Author: desk

  • ঢাকায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ানের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ-যাপিত

    ঢাকায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ানের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ-যাপিত

    ।।এ কে খান ও গোলাম মোস্তফা রাঙ্গা।।

    বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষায়িত ইউনিট, আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি), তাদের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্প্রতি অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করেছে। রাজধানীর ভাটারা এলাকায় অবস্থিত এই ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, এসজিপি, বিএএম, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে একটি চৌকস দল মহাপরিচালককে “গার্ড অব অনার” প্রদান করে। এরপর মহাপরিচালক কেক কেটে এবং বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভ উদ্বোধন করেন। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দরবারে মহাপরিচালক এজিবি’র সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, একটি বিশেষায়িত ইউনিট হিসেবে এজিবি’র সদস্যদের আরও দক্ষ, পেশাদার এবং শারীরিক ভাবে সক্ষম করতে প্রশিক্ষণের মানোন্নয়নের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এজিবি’র সদস্যরা ইতোমধ্যেই সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করে প্রশংসিত হয়েছে। মহাপরিচালক শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী কোনো কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সকল সদস্যকে কঠোর নির্দেশনা দেন। বাহিনীর সদস্যদের মৌলিক চাহিদা পূরণের প্রতি তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে মহাপরিচালক বলেন, তিনি সবসময় সদস্যদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিতে কাজ করে যাবেন। তিনি সকল সদস্যকে পেশাগত দায়িত্ব ও ব্যক্তিগত জীবনে সচেতনতা, সততা ও শৃঙ্খলার সাথে পথ চলার নির্দেশ দেন। অনুষ্ঠানে সদর দপ্তরের উপমহাপরিচালক (অপারেশন্স) মোঃ সাইফুল্লাহ রাসেল, বিএএম, পিএএমএস, বিভিএমএস, এজিবি’র অধিনায়ক ও পরিচালক রাসেল আহমেদ, বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কর্মচারী বিভিন্ন পদবির সদস্য এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শেষে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে অধিনায়ক মহাপরিচালক-কে একটি বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সদস্যদের জন্য বিশেষ প্রীতি ভোজেরও আয়োজন করা হয়

  • বুড়িচংয়ে গ্রামের নাম পরি-বর্তন করে ভু-য়া শিক্ষক নি-য়োগের অ-ভিযোগ

    বুড়িচংয়ে গ্রামের নাম পরি-বর্তন করে ভু-য়া শিক্ষক নি-য়োগের অ-ভিযোগ

    তরিকুল ইসলাম তরুন,
    কুমিল্লা প্রতিনিধি:
    কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী কালিকাপুর গ্রামে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া শিক্ষক নিয়োগ দেখিয়ে সরকারি রাজস্ব খাত থেকে বেতন ভোগের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ—একটি কুচক্রী মহল সু-কৌশলে গ্রামের নাম পরিবর্তন করে “উত্তর কালিকাপুর” দেখিয়ে হাফিজিয়া মাদ্রাসাকে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা হিসেবে চালানোর পাঁয়তারা করছে।

    সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায়। বিষয়টি প্রকাশিত হয় জাতীয় দৈনিক রূপসী বাংলা (১৯ আগস্ট ২০১৯) এবং দৈনিক যুগান্তর (২৩ আগস্ট ২০১৯)-এ। একই বছর জেলা প্রশাসক কার্যালয়, কুমিল্লা থেকে স্মারক নং-১৯৮০১ (শিক্ষা), তারিখ ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে প্রাপ্ত ডকেটের ভিত্তিতে ঘটনাটি অনুসন্ধানে নেয়া হয়। তখন অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়, গ্রামের কবরস্থানের জমিকে মাদ্রাসার নামে দেখিয়ে এবং ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে মাত্র ৫টি পরিবার থেকে ৫ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেখানো হয়েছিল।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি তদন্তে ভুয়া কাগজপত্র ধরা পড়ার পর গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক গণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রতারণায় জড়িতরা ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং মুরব্বি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জামশেদুল আলমের নিকট ভুয়া কাগজপত্র জমা রাখে। তখন সিদ্ধান্ত হয়—ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ নিলে তা গ্রামবাসীর মতামত ও সরকারি নিয়মনীতি মেনে করা হবে।

