Author: desk

  • আদালতের রায় অ-মান্য করে জমির মালিক কে বিএনপি নেতার হু-মকি

    আদালতের রায় অ-মান্য করে জমির মালিক কে বিএনপি নেতার হু-মকি

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধি :

    ৭০ বছর ধরে বেদখলে থাকা পৈত্রিক জমি আদালতের নির্দেশে উদ্ধার করেও শান্তি পাচ্ছেন না রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার এক দরিদ্র বৃদ্ধ। জমি ফিরে পাওয়ার দিনই হামলার শিকার হন তিনি। এরপর থেকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকিতে কাটছে তাঁর ও পরিবারের প্রতিটি দিন।
    তারাগঞ্জ উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের খোর্দ বেলাইচন্ডী সর্দারপাড়া গ্রামের ৬৮ বছর বয়সী মো. আব্দুল জব্বার জানান, তাঁর দাদা জমির উদ্দিনের রেখে যাওয়া ৬৮ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছিলেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি, যাদের মধ্যে বিএনপি নেতা মশিউর রহমান ওরফে কালুয়া অন্যতম।
    জমি উদ্ধারে পরিবারটি একাধিক প্রজন্ম ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে আসছিল। ২০১৫ সালে আব্দুল জব্বার মামলার বাদী হন। মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেন এবং জমি ফেরতের নির্দেশ দেন। এরপর গত ১৩ জুলাই রংপুর জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, সেনাবাহিনী, তারাগঞ্জ থানা পুলিশ ও আদালতের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জমি দখলমুক্ত করে তাঁর হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
    তবে জমি বুঝে পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুর্বৃত্তরা তাঁর ঘরবাড়িতে হামলা চালায়। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই হামলার হুমকি পাচ্ছেন তিনি ও তাঁর পরিবার।
    অভিযোগ উঠেছে, বিএনপি নেতা মশিউর রহমান (কালুয়া) ও তার অনুসারীরা আব্দুল জব্বারকে হুমকি দিয়ে বলছে, ‘তুই জমি নিছস, এবার তোকে শেষ করুম’। এমন হুমকিতে আতঙ্কিত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তারাগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জব্বারের মেয়ে জেসমিন আক্তার।
    জেসমিন বলেন, “প্রতিপক্ষরা আমাদের রাস্তাঘাটে আটকিয়ে ভয় দেখায়। পুলিশের সামনেই মারতে আসে। কোথায় যাবো, কী করবো— কিছু বুঝে উঠতে পারছি না।”
    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দখলদাররা দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল জব্বার ও তাঁর পরিবারের উপর নানা অত্যাচার চালিয়ে এসেছে। থাকার মতো জায়গা না থাকায় পরিবারটি খড়ের ছাউনিতে ১০ হাত একটি ঘরে গাদাগাদি করে থাকতো। গোসল করতো সেচ ক্যানেলে, প্রাকৃতিক কাজ সারতো ঝোপে। অন্যের নলকূপের পানি ব্যবহার করে চলতো তাদের জীবন।
    আব্দুল জব্বার বলেন, “আদালতের রায় অনুযায়ী জমি পেয়েছি। প্রশাসনের উপস্থিতিতে দখলও নিয়েছি। এখন তারা আবার জমিতে যেতে দিচ্ছে না। আমার পরিবারের জীবন হুমকির মুখে। সরকার ও প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।”
    তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
    এ ঘটনায় রাজু, জামাল উদ্দিন ওরফে টোল্লা, দুলু, খোকন সরদার, রেজাউল হোসেন, রফিক আলী, চন্টু, কালা মিয়া, জিকরুল ইসলাম, জিয়ারুল ইসলাম, আরজিনা বেগম, দুলালী বেগম, রফিকা বেগম, মশিউর রহমান ওরফে কালুয়া, লাল বাহাদুর, মাসুদ ও আফেজা বেগমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
    মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের পরও যদি ভুক্তভোগীরা জমিতে নিরাপদে থাকতে না পারেন, তবে তা রাষ্ট্রের আইনি কাঠামোর উপর সরাসরি আঘাত। দ্রুত নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে।

