রফিকুল ইসলাম সুমন (নোয়াখালী)
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় ঘুমের মধ্যে (৪)চার মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের জিরুয়া পশ্চিম পাড়া আলী আহম্মদ মাষ্টার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুটির নাম লাইবা। সে স্থানীয় ব্যবসায়ী জিয়াউল হক লিটনের কন্যা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে লাইবা ছিল সবার ছোট। সকাল ১০টার দিকে শিশুটির মা শারমিন আক্তার তাকে শোবার ঘরে ঘুম পাড়িয়ে গৃহস্থালির কাজে ব্যস্ত হন। কিছুক্ষণ পর রুমে ফিরে এসে দেখেন শিশুটি অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। দ্রুত স্বজনেরা সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কামাল হোসেন বলেন, “শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়।
Author: desk
-

নোয়াখালীর সেনবাগে ঘুমের মধ্যে ৪(চা) মাস বয়সী শিশুর মৃ-ত্যু
-

ব্রাহ্মণপাড়ায় অর-ক্ষিত জ-মিদার বাড়ি বি-লীন হচ্ছে, দেখবার নেই প্রত্ন-তাত্ত্বিক নিদ-র্শন বি-ভাগের
মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা দঃ প্রতিনিধি,
বাংলাদেশের অনেক স্থানেই রয়েছে ঐতিহাসিক অনেক অনেক নিদর্শন। যা দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখনও ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার একটি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের তেঁতাভূমি এলাকার তারেক রাজা চৌধুরী বাড়ি।
কালের স্বাক্ষী হয়ে আজও মাথা উঁচুু করে দাঁড়িয়ে আছে বাড়িটি। বিভিন্ন এলাকা থেকে বাড়িটি দেখার জন্য ইতিহাস ঐতিহ্য বিনোদন
প্রেমী মানুষজন ছুটে আসছেন।
স্থানীয়দের অভিমত সংরক্ষণের অভাবে বিলীন হয়ে যাচ্ছে কালের সাক্ষী ওই বাড়িটি।
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বিভাগের কর্মকর্তাদের আজো যে চোখে পরেনি এইটাই জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।অবহেলা অযত্নের
ফলে নতুন প্রজন্মের কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে পুরনো ইতিহাস।স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই বাড়িটি তৎকালীন জমিদার তারেক রাজা চৌধুরীর। তারেক রাজা চৌধুরী তেঁতাভুমির জমিদার হিন্দু পরিবার ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ছিলেন। তিনি একজন আদর্শ মুসলিম হিসেবে পার্শ্ববর্তী চড়ানলের স্থায়ী বসতীস্তাপন করে ছিলেন।
পরে একসময় সপরিবারে ভারতে চলে যান। তেতাভুমির পরিত্যক্ত ওই জমিদার বাড়ি তার নামেই তারেক রাজা চৌধুরীর বাড়ি নামে আজও পরিচয় বহন করছে।
ওই পরিত্যক্ত বাড়ির প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রক্ষণাবেক্ষণের দাবি এলাকাবাসীর।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তারেক রাজা চৌধুরীর ওই বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রাচীন ওই অট্টালিকা থেকে সংরক্ষণের অভাবে ইট সুরকি খসে খসে পড়ছে। খসে যাওয়া দালানটির ইটের ফাঁকে ফাঁকে গজিয়েছে পরজীবি বৃক্ষ। জমেছে শেওলার আস্তরণ। বাড়ির বিভিন্ন কামরায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে লোহার সিন্ধুক, আসবাবপত্র ও জমিদার পরিবারে ব্যবহারিক নানা সামগ্রী। কোথাও কোথাও খসে পড়ছে পলেস্তারা। বাড়িটির পাশের আরেকটি ভবন সংরক্ষণের অভাবে আগেই বিলীন হয়ে গেছে।