    তবে অভিযোগ রয়েছে, সম্প্রতি পুনরায় ওই চক্রটি মাদ্রাসার নামে শিক্ষক নিয়োগ দেখিয়ে সরকারি বেতন ভোগের চেষ্টা করছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ভুয়া শিক্ষক হিসেবে যাদের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে তারা হলেন—
    ১) মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ (কথিত প্রধান শিক্ষক)
    ২) আফজাল হোসেন (সহকারী প্রধান শিক্ষক)
    ৩) নুরে তামজিদ (সহকারী জুনিয়র শিক্ষিকা)
    ৪) কানিজ ফাতেমা (সহকারী জুনিয়র শিক্ষিকা)
    ৫) নাজমা আক্তার (সহকারী জুনিয়র শিক্ষিকা)

    গ্রামবাসীর দাবি, “উত্তর কালিকাপুর” নামে কোনো গ্রামের অস্তিত্ব নেই। অথচ আদি গ্রাম কালিকাপুরের নাম পরিবর্তন করে প্রতারণামূলকভাবে কাগজপত্র জমা দেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে হাজার বছরের কবরস্থানের জায়গার পবিত্রতা নষ্ট করা হচ্ছে এবং অযোগ্য লোকদেরকে ভুয়া শিক্ষক নিয়োগ দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করার চেষ্টা চলছে।

    কালিকাপুর গ্রামের সচেতন মহল বলছে—এটি একটি শিক্ষানুরাগী গ্রাম, যেখানে ইতোমধ্যে সরকারি ডিগ্রি কলেজ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন, হাফিজিয়া মাদ্রাসা, ইউপি অফিস ও ভূমি অফিস রয়েছে। সমাজের মানুষ পরস্পরের সহযোগিতায় উন্নয়নের পথে গ্রামকে এগিয়ে নিয়েছে। তাই গ্রামের নাম পরিবর্তন ও ভুয়া শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব খাত থেকে অর্থ আত্মসাৎ করার ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।

    উপরোক্ত বিষয়ে মাদ্রাসার কথিত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ অভিযোগগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে অভিযোগকারীদের পূর্বে বিরোধ ছিল। সম্ভবত সেই বিরোধের কারণেই তারা এমন অভিযোগ করছে। মাদ্রাসার নামকরণ করেছেন প্রতিষ্ঠাতা, যিনি ইতোমধ্যে মৃত। নামকরণ নিয়ে আমি কিছু জানি না, আমি এখানে কেবল শিক্ষাদান করি। শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাদ্রাসা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয়েছে।”

    তিনি আরও বলেন, “আপনারা সরেজমিনে আসুন, গ্রামের আরও অনেক মানুষ আছেন। তাদের কাছ থেকেও বিস্তারিত জেনে তারপর সংবাদ প্রচার করুন।”

    গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক কুমিল্লার নিকট আবেদন জানানো হয়েছে—বিষয়টি পুনরায় সুষ্ঠু অনুসন্ধানপূর্বক প্রতারণা ও জালিয়াতির হাত থেকে গ্রামকে রক্ষা করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