  • রেল কর্মকর্তার পিতার নামে খা-স জলাশয় ব-রাদ্দ দেয়ার অ-ভিযোগ

    রেল কর্মকর্তার পিতার নামে খা-স জলাশয় ব-রাদ্দ দেয়ার অ-ভিযোগ

    এম এ সালাম,
    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
    বাংলাদেশ সরকারের রেল আইনের বিধি-নিষেধ ভঙ্গ করে বিনা নোটিশে ৫৫ বছর ধরে বন্দোবস্ত দেওয়া খাস জলাশয় প্রতারণার মাধ্যমে রেল কর্মকর্তার পিতার নামে নতুন করে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেল সংস্থাপন কর্মকর্তা রাশেদ ইবনে আকবরের বিরুদ্ধে। ঈশ্বরদী টু সিরাজগঞ্জ রেল লাইনের পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার রেল স্টেশনের পাশ্ববর্তী রেলসেতু সংলগ্ন সি এস-২৫ (টিপি নং-১৫৪/৫ থেকে ১৫৪/৬) দাগে ১ দশমিক ৫২ শতাংশ জলাশয় মৎস্য আহরণের জন্য ১৯৭০ সাল থেকে ৫৫ বছর ধরে রেল আইনের বিধি অনুযায়ী খাজনা পরিশোধ করে ভোগ দখল করে আসছে পাশ্ববর্তী জমির মালিক মির্জা মেনহাজ উদ্দিন ও তার পরবর্তী বংশধর মির্জা কে. ই তুহিন গং। চলতি বছরে খাজনা পরিশোধ করতে গিয়ে তুহিন দেখতে পান তাদের ভোগ-দখলী জলাশয়টি কোন রকম নোটিশ ব্যতীত জনৈক আলী আকবর নামের এক ব্যক্তিকে নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিধি বর্হিভুতভাবে নতুন করে এই বন্দোবস্ত দেওয়ায় ভোগ দখলকারী মির্জা কে.ই তুহিন ব্যবস্থা চেয়ে গত বুধবার বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মহাপরিচালক বরাবর সংস্থাপন কর্মকর্তা রাশেদ ইবনে আকবর (পশ্চিম-রাজশাহী) অঞ্চল এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
    অভিযোগে তুহিন বলেন, ১৯৭০ সাল থেকে খাজনা পরিশোধ পূর্বক ৫৫ বছর ধরে আমার পিতামোহ ও তার মৃত্যুর পর আমার পিতা আব্দুল লায়েক মির্জা তার অবর্তমানে আমি উপরোল্লেখিত জলাশয়টি ভোগ দখল করে আসছি। গত ২৮ জুলাই- ২০২৫ ইং তারিখে বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল রাজশাহীতে কর্মরত সুচতুর অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী এস. এম রাশেদ ইবনে আকবর সংস্থাপন কর্মকর্তা তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে স্বজনপ্রীতি করে তার পিতা আলী আকবর (বাসা ১০/৫, মোল্লাপাড়া রোড, খালিশপুর, খুলনার নামে অবৈধভাবে খাস আদায় করেছেন। এটা রেলওয়ে আইনের নিয়ম ও বিধিবর্হিভুত। কতৃপক্ষের নিকট উক্ত বিষয় তদন্তপূর্বক সত্যতা যাচাই ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত অভিযোগে জোড় দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মির্জা কে. ই তুহিন ও অপর সমবায় সদস্যরা।
    এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পশ্চিমাঞ্চল রাজশাহী রেওয়ের সংস্থাপন কর্মকর্তা এস. এম রাশেদ ইবনে আকবর এর মুঠোফোনে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
    এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহা- পরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন মুঠোফোনে জানান, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত পূর্বক প্রয়োনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • চট্টগ্রামে অ-পরাধ অ-নুসন্ধান পত্রিকার ৭ম বর্ষপূর্তি: সাংবাদিকদের নি-রাপত্তা নি-শ্চিতের দাবি

    চট্টগ্রামে অ-পরাধ অ-নুসন্ধান পত্রিকার ৭ম বর্ষপূর্তি: সাংবাদিকদের নি-রাপত্তা নি-শ্চিতের দাবি

    শহিদুল ইসলাম,
    বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    আয়োজিত দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকার ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন— সাংবাদিকতার স্বাধীনতা, সুষ্ঠু পরিবেশ, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ হচ্ছে সাংবাদিকদের মৌলিক ও পেশাগত অধিকার। সাংবাদিকরা জাতির দর্পণ; গণমাধ্যমের উপর আঘাত মানে রাষ্ট্রের উপর আঘাত।