কথা হয় ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলামের সাথে, তিনি জানান, তারেক রাজা চৌধুরী জমিদার ছিলেন। তার জমিদারীর চিহ্ন আজও বহন করছে বাড়িটি। এই বাড়িটি সংরক্ষণ করলে নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস তুলে ধরা যাবে। সংরক্ষণের অভাবে বাড়িটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, তারেক রাজা চৌধুরী জমিদার বাড়িটি দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাড়িটি সংরক্ষণ করা হলে আগামী প্রজন্ম এর ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হবে।এব্যপারে শশীদল ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, ঐতিহ্য ও ইতিহাস দেশের সম্পদ। প্রতিটি জাতি তাদের ঐতিহ্য ও ইতিহাস নিয়ে গর্ববোধ করে। আমাদের এ দেশের বিভিন্ন এলাকায় থাকা পুরনো স্থাপত্য সংরক্ষণ করা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। তেঁতাভূমির ওই জমিদার বাড়িটি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। অনাগত প্রজন্ম এর থেকে এ দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ে জানতে পারবে।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা জাহান বলেন, আমি এইমাত্র আপনার কাছ থেকে শুনতে পেরেছি বাড়িটির কথা আমাদের সকলের উচিত ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করতে হলে এসব পুরাতন স্থাপনাকে সংরক্ষণ করতে হবে। আমি এই রাজার বাড়িটি পরিদর্শন করে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা গ্রহন করবো। -

জিআই স্বীকৃ-তি পেল ফুলবাড়িয়ার সুস্বাদু লাল চিনি
মোঃ সেলিম মিয়া, ফুলবাড়িয়া : ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কৃষকের আবাদকৃত অন্যতম ফসল আখ। এই আখ থেকে হাতে তৈরি লাল চিনি স্বাদে ভরপুর। এবার সেই লাল চিনি পেয়েছে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের মর্যাদা। এমন খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ ও প্রবাসে অবস্থানকারী ফুলবাড়িয়ানরা ভাইরাল করে ফুলবাড়িয়ার লালচিনি। জানা যায়, আখ এই এলাকার সুপরিচিত নাম। আঞ্চালিক ভাষায় কুশাইল অথবা উক নামে বেশ পরিচিত। পৌষ মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে একটানা ফাল্গুন-চৈত্র মাস পর্যন্ত চলে আখ মাড়াই ও হাতে তৈরি লাল চিনি তৈরির ধুম। ঐ সময়টাতে লাল চিনি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করে উপজেলার বাকতা, কালাদহ, এনায়েতপুর এবং রাধাকানাই ইউনিয়নের প্রায় ২০/২২টি গ্রামের কৃষক-কৃষানিরা। জ্বাল ঘরে (দু’চালা পাতা দিয়ে ছাউনি সাময়িক ঘর) কড়াইয়ে আখের রস জ্বাল দেওয়া হয়। দূর থেকে বাতাসে ভেসে আসে গরম গরম লাল চিনির ম-ম ঘ্রাণ। লাল চিনির শরবত নয়, এটি দিয়ে মুড়ির মুয়া, পিঠা-পায়েস, চিড়ার নাড়–, খিরসহ বাহারি মিষ্টিজাতীয় রান্নায় যুগ যুগ ধরে এই জনপদের মানুষের কাছে এই চিনি বেঁচে আছে গ্রামীণ ঐতিহ্য হিসেবে। পৌষের শেষ দিকে শুরু হয়ে চৈত্র মাস পর্যন্ত চলে আখ মাড়াইয়ের কার্যক্রম। আখ মাড়াই করে রস বের করার সময় ফুলবাড়িয়ার গ্রামে গ্রামে শুরু হয়ে যায় উৎসবের আমেজ। খবর দেওয়া হয় পরিবারের দূর-দূরান্তের আত্মীয় স্বজনদের। মেয়ে, মেয়ের জামাই, কিংবা ছেলের শ্বশুরবাড়ির লোক, বোন, মামা, ফুফা, খালা-খালু, শ্যালক-শ্যালিকাসহ গ্রামের সবাই মিলে একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত আখের রস জ্বাল করে হাতে তৈরি করা হয় লাল চিনি। বড়দের পাশাপাশি শিশু, কিশোর-কিশোরীরাও সমান তালে কাজ করে ঐ সব গ্রামে। লাল চিনি দিয়ে তৈরি হয় মজাদার খাবার ‘খির’। এখনও ফুলবাড়িয়ায় নতুন জামাইকে শাশুড়ি গরম খির খাইয়ে আদর করে থাকেন। গ্রামে প্রবাদ রয়েছে ‘করলে তৈরি লাল চিনির খির, খাওয়ার জন্য পড়ে যায় ভিড়।’ বাংলাদেশে একমাত্র ফুলবাড়িয়াতেই তৈরি হয় এই লাল চিনি। ফুলবাড়িয়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে পাহাড়ি লাল মাটিতে এক সময় প্রচুর পরিমাণে আখের আবাদ হতো। অন্য ফসলের তুলনায় দামের দিক দিয়ে কম, আখ চাষে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতাও কম। ফলে আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করছেন অনেক কৃষক। দিনে দিনে ফুলবাড়িয়ায় কমছে হাতে তৈরি লাল চিনির উৎপাদন। তবে ইদানিং বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষেরা চিনি সংগ্রহের আগ্রহ প্রকাশ করায় বেড়েছে চাহিদা। পাল্লা দিয়ে দামও বেড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নূর মোহাম্মদ জানান, এ স্বীকৃতির কার্যক্রম অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। এমন খবরে আমরা উচ্ছসিত, এতে কৃষকরা আরও সাহস পাবে। ফুলবাড়িয়ার লাল চিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গন্ডি পেরিয়ে বিশ^ অর্থনীতিতে স্থান করে নিবে। পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে তাদের ওয়েব সাইডে ২৫ জুলাই এর মধ্যে কোন আপত্তি না থাকায় ৩১ জুলাই চূড়ান্ত তালিকায় ৫৮ নম্বর রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হয়। উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, খুবই খুশির খবর। আমার সময়ে পূর্ণতা পেয়েছে ফুলবাড়িয়ার লাল চিনি শুরুটা হয়েছিল অনেক আগে। এ অঞ্চলের একটা পণ্য দেশ ও দেশের বাহিরে যাবে খুবই গর্বের। আমরা আজকেই সরকারি সনদ পেতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করেছি।
-

ঝালকাঠির নব-গ্রাম কৃষি ব্যাংক ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অভি-যোগ তদ-ন্তে সরে-জমিনে ডিজিএম
রিপোর্ট : ইমাম বিমান
ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলাধীন নবগ্রামে (বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক) নবগ্রাম শাখার ম্যানেজার নেছার উদ্দিন মৃধা বিরুদ্ধে গ্রাহক কর্তৃক দায়েরকৃত অভিযোগ বরিশাল বিভাগীয় নিরীক্ষা বিভাগের ডিজিএম আবু মাহমুদ সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির অন্যরা হলেন, মুখ্য কর্মকর্তা মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, আঞ্চলিক নিরীক্ষা কার্যালয়ের কর্মকর্তা সাগর কর্মকার।
তদন্ত কর্মকর্তা আবু মাহমুদ জানান, নবগ্রাম কৃষি ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক নেছার উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সাথে দুর্ব্যবহার, লোন ও ব্যাংক সেবার বিনিময়ে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহণ ও আওয়ামীলীগ সমর্থিত স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের নেতা থাকাকালীন সময়ে নানা অনিয়ম এর অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে নবগ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ মোঃ নুরুল হক সহ ১৭ জন গ্রাহক ও সাধারণ মানুষ মিলে কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর কয়েক মাস আগে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পত্রে ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সাথে দুর্ব্যবহার, লোনও ব্যাংক সেবার বিনিময়ে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহণ ও আওয়ামীলীগ সমর্থিত স্বাধীনতা ব্যাংকার পরিষদের নেতা থাকাকালীন সময়ে নানা অভিযোগ বিষয়ে সঠিক বিচার পাওয়ার দাবি জানান।
এবিষয়ে নবগ্রাম কৃষি ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক নেছার উদ্দিন মৃধা সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। কি কারণে অভিযোগ করেছেন সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।
তদন্ত চলাকালে শত শত ব্যাংকের গ্রাহক ম্যানেজার নেতার উদ্দিনের অপসারণের দাবি জানিয়ে নবগ্রাম-বরিশাল সড়কের নবগ্রাম কৃষি ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
-

খাগড়াছড়িতে ইমাম প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও সাংগ-ঠনিক মূল্যায়ন সভা অনুষ্টিত
বিশেষ প্রতিনিধি