  • পাইকগাছায় ভাসমান বীজতলায় সফ-লতা পেয়েছে কৃষক

    পাইকগাছায় ভাসমান বীজতলায় সফ-লতা পেয়েছে কৃষক

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা (খুলনা)।।
    খুলনার পাইকগাছায় অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতা মোকাবেলায় কলাগাছের ভেলায় ভাসমান ধানের বীজতলা তৈরি করে সফলতা পেয়েছে কৃষক পরিবার। অতিবৃষ্টি, নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতায় নাকাল উপকূলের পাইকগাছার কৃষক। সর্বশেষ টানা বর্ষণে শুধু খুলনায়ই ফসল,সবজি ও আমনের বীজতলা নষ্ট হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১৩ সহস্রাধিক কৃষক। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভাসমান ধানের বীজতলা তৈরি করে সফলতা পেয়েছে খুলনার এক কৃষক পরিবার।চলতি বর্ষা মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতে কয়েক দফা বীজতলা নষ্ট হওয়ায় এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন পাইকগাছা উপজেলার নোয়াকাটি গ্রামের কৃষক রোকেয়া পারভীন। দেবর আব্দুল কুদ্দুসকে নিয়ে ফেলে দেওয়া কলাগাছ, বাঁশ ও মাটি ব্যবহার করে তৈরি বীজতলা এখন দুর্যোগকবলিত কৃষকদের আশার আলো দেখাচ্ছে।কৃষাণী রোকেয়া পারভীন বলেন, বৃষ্টির জন্য কয়েক দফায় প্রায় ১০০ কেজি বীজ ধান নষ্ট হয়ে গেছে। কোনো কূল-কিনারা পাচ্ছিলাম না। অ্যাওসেডের কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে কলাগাছের ভেলা বানিয়ে কাদামাটি তুলে ব্রি-৭৫ আমন ধানের বীজ ফেলছি। একটি বীজও নষ্ট হয়নি, মাত্র ১৫ দিনে চারা রোপণের মতো হয়েছে। এখন আশপাশের কৃষকরা ভাসমান বীজতলায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন।রোকেয়ার দেবর আব্দুল কুদ্দুস বলেন, প্রথমে আমাদের কাজ দেখে সবাই পাগল বলত। বলত কলাগাছের ভেলায় ধান হলে তো কারো জমির দরকার ছিল না। কিন্তু এখন সবাই অবাক। এখানে কোনো সার-কীটনাশকও লাগেনি। জমিতেও এমন ধানের চারা আর কখনো হয়নি।শুধু আমরা না, গ্রামের সবাই খুশি।নোয়াকাটি গ্রামের কৃষক কবির মোড়ল বলেন, মাত্র ১০ দিনে তিন-চার ইঞ্চি ধানের চারা। যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না। অথচ আমার বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষক আবদুল্লাহ মোড়ল জানান, চলতি আমন মৌসুম বৃষ্টির কারণে এক মাস দেরি হয়েছে। সামনে আর সমস্যা হবে না। কলার ভেলা, কচুরিপানা ও প্লাস্টিকের ড্রামের মাধ্যমে মাচা তৈরি করে ধানের বীজতলা করা যাবে।বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অটোক্রোপ কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, কলাগাছের ভেলায় ধানের বীজতলা কৃষকদের স্বপ্ন দেখাবে। ভাসমান ভেলায় ধানের বীজতলা তৈরিতে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করেছেন অ্যাওসেডের কমিউনিটি মোবালাইজার শুভঙ্কর বিশ্বাস। তিনি বলেন, এবার পাইকগাছাসহ খুলনা অঞ্চলে আমনের বীজতলা কয়েকবার নষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থা থেকেই ভাসমান বীজতলা তৈরির ভাবনা, কৃষকরা যার সফল বাস্তবায়ন করেছেন।পাইকগাছা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন বলেন, ইতিপূর্বে পাইকগাছায় ভাসমান বীজতলা তৈরির প্রয়োজন পড়েনি। চলতি বর্ষা মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতে কৃষকের বীজ তলা একাধিকবার নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যেও কৃষকরা উচু জায়গায় বীজ তলা তৈরি করেছে। বিগত ২০ বছরে এমন বৃস্টি হয়নি। এনজিও অ্যাওসেডের উদ্যেগে উপজেলার নোয়াকাটিতে কলাগাছের ভেলায় একটি বীজতলা করা হয়েছে।খুলনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, এটি ভালো উদ্যোগ। কৃষকের ঝুঁকি কমাতে উঁচু স্থানে বা ভেলা বিকল্পভাবে বীজতলার ব্যবস্থা করতে হবে।

    ইমদাদুল হক
    পাইকগাছা খুলনা।

  • ভালুকায় ৩ দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ অ-ভিযান ও বৃক্ষ মেলার উ-দ্বোধন

    ভালুকায় ৩ দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ অ-ভিযান ও বৃক্ষ মেলার উ-দ্বোধন

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ময়মনসিংহের ভালুকায় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও ৩দিনব্যাপী বৃক্ষ মেলা ২০২৫ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকাল ৩টায় ভালুকা উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ ভালুকা উপজেলার যৌথ আয়োজনে ভালুকা উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত মেলার ফিতা কেটে এবং বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটির সভাপতি হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- সহকারী কমিশনার ভূমি ইকবাল হোসেনসহ উপজেলা প্রশাসন, বন বিভাগ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

