এ কে খান ও গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা।।
বরিশাল : দেশব্যাপী চলমান ‘পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী পরিবেশ রক্ষা এবং সবুজায়নের এক বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদের দিক নির্দেশনায় এই বিশেষ বৃক্ষরোপণ অভিযান সারা দেশে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলবে। এরই অংশ হিসেবে ২৫ আগষ্ট বরিশালের কাশিপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাহিনীর বরিশাল রেঞ্জ কমান্ডার মোঃ আবদুস সামাদ পিভিএমএস, বিভিএম। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বরিশাল জেলা কমান্ড্যান্ট মোঃ নাহিদ হাসান জনি এবং কলেজের অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে বরিশালে এই কার্যক্রমের সূচনা করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেঞ্জ কমান্ডার মোঃ আবদুস সামাদ বলেন, “মহাপরিচালক মহোদয়ের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা। আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা রেঞ্জ, ব্যাটালিয়ন, প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থানীয় জনগণকে এই কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করে একে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, এই বৃক্ষরোপণ অভিযান শুধু একটি পরিবেশগত কার্যক্রম নয়, এটি একটি মহৎ সামাজিক আন্দোলন। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর, সবুজ, স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এটি একটি সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। তিনি জানান, বাহিনীর এই প্রচেষ্টা তাদের সামাজিক দায়িত্ব পালনের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। অনুষ্ঠানে বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা, কর্মচারী, টিআই, ইউনিয়ন দলনেতা, দলনেত্রী, ব্যাটালিয়ান আনসার সদস্যসহ কাশিপুর হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গণ মাধ্যম কর্মী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এই উদ্যোগ দেশের সবুজ ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
Author: desk
-

পরিবেশের ভার-সাম্য র-ক্ষায় বরিশালে আনসার ভিডিপি’র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন
-

জুলাই স্মৃ-তি ও শহী-দদের গ্রা-ফিতি মু-ছে ফেলায় সুজানগরে বিক্ষো-ভ
এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ পাবনার সুজানগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলি ও আওয়ামী লীগ এবং নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের হামলায় নিহত শহিদদের গ্রাফিতি মুছে ফেলায় আওয়ামী দুর্বৃত্ত ও তাদের দোসরদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবিতে গণমিছিল করেছে ছাত্র-জনতা।
সোমবার বেলা ১১টায় সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বের হওয়া মিছিলটি স্থানীয় বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাজার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ‘আবু সাইদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ, দিয়েছি তো রক্ত আরও দেব রক্ত, আওয়ামী লীগের গুন্ডারা রাজপথে থাকিস না, রাজপথে নামলে পিঠের চামড়া থাকবে না, আওয়ামী লীগের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও পুরিয়ে দাও, ছাত্রলীগের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, ছাত্রলীগ-যুবলীগ হুঁশিয়ার সাবধান, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, আপস না সংগ্রাম- সংগ্রাম সংগ্রাম সহ নানা ধরণের স্লোগানে দিতে থাকেন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা।গণমিছিলে সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ময়েন উদ্দন মোল্লা, সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) শরিফুল ইসলাম, সাতবাড়ীয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন আলাল, জামায়াত নেতা তবিবুর রহমান,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সোহেল রানা মানিক, স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশ নেয়। পরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সোহেল রানা মানিক, ছাত্র প্রতিনিধি আব্দুল মমিন, আশরাফুল ইসলাম, ইসমাইল হাসান আশিক, ছাত্রদল নেতা আশিকুজ্জামান খান, সঞ্জু, ছাত্র অধিকারের সাবেক সভাপতি ফারুক প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং সাতবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজের দেয়ালে অঁাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ আবু সাইদ ও শহীদ মীর মুগ্ধ মঞ্চের গ্রাফিতিসহ জুলাই স্মৃতির গ্রাফিতি মুছে ফেলার ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। প্রসঙ্গত গত ২৪ আগস্ট রবিবার রাতে ওই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে অঁাকা জুলাই স্মৃতির গ্রাফিতি মুছে কালিলেপন করা হয়। এ ঘটনায় এদিন রাতেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সোহেল রানা মানিক বাদি হয়ে পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ওজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আহমেদ ফিরোজ কবিরসহ ১১জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
সুজানগর থানার ওসি মজিবর রহমান জানান, মামলার ভিত্তিতে সিসিটিভি দেখে ঘটনায় জড়িত থাকায় তাৎক্ষণিক পুলিশ অভিযান চালিয়ে রনি এবং সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আসাদকে গ্রেফতার করে সোমবার পাবনা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অপর আসামীদেরকেও গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি। -

“আমার ছেলে জাহিদ হ-ত্যার সঠিক ত-দন্ত ও বি-চার চাই” – আ-র্তনাদ রহিমা খাতুন
সুমন খান:
ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের নয়াকান্দা গ্রামে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ড এখনো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। দিনমজুর জাহিদকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে হত্যার এক বছর পার হলেও আজও প্রধান আসামি শাওন গ্রেপ্তার হয়নি। অথচ, শাওন দেশেই অবস্থান করছে এবং নিয়মিত সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয়।
কীভাবে ঘটলো ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড? ঘটনা ঘটেছে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন সেখানে,
বর্ণনা দেন জাহিদের মা রহিমা খাতুন!২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাতে শাওন, কৈলাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সেক্রেটারি ডয়েসের ভাগিনা, ফোন দিয়ে জাহিদকে ডেকে নেয়। সে জানায়, “আমার মামার দোকানে সিমেন্ট নামাতে হবে।” জাহিদ ও তার বন্ধু নাফিজ বেপারী ওরফে জান্নাত সায় দিলে তাদের বিল্ডিংয়ের কাছে নিয়ে যায়। সেখানেই জানানো হয়, “এই বাড়িতে আগুন দিতে হবে।”
কাজের মানুষ জাহিদ ও জান্নাত সাফ জানিয়ে দেয়—“আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, এই কাজ করতে পারবো না।” এ কথার পরপরই শাওনসহ মুখোশধারী আরও কয়েকজন জাহিদের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। জান্নাত পালাতে সক্ষম হলেও জাহিদ পাশের আমবাগানে দগ্ধ অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে। পরে বড় ভাই ও জান্নাত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে। ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুর সাথে লড়াই করে মারা যায় জাহিদ।
পুলিশি তদন্তে গড়িমসি ও অসঙ্গতি,
শুরু থেকেই মামলার তদন্তে অসংখ্য প্রশ্ন উঠে আসে। দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী আসামীদের সাথে আঁতাতের। নিহত জাহিদের পরিবার দাবি করেছে—
প্রধান আসামী শাওনকে গ্রেপ্তার না করে চার্জশীট প্রহসনের মতো তৈরি করা হয়েছে।মূল হোতাদের বাদ দিয়ে মামলার দুর্বল চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে।
যেসব ব্যক্তি হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছে তাদের বাদ দিয়ে ভুয়া সাক্ষী বানানো হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছে, আওয়ামী লীগ নেতা মালেক দেওয়ানের ছেলে কায়েতের শ্বশুর বাড়িতে আগুন দেওয়ার ফাঁদ তৈরি করেছিল রতন ও এমদাদুল। তাদের “ডান হাত” শাওনের মাধ্যমে জাহিদকে ফাঁদে ফেলা হয়।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ
জাহিদের মা রহিমা খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন—
আমার ছেলে খেটে খাওয়া মানুষ ছিল। অন্যায় করতে রাজি হয়নি বলেই তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এক বছরেও আসামী ধরা হলো না। পুলিশ টাকা খেয়ে প্রভাবশালীদের বাদ দিয়ে চার্জশীট দিয়েছে। আমার ছেলে মারা গেছে, এখন আবার বড় ছেলেকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানাই— আমার জাহিদের হত্যার সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই।
হুমকি ও আতঙ্কপরিবারের দাবি, জাহিদ হত্যার পর একাধিকবার স্থানীয় প্রভাবশালী মহল থেকে ভয়ভীতি ও সমঝোতার চাপ এসেছে। এমনকি বলা হয়েছে—“এক ছেলে গেছে, যদি মীমাংসা না করো তাহলে বড় ছেলেকেও মরতে হবে।এ মাসের ১৯ তারিখে জামিনে মুক্ত হয়ে এমদাদুল ও রতন স্থানীয় কিশোর গ্যাং নিয়ে জাহিদের বাড়ির সামনে বিজয় মিছিল করে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে।
তদন্তে প্রভাবশালীদের নাম বাদ!