খাগড়াছড়িতে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির উদ্যোগে ইমাম প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও সাংগঠনিক মূল্যায়ন সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৬ আগষ্ট) সকাল ১১ টায় শহরের অরুনিমা কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার নেতা ডাঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও সাংগঠনিক মূল্যায়ন সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল।
বাংলাদেশ ইসলামী যুব আন্দোলন খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির নেতা, মাওলানা রাশেদুল ইসলাম মোহাম্মদপুরীর সঞ্চালিত কর্মশালায়
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আল মুহাম্মদ ইকবাল, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-ঈমাম কাম অডিটর আলহাজ্ব হাফেজ মাসুম বিল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা মুহাঃ দেলোয়ার হোসেন।কর্মশালা শেষে ২৯৮ নং খাগড়াছড়ি আসনে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা কাউসার আহমেদ আজিজীকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং কমিনিউটি সেন্টার থেকে একটি মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। -

জামাই-শ্বশুরকে গণপি-টুনি দিয়ে হ-ত্যার ঘটনায় আরও একজন গ্রে-প্তার
খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রংপুরের তারাগঞ্জে জামাই-শ্বশুরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে সয়ার ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তি হলেন, সয়ার ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামের মদন আলীর ছেলে শাহজালাল (২৯)।
পুলিশ জানায়, ৯ আগস্ট রাতে মিঠাপুকুরের ছড়ান বালুয়া এলাকা থেকে প্রদীপ লাল ও রুপলাল ভ্যান নিয়ে তারাগঞ্জের ঘনিরামপুর গ্রামে রুপলালের বাড়িতে আসছিল। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলা মোড়ে পৌছালে তাদেরকে সন্দেহ করে ওই এলাকার লোকজন তাদের ভ্যান দাঁড় করায়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রুপলাল ও প্রদীপের সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাসি করে স্পেড ক্যানের বোতলে দুর্গন্ধ যুক্ত পানীয় ও কিছু ওষুধ পায়।
মামলাতে ভারতী রানীর বরাতে উল্লেখ্য করা হয়, আমার স্বামী রূপলাল এবং জামাই প্রদীপের সঙ্গে থাকা ব্যাগের ভেতরে স্পিড ক্যানের বোতল খুললে মেহেদী হাসানসহ তাৎক্ষণিক কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা স্বামী রুপলাল ও জামাই প্রদীপকে রাত ৯টার দিকে বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে গিয়ে অজ্ঞাতনামা অনুমান ৫০০/৭০০ জন উত্তেজিত জনতা রুপলাল ও প্রদীপ লালকে লাঠি-সোটা, লোহার রড, দ্বারা গণপিটুনী দিতে থাকে। গণপিটুনীর একপর্যায়ে রুপপাল ও প্রদীপ লাল গুরুতর জখম হয়ে দুই কান দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে। তাদের আশঙ্কাজন অবস্থা দেখে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে কর্মরত চিকিৎসক রুপলালকে মৃত্যু ঘোষণা করেন এবং প্রদীপকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হলে সেখানে ভোরে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ১০ আগস্ট রুপলালের স্ত্রী ভারতী রানী বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় ৭০০জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই দিন দিবাগত রাতে ঘটনার সময়ের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চার জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পূর্বে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বালাপুর এলাকার এবাদত হোসেন (২৭), বুড়িরহাট এলাকার আক্তারুল ইসলাম (৪৫), রফিকুল ইসলাম (৩৩) ও রহিমাপুরের মিজানুর রহমান (২২)। ওই মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ ফারুক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি, ভিডিও বিশ্লেষণ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়া তথ্য মিলিয়ে ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত শাহজালালকে রাতে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে। -