    এসময় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বনজ সম্পদ সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণ অপরিহার্য। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিরাপদ বাংলাদেশ উপহার দিতে হলে প্রত্যেকেরই অন্তত একটি করে গাছ রোপণ করা উচিত। তাঁরা আরও বলেন, বৃক্ষই মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু- যা আমাদের খাদ্য, আশ্রয়, জ্বালানি ও অক্সিজেন সরবরাহ করে। তাই পরিকল্পিত বনায়ন ও নার্সারিগুলোকে সমৃদ্ধ করার আহবান জানান।

    বৃক্ষ রোপনে সকলকে উৎসাহী করার আহবান জানিয়ে প্রধান অতিথি কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, বৃক্ষ হচ্ছে শস্য ভান্ডার। খাদ্যশস্যের প্রধান উৎস হচ্ছে এই গাছ। গাছ স্বজীবী আমরা পরজীবী। এটি আমাদের অক্সিজেন ও খাবার দিচ্ছে। গাছ লাগানো সওয়াবের কাজ। আপনারা মেলা থেকে অন্তত একটি করে গাছ কিনবেন। বৃক্ষমেলা প্রকৃতপক্ষে গাছ লাগানোর একটি সামাজিক আন্দোলন, একটি ক্যাম্পেইন। সবাইকে সারাবছর গাছ লাগানোর আহবান জানান প্রধান অতিথি।

    মেলায় প্রায় শতাধিক স্টল স্থান পেয়েছে। ভালুকা অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গার নির্ধারিত নার্সারি মালিকরা এ স্টলগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ নিয়ে এসেছেন।

    বৃক্ষ ও বৃক্ষমেলার গুরুত্ব তুলে ধরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটির সভাপতি হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, আমরা মানবজাতি কতোটা নির্বোধ। নির্বিচারে গাছ কাটছি, বন ধ্বংস করছি। যে গাছ কিনা মানবজাতির জন্য খাবার তৈরি করছে। বিপরীতে আমরা কিছু তৈরি করতে পারিনা। ঔষধি গাছগুলো মানুষের ঔষধ তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে। আমরা যে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করছি সেটা গাছ শোষণ করে নিচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে গাছ লাগানোর ব্যাপারে আমাদের সচেতন হওয়া দরকার। বায়ু দূষণ রোধ করার একমাত্র উত্তম উপায় হচ্ছে বেশি করে গাছ লাগানো। তিনি সকলকে বেশী করে গাছ লাগানোর আহবান জানান।

  • জলাশয় অ-বৈধভাবে বন্দোবস্ত দেওয়ায় রেল কর্মকর্তা রাশেদের বি-রুদ্ধে ত-দন্ত শুরু