জাহিদের পরিবারের দাবি, মামলার চার্জশীটে যেসব নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে:মালেক দেওয়ান নাজমা বেগম,এমদাদুল দেওয়ান,রতন দেওয়ান,মোতালেব শিকদার,রুমন আলী,চয়ন রাব্বি দেওয়ান,মোসলেম উদ্দিন পায়েল
এছাড়া আরও অনেককে বাদ দিয়ে চার্জশীট দুর্বল করা হয়েছে।গ্রামবাসীর বক্তব্যগ্রামবাসী বলেন—এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে ভবিষ্যতে আরও জাহিদ এভাবে প্রাণ হারাবে। প্রভাবশালীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
অনুসন্ধানী পর্যবেক্ষণ প্রমাণ, সাক্ষ্য, ও পারিবারিক বক্তব্যে স্পষ্ট— মামলার তদন্তে চরম গাফিলতি ও প্রভাব খাটানো হয়েছে। প্রধান আসামী শাওন দেশেই থেকে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ পুলিশ তাকে ধরছে না। স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের যোগসাজশে বিচার প্রক্রিয়া ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।জাহিদের মা রহিমা খাতুনের আর্তি আজ শুধু একটি পরিবারের নয়, বরং রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি এক বড় প্রশ্ন।
তিনি ও গ্রামবাসীর দাবি একটাই—
“জাহিদ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত হোক, প্রকৃত আসামীদের ফাঁসি হোক।” -

১৪৯ জন কর্মকর্তা পেনশন না পেয়ে মা-নবেতর জীবণ যাপ-ন করছেন
রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ
মোঃ আলাউদ্দীন সরকারী বিধিমোতাবেক গত ২০২৩ ইং সালের ২৯ জুন রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা হিসাব রক্ষন অফিসার হিসেবে পূর্ণ অবসর গ্রহণ করেছেন। ৩ বছরের বেশী সময় পেরিয়েছে কিন্তু পেনশন পাননি। শুধু আলাউদ্দীন নয় দেশের ১৪৯ জন কর্মকর্তার কর্মকর্তার পেনশন না পেয়ে মানেতর জীবণ যাপন করছেন।বর্তমার সরকারের বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টাকালে আমলাতন্ত্রের জটিলতা সৃষ্টি করে সিএজি (সাবেক) নুরুল ইসলাম ও বর্তমান সিজিএ এস.এম. রেজভীর সিদ্ধান্তহীনতা, স্বেচ্ছাচারীতা, অনিয়ম এবং দায়িত্বে অবহেলার কারণে একই আর্দেশে ধারণাগত জ্যেষ্টতা প্রাপ্ত ৭৮২ জনের মধ্যে ৫৫৫ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে পেনশন ও আনুতোষিক পরিশোধ করা হয়েছে। ৭৮ জনের পদোন্নতি, পিআরএল পরিশোধ চলমান মুঞ্জরি আছে। রহস্যেজনক কারণে শুধুমাত্র ১৪৯ জনের পেনশন ও আনুতোষিক পরিশোধের কার্যক্রম প্রায় ৩ বছরের অধিক সময় পর্যন্ত বন্ধ হয়েছে। এ যেন এক চোখে লবণ অন্য চোখে তেল দেয়ার মত অবস্থা।
ভুক্তভোগি মোঃ আলাউদ্দীন এ প্রতিবেদককে জানান, ৭৮২ জন কর্মকর্তা নিকট হতে সিজিএ অফিসের সুপার আব্দুর রউফকে বিভিন্ন ভাবে জনপ্রতি প্রথম বার ৩৫ হাজার দ্বিতীয় বার ২৫ হাজার টাকা করে কয়েক কোটি কোটি টাকা উৎকোচ গ্রহন করেছেন তারপরেও বছরের পর বছর অপেক্ষা করে পেনশন পাচ্ছি না। ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করার কথা জানান তিনি।
শতাধিক পৃষ্ঠার ডকুমেন্টস, বিভিন্ন দপ্তরের আর্দেশ, কোটের রায় ধরিয়ে দিয়ে বলেন, সাংবাদিক সাহেব এর মধ্যে সব কিছু আছে আমরা অর্থাভাবে মরে যাচ্ছি, খাদ্য পাচ্ছি না, চিকিৎসা পাচ্ছিনা মৌলিক অধিকার থেকে বছরের পর বছর বঞ্চিত হচ্ছি। আমাদের জন্য কিছু একটা লিখেন।
ডকুমেন্টগুলি উল্টিয়ে পাল্টিয়ে আমাকে বুঝিয়ে দেয়ার সময় উচ্চুস্বরে কাঁদতে থাকেন। চোখের পানিতে তার রুমাল যেন ভিজে গিয়েছিল। এ করুন দৃশ্য দেখে আমিও চোখের পানি ধরে রাখতে পারি নাই।
বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেছিলেন, ‘উন্নয়ন হলো চেষ্টা এবং ভুলের একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া। ‘বিজনেস গুরু রিচার্ড ব্রানসনের মতে, ‘নিয়ম মেনে কেউ হাঁটা শিখতে পারে না বরং চেষ্টা এবং বার বার ভুল পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে হাঁটা শিখতে হয়।’
ক্রিস্টোফার কলম্বাস একটি নেভিগেশন ভুল করেছেন যা তাকে আমেরিকা আবিষ্কার করতে বাধ্য করেছে। আলেকজান্ডার ফ্লেমিং এর ভুল তাকে পেনিসিলিন আবিষ্কার করতে বাধ্য করেছে।
সর্বশেষ ১৪৯ জুনিয়র অডিটারের পেনশন না দিয়ে সাবেক সিএজি (হিসাব মহা নিয়ন্ত্রক) নুরুল ইসলাম ও বর্তমান সিজিএ এস এম রেজভী কি বার বার ভুল করছেন, না ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন? কাঁক কাঁকের মাংশ খায় না কিন্তু
হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের উচ্চু পর্যায়ের কর্তাব্যক্তিরা নীচু কর্মচারীদের মাংশ ঠিকই খাচ্ছেন।জানা গেছে, দেশের বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হিসাব মহানিয়ন্ত্রক ( সিজিএ) কার্যালয় থেকে ১৯৮৫, ১৯৮৬, ১৯৮৭ ও ১৯৯০ ইং সালে জুনিয়র অডিটর, মুদ্রাক্ষরিক পদে লোক নিয়োগ করা হয়। তাদের অনেকে অবসর গ্রহন করেছেন, কেউ চাকুরীরত আছেন, ২৫ জন মারা গেছেন, পেনশনের টাকা না পেয়ে নানা কষ্টে জীবন যাপন করছেন।
পতিত প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান করছেন বিভিন্ন সময়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন। এদিকে দেশে তার দোসরগণ ক্ষমতার দাপটে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা করে নিজেদের অধীনাস্ত কর্মচারীদের বুকে শেষ পেরেক ডুকাচ্ছেন।
গভীর অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৭৮২ জন নন-পটিশিনার র্কমচারীকে অনুরূপ সুবধিা প্রদান করা যাবে কিনা সে বিষয়ে