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কা-রাগারে এক ক-য়েদির মৃ-ত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে সাজেদুল ইসলাম ওরফে ইজদার (৪৫) নামের এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। সাজেদুল ইসলামের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা এলাকায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ২৩ আগস্ট রাতে সাজেদুল ইসলামের বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। এ সময় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সাজেদুল ইসলামের ভাই রবিউল ইসলাম জানান, সাজেদুল আম ও কাঠের ব্যবসা করতেন। ব্যবসার প্রয়োজনে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে সুদের ওপর ঋণ নিয়ে ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্প জমা দেন। কিন্তু ব্যবসায় বিপুল লোকসান হওয়ায় ঋণ শোধ করতে পারেননি।
পরবর্তী সময় চেক প্রতারণার চারটি মামলায় তিনি দণ্ডিত হন। এর মধ্যে এক মামলায় এক বছর, আরও একটিতে ছয় মাস, তৃতীয়টিতে চার মাস ও চতুর্থ মামলায় পাঁচ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান বলেন, সাজেদুল হৃদ্রোগে, ডায়বেটিক, আক্রান্ত ছিলেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। কারা বিধি অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। আগামী ২৬ নভেম্বর তাঁর সাজার মেয়াদ শেষ হতো।
মোঃ হায়দার আলী
গোদাগাড়ী
রাজশাহী -

শিমুল বিশ্বাসের সু-স্থতা কামনা করে সুজানগর উপজেলা শ্রমিকদলের আয়োজনে দো-য়া
এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের সুস্থতা কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুজানগর উপজেলা শ্রমিকদলের আয়োজনে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সুজানগর উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল মান্নান মোল্লার সভাপতিত্বে ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সুজানগর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন বাবু মোল্লার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম মিয়া, উপজেলা শ্রমিকদলের সিনিয়র সহ সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, উপজেলা শ্রমিকদলের যুগ্ন আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম,ভঁায়না ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি রিপন শেখ,সাধারণ সম্পাদক লিটন হোসেন, নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি হাফিজুর রহমান রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আরিফ মন্ডল, শ্রমিকদল নেতা বিপ্লব হোসেন ও রিপন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ শরীক হন। দোয়া পরিচালনা করেন গোয়ারিয়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা জহুরুল ইসলাম। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সুজানগর উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল মান্নান মোল্লা জানান, শিমুল বিশ্বাসের অসুস্থতার খবর শোনার পর থেকেই উদ্বিগ্ন সুজানগর উপজেলা শ্রমিকদলের প্রতিটি নেতাকর্মীসহ পাবনার আপামর মানুষ। জনমানুষের জন্য নিয়োজিত পাবনার এই কৃতিসন্তানের সুস্থতা কামনা করে তাই এই দোয়ার আয়োজন করা হয়। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সুজানগর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন বাবু মোল্লা জানান, নিরলসভাবে জনমানুষের উপকারে নিয়োজিত প্রিয় মানুষ শিমুল বিশ্বাসের উপজেলা শ্রমিকদলের পক্ষ থেকে দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। দোয়া করি, মহান আল্লাহ তাকে সুস্থতা দান করেন এবং আমাদের মাঝে ফিরে আসার তৌফিক দান করেন।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর প্রতিনিধি।। -