    জলাশয় অ-বৈধভাবে বন্দোবস্ত দেওয়ায় রেল কর্মকর্তা রাশেদের বি-রুদ্ধে ত-দন্ত শুরু

    এম এ সালাম,
    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
    বাংলাদেশ সরকারের রেল আইন ভঙ্গ করে রেল কর্মকর্তার পিতার নামে রেলের জলাশয় বন্দোবস্ত দেওয়ায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে পাকশী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পাকশী রেল অঞ্চলের সহকারী ভু সম্পত্তি কর্মকর্তা মামুন অর রশীদের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি লাহিড়ী মোহনপুর টু দিলপাশার স্টেশনের মধ্যবর্তী উল্লাপাড়া উপজেলার পশ্চিম বংকিরাট মৌজার দিলপাশার রেলসেতুর নিচের বিবাদমান জলাশয় পরিদর্শন করেন তদন্ত কমিটি। এ সময় কমিটির অপর দুই সদস্য উল্লাপাড়া রেলস্টেশনের কর্মরত কাকন গো শরিফুল ইসলাম এবং পাকশী হেড কোয়াটারের অফিস সহকারী আহসান হাবীব উপস্থিত ছিলেন।
    অভিযোগকারী তুহিনের অভিযোগে জানা গেছে, ১৯৭০ সাল থেকে উল্লাপাড়া উপজেলার পশ্চিম বংকিরাট মৌজার সীমান্তে দিলপাশার রেলসেতুর নিচে সি এস-২৫ (টিপি নং-১৫৪/৫ থেকে ১৫৪/৬) দাগে ১ দশমিক ৫২ শতাংশ জলাশয় মৎস্য আহরণের জন্য রেল আইন মেনে খাজনা পরিশোধ করে উল্লাপাড়া উপজেলার বংকিরাট গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জা ও তার ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লায়েক মির্জা উভয়ে এই জলাশয়ের পাশ্ববর্তী জমির মালিক হওয়ায় ৫৫ বছর ধরে জলাশয়টি বন্দোবস্ত নিয়ে ভোগ দখল করেন। তাদের অবর্তমানে লায়েক মির্জার সন্তান মির্জা কে. ই তুহিন ভোগ দখলে রয়েছেন। কিন্তু চলতি বছরে খাজনা পরিশোধ করতে গিয়ে তুহিন দেখতে পান তাদের ভোগ- দখলী জলাশয়টি কোন রকম নোটিশ ব্যতীত অবৈধ উপায়ে কতৃপক্ষ জনৈক আলী আকবর নামের এক ব্যক্তিকে নতুন করে গত ২৮ জুলাই- ২০২৫ ইং তারিখে বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিমাঞ্চল) রাজশাহীতে কর্মরত সংস্থাপন কর্মকর্তা তার পিতার নামে বন্দোবস্ত দিয়েছেন। এই সুচতুর, দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী এস. এম রাশেদ ইবনে আকবর তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে স্বজনপ্রীতি করে তার পিতা আলী আকবর (বাসা ১০/৫, মোল্লাপাড়া রোড, খালিশপুর, খুলনার নামে অবৈধভাবে খাস আদায় করেছেন। এটা রেলওয়ে আইনের নিয়ম ও বিধিবর্হিভুত। মির্জা কে. ই তুহিন ব্যবস্থা চেয়ে বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মহাপরিচালক এবং পাকশী মহাব্যবস্থাপক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন কতৃপক্ষ।

    মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দাবি অবৈধ ইজারা বাতিল পুর্বক পুনরায় প্রকৃত ইজারদাদের নিকট হস্তান্তর করে শান্তি স্থাপন করার অনুরোধ জানান তারা।

    তদন্ত কমিটির প্রধান পাকশী সহকারী ভু- সম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ মামুন অর রশিদ গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি আরও অধিক তদন্ত সাপেক্ষে রির্পোট প্রদান করা হবে।

    এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহা- পরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন মুঠোফোনে জানান, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • খেলার মাঠ র-ক্ষায় মান-ববন্ধন ও র‍্যালি

    খেলার মাঠ র-ক্ষায় মান-ববন্ধন ও র‍্যালি

    দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে ২৭ই আগস্ট বুধবার দুপুর ১২ টায় পশ্চিম ভোগডোমায় খেলার মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনগণ।

    মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন, উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভোগডোমায় আদিবাসী ও স্থানীয় মুসলিম জনতার দীর্ঘদিনের খেলার মাঠের ফুটবল গোল পোস্ট ভেঙ্গে ফেলে হ্যারো দিয়ে চাষ করে ঐ এলাকার মৃত সোহরাব আলীর ছেলে নুরুন্নবী, তার ভাই মাসুদ, মামুনসহ অন্যরা বলে মানববন্ধনে অংশ নেয়া প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভূমিদস্যর লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সেখানে সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কলার চারাগাছসহ বনজ বৃক্ষের চারাগাছ লাগানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আদিবাসী প্রতিবাদি ইয়ংস্টার ক্লাবের সদস্যগন এবং গ্রামবাসীরা তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ভূমিদস্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

    ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইয়ং স্টার ক্লাবের পক্ষে সভাপতি বাবু লাল মুর্মু ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল বাস্কে জেলা প্রশাসক বরাবর ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন বলেও তারা জানায়।

    মানববন্ধনে অবিলম্বে ভূমির দস্যু নূরনবী সহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আব্দুল জব্বার, বাবুল ইসলাম, আদিবাসী নেতা জোসেফ হেমরম পাথরাজ কিস্কু, বাজুন বেসরা, অ্যাড ওয়াড হেমরম, পিউস মুরমু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারী পুরুষ সহ অসংখ্য গ্রামবাসী।