মতামত চেয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষায়ক মন্ত্রণালয়ে পত্র লিখা হয়। উপসচিব মোহম্মদ ইকতিদার আলম গত ১৩ আগষ্ট, ২০২৪ সিজিএ কার্যালয়ের স্মারক নম্বর- ০৭.০৩.০০০০.০০২.১৮.৭১২.১০.৬৭৪ ০৩.১০.২০১৮ আইন ও বিচার বিভাগের স্মারক নং ১০.০০.০০০.১২৯.০৪.৮০.১৮.১২৪, তারিখ ০৩.১০.২০১৮ রিট পিটিশন নং- ৫৯১৩/২০১০ এর রায়ের আলোকে সিজিএ কার্যালয়ের ২১৮ জন পিটিশনারকে ধারণাগত জ্যেষ্ঠতা প্রদানপূর্বক সিজিএ কার্যালয় কতৃক আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। উক্ত কার্যালয়ের ৭৮২ জন নন-পিটিশনার কর্মচারী একই সুবিধা প্রপ্তির জন্য আবেদন করেছেন। বর্ণিত রায়ের আলোকে একই কার্যালয়ের অধীন নন-পিটিশনার ৭৮২ জন কর্মচারীকে অনুরুপ সুবিধা প্রদান করা যাবে কি না সে বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্মারক নং ২০৮,তারখি: ২৭.১১.২০২৪ (সংলাগ-২৭) এর মাধ্যমে ‘‘যহেতেু রিট পটিশিন নং-৫৯১৩/২০১০ এর ধারাবাহকিতা ২১৮ জন জুনয়ির অডিটরকে ধারণাগত জ্যেষ্ঠোতা প্রদানর্পূবক তাদরেকে সকল প্রকার আর্থিক সুবধিাদি প্রদান করা হয়েছে এবং যেহেতু আইন ও বিচার বিভাগের মতামতের ভিক্তিতে সিজিএ কার্যালয়ের ০৯/০৮/২০২০ তারখিরে ৬৪০ নং আর্দশের মাধ্যমে নন-পিটিশিনার ৭৮২ জন জুনয়ির অডিটারদের আর্থিক সুবিধাদিসহ ধারণাগত জ্যেষ্ঠেতা প্রদান করা হয়েছে সেহেতু উক্ত জুনয়ির অডিটারদের আর্থিক সুবধিাসহ ধারণাগত
জ্যেষ্ঠেতা প্রদান স্থগতি রাখা সমীচীন হবে না । এমতাবস্থায়, নন-পটিশিনার ৭৮২ জন
জুনয়ির অডিটারদের আর্থিক সুবধিাসহ ধারণাগত জ্যষ্ঠেতা প্রদান বহাল রাখা যেতে
পারে ’’ মর্মে মতামত প্রদান করেন।
বহাল রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় সিজিএ র্কাযালয় হতে স্মারক নং-
২৪২৭,তারখি: ০১.০১.২০২৫ এর মাধ্যমে অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ে পুনরায়
পত্র লিখা হয় (সংলাগ-২৮) । প্রশাসন ট্রাইব্যুনাল -১, ঢাকা র্কতৃক এটি মামলা নং-
৪৭৯/২০২২ ও এটি মামলা নং-৫২৭/২০২২ এ অর্থ মন্ত্রণালয়রের ২৯/০৯/২০২২
তারিখের ৫০০ নং স্মারক উপর স্থাগিতার্দেশ এবং আইন,বিচার ও সংসদ
বিষয়ক মন্ত্রণালয় কতৃক ধারণাগত জ্যেষ্ঠেতাপ্রাপ্ত র্কমচারীদরে পক্ষে ০২
(দুই) বার মতামত প্রদান সত্বেও তা আমলে না নিয়ে র্দীঘ ৩০ মাস ধরে শুনানী চলছে।স্মারক নং-১৬৪,তারখিঃ১৬/০৩/২০২৫ এর মাধ্যমে এটি মামলা নং-৪৭৯/২০২২ ও এটি
মামলা নং-৫২৭/২০২২ এ র্অথ মন্ত্রণালয়রে ২৯/০৯/২০২২ তারখিরে ৫০০ নং
স্মারকের উপর স্থগিতাদশে প্রত্যাহারসহ অর্ন্তর্বতীকালীন আর্দশে
পরর্বতী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণরে জন্য সিজিএকে নির্দেশ প্রদান করেন কিন্তু কতৃপক্ষ বাস্তবায়ন করছেন না (সংলাগ-২৯)বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন ঘিরে ক্যাডার ও নন–ক্যাডার দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে সরকারের হিসাব ও নিরীক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছিল। গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করে।
মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। ওই সময় ক্যাডার কর্মকর্তারা কাকরাইলে অডিট ভবনের ভেতরে এবং নন–ক্যাডার কর্মচারীরা (অডিটর) ভবনের সামনের সড়ক প্রায় তিন ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন। নন–ক্যাডার কর্মচারীরা কয়েক দফায় অডিট ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। পরে ভবনের ফটকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
তিন ঘণ্টা ধরে কাকরাইলে এই সড়কটি অবরোধ করে রাখায় আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে দফায় দফায় তাঁদের সড়কের এক পাশে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার অনুরোধ জানানো হলেও তাঁরা সড়কে অবস্থান থেকে সরেন নি। পরে এক পর্যায়ে লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করে তাঁদের সরিয়ে দিয়েছিল পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অডিটররা আন্দোলনে নামেন। একাদশতম গ্রেডে কর্মরত অডিটররা দশম গ্রেডে পদোন্নতি চান। তাঁদের দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকার পরও ৩ হাজার ৩৮২ জন অডিটরের মধ্যে অন্তত ৬৩৬ জনকে দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। বাকিদের একাদশতম গ্রেডে রেখে বৈষম্য করা হচ্ছে।
নন–ক্যাডার কর্মচারীরা (অডিটর) অডিট ভবনের সামনের সড়ক প্রায় তিন ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
অডিটরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকার পতনের পর প্রথম সপ্তাহে ক্যাডার কর্মকর্তাদের একটি অংশ সিএজি নূরুল ইসলামকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ উল্লেখ করে তাঁর পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করে। তখন অডিটররা (নন–ক্যাডার) সিএজির পক্ষে অবস্থান নেন। তখন সিএজি অডিটরদের দশম গ্রেডে উন্নীত করতে যা যা প্রয়োজন, তা–ই করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এ নিয়ে তিনি অডিটরদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেন। পরে এই গ্রেড পরিবর্তনের সিএজি অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবও পাঠান। সিএজি কার্যালয় সূত্র জানায়, এই প্রস্তাব অর্থ বিভাগে গিয়ে আটকে যায়। এরপর অডিটররা প্রথমে অর্থসচিবের পদত্যাগ দাবি করেন। সিএজির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন।অন্যদিকে গ্রেড পরিবর্তনের প্রস্তাব পাঠানোর ঘটনায় আগে থেকেই সিএজির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিলেন ক্যাডার কর্মকর্তারা। তাঁদের দাবি, নন–ক্যাডার কর্মচারীদের ভয়ে কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে যেতে পারেন নি দুই সপ্তাহ ধরে। তাঁরা সিএজি কার্যালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ করেন। আর কার্যালয়ের বাইরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন অডিটারগণ।
জলকামান ব্যবহার ও লাঠিপেটা করে অডিট ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়েছিল পুলিশ।