    নগরীর সিইপিজেড এলাকার গ্র্যান্ড পতেঙ্গা রেস্তোরা-এ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক মোঃ হায়দার আলী এবং সঞ্চালনা করেন দৈনিক আমার সময় পত্রিকার চট্টগ্রাম প্রতিনিধি সাংবাদিক জাকারিয়া হোসেন সাগর।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সড়ক পরিবহন শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বিএনপি চট্টগ্রাম মহানগরীর ৩৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি মোঃ আজম উদ্দিন।

    প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন—বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাংবাদিক মো. খলিলুর রহমান।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের চট্টগ্রাম মহানগরের সহ-সভানেত্রী ও বন্দর থানা সভানেত্রী শাহিদা খানম মালা,,চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স
    অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সোহাগ আরেফিন

    বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা অসিত গাইন,দক্ষিণ অঞ্চলের সভাপতি ফকির মোহাম্মদ মিরাজ আলী শেখ,বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব কে. এম. রুবেল,বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাবের ভাইস-চেয়ারম্যান সাংবাদিক ইব্রাহিম খলিল

    অন্যান্য উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ—দৈনিক কালের কণ্ঠ-এর সিনিয়র সাংবাদিক ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটির যুগ্ম আহ্বায়ক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু, দৈনিক আজকের মানব সময়-এর সম্পাদক ও প্রকাশক এম. মোসলেহ উদ্দিন বাহার, সাংবাদিক বাবুল হোসেন বাবলা, আমিনুল ইসলাম, দৈনিক ঘোষণা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোঃ শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক মোঃ রুবেল, আবু হানিফ, বিশিষ্ট সমাজসেবক মোহাম্মদ সেলিম খান, বিদ্যাঙ্গন টিভির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. সাজ্জাদুল করিম খান, অঙ্কুর শিশু কিশোর সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আনিসুল হক রিপন, সাংবাদিক মোহাম্মদ মনির তালুকদার, মোঃ নুর উদ্দিন, আবুল খায়ের, মোঃ মোশারফ হোসেন, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

    সাংবাদিকতার উন্নয়ন ও গণতন্ত্র রক্ষায় স্বাধীনতা, সুষ্ঠু পরিবেশ, নিরাপত্তা ও নিয়মিত প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। বক্তারা আরও বলেন— সাংবাদিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্র ও সমাজের যৌথ দায়িত্ব।

  • ‎ঝালকাঠি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের উদ্যোগ কালেক্টরেট স্কুলে শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রু-প নির্ণয়

    ‎ঝালকাঠি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের উদ্যোগ কালেক্টরেট স্কুলে শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রু-প নির্ণয়


    ‎ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    ‎ঝালকাঠির কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করেছে জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট। রোববার (২৪ আগস্ট) সকালে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাকিলা রহমান।

    ‎দুপুরে এই কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ঝালকাঠি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অন্যতম সদস্য এডভোকেট মো. আককাস সিকদার। বিদ্যালয়ের আয়োজনে এই কার্যক্রমের সার্বিক সহযোগিতা করে ঝালকাঠি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট।

    ‎এতে বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে দশম শ্রেণির প্রায় ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়। বিদ্যালয়ের ।

    ‎রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের যুব প্রধান নাইম খান,  সহকারী যুব প্রধান আহমেদ রাজু, স্বাস্থ্যসেবা সমন্বয়ক হ্যাপি আক্তার ও আজমানুর রহমান জয়সহ মোট ১২ জন স্বেচ্ছাসেবক এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে।

    ‎ঝালকাঠি ইউনিটের সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু বলেন, শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ জানা অত্যন্ত জরুরি। দুর্ঘটনা কিংবা যেকোনো জরুরি মুহূর্তে দ্রুত রক্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে এ তথ্য অমূল্য ভূমিকা রাখে। এজন্যই আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি জানান, পর্যায়ক্রমে ঝালকাঠি সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজসহ জেলার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এ কর্মসূচি চালানো হবে।

  • বাবুগঞ্জের জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের আ-ঞ্চলিক সড়ক,পাকা করার দা-বিতে মা-নববন্ধন

    বাবুগঞ্জের জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের আ-ঞ্চলিক সড়ক,পাকা করার দা-বিতে মা-নববন্ধন