    মানববন্ধন শেষে র্যলি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে গিয়ে অভিযোগ দেন।

    এ সময় বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আমিরুল বাহার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এলাকাবাসীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে যৌক্তিক দাবী দীর্ঘ দিনের খেলার মাঠ রক্ষার জন্য সু দৃষ্টি কামনা সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানান।

    এ ব্যাপারে পাল্টাপুর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী আব্দুল মান্নান জানায়, পশ্চিম ভোগডোমা মৌজার খাস খতিয়ান ভুক্ত ৬১৪, ৬১৫ ও ৬১৬ দাগের ৩ একর জমি স্থানীয় জনগণের ব্যবহার্য খেলার মাঠ। বিতর্কিত জায়গা সরকারী তবে খেলার মাঠ হিসেবে বহুল পরিচিত।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আহমেদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি ইতিমধ্যে আমলে নিয়ে সরকারি জমিতে সাইন বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গৌরনদীতে প্র-স্তুতি সভা অনুষ্টিত

    বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গৌরনদীতে প্র-স্তুতি সভা অনুষ্টিত

    কে এম সোয়েব জুয়েল,
    গৌরনদী প্রতিনিধি।
    বাংলাদেশ জাতীয় দল (বিএনপি)র ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গৌরনদী উপজেলা পৌর ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এক প্রস্তুতি সভা বুধবার সকালে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা আকন কুদ্দুসুর রহমানের মেদাকুলস্থ বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়। গৌরনদী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল জেলা কমিটির সদস্য জহুরুল ইসলাম জহিরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহসংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান। এতে বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা বিএনপির সদস্য মনজুর হোসেন মিলন, তাইফুর রহমান কচি, হোসনেআরা বেবি, বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন বাবুল, সাবেক পৌর কাউন্সিরর ও বিএনপি নেতা মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ নাসির সরদার, মোঃ আবু বকর, দুলাল আকন, আমজাদ হোসেন ঝিন্টু, মশিউর রহমান লিটন, জেলা যুবদল নেতা মাসুদ হাসান মিঠু, এম, এ গফুর, মোঃ মাসুম হাওলাদার, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ রুবেল গোমস্তা, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ রাসেল হাওলাদার, কলেজ ছাত্রদল নেতা মোঃ আলী প্রমূখ। আসছে ১ সেপ্টেম্বর গৌরনদী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্নাঢ্য র্যােলী ও সমাবেশ সফল করার বিভিন্ন সিদ্বান্ত গ্রহন করা হয়।

  • পটিয়ায় ভ্রা-ম্যমান আদালতের অ-ভিযানে ৪৯ হাজার টাকা জ-রিমানা

    পটিয়ায় ভ্রা-ম্যমান আদালতের অ-ভিযানে ৪৯ হাজার টাকা জ-রিমানা

    মহিউদ্দীন চৌধুরী।।
    চট্টগ্রামের পটিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে পটিয়া পৌরসভার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট ফারহানুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন- পটিয়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নেজামুল হক, সহকারি প্রকৌশলী মিজানুর রহমান খন্দকার, লাইসেন্স পরিদর্শক বিধান দাশ, অরজিত কুমার বসু দে, নক্সাকার আবুল ফাতা আল মামুন। সড়কে ও ফুটপাতে অবৈধভাবে দোকানের মালামাল, ভবন নির্মাণের মালামাল রাখাসহ বিভিন্ন কারনে ১৫জনকে ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়েছে।

    পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান জানান, পৌরসভার অর্থায়নে ড্রেন কাম ফুটপাত করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ এ ড্রেন দখল করে বিভিন্ন স্থানে স্থাপনা রাখা হয়েছে। যার কারণে চলাচলে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। সড়কে ও ফুটপাতে অবৈধভাবে দোকানের মালামাল, ভবন নির্মাণের মালামাল রাখা, পৌরসভার অনুমোদিত নকশা/নকশা অনুমোদন ব্যতীত স্থাপনা নির্মাণ, ট্রেড লাইসেন্স হালনাগাদ না থাকা, ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনজনিত অপরাধে সংশ্লিষ্ট আইনে জরিমানা করা হয় এবং মালামাল জব্দ করে পৌরসভার জিম্মায় নেওয়া হয়। অভিযান চলমান রাখা হবে বলে জানান।

