

    বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করা হয়। র‍্যালিটি নলছিটি পৌরসভা মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদের সামনে এসে শেষ হয় ।

    কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক  জেড আই কামাল, ও আইন বিষয়ক সহ  সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তুহিন। 
    ঝালকাঠি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এডভোকেট মুশফিকুর রহমান  বাবু তালুকদার, সহ সাধারন সম্পাদক আরিফুর রহমাম। 

    উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ তহিদুল আলম মান্না  নেতৃত্বে র‍্যালি উপস্থিত ছিলেন উপজেলা  স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব  মোঃ সাইদুল কবির রানা.।

    পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সুমন সদস্য সচিব সোহেল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 

    এ সময় নলছিটি উপজেলাযর বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মী  মিছিল নিয়ে রেলিতে অংশ নেয় ।

  • ময়মনসিংহ সদরে লটারির মাধ্যমে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১১ ইউনিয়নে ডিলার নি-য়োগ সম্পন্ন

    ময়মনসিংহ সদরে লটারির মাধ্যমে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১১ ইউনিয়নে ডিলার নি-য়োগ সম্পন্ন

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকারের ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় স্বল্পমূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহের লক্ষ্যে কোনো ধরনের তদবির বা ঘুষ-বাণিজ্য ছাড়াই উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে ডিলার নিয়োগ দিয়েছে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা প্রশাসন।

    বুধবার (২০আগস্ট ) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ ব্রহ্মপুত্র হলরুমে এই উন্মুক্ত লটারি হয়।এর আগে মঙ্গলবার (১৯আগস্ট) উপজেলার তিন ইউনিয়ন ও আজ বুধবার বাকী আট ইউনিয়নে লটারি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।ডিলারশিপপ্রত্যাশীদের উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি আরিফুল ইসলাম প্রিন্স।

    জানা গেছে, এবার উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৫৫টি বিক্রয়কেন্দ্রের জন্য ডিলারশিপ পেতে মোট ২৪১ জন প্রার্থীরা আবেদন করেছিলেন। তবে আবেদনকারীদের পক্ষে বিভিন্ন দলের নেতাদের তদবিরের কারণে জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক লটারির মাধ্যমে ডিলার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন ইউএনও। পরে তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে মোট ৫৫ জন ডিলার চূড়ান্ত করা হয়েছে। ইউএনওর এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে।

    ডিলারশিপপ্রত্যাশীরা বলেন, উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায় যেকোনো ধরনের সরকারি ডিলার নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হলেই তদবির করে থাকেন ক্ষমতাসীনরা। আবার অনেক সময় লেনদেনও হয়। তবে এবার যেভাবে ডিলার নিয়োগ দিয়েছে, তাতে কোনো বিতর্ক নেই।

    ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, ‘অনেক সময় ডিলার নিয়োগ নিয়ে নানা ধরনের কথা ওঠে। তাই ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে উন্মুক্ত লটারির আয়োজন করা হয়েছে। আশা করি, নির্বাচিত ডিলাররা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির সুফল সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দেবেন।’

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দা তামান্না হোরায়রা,উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মাকসুদা খাতুন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও ভাবখালী ইউনিয়নের প্রশাসক আসমা উল হুসনা ফাতেমা জান্নাতুল ফেরদৌস,
    পরিসংখ্যান অফিসার মেহেদী হাসান, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা হাবিবুুল্লাহ মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সার, কোতোয়ালী বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক হেলাল আহমেদ,বিএনপি নেতা ও বোরর চর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতাহারুল ইসলাম বুলবুল,সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, বিভিন্ন ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক গণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মীরা।

    উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল ইসলামের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত লটারি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

    উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল ইসলাম জানান-
    ১১টি ইউনিয়নের জন্য মোট ২৪১টি আবেদন জমা পড়ে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ১০৯টি আবেদন অযোগ্য বিধায় বাতিল করা হয় এবং ১৩২টি আবেদন চূড়ান্ত বাছাইয়ে যোগ্য উত্তীর্ণ হয়। এতে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ৫৫জন আবেদনকারীকে উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ডিলার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার ১৯ আগস্ট লটারি কার্যক্রম শুরু হলে সময় স্বল্পতার কারণে উদ্বোধনী দিনে ৩ ইউনিয়নে লটারী সম্পন্ন করে বাকী ৮ ইউনিয়নের লটারী কার্যক্রম আজ (বুধবার) সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম। তিনি আরো জানান-
    ডিলার নিয়োগের প্রক্রিয়াকে যেন কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারেন সেলক্ষ্যে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক প্রকাশ্যে এই লটারী পদ্ধতিতে ডিলার নিয়োগের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে লটারি কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

    ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়ার শেষে ১০ নং দাপুনিয়া ইউনিয়নের এক ডিলার বলেন উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে সুযোগ পাওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত। উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই যে তারা স্বচ্ছতার সাথে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম প্রিন্স আরো বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সরকার ঘোষিত একটি কল্যাণমূলক উদ্যোগ। এখানে কোন ধরনের অনিয়ম বা পক্ষপাতের সুযোগ নেই। লটারির মাধ্যমে আজকের নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় সবাই সমান সুযোগ পেয়েছেন।”

  • বীরগঞ্জে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পা-লিত হয়েছে

    বীরগঞ্জে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পা-লিত হয়েছে

    দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বীরগঞ্জে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী রেলী ও পথসভার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।

    বীরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে ২০ আগস্ট বুধবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‍্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুরাতন শহীদ মিনার চত্বরে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

    উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ আশরাফুউদ্দৌলা খান বাবুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সদস্য দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু।

    সদস্য সচিব কামরুল হাসানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আমিরুল বাহার, বিএনপি নেতা সুভাষ দাস, উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত জুলিয়াস জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম তাজু, উপজেলা যুবদল সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ চৌধুরী, জেলা কৃষক দল সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লাইসুর রহমান লিপু প্রমুখ।

    এ সময় বীরগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপি সহ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • সাংবাদিকতায় সত্য প্রকাশে ঝুঁ-কি থাকবেই

    সাংবাদিকতায় সত্য প্রকাশে ঝুঁ-কি থাকবেই

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির

    সাংবাদিকতার মূল আত্মা হলো সত্য। একটি সমাজ, একটি রাষ্ট্র, কিংবা একটি জাতির বিবেক হিসেবে সাংবাদিকের দায়িত্ব থাকে সত্যকে খুঁজে বের করা, প্রকাশ করা এবং মানুষকে সচেতন করা। কিন্তু এ পথ কখনোই সহজ নয়। বরং সত্য প্রকাশের এই সাহসিক অভিযানে একজন সাংবাদিককে বহু ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হয়—কখনো রাজনৈতিক চাপে, কখনো কর্পোরেট প্রভাবে, কখনো আবার জীবননাশের হুমকিতে।

    সত্য প্রকাশের পথে সাংবাদিকের মুখোমুখি ঝুঁকিগুলো কী?

    ১. রাজনৈতিক চাপ ও হুমকি

    রাজনীতির আঙিনায় সত্য বলার মানে অনেক সময়ই ক্ষমতাবানদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। অনেক সাংবাদিককে শুধুমাত্র একটি রিপোর্টের জন্য হয়রানির শিকার হতে হয়েছে, গ্রেপ্তার হতে হয়েছে, এমনকি প্রাণ হারাতেও হয়েছে। কোনো দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন বা স্বৈরাচারী আচরণের খবর প্রকাশ করলেই ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ তকমা সেঁটে দেওয়া হয়।

    ২. আর্থিক ও কর্পোরেট প্রভাব

    মিডিয়া অনেক জায়গায় কর্পোরেট স্বার্থে পরিচালিত হয়। স্পন্সরশিপ বা বিজ্ঞাপন হারানোর ভয়ে অনেক সত্যিই চাপা পড়ে যায়। সাংবাদিক যদি কর্পোরেট দুর্নীতি বা অন্যায় কার্যকলাপ প্রকাশ করতে চায়, তখন সেই সাংবাদিকের চাকরি ঝুঁকির মুখে পড়ে যায়, এমনকি চুপ থাকতে ‘অফার’ও দেওয়া হয়।

    ৩. সামাজিক ও মানসিক চাপ

    সাংবাদিকদের অনেক সময় পরিবার, সমাজ বা নিজেদের নৈতিক সংকটের মধ্যেও পড়তে হয়। যদি তাদের প্রকাশিত কোনো সংবাদ কারও ক্ষতি করে, এমনকি সেটা সত্য হলেও, তখন সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন, কারণ সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো মানে প্রায়শই একা হয়ে যাওয়া।

    ৪. ডিজিটাল নজরদারি ও সাইবার হুমকি

    বর্তমানে সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি চলছে ডিজিটাল মাধ্যমেও। তাদের মেইল, ফোন, সোশ্যাল মিডিয়া মনিটর করা হয়। আবার অনেক সাংবাদিক অনলাইনে ট্রল, হয়রানি বা হ্যাকিংয়ের শিকার হন। বিশেষ করে যারা মানবাধিকার, পরিবেশ, দুর্নীতি ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে কাজ করেন, তারা অনেক বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।

    তবে কেন এখনও সাংবাদিকেরা সত্য বলেন?

    কারণ, সাংবাদিকতা শুধু পেশা নয়—এটা দায়িত্ব, এটা নৈতিকতা। সাংবাদিকদের কলম বা ক্যামেরা অনেক সময়ই নিপীড়িত মানুষের একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে। সত্য প্রকাশ না করলে সমাজে অন্যায় ও দুর্নীতি বাড়তেই থাকবে। ইতিহাসের প্রতিটি বড় পরিবর্তনের পেছনে সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকাই এক বড় চালিকাশক্তি ছিল।

    করণীয় কী?

    আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা: সাংবাদিকদের জন্য স্বাধীন ও সুরক্ষিত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

    সংবেদনশীলতা ও কৌশলের ব্যবহার: সত্য প্রকাশে দায়িত্বশীলতা ও তথ্য যাচাই অপরিহার্য।

    প্রশিক্ষণ ও সমর্থন: নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও নৈতিক সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন।

    আন্তর্জাতিক সহায়তা: আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর উচিত সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আরও সক্রিয় হওয়া।

    উপসংহার

    সাংবাদিকতায় সত্য প্রকাশের ঝুঁকি বরাবরই ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু এই ঝুঁকি নিয়েই তো সমাজ জেগে ওঠে, পরিবর্তন ঘটে। যারা সত্যকে ভয় পায়, তারা চায় না সাংবাদিকতা বাঁচুক। আর যারা সত্যে বিশ্বাস করে, তারা জানে—সত্যই শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে।

    সাংবাদিকতা যদি নিঃশ্বাস হয়, তাহলে সত্যই তার হৃদস্পন্দন।

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির ।।