আন্দোলনকারী অডিটারগণর জানিয়েছেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে দশম গ্রেডে উন্নীত হওয়ার জন্য আন্দোলন করছিলেন। এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলে হাইকোর্ট তাঁদের দশম গ্রেডে উন্নীত করার নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রথম দফায় রিটকারী ৬১ জনকে কেবল দশম গ্রেড প্রদান করা হয়। কিছুদিন পর আবার আবেদন করা আরও ৫৭৫ জনকে দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। আরেকটি সূত্র বলছে, এই ৬৩৬ জনের বাইরে আরও ২৭৭ জনকেও দশম গ্রেড দেওয়া হয়েছে। ফলে একই পদে দুই ধরনের বেতন গ্রেড থাকায় ব্যাপক বৈষম্য তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে ক্যাডার কর্মকর্তারা বলছেন, সিএজি নূরুল ইসলাম স্বপদে থাকতে সমর্থনের বিনিময়ে একাদশতম গ্রেডের অডিটরদের দশম গ্রেড, দশম গ্রেডের সুপারদের নবম গ্রেড এবং নবম গ্রেডের নিরীক্ষা ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তাদের সপ্তম গ্রেড উন্নীতকরণের প্রতিশ্রতি দেন। আর বিসিএস নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারের কর্মকর্তারা অন্যান্য ক্যাডারের মতো নবম গ্রেডে কর্মজীবন শুরু করেন। এতে কর্মস্থলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে দাবি করে ক্যাডার কর্মকর্তাদের বড় একটা অংশও সিএজির পদত্যাগ দাবি করেছিলেন।
রাজশাহী জেলাতে সুপার পদে কর্মরত বৈষম্যের স্বীকার মোঃ ফতে আলীসহ কয়েকজন জানান, ৭৮২ কর্মকর্তা কর্মচারীর নিকট হতে হাসিনার দোসর
সিজিএ ভবনের সুপার আব্দুর রউফ ৫ কোটি টাকা উৎকোচ গ্রহন করেছেন। এক ছেলেকে ৫০ লাখ টাকা খরচ করে আস্টোলিয়া পাঠিয়েছেন। কি সমস্যার করণে দেশে ফেরত এসেছেন। অন্য এক ছেলেকে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে অন্য একটি দেশে পাঠিয়েছেন বলে জানান তারা। শুধু ব্যারিষ্টারের নাম করে ৩৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। আইন মন্ত্রণালয়ের যাচিত ২ টি সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে কতৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারীতা, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদের পেনসন বন্ধ করে রেখেছেন। অবিলম্বে এ চরম বৈষম্যের অবসান চাই।এ ব্যপারে সিএজি ভবনের সুপার আব্দুর রউফ যিনি ভুক্তভোগী কর্মকর্তা কর্মচারী নিকট হতে দু দফায় জনপ্রতি প্রতি ৩৫ হাজার ও ২৫ হাজার করে কোটি কোটি টাকা উৎকোচ গ্রহন করেছেন তার মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করা হয় কিন্তু মোবাইল রিসিভ করেন নি। পরবতীতে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়। তারপর মোবাইল করলে তিনি রিসিভ করেন এবং বলেন, আমি ২০২২ ইং ২৯ ফেব্রুয়ারী অবসর গ্রহন করেছি। তারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন, আমার দুই ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছি, আমার নামে ২ কোটি ৫০ লাখ সঞ্চয় পত্র ক্রয় করেছি। আমি চাকুরী জীবনে ১ পয়সা ঘুষ খায় নি। আমি সৎ ছিলাম বলে তারা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। পরে আমি দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি। টাকার লোভ থাকলে তো ছাড়তাম না। আমার সাথে কোন ঘুষের টাকা লেনদেন হয় নি। তবে কেস চালানোর জন্য ব্যারিষ্টার ফি বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয়ে। আগামী ২৬/০৮/২০২৫ ইং মামলার দিন ধার্য্য আছে আমি যাব। আগামী ২৫/০৮/২৯২৫ ইং জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সমাবেশে আমাকে ডাকলে যাব।
এই বিষয়ে সাবেক সিএজি নূরুল ইসলামের সাথে মোবাইল করা হলে তিনি রিসিভ না করাই বক্তব্য পাওয়া সম্ভাব হয় নি।
ভুক্তভোগিদের ১৪৯ জনের বিষয়ে সিজিএ এস.এম রিজভীকে প্রশ্ন করা হয় একই আর্দেশে ৭৮২ জনের মধ্যে ৫৫৫ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে পেনশন ও আনুতোষিক পরিশোধ করা হয়েছে। ৭৮ জনের পদোন্নতি, পিআরএল পরিশোধ চলমান মুঞ্জরি আছে। শুধুমাত্র ১৪৯ জনের পেনশন ও আনুতোষিক পরিশোধের কার্যক্রম প্রায় ৩ বছরের অধিক সময় পর্যন্ত বন্ধ হয়েছে কেন? এর উত্তর তিনি বলেন একটি মামলা বিচারাধীন থাকায় ভুক্তভোগীদের পেনশন বন্ধ রয়েছে।
আপনি সাংবাদিক হিসেবে জানেন মামলা বিচারাধীন থাকলে আমাদের কিছু করার থাকে না। তিনি বলেন, ভুক্তভোগিদের নিকট হতে কোটি কোটি লেনদেনের বিষয়ে আমার জানা নেই। সুপার আব্দুর রউফকে আমি চিনি না।রাজশাহীর ভুক্তভোগী অবসর প্রাপ্ত হিসাব রক্ষণ অফিসার মোঃ আলাউদ্দীন জানান,
আগামী ২৭ আগষ্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হবে। তিনি আরও বলেন, বৈষম্যহীন সমাজ বাস্তবায়নে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বৈষম্য কেন? সিজিএ প্রশাসন জবাব চাই? বর্তমার সরকারের বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টাকালে আমলাতন্ত্রের জটিলতা সৃষ্টি করে সিজিএ (সাবেক) নুরুল ইসলাম ও বর্তমান সিজিএ এসএম রেজভীর সিদ্ধান্তহীনতা, স্বেচ্ছাচারীতা, অনিয়ম এবং দায়িত্বে অবহেলার কারণে একই আর্দেশে ধারণাগত জ্যেষ্টতা প্রাপ্ত ৭৮২ জনের মধ্যে ৫৫৫ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে পেনশন ও আনুতোষিক পরিশোধ করা হয়েছে। ৭৮ জনের পদোন্নতি, পিআরএল পরিশোধ চলমান মুঞ্জরি আছে। শুধুমাত্র ১৪৯ জনের পেনশন ও আনুতোষিক পরিশোধের কার্যক্রম প্রায় ৩ বছরের অধিক সময় পর্যন্ত বন্ধ হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের যাচিত ২ টি সুস্পষ্ট সিদ্ধান্তকে বিবেচনায় না নিয়ে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে।সিজিএ কার্যালয় কতৃক নিয়োগকৃত ১৪৯ ভুক্তভোগি, তাদের পরিবারের সদস্যগণ, সচেতনমহল জরুরীভিক্তিতে বৈষম্য নিরসনসহ আনুতোষিক পেনশন প্রাপ্তির ব্যবস্থা, আমলাতান্ত্রের জটিলতা পরিহার, স্বেচ্ছাচারীতা, অনিয়ম, দুর্নীতি বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবন্থা গ্রহনের জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সরাসরি হস্তক্ষেপ একান্তভাবে কামনা করেছেন।
মোঃ হায়দার আলী
নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী -

দোয়ারাবাজারে লেনাদেনের সমা-ধানের নামে টাকা আ-ত্মসাৎ ফেরত চাওয়াতে হুম-কি” থানায় অ-ভিযোগ
হারুন অর রশিদ,