    কে এম সোহেব জুয়েল ঃ বাবুগঞ্জে ১ নং বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের বীরশ্রেষ্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে দক্ষিন দিকে মরহুম নাদের হাওালাদারের বাড়ির সম্মুখ হয়ে দক্ষিন চরআলগী খেয়াঘাট ও চরআলগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে চরআলগী উচু ব্রীজ পর্যন্ত কপাকা করনের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নে মানববন্ধন হয়েছে।

    রোববার বিকালে উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের চরআলগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখে কাচা রাস্তায় এ মানববন্ধন করা হয়ছে।

    মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি,সাবেক আহবায়ক সদস্য ও ১ নং বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ জসিম উদ্দীন,মোঃ দেলোয়ার হোসেন সাবেক বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক ও সাবেক ১নং জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক, মোঃ হাবিবুর রহমান রিপন, থানা উপজেলা বিএনপি আহবায়ক সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক, মোঃ শাখয়াত খান জেলা যুব দলের সহ- সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক, মোঃ ফারুক হোসেন মোল্লা সাবেক জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, মোঃ আমিনুল মোল্লা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক, তপন মন্ডল জেলা ছাত্র দলের সহ- সাধারণ সম্পাদক, মোঃ নাজমুল হোসেন নওশাদ জেলা ছাত্র দলের সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক, নাবিদ হাসান শান্ত সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন, মোঃ আবুবকর সিদ্দিক জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্য সচিব মোঃ রাসেল হাওলাদার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক জেলা জিয়া মঞ্চের দপ্তর সম্পাদক, এছারাও উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদল, ছাত্রদল, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল,চর আলগীর মসজিদ ইমাম, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী সহ ভুক্তভোগী স্হানীয় শতাধিক জনগন মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন।

    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখ( নাদের হাওলাদার) বাড়ি সম্মুখ থেকে দক্ষিন চর আলগি খেয়াঘাট হয়ে পশ্চিম চর আলগী উচু ব্রিজ পর্যন্ত ৩:কিলোমিটার সড়ক কাঁচা রাস্তা থাকায় জনসাধারণ দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। স্বাধীনতার পর ও আওয়ামী লীগের ১৫ বছর এ আঞ্চলিক সড়ক পাকা সড়কের ব্যবস্থা করা হয় নাই। ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটি পাকা না করার কারণে কাঁচা রাস্তা দিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনাসহ যাত্রীদের প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।

    প্রতিদিন বাবুগঞ্জ সদর, বাটাজোর থেকে ঢাকা-বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পাঁচ শতাধিক লোক এই সড়ক দিয়া চলাচল করে।
    এটি পাকা করনের দাবি জানান তারা। তা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

    মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

    ।উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য হাবিবুর রহমান, আগরপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক সিনিয়র যুগ্ন আহবায়োক জসীমউদ্দীন, যুবদলের সদস্য ফারুক মোল্লা আমিনুল মোল্লা, যুবদলের সদস্য ফিরোজ আমির প্রমুখ।

  • মোরেলগঞ্জে বাগেরহাট-৪ আসন বা-তিলের প্র-তিবাদে অব-রোধ পালিত

    মোরেলগঞ্জে বাগেরহাট-৪ আসন বা-তিলের প্র-তিবাদে অব-রোধ পালিত

    এস. এম. সাইফুল ইসলাম কবির .বিশেষ প্রতিনিধি:
    বাগেরহাট-৪ সংসদীয় আসন বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং আসনটি পূর্ণ বহালের দাবিতে মোরেলগঞ্জে আজ রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির উদ্যোগে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

    অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেন এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। তারা অভিযোগ করেন, বাগেরহাট-৪ আসন বাতিলের সিদ্ধান্ত জনবিচ্ছিন্ন ও অগণতান্ত্রিক। আসনটি বহাল না রাখা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

    আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বাগেরহাট-৪ আসনের গণমানুষের নেতা অধ্যক্ষ আব্দুল আলিম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল হক বাবুল, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহাদাত হোসেন, নায়েবে আমির মাস্টার মনিরুজ্জামান, পৌর বিএনপির সভাপতি শিকদার ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, জামায়াতের পৌর আমির মাস্টার রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আল আমিন হোসাইন, সাবেক পৌর বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আল আজাদ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আবু সালেহ এবং বারইখালী জামায়াতের আমির মুহিবুল্লাহ রফিক প্রমুখ।