ঝিনাইদহে নী-তিমালা ভ-ঙ্গ করে অ-র্থের বি-নিময়ে টিসিবি’র ডিলার নিয়োগে আ.লীগের নাম
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
ঝিনাইদহে নীতিমালা ভঙ্গ করে অর্থের বিনিময়ে ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে চলছে টিসিবি’র কার্যক্রম। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেয়া ডিলার নিয়োগে ছিল ব্যাপক অনিয়ম। ২০২৪ এর ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলেও অসাধু কর্মকর্তাদের অর্থ বাণিজ্যের কারণে বদলায়নি টিসিবি’র কার্যক্রম। সূত্র বলছে, নীতিমালা অনুযায়ী মুদি দোকান ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক না থাকলেও বিভিন্ন দলের নেতাদের চাপে ও অর্থের বিনিময়ে অনেক ডিলারই তদন্ত প্রক্রিয়ায় টিকে যাচ্ছে। প্রকৃত মুদি ব্যবসায়ী না হয়েও অন্যের দোকানে সাইনবোর্ড টানিয়ে ছবি তুলে জমা দিয়েছেন এসব ডিলাররা। আবার কোথাও কোথাও অর্থনৈতিক সুবিধা নেয়ার কারণে অনিয়ম খতিয়ে দেখেন না সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা। ঝিনাইদহে নীতিমালা ভঙ্গ করে এমপিওভুক্ত দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক হয়েছেন টিসিবি’র ডিলার, একই পরিবারের পিতা ও ছেলে হয়েছেন টিসিবি ডিলার। এ ছাড়া নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঝিনাইদহ পৌর শাখার সভাপতি মো. খাইরুলের নামে ও সাবেক এমপি হাই সাহেবের পিএস রিয়াদ হোসেনের নামে টিসিবি’র ডিলারশিপ বহাল রাখা হয়েছে। অথচ রিয়াদের নিজস্ব কোনো মুদি দোকান নাই। নিজের বাসাতেই টিসিবি পণ্য বিতরণ করে থাকে। আর খাইরুল প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকায় ডিলারশিপ ভাড়া দিয়ে রেখেছে। সরজমিন দেখা যায়, চলতি আগস্ট মাসের এমপিওভুক্ত শিক্ষক হয়েও মেসার্স আলাউদ্দিন ট্রেডার্সের মালিক মো. আলাউদ্দিন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার টিসিবি ডিলারশিপ পেয়েছেন। এ ছাড়া তার ছেলে মো. মাহবুবুর রহমানের প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাহবুবুর ট্রেডার্স নামেও রয়েছে টিসিবি ডিলার। টিসিবি’র নীতি মালায় রয়েছে একজন ব্যক্তির নামে সরকারের দুইটি প্রতিষ্ঠানের ডিলারশিপ থাকতে পারবে না। কিন্তু সততা ট্রেডার্সের মালিক মিরাজ জামান রাজের নামে ওএমএস এবং টিসিবি দুটি ডিলারশিপই আছে।
চলতি মাসে ডিলারদের মধ্যে জেলা জুড়ে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ৬৫ হাজার ১২০ জন। এর কার্ড নির্ধারণেও হয়েছে ব্যাপক বৈষম্য আর অনিয়ম। আগস্ট ২০২৫ মাসের টিসিবি’র ডিলার প্রতি উপকারভোগীর সংখ্যা নির্ধারণপূর্বক তালিকায় দেখা যায় কালীগঞ্জ উপজেলার মেসার্স মো. শাহাবুদ্দিন ট্রেডার্স একাই কার্ড পেয়েছেন ২১১৯টি, কালীগঞ্জ এর সেতু ট্রেডার্সের নামে হয়েছে ১৬৭১টি কার্ড, ঝিনাইদহের রঙ্গীলা স্টোর কার্ড পেয়েছেন ১৬৩০টি, মহেশপুরের আহমদ আলী পেয়েছেন ২২৪৬টি কার্ড, মেসার্স মামুন স্টোরের নামে হয়েছে ১৯৩১টি কার্ড। কোনো কোনো ডিলার একাই টিসিবি’র মালামাল দিচ্ছেন জেলার ৪ জায়গায়। অন্যদিকে ঝিনাইদহের সততা ট্রেডার্স পেয়েছেন মাত্র ৫৮০টি কার্ড, ঝিনাইদহের আরেক ডিলার রাসেল ট্রেডার্স পেয়েছেন ৫৮০টি কার্ড। অথচ ঝিনাইদহের পোড়াহাটি ইউনিয়নে মণ্ডল ট্রেড পেয়েছেন ১২৪৪টি কার্ড। এ বিষয়ে মেসার্স শাহাবুদ্দিন ট্রেডার্সের মালিক জানান, এসব খবর তারা বলতে পারবেন না। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে দেখভাল করা হয়। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের টিসিবি’র ক্যাম্প অফিসের উপ-পরিচালক মো. আকরাম হোসেন জানান, কোনো ডিলারের অনিয়ম পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ ছাড়া ঝিনাইদহে নতুন ও পুরাতন ডিলারদের তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষ হলে আমরা সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারবো। টিসিবি’র অনিয়মের বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, আমরা তদন্ত করে বেশ কিছু ডিলার বাদ দিয়েছি। এখনো তদন্ত চলছে। নতুন ডিলার এবং পুরাতন ডিলারদের নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।আতিকুর রহমান