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের সুড়িগাঁও গ্রামের মো. নুর মোহাম্মদ এর পুত্র মো. জিয়াউর রহমান দোয়ারাবাজার থানায় উপস্থিত হয়ে টাকা আত্মসাৎ ও প্রাণনাসের হুমকিতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন
একই ইউনিয়নের পশ্চিম মাঠগাঁও (ইসলামপুর) গ্রামের ছিদ্দি মিয়ার পুত্র গোলাপ মিয়ার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় জিয়াউর ও গোলাপ মিয়া হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানা এলাকায় একটি ইটের ভাটায় কাজ করতো। ইটের ভাটার মালিক জিয়াউরের নিকট প্রায় লাখ দেড়েক টাকা পায়। সেই টাকার জন্য গোলাপ মিয়াকে মালিক পক্ষ বললে, গোলাপ মিয়া জিয়াউর ও ইট ভাটার মালিকের মধ্যে লেনাদেনার বিষয়টি সমাধা করে দিবে বলে গোলাপ মিয়া জিয়াউরের নিকট থেকে ৭৫.০০০(পচাত্তর) হাজার টাকা নেয়। টাকা নিয়ে ও ইট ভাটার মালিককে টাকা না দিয়ে গোলাপ মিয়া সমূহ টাকা আত্মসাৎ করে। সেই টাকা দেই দিচ্ছি বলে বছর খানেক চলে গেলেও টাকা চাওয়াতে গোলাপ মিয়া জিয়াউরকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
ঘটনার দিন ২২/০৮/২০২৫ইং শুক্রবার সন্ধ্যা
অনুমান ৬.৩০ ঘটিকার সময় গোলাপ মিয়ার বাড়ির পাশ দিয়ে জিয়াউর রোগী দেখতে তার শশুর বাড়ি যাওয়ার পথে ইসলামপুর গ্রামের আজিদ মিয়ার মুদি দোকানের পিছনে ব্রীজের উপর পৌছা মাত্র গোলাপ মিয়া তার ভাই ও ছেলেদের নিয়ে জিয়াউরকে প্রাণে মারার জন্য দৌড়াতে দৌড়াতে ইসলামপুর লাল ফকিরের গেইট পর্যন্ত নেয়। ঐ সময় জিয়াউর দৌড়ে প্রাণ রক্ষা করলে ও পরবর্তীতে বাড়ি ফেরার সময় ২য় বার রাত ৮:৩০ মিঃ সময় মাঠগাঁও হোসেন মেম্বারের চা-দোকানের সামনের রাস্তার উপর আসলে পুনরায় আক্রমণ চালায়। ঐ সময় স্থানীয় লোকজন ঘটনা স্থলে এগিয়ে এলে এবং মানিত স্বাক্ষীদের চেষ্টায় জিয়াউর প্রাণে রক্ষা পায়।
পশ্চিম মাঠগাঁও গ্রামের শিরু মিয়া বলেন ঘটনার দিন শুক্রবার সন্ধ্যা ৬:৩০ মিঃ সময় গোলাপ মিয়া ও তার ছেলেরা জিয়াউর কে ব্রীজের উপর থেকে দৌড়াতে দৌড়াতে লাল ফকিরের গেইট পর্যন্ত নিয়ে আসে। তবে দুজনের মধ্যে কিসের বিরোধ তা জানিনা।
ইসলামপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ঐদিন গোলাপ মিয়া ও জিয়াউর দুজন ব্রীজের উপর দিয়ে দৌড়ে যেতে দেখেছি তবে কেন দৌড়ে যাচ্ছে বুঝতে পারিনি।
ইসলামপুর ব্রীজের পাশে মুদিমালের ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ বলেন, ঘটনার দিন শুক্রবার গোলাপ মিয়া জিয়াউরকে দৌড়াতে দেখেছি। তবে দুজনের মধ্যে টাকা পয়সার লেনাদেনা আছে বলে শুনেছি।
অভিযোগ কারী জিয়াউর রহমান বলেন, আমার লেনাদেনার একটা বিষয় শেষ করার কথা বলে গোলাপ মিয়া আমার নিকট থেকে ৭৫.০০০ পচাত্তর হাজার টাকা নেয়। দীর্ঘ একবছর পরও বিষয়টি মিমাংসা না করে আমার সমুহ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এখন টাকা চাওয়াতে আমাকে হত্যার হুমকি সহ মেরে ফেলার জন আক্রমণ করেছে। আমি দেশবাসী সহ প্রশাসনের নিকট সঠিক বিচার চাই।
এব্যাপারে গোলাপ মিয়াকে মোবাইল ফোনে
জিয়াউরকে আক্রমণের কারণ জিজ্ঞেস করলে, সে বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি জিয়াউরের নিকট পুকুরের মাছ বিক্রি করেছি। জিয়াউর আমাকে মাছের টাকা দেয়নি। জিয়াউরের দেওয়া ৭৫.০০০ টাকা আমি মালিক পক্ষকে দিয়েছি।এব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহিদুল হক জানান, এ বিষয়ে একটা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-

কলাইয়ের রুটি বা-সাবাড়ী, ফু-টপাত হয়ে এখন হোটেল রেস্তোঁরায়
রাজশাহী মোঃ হায়দার আলী।। বিখ্যাত সুস্বাদু আম বলতে ভোজন রসিকদের কাছে আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবঞ্জের আমের যেমন তুলনা হয়না। তেমনি আরেকটি খাবার দারুন জনপ্রিয়। সেটি হলো চাউল ও মাসকালাইয়ের আটার রুটি। রাজশাহীর গোদাগাড়ী, চাঁপাই নবাবগঞ্জ রাজশাহী আসবেন আর মাস কালাইয়ের রুটি খাবেন না সেকি হয়। এখানকার রসালো শাঁসালো আম মুখে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তৃপ্তি এনে দেয়। একইভাবে পেঁয়াজ-মরিচ খাঁটি সরিষা তেলের ঝাঁজ, ধনে পাতার মেশানো চাটনি কিংবা বেগুনের ভর্তা দিয়ে কালাইয়ের রুটি। গরু হাঁসের মাংশের কালা ভূনা, গরুরবট, আর কিছুই বলার দরকার নেই। এমনিতেই জিভে পানি এসে যায়।
অসাধারণ স্বাদের কালাইয়ের রুটি একবার খেলে বার বার মুখে দিতে মন চাইবে। সাধারণ খাবার হলেও এর স্বাদ আর সুঘ্রানের তুলনা হয় না। হলফ করে বলা যায় যারা এখনো এর স্বাদ নেননি, তারা একবার নিলে মনের অজান্তেই বলে উঠবেন ‘আবার খাবো’। গোদাগাড়ী, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, রাজশাহী এলেই তুখোড় রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রী, উপদেষ্টা এলেই এ রুটির স্বাদ গ্রহন করে থাকেন।ঐতিহ্যবাহী কলাই রুটি বাসাবাড়ী, ফুটপাত হয়ে স্থান করে নিয়েছে অভিজাত রেস্তোরাঁয়, এমন কি প্রবাসীগণ বিদেশে যাওয়ার এ রুটির উপকরণ নিয়ে যান। সেখানেও স্থান পেয়েছে কলাইয়ের রুটি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ‘কলাই রুটির’ আদি উৎস চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মার চরাঞ্চল। স্থানীয় ভাষায় একে বলে দিয়াঢ়। পদ্মার পলি মাটি মাষকলাই চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। সম্ভবত এ কারণে ‘কলাই রুটি’ ছিল পদ্মার চরের মানুষের সকালের লাহারি (নাস্তা)। পুরুষরা ভোরে মাঠের কাজে গেলে বধূরা ‘কলাই রুটি’ লাহারি কাপড়ে মুড়িয়ে পরম যত্নে মাঠে নিয়ে যেতেন। ‘কলাই রুটির’ কারণে অন্য অঞ্চলের মানুষরা। তারা কৃষি শ্রমিকদেরও মাঠের মধ্যে সকালের নাস্তা, দুপুরেও খেতে দিত। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষদের রসিকতা করে ‘কলাই’ সম্বোধন করতেন। সেই ‘কলাই রুটির’ জনপ্রিয়তা এখন রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চল জুড়ে। আগে শীতকালে ‘কলাই রুটি’ খাওয়ার প্রচলন থাকলেও এখন বছর জুড়েই খাওয়া হয়।