    সমাবেশে বক্তারা বলেন, “বাগেরহাট-৪ আসন আমাদের অস্তিত্বের প্রতীক। এটিকে মুছে ফেলা মানে আমাদের কণ্ঠরোধ করা। আমরা তা মেনে নেব না।

  • ঠাকুরগাঁওয়ের ৪ লক্ষ টাকার অ-বৈধ মাছ ধরা রিং জাল জ-ব্দ – আ-গুনে পু-ড়িয়ে ধ্বং-স

    ঠাকুরগাঁওয়ের ৪ লক্ষ টাকার অ-বৈধ মাছ ধরা রিং জাল জ-ব্দ – আ-গুনে পু-ড়িয়ে ধ্বং-স

    গীতি গমন চন্দ্র রায় গীতি।।
    স্টাফ রিপোর্টার।।
    ঠাকুরগাঁওয়ে সদর উপজেলার সুক নদীর প্রায় ৫০ একর জমির উপর নির্মিত আখানগর বুড়ির বাঁধ মৎস্য অভয়াশ্রম।আর এই বুড়ি বাঁধের মৎস্য অভয়াশ্রমে নিষিদ্ধ জাল পাতানো হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযান ৭০ টি অবৈধ চায়না রিং জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ করেছে জেলা মৎস্য বিভাগ ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রশাসন।জানা যায়, ২১-শে আগস্ট রোজ শনিবার ভোর ৫ থেকে দুপুর ১ পর্যন্ত প্রায় ৮ ঘন্টা বুড়ি বাঁধ মৎস্য অভয়াশ্রমের বিভিন্ন এলাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলামের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    সে লঅভিযানে ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরাফাত উদ্দিন আহম্মেদ, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার, সদর থানার অফিসার োইনচার্জ সারোয়ার আলম খান প্রমুখ।তব জানা গেছে, সুক নদীর উপর অবস্থিত বুড়ির বাঁধ মৎস্য অভয়াশ্রমে আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য অবৈধ রিং জাল ও কারেন্ট জাল পাতানো হয়েছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রায় আট ঘন্টা অভিযান চালিয়ে ৭০ টি অবৈধ চায়না রিং জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।জব্দকৃত অবৈধ রিং জালগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা।পরবর্তী জব্দকৃত জাল গুলো মৎস্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী স্থানীয়দের উপস্থিতিতেই আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর থেকেই বুড়িরবাঁধ এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় নদীতে এবং নদীর আশে পাশে পাতানো মাছ ধরার নিষিদ্ধ ৭০টি রিং জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে জাল মালিকেরা আগেই পালিয়ে যায়। পরে জব্দকৃত জালগুলো মৎস্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পুলিশ, মেম্বার ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থলেই পুড়িয়ে ফেলা হয়।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরাফাত উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, রিং জাল ও কারেন্ট জাল সব ধরনের মাছের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশেষ করে দেশীয় ছোট মাছ ও মাছের পোনা সহজেই আটকা পড়ে মারা যায়। এজন্য এসব জাল ব্যবহার বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • ফুলবাড়িয়া থানার যিনি সংসদ সদস্য হবেন তিনি রাষ্ট্র নায়ক-মুফতি আব্দুল কাদির