ঝিনাইদহ। -

তানোরে আমণখেতে পো-কার আ-ক্রমণ
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে বিস্তীর্ণ আমণখেতে
পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।এতে
আমণ চাষিরা অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কিন্ত্ত কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীদের কাছে থেকে কাঙ্খিত পরামর্শ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।গত কয়েক দিনের একটানা বৃষ্টির কারণে আমণখেতে পোকার আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে,উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমন চাষেরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর। এবার স্থানীয় জাতের পাশাপাশি উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের ধানের চারা রোপণ করছেন। সারা মাঠ ছেঁয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্নের গুটি স্বর্ণা, সুমন স্বর্ণা, ব্রি-ধান-৪৯, ব্রি-ধান-৫১, ব্রি-ধান-৭৫, ব্রি-ধান-৮৭, ব্রি-ধান-৯৫, ব্রি-ধান-১০৩ সহ বিভিন্ন জাতের ধান।
এদিকে গত ২৫ আগস্ট সোমবার সরেজমিন উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের(ইউপি)মাদারীপুর, হাতিশাইল, ছাঐড়, হাতিনান্দামাঠ ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ আমণখেত পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।কিন্ত্ত অধিকাংশ আমণের জমিতে বৃষ্টির কারণে কীটনাশক প্রয়োগ করতে পারেনি। আবার অনেক কৃষক বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক স্প্রে করেও কাঙ্খিত সুফল পাচ্ছেন না। ছাঐড় গ্রামের কৃষক এমদাদুল হক বলেন,তার তিন বিঘা জমির ধানে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।তিনি বলেন,কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শ ছাড়াই অনুমান নির্ভর হয়ে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক স্প্রে করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না। কৃষক আয়ুব ও আব্দুল বলেন,তাদের ৫ বিঘা জমির ধানে আমণ পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।কিন্ত্ত টানা বৃষ্টির কারণে তারা এখানো জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে পারেননি। এছাড়াও শহিদুলের ২ বিঘা ও আহমেদ আলীর ৫ বিঘা জমিতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয কৃষকেরা জানান, এবার আমন
চাষের মৌসুম থেকে কৃষকদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কারণ গত বছরের তলনায় এবছর আমন চাষের সময়ে অতি বৃষ্টি ও ছিল সারের সঙ্কট। কিন্ত্ত আমণের ভরা মৌসুমে পোকার আক্রমণ ও নন ইউরিয়া সারের সংকট দেখা দেয়ায় তারা ফলন উৎপাদন নিয়ে রীতিমত শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এদিকে কৃষি পরামর্শ ব্যতিত অনুমান নির্ভর ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের পরামর্শ মতো বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করেও তারা কাঙ্খিত সুফল পাচ্ছেন না। উপজেলার বাধাইড় ইউপির কৃষক মতিন ও হিম্মত আলী বলেন, বাজারে যেভাবে নামি-দামি কোম্পানির কীটনাশক বিষ বিক্রি করা হচ্ছে, তাতে কোনটা আসল কোনটা নকল সেটা বোঝা বড় দায়। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।#