কালক্রমে ‘কলাই রুটি’ চর থেকে শহরের ফুটপাত হয়ে অভিজাত রেস্তোরাঁয় ঠাঁই নিয়েছে। রাজশাহী অঞ্চলের যে কোনো উৎসবের প্রিয় খাবার এখন ‘কলাই রুটি’। এ রুটি খেলে খিদে কম লাগে।
এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের সময় জানা যায়, দিন দিন বাড়ছে কলাই ডালের চাহিদা ও দাম। আগের মতো কম দামে কলাইয়ের ডাল পাওয়া যায় না। ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও দামের কারণে কলাই রুটিতেও এখন ভেজাল দেওয়া হচ্ছে। মেশানো হচ্ছে কালি কলাই আর মুগডাল। ফলে অনেক জায়গার ‘কলাই রুটিতে’ আগের স্বাদ নেই। ‘কলাই রুটির’ আসল স্বাদ চাইলে বাজার থেকে কলাই কিনে রোদে শুকিয়ে মেশিনে ভাঙিয়ে নেওয়াই উত্তম বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
বৃহত্তর উত্তরাঞ্চলে এসে ‘কলাই রুটির’ স্বাদ নেননি, খুঁজলে এমন মানুষ হয়তো কমই পাওয়া যাবে। অন্যদিকে বাইরের মানুষ এখানে এসে ‘কলাই রুটির’ স্বাদ নেন না, এমনটি যেনো হতেই পারে না। তাইতো সাধারণ থেকে সেলিব্রিটিরা পর্যন্ত ‘কলাই রুটির’ স্বাদ নিতে ভুল করেন না।
‘কলাই রুটি’ বানানো কিন্তু খুব সহজ নয়। মাসকলাই ও চালের গুঁড়ার সঙ্গে স্বাদমতো লবণ ও পানির মিশ্রণে তৈরি খামিরের বল, দুই হাতের তালুর চাপে ঘুরিয়ে ‘কলাই রুটি’ বানাতে হয়। সাধারণ রুটির চেয়ে কলাই রুটি অধিক পুরু ও বড়ো আকৃতির হয়। এ রুটি মাটির খোলা কিংবা পাত্রে (তাওয়া) সেঁকে বাদামি রঙের হলে নামিয়ে পরিবেশন করতে হয়। সাধারণত গরম গরম ‘কলাই রুটি ঝাল-পেঁয়াজ ও পোড়া বেগুনভর্তা দিয়ে খাওয়া হয়। এক্ষেত্রে অতিসাম্প্রতিক সংযোজন হলো ভুনা হাঁসের মাংস ও গরুর দিয়ে কলাই রুটি খাওয়া। সৌখিনরা বাড়িতে মেহমানদের পছন্দমতো গরু, খাসি কিংবা মুরগি ভুনার সঙ্গে কলাই রুটি পরিবেশন করেন। রাজশাহী অঞ্চলে প্রতিটি কলাই রুটির দাম গড়ে ২০ থেকে ২৫ টাকা। অর্ডারে তৈরি স্পেশাল কলাই রুটি সর্বোচ্চ ৩০/৪০ টাকা, সঙ্গে কাঁচামরিচ বা ধনেপাতা বাটা ও পেঁয়াজ কুঁচি ফ্রি। পোড়া বেগুনভর্তার দাম ১৫ – ২০টাকা।
কালাইয়ের রুটি এখন সবার প্রিয় খাবারের স্থান নিয়েছে। শুরুতে বাসাবাড়ী তারপর ফুটপাতে থাকলেও এই রুটি হোটেল রেস্তোঁরায় ঠাঁই নিয়েছে।
এক সময়কার ফুটপাতে কালাই রুটির কারবার থাকলেও এখন আলাদাভাবে গড়ে উঠেছে এর রেস্তোঁরা। শুধু কলাইয়ের রুটি আর ঝাল ভর্তার পাশে হাঁসের মাংস মেলে। পরিবেশনাতেও এসেছে ভিন্নতা। ঝাল চাটনি ও বেগুন ভর্তার পাশপাশি আচারসহ বিভিন্ন জিনিস থাকছে। তবে কলাই রুটির সাথে পেঁয়াজ মরিচের চাটনি আর বেগুন ভর্তাই মানানসই। আর ভোক্তাদের নজর ওইদিকেই।কলাই রুটি বিক্রি করে অসংখ্য অসহায় নারী তাদের কর্মসংস্থান খুঁজে পেয়েছে। যে কলাইয়ের রুটি নিয়ে এতো কথা, সেটি বানানো সবার সহজ নয়। আটার রুটি ময়দা দিয়ে পরোটা তন্দুরি কিংবা নানরুটি খুব সহজেই কাঠের পিড়িতে বেলে তাওয়া আর তন্দুরে সেঁকে নেয়া যায়। কিন্তু কলাইয়ের রুটি কাঠের বেলুন পিড়ি কিংবা রুটি মেকারে বানানো সম্ভব নয়।
অন্যান্য রুটির ন্যায় কলাইয়ের আটার গোল গোল বল দুই হাতের তালুর চাপে চাপে বনে যায় রুটি। এই রুটি বানাতে হলে প্রয়োজন কালাইয়ের মিহি আটা। যদি যাঁতায় পেষানো যায় তবে খুবই ভাল। এই আটার সাথে আতপ চালের কিছুটা মিশ্রন দেয়া হয় মচমচে করার জন্য। মাটির তাওয়ায় এপিট ওপিঠ সেঁকতে হয়। চুলার ধারে বসে গরম গরম রুটির স্বাদই আলাদা।
এখানেও ঘটেছে ভেজালের মিশ্রন। তাই সেই আগের মত এর স্বাদ পাওয়া যায় না। প্রকৃত স্বাদ নিতে হলে আগে বলে বানিয়ে নেয়াই ভাল। বাড়িতে নিজেরাও চেস্টা করে দেখতে পারেন। খাঁটি মানের কালাইয়ের রুটি বা ডাল তৈরির সময় এর মনকাড়া সুগন্ধ অনেক দূর থেকে ভেসে আসে।
কালাই রুটির আদি উৎসভূমি হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরাঞ্চল। যাকে বলে দিয়াড়। এটি ছিল নি¤œবিত্ত মানুষের খাবার। সকালে এটি দিয়ে লাহারী খাওয়া (নাস্তা) হয়। কৃষকরা ভোর বেলায় মাঠে গেলে কৃষাণ বধূ লাহারী বানিয়ে কাপড়ে মুড়িয়ে পরম যতেœ নিয়ে যায় মাঠে কৃষকের কাছে। এটি খেলে পেটে অনেকক্ষণ থাকে বলে ক্ষিধে কম লাগে। আবার পুষ্টিমানের দিক দিয়েও অনন্য।জাতীয় অথবা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সময় কর্মীরা খাবার হিসেবে গামছা কিংবা কাপড়ে বেঁধে কালাই রুটি অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে যায়। এই রুটির কারনে এক সময় রসিকতা করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষকে ‘কালাই’ বলে সম্বোধন করা হতো। আর সেই কালাইয়ের রুটির জনপ্রিয়তা এখন দেশ-বিদেশে। কালাই বলে সম্বোধন করলে আগে বিব্রত হলেও এখন গর্ব অনুভব করে।
কালাইয়ের ডাল কি রসনা মেটায় না?পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে এর গুণও অনন্য। এতে রয়েছে শতকরা কুড়ি থেকে পঁচিশ ভাগ আমিষ। প্রোটিন ও ভিটামিন বি এর অন্যতম উৎস্য। রুচিকর ও বল বর্ধক। পুরুষের শুক্রানু বাড়ায়। রয়েছে প্রচুর আয়রণ। প্রচুর ফাইবার আছে বলে হজম ভালো হয়। কোষ্ঠ্য কাঠিন্য দূর করতে বেশ উপকারি। হার্ট ভাল রাখে। কোলস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। প্রাকৃতিক উদ্দীপক হিসাবে এ ডাল ভাল কাজ করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে এবং ব্যাথানাশক। সর্বোপরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ত্বকের যত্নে দারুণ কাজ করে। রোদে পোড়া ত্বক, মুখের দাগ, ব্রনসহ নানা রোগের উপশম করে। এ ডাল মুখে মাখলে চুলের খুশকি দূর হয় আর চুলও নরম হয়। কালাইয়ের ডাল স্বাদ ও গন্ধে অনন্য। তৃপ্তিসহ ভাত খেতে চাইলে এ ডাল খেয়ে দেখতে পারেন। দিন দিন বাড়ছে কালাইয়ের ডালের চাহিদা ও দাম। আগে সবচেয়ে কমদামি ডাল ছিল এটি। আর এখন হয়েছে উল্টো। সবচেয়ে বেশি দামি ডাল এটি।
সিসিবিভিওর কর্মকর্তা নিরাবুল ইসলাম বলেন, কলাইয়ের রুটি, কাঁচা মরিচের লবন, বেগুন ভর্তা, হাঁস ও গরুর মাংশের ভুনা বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। দূরদুরান্ত থেকে রুটি খেতে আসে আসেন। রুটি সম্মতভাবে খায়।