  • ইউএনও জিন্নাত শ-হীদ পিংকির মেধা-দক্ষতায় পাল্টে যাচ্ছে জামালপুর সদরের দৃ-শ্যপট

    ইউএনও জিন্নাত শ-হীদ পিংকির মেধা-দক্ষতায় পাল্টে যাচ্ছে জামালপুর সদরের দৃ-শ্যপট

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    জামালপুর জেলার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিন্নাত শহীদ পিংকি। উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড কে তরান্বিত করার পাশাপাশি তিনি একজন মানবিক মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময় হতদরিদ্র-অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন বহুবার। তিনি জামালপুর সদরে যোগদানের আগে ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সফলতার সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে পাল্টে যাচ্ছে অনেক দৃশ্যপট। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে নিয়োজিত আছেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে তিনি উপজেলার প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন মেধা ও দক্ষতার সাথে।

    জিন্নাত শহীদ পিংকি বর্তমানে জামালপুর সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি তার সততা ও কর্মদক্ষতা দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন এবং নাগরিক সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তিনি গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে সহায়তা প্রদান করে নিজেকে একজন জনবান্ধব ও মানবিক ইউএনও হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি সেবাগ্রহীতাদের ধৈর্য ধরে কথা শোনেন এবং তাদের সমস্যা সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করেন। মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে গরিব, অসহায় ও অতিদরিদ্র মানুষের বাড়িতে গিয়ে সরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে সহায়তা প্রদান করে ‘মানবিকতার ফেরিওয়ালা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। সেই সাথে প্রশাসনিক দক্ষতা হিসাবে তার সততা ও কর্মদক্ষতার কারণে জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্রের আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে।

    জামালপুর সদরে যোগদানের পর থেকে সার্বক্ষণিক সেবামূলক কাজ করে মানবিক ইউএনও হিসেবে উপজেলাবাসীর নিকট পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হন। নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে লাগে না কোন অনুমতি। ইচ্ছা করলে যে কেউ তার অফিসে বিনা-অনুমতিতে প্রবেশ করতে পারেন। দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি কারণে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। উপজেলায়,ইভতিজিং,মাদক,খাবার হোটেল, নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, নিষিদ্ধ চায়না দুয়ার, রেজিস্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেল, লোকাল ট্রাক চলাচল, অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন; অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করার জন্য তাঁর রয়েছে বিশেষ নজরদারি। রাস্তাঘাট নির্মাণ, সরকার কর্তৃক বরাদ্দ স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে জনকল্যাণে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে রয়েছে তার বিশেষ সুনাম।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রশংসা করে অনেকেই বলেন, শত বছর বেঁচে থাকুক মানবিকতার এমন মহৎ মানুষটি। জামালপুর সদরে দরিদ্র শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও লেখাপড়া খরচ দেওয়ারও দৃষ্ঠান্ত রয়েছে অনেক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিন্নাত শহীদ পিংকি বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আমি প্রচেষ্ঠা করে যাচ্ছি মাত্র।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিন্নাত শহীদ পিংকি জামালপুর সদরে যোগদানের পর থেকে উপজেলার
    বাঁশচড়া ইউনিয়ন এর বটতলা এলাকায় প্রতিবেশীর গোরস্থান সংলগ্ন পরিত্যক্ত জংগলে বসবাস করা অসহায় ভূমিহীন বিধবা আছিয়া বেগমের খোজ নিয়ে তার চাওয়া অনুযায়ী তার জন্য একটি গরুর ব্যবস্থা করাসহ তার ঘর করার জন্য টিন, নগদ টাকা ও কয়েকমাস এর খাবারের বন্দোবস্ত ও করা,তুলসীপুর বাজার টু জামাতলী বাজারের জনবহুল রাস্তাটির গার্লস স্কুলের পাশের অংশে রাস্তা ভেঙ্গে বিশাল গর্ত হয়ে জান ও জন চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাস্তাটির সংস্কার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা, প্রতিবন্ধী শাহিন মিয়াকে উপহার হিসেবে অটোরিকশা প্রদান,উপজেলার রওজাতুল উলুম এতিমখানা, (দড়িহামিদপুর, রানাগাছা) এতিমখানার শিশুদের মাঝে কলম, খাতা, জ্যামিতি বক্স,ছাতা বিতরণ,
    নান্দিনার দড়িহামিদপুর এতিমখানার শিশুদের
    শিক্ষা উপকরণ বিতরণ,উপজেলার প্রতিবন্ধীসহ অসহায় মানুষের খোজ খবর নিয়ে তাদের মাঝে
    ঈদ উপহার হুইল চেয়ার প্রদান করে দৃষ্টান্তমূলক নজির স্হাপন করা,শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন স্কুল প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে খোজ খবর নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম থেকে শিশুদের ফিরিয়ে এনে বিদ্যালয়ে ভর্তি করা,সামাজিক ব্যাধি হিসাবে পরিচিত এবং শিশুর বিকাশে চরম বাধা শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়েকে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার মত বিভিন্ন মানবিক ও সামাজিক কাজে উল্লেখ্য যোগ্য ভূমিকা রেখে উপজেলাবাসীর কাছে একজন মানবিক ইউএনও হিসেবে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন।