    ফুলবাড়িয়া থানার যিনি সংসদ সদস্য হবেন তিনি রাষ্ট্র নায়ক-মুফতি আব্দুল কাদির

    মো.সেলিম মিয়া ফুলবাড়িয়া প্রতিনিধি : ফুলবাড়িয়া থানার যিনি সংসদ সদস্য হবেন তিনি ফুলবাড়িয়া থানার রাষ্ট্র নায়ক। উনি ইনসাফ ভিত্তিক ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও থানা গঠন করবেন। শরীয়া ভিত্তিক আইন প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করবেন, যতটা সম্ভব!
    ভোট হচ্ছে আমানত, ভোট হচ্ছে স্বাক্ষী নামাজী ব্যক্তি আসে নাই, ভালো মানুষ আসে নাই বিধায় আমরা ঐখানেই (ভোট) দিয়েছিলাম তখন আমাদের কোন জবাবও থাকবে না। বিশেষ করে ঐ জবাব থেকে বিচারকের কাঠগড়া থেকে বাঁচার জন্য এই বয়সে আপনাদের সম্মুখে আসছি। ইসলাম ভিত্তিক রাজনীতিতে কোন পরাজয় নেই, ব্যর্থতা নেই, সফল। আমরা যদি জয়যুক্ত নাও হতে পারি আমরা সফল। ইসলাম ভিত্তিক রাজনীতিতে কোন পরাজয় নেই, ব্যর্থতা নেই- সহজ। আমরা যদি জয়যুক্ত নাও হতে পারি আমরা সফল। কেন? ধর্মের কাজে কোন ব্যর্থতা নেই। ব্যর্থতা যত আছে সব দুনিয়াবী কাজের ভেতরে।
    আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০, ময়মনসিংহ -৬ ফুলবাড়িয়া আসনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মুফতি আব্দুল কাদির সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
    উপজেলা সদরের ফুড প্লেজার পার্টি সেন্টারে শনিবার সকাল ১১ টায় মত বিনিময় সভার আয়োজন করে সংগঠনটি।
    সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এমদাদুল্লাহ, আলহাজ্ব খাইরুল ইসলাম নূরী, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ কামরুল ইসলাম নূরী, হাফেজ মো: ওসামা প্রমুখ।
    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শাখার সহ সভাপতি হাফেজ মো: আব্দুল লতিফ, পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: শাহজাহান নূরী, উপজেলা বাইতুল মাল সম্পাদক মুফতি মিনহাজ উদ্দিন প্রমুখ।

  • গাজিপুরের সফিপুরে আনসার প্রশিক্ষণের স-মাপনী অ-নুষ্ঠিত

    গাজিপুরের সফিপুরে আনসার প্রশিক্ষণের স-মাপনী অ-নুষ্ঠিত

    এ কে খান ও গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা।।

    বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাধারণ আনসার সতেজকরণ প্রশিক্ষণের পঞ্চম ধাপের সমাপনী অনুষ্ঠান ২৩ আগষ্ট গাজীপুরের সফিপুরে অবস্থিত আনসার-ভিডিপি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে নানা দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন। তিনি তাঁদের শারীরিক সক্ষমতা ও পেশাগত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে দায়িত্ব পালনে আরও সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাহিনীর পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশব্যাপী ১ লাখ ৮০ হাজার নতুন সদস্যকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হবে। মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ আরও বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৬ লাখের বেশি সদস্য মোতায়েন করা হবে।

    এ সময় মহাপরিচালক প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের হাতে সনদপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ, সদর দপ্তরের উপমহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ) মোঃ রফিকুল ইসলাম বিভিএম, পিভিএমএস, বিভিএমএস এবং আনসার-ভিডিপি একাডেমির উপমহাপরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আবছারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কর্মচারী, ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

    সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে মহাপরিচালক একাডেমির নির্মাণাধীন বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।