নাম প্রকার না করা শর্তে একজন এমবিবিএস ডাক্তার বলেন, কলাইয়ের রুটি সুস্বাদু খাবার, দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষুদা নিবারণ হয়। পেটের সমস্যা দূর হয়। ডায়বেটিক নিয়ন্ত্রন থাকে।
চাহিদা আর দামের কারনে এরমধ্যে আবার ভেজাল অনুপ্রবেশ করেছে। মেশানো হচ্ছে কালিকালাই আর মুগডাল। ডাল কিংবা কালাইয়ের রুটির আসল স্বাদ নিতে হলে বাজার থেকে কালাই কিনে ভেঙে ডাল কিংবা আটা করাই উত্তম। আগে কালাইয়ের রুটি শীতকালে বেশি খাওয়া হলেও এখন বছরজুড়েই চলছে।
কালাই রুটির অপকারিতারঃ কালাই রুটি খেলে কিছু অপকারিতার মধ্যে রয়েছে হজমের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি এবং গ্যাস হতে পারে। গ্লুটেন সংবেদনশীল ব্যক্তি বা যারা সিলিয়াক রোগে আক্রান্ত, তাদের জন্য কালাই রুটি ক্ষতিকর হতে পারে। এছাড়া, পরিমিত পরিমাণে না খেলে বা রুটি তৈরির সময় অতিরিক্ত পরিশোধিত উপাদান ব্যবহার করলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ হতে পারে।
মোঃ হায়দার আলী
নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী। -

ভূঞাপুরে সাবেক কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে মা-দক উ-দ্ধার: বিপা-কে চার কর্মকর্তা
বিশেষ প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ছালেহা বেগম (৫৭) ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার অভিযোগে গত বছর (১১ আগস্ট ২০২৪) এলাকাবাসীর পক্ষে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, এলাকায় অবাধে হেরোইন, ফেনসিডিল ও ইয়াবা বিক্রির কারণে কিশোর-কিশোরীসহ যুবসমাজ সহজেই মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে, যা দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।এর ধারাবাহিকতায় গত ১৮ জুন ২০২৫ টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে ৮-১০ সদস্যের একটি টিম ভূঞাপুর উপজেলার বাহাদীপুর গ্রামের ছালেহা বেগমের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় তাদের বাড়ি থেকে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের দিনকার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ছালেহা বেগম নিজেই তার ঘর থেকে মাদক উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করেন এবং তল্লাশির সময় কিছু খোয়া যায়নি বলেও স্বীকারোক্তি দেন।
কিন্তু অভিযানের এক সপ্তাহ পর তিনি অভিযোগ করেন, ঘর তল্লাশির নামে কর্মকর্তারা আলমারি, শোকেস ও ড্রয়ার ভেঙে তার ও তার ছেলের জমানো ৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকা নিয়ে গেছেন। তিনি আরও দাবি করেন, তিন ঘণ্টার তল্লাশির পর মাত্র ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখানো হয়েছে এবং জোরপূর্বক মিথ্যা জবানবন্দি ভিডিও করে নেওয়া হয়েছে।
পরে ২ জুলাই তিনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্ত শেষে জেলা পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম, সহ চার জনকে
শাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গত সোমবার (৭ জুলাই) রাতে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাসান মারুফ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।তবে এরপর ভিন্ন চিত্র সামনে আসে। অভিযোগকারী ছালেহা বেগম অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি অডিও রেকর্ডিংয়ে শোনা যায়, তিনি বলেছেন ১০ লাখ টাকা দিলে অভিযোগ প্রত্যাহার করবেন।
এলাকাবাসীর দাবি, ছালেহা বেগমের ছেলে রনি দীর্ঘদিন ধরে তার মামা দুলাল চকদারের প্রভাব খাটিয়ে মাদক ব্যবসা চালাচ্ছেন। তারা বলেন, ছালেহার বাড়িতে মাদক পাওয়া গেছে এটা সত্য। তবে টাকা খোয়ার বিষয়ে কেউ কোনো তথ্য দিতে পারেনি। উল্টো কর্মকর্তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। মাদক ব্যবসার কারণে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, অথচ ভয়েই অনেকে মুখ খুলতে পারছেন না।
এ বিষয়ে অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা সেদিন শুধু মাত্র ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছি, যা এলাকাবাসীর সামনেই প্রমাণিত। কিন্তু আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করতে এবং তার ছেলে রনিকে মাদক মামলা থেকে বাঁচাতে ছালেহা বেগম মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করেছেন।
-

পাইকগাছার কপোতাক্ষ নদের বে-ড়িবাঁধে ভ-য়াবহ ভা-ঙন হু-মকির মুখে জনপদ
ইমদাদুল হক,,পাইকগাছা ,(খুলনা)।।
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের আর কে বি কে হরিশ চন্দ্র কলেজিয়েট স্কুল সংলগ্ন ঋষিপাড়া আড়ংঘাটা এলাকায় কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে যে কোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে শত শত বিঘা ফসলি জমি ও হাজারো মানুষের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে তাঁর পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত আর কে বি কে হরিশ চন্দ্র কলেজিয়েট স্কুলের সামনে দিয়ে কপোতাক্ষ নদ প্রবাহিত। এ নদীটির কাটিপাড়া অভিমুখে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় বেড়িবাঁধের অন্তত ১০ থেকে ১২টি স্থানে বড় ধরনের ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানির চাপে বাঁধের বিভিন্ন অংশ ২–৩ হাত পর্যন্ত সরু হয়ে পড়েছে। ফলে অতি বৃষ্টি বা নদীতে জোয়ারের পানির চাপ বাড়লেই পুরো বাঁধ ভেঙে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে পরিস্থিতিতে দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়ে শনিবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শন করেন আরকে বি কে কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও জামায়াতে ইসলামীর খুলনা জেলার ইউনিট সদস্য আব্দুল মমিন সানা। তিনি বলেন, বেড়িবাঁধটি ভেঙে গেলে শুধু ফসলি জমিই নয়, হাজার হাজার মানুষের বসতভিটা ও জনপদ পানিতে তলিয়ে যাবে। একারণে জরুরি ভিত্তিতে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা এখন সময়ের দাবি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র প্রভাষক মোঃ আব্বাস আলী, সুব্রত কুমার দাশ, অনাথ চন্দ্র দাস, স্বপন কুমার দাস, বিজয় কুমার মন্ডল, মাষ্টার বিকাশ কুমার সরকার, বিধান কুমার শীল, লক্ষীপদ দাস ও মোঃ আরশাদ গাজীসহ স্থানীয় গণ্যমান্যরা।