  • রাইস মিলের ব-র্জ্যে ভূগ-র্ভস্থ পানি দূ-ষণ

    রাইস মিলের ব-র্জ্যে ভূগ-র্ভস্থ পানি দূ-ষণ

       

     
    বাবুল হোসেন,
    পঞ্চগড় প্রতিনিধি : শহরের জালাসী এলাকায় মিলের বর্জ্য নির্গত করে ভূগর্ভস্থ পানি দূষণের অভিযোগ উঠেছে তানিম অটো রাইস মিলের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে ওই এলাকার নলকূপের পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় মিল কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

    গত ২৫ আগস্ট রাইস মিলটির স্বত্বাধিকারী মো. জিন্নাহ বরাবর কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠান পরিবেশ অধিদপ্তরের পঞ্চগড় জেলা কার্যালয়।নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইউসুফ আলী।

    মো. ইউসুফ আলী স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়েছে, রাইস মিল থেকে নির্গত তরল বর্জ্য সরাসরি ভূগর্ভস্থ পানিতে নির্গত করার মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি দূষণ করা হচ্ছে। এতে স্থানীয়দের নলকূপের পানি দূষিত হয়ে পড়েছে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে – এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। নোটিশে মিল মালিকের কাছে ৭ দিনের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব চাওয়া হয়েছে। অন্যথায়, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিল সংলগ্ন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এখন বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট। ৮০-৯০ ফিট গভীরের নলকূপ থেকেও দুষিত পানি বের হচ্ছে। মিল কর্তৃপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় চুপ রয়েছেন স্থানীয়রা। অনেকেই বাধ্য হয়ে নতুন করে আরো গভীর বোড়িং-এর নলকূপ বসাচ্ছেন। তবে এই বর্জ্য নির্গত দমন না করলে দ্রুতই আরো গভীরে পৌঁছাবে বলে দাবি স্থানীয়দের।

    রাইস মিলের পাশেই আইনজীবী মাহমুদ আল মামুন হিমুর বাড়ি। তিনি বলেন, তরল বর্জ্য সরাসরি ভূগর্ভস্থ পানিতে নির্গত হওয়ায় আশপাশের নলকূপ গুলোর পানি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। আগে আমরা যে পানি খেতাম, এখন সেটা খাওয়ার অযোগ্য হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে দূরের এলাকা থেকে পানি আনতে হচ্ছে। তিনি বলেন, পানি দুষনের কারণে স্বাচ্ছন্দে গোসল করা যায় না, ত্বকের সমস্যা হবার আশঙ্কা থাকে। রান্নার জন্যও এখন আর নলকূপের পানি ব্যবহার করা যায় না। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে এখানকার মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে।

    এ বিষয়ে তানিম অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী মো. জিন্নাহ বলেন, এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপার। আমি চিঠি পেয়েছি, জবাব দিবো।

    পরিবেশ অধিদপ্তর পঞ্চগড় জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইউসুফ আলী বলেন, মিল থেকে নির্গত বর্জ্যে পানি দূষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এজন্য মিল কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 

    তারা যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।