  • তানোরে বিএনপির স্মর-ণকালের স-র্ববৃহৎ জ-নসভা

    তানোরে বিএনপির স্মর-ণকালের স-র্ববৃহৎ জ-নসভা

    আলিফ হোসেন, তানোরঃ
    রাজশাহীর তানোরে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা ও নির্বাচনী জনসভা আয়োজন করা হয়েছে।
    জানা গেছে, ২৩ আগস্ট শনিবার বিকেলে গোল্লাপাড়া বাজার ফুটবল মাঠে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মালেক মন্ডলের সঞ্চালনায় আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সামরিক সচিব ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন। অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও চাঁন্দুড়িয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী মাস্টার, বাধাইড় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান হেনা,শরিফ উদ্দিন মুন্সী, কামারগাঁ ইউপি বিএনপির সম্পাদক সাইদুর রহমান ডায়মন্ড,ডাঃ মিজানুর রহমান, ফিরোজ কবির,প্রভাষক শফিকুল ইসলাম, গোলাম মোর্তুজা,আব্দুর রশিদ,রায়হানুল ইসলাম রায়হান, রিমন রহমান, আনারুল মাস্টার ও মোতালেব হোসেন প্রমুখ।এছাড়াও গোদাগাড়ী উপজেলা, পৌরসভা, কাকনহাট পৌরসভা,তানোর উপজেলা, পৌরসভা, মুন্ডুমালা পৌরসভা এবং দুই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের (ইউপি) বিভিন্ন স্তরের সাংগঠনিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
    এদিন বিএনপির সমাবেশ ঘিরে নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও প্রাণচাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। এদিন বিভিন্ন কৌশলে বাধা ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করেই দুপুরের পর পরই জনসভা স্থল নেতাকর্মীদের পদচারনায় কানায় কানায় পুর্ন হয়ে উঠে। এদিকে সমাবেশ স্থানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় সমাবেশ মঞ্চের সামনে যে নেতাকর্মী ছিল তার থেকে বেশী নেতাকর্মী ছড়িয়ে ছিটিয়ে সমাবেশের আশপাশে অবস্থান করছিলেন। তানোরে প্রায় দু’দশক পর বিএনপির এতো বড় জনসভা হয়েছে।
    এদিকে বিএনপির স্মরণকালের সর্ববৃহৎ এই জনসভার মধ্যদিয়ে একটি দুষ্টু চক্র গোষ্ঠীর আধিপত্যর অবসান হয়েছে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে যারা কখানোই প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক পরিবারের নেতৃত্ব মেনে নিতে পারেন না। তারা ব্যারিস্টার আমিনুল হক, ড, এম এনামুল হকের বিরোধিতা করেছে। যাদের সংখ্যা হাতে গোনা ১০ থেকে ১৫ জন। এদের চাওয়া বিএনপি সরকার গঠন করুক, তবে ব্যারিস্টার পরিবার যেনো নেতৃত্ব না দেয় অন্যকেউ এমপি হোক। তাহলে তারা রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন করে টাকার কুমির হতে পারবে। এতোদিন যারা বলতেন ওমুক ভাই,তমুক ভাই ছাড়া তানোরে বিএনপি অচল এবং বিএনপির বিজয় অসম্ভব ও শরিফ উদ্দিনের পক্ষে রাজনীতি করা দুরুহ তাদের স্বপ্ন উবে গেছে। এদিনের জনসভায় প্রমাণ হয়েছে বিএনপি দেশের সর্ববৃহৎ ও সবচাইতে বেশি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। ওমুক ভাই,তমুক ভাই ছাড়া বিএনপি অচল নয় বরং বিএনপি ছাড়া তারাই অচল ও অস্তিত্বহীন বলে মনে করছেন উপস্থিত নেতাকর্মীরা। আয়োজক কমিটির দাবি সমাবেশে তানোর বিএনপির মুলস্রোতের নিপীড়িত -নির্যাতিত, আদর্শিক নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের প্রাণের উচ্ছ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তানোরে জুলাই বিপ্লবের পর এটিই হচ্ছে বিএনপির স্বরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাবেশ।
    এদিকে সমাবেশ ঘিরে তানোরে দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক পর উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে দেখা দিয়েছে ব্যাপক
    প্রাণচাঞ্চল্য। নেতাকর্মীদের দাবি, এই গণসমাবেশ প্রমাণ করেছে বিএনপিার তৃণমূলে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন।অন্যদিকে কর্মসূচি সফল করায় নেতাকর্মীদের মাঝে বইছে ঐক্যর হাওয়া, রাতারাতি রাজনীতিতে এসেছে নাটকীয় পরিবর্তন। এতদিন যে সকল নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা কারণে নিজেদের রাজনীতি থেকে দুরে সরিয়ে রেখেছিল তাঁরা আবারো রাজনীতিতে সক্রীয় ও গা-ঝাড়া দিয়ে নবউদ্দ্যোমে দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে শুরু করেছেন। যে কারণে দীর্ঘদিন পর এখানে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের রাজনীতিতে ফিরে এসেছে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য। বিএনপির নেতা ও কর্মী-সমর্থকরা অতীতের সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এদিকে সমাবেশ সফল করায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার পাশাপাশি প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। এদিন প্রধান অতিথি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। এছাড়া আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ঐক্যের বার্তা দিযেছেন। তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে সাধারণ ভোটারগণ তেমন কিছু বোঝেন না, তাই যেটা সাধারণ ভোটারগণ বোঝেন না,সেটা কোনো গ্রহনযোগ্য পদ্ধতি হতে পারে না।
    এদিকে একইদিন জনসভার পুর্বে প্রধান অতিথি হক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কামারগাঁ ইউপির মাদারিপুর প্রায় শতাধিক বাকপ্রতিবন্ধীর মাঝে পোষাক,খাবার ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়াও জনসভা শেষে গোল্লাপাড়া বাজারে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ের উদ্বোধন করেছেন।#