এলাকাবাসীও দ্রুত টেকসইভাবে বাঁধ সংস্কার করে ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন,আমি শুনেছি এবং ডিসি মহোদয়কে অবহিত করেছি।স্থানীয় ভাবে একটা ভিজিট করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ইমদাদুল হক,
পাইকগাছা,খুলনা। -

খাগড়াছড়িতে আনসার-ভিডিপি’র হিল ভিডিপি অ্যাডভান্সড কোর্সের স-মাপনী অনুষ্ঠিত
।।এ কে খান ও গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা।।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা আনসার ও ভিডিপি কর্তৃক আয়োজিত হিল ভিডিপি অ্যাডভান্সড কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। খাগড়াছড়ি আনসার ও ভিডিপি চেঙ্গী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ২৫ আগষ্ট এ সমাপনের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। প্রশিক্ষণ শেষে ভিডিপি সদস্যরা দেশ ও জনগণের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে নানা দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপমহাপরিচালক (চট্টগ্রাম ও পার্বত্য রেঞ্জ) ড. মোঃ সাইফুর রহমান, বিভিএম (বার), পিএএমএস। তাঁর বক্তব্যে তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের আধুনিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং তাদের দেশপ্রেম ও মানব সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আপনাদের এই প্রশিক্ষণ কেবল দক্ষতা বৃদ্ধিই নয়, বরং দেশের নিরাপত্তা ও উন্নয়নে আপনাদের ভূমিকা আরও সুদৃঢ় করবে। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা কমান্ড্যান্ট মোঃ আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও মহড়া প্রদর্শন করা হয়। প্রশিক্ষণার্থীরা তাদের অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদর্শন করে উপস্থিত অতিথিবৃন্দের প্রশংসা লাভ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট, সার্কেল অ্যাডজুট্যান্ট এবং ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রশিক্ষণ শেষে প্রধান অতিথি সেরা প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করেন। প্রশিক্ষণার্থীরা এই ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজনের অনুরোধ জানান, যা তাদের পেশাগত দক্ষতা এবং আত্ম বিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সার্বিক নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ সময় হিল ভিডিপি সদস্য, ব্যাটালিয়ান সদস্য ও মিডিয়া কর্মী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
-

১২ বছর শি-কলবন্দী,অ-বশেষে ইউএনও’র মান-বতায় চিকিৎসার সুযোগ পেলো দুই ভাই-বোন
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
১২ বছর ধরে শিকলবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলো কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের গণেরগাঁও গ্রামের দরিদ্র দিনমজুর ফজলু মিয়ার সন্তান আছমা খাতুন (২৮) ও জাহাঙ্গীর (২৫) নামের আপন দুই ভাই-বোন৷ দরিদ্র পিতার পক্ষে ছিলোনা চিকিৎসা করানোর মতো অবস্থা। মানসিক ভারসাম্যহীন ভাই বোনকে নিয়ে পরিবার ছিলো বিপাকে৷ এমনি দূর্বিষহ অবস্থায় নিদারুন কষ্টে নিরুপায় দিন কাটছিলো তাদের৷সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে তাদের শিকল খুলে এম্বুল্যান্সে তুলে দেন। এছাড়াও সমাজ সেবা অফিসের মাধ্যমে তাদের হাতে নগদ আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়েছে।
মানসিক ভারসাম্যহীন দুই সন্তানের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়ায় ইউএনও’র প্রতি খুশী দরিদ্র পিতা ফজলু মিয়া। খুশীতে আত্মহারা হয়ে ইউএনও মাইদুল ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানানোসহ ইউএনওর এমন আন্তরিকতায় গ্রামবাসীও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ফজলু মিয়া৷
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, দরিদ্র দিনমজুর পিতা ফজলু মিয়ার চার মেয়ে ও এক ছেলে। এর মধ্যে দুজন মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনবেলা খাবার যোগাড় করতে হিমসিম অবস্থা এর মধ্যে তাদের নিয়ে বাড়তি চিন্তার শেষ ছিলোনা তাদের। ছেড়ে দিলেই অসংলগ্ন নানান ঘটনা ঘটিয়ে ফেলার চেষ্টা করতো দুজন৷ ফলে নিরুপায় হয়ে শিকলবন্দী করে আটকিয়ে রাখা হতো তাদের৷ প্রশাসনের এই সহায়তায় তাদের চিন্তা কিছুটা হলেও কমেছে বলে জানায়৷ ইউএনওর এমন আন্তরিকতায় গ্রামবাসীও সন্তুষ্ট৷
স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী মাসুম পাঠান বলেন, আমি ঘটনাটি জানার পর তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করি৷ ওনিও শুনে দ্রুত তাদের বাড়িতে এসে দেখে প্রয়োজনীয় সহায়তা করার আশ্বাস দেন এবং পরে তাদের সহায়তা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে৷
কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনা জানার পর সাথে সাথে গিয়ে তাদের মানবিক বিপর্যয় দেখে তাৎক্ষণিক সহায়তার চিন্তা করি৷ ঢাকায় মানসিক ইন্সটিটিউটে ভর্তির ব্যাবস্থা করেছি৷ নগদ আর্থিক সহায়তা তুলে দিয়েছি। সরকার ও প্রশাসন জনগণের জন্য সবসময়ই আন্তরিক।
এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) লাবনী আক্তার তারানা ও উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আবুল খায়ের উপস্থিত ছিলেন।