Author: desk

  • স্কুল শিক্ষকের ওপর হা-মলার প্র-তিবাদে রাঙ্গাবালীতে সব স্কুল-কলেজের ক্লাস ব-র্জন করে মা-নববন্ধন

    স্কুল শিক্ষকের ওপর হা-মলার প্র-তিবাদে রাঙ্গাবালীতে সব স্কুল-কলেজের ক্লাস ব-র্জন করে মা-নববন্ধন

    রফিকুল ইসলাম,
    স্কুল শিক্ষকের ওপর বিএনপি নেতার হামলার ঘটনায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সব স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ক্লাস বর্জন করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১০টায় উপজেলা সদরের বাহেরচর বাজারে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষক এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

    এর আগে টানা তিনদিন ধরে শুধু চরমোন্তাজ ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালিত হলেও আজ থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা উপজেলায়। সকাল থেকে সব স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একযোগে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন।

    সমাবেশে বক্তারা বলেন, চরমোন্তাজ লক্ষ্মী বেষ্টিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু হানিফের ওপর স্থানীয় বিএনপি নেতা মোজাম্মেল প্যাদা ও তার সহযোগীরা প্রকাশ্যে হামলা চালায়। অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।

    উল্লেখ্য, গত রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চর বেষ্টিন গ্রামে মসজিদের খুতবায় মসজিদের খুতবায় চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ তুলে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে আবু হানিফের ওপর দুই দফায় হামলা চালায় বিএনপি নেতা মোজাম্মেল প্যাদা ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষককে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

  • যে বয়সে বই-খাতা হাতে স্কুলে থাকার কথা, সেই বয়সে অটো-রিকশার স্টি-য়ারিং হাতে শি-শুদের

    যে বয়সে বই-খাতা হাতে স্কুলে থাকার কথা, সেই বয়সে অটো-রিকশার স্টি-য়ারিং হাতে শি-শুদের

    কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি দঃ তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা অঞ্চলে ট্রাফিক পুলিশ লাইন দূর্বল হওয়ার কারনে প্রাইমারী শিক্ষা ঝড়ে যাচ্ছে।
    যে বয়সে বই-খাতা হাতে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা, সেই বয়সে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার স্টিয়ারিং ধরে রাস্তায় নামছে শিশুরা। মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন প্রায়শই দেখা যায়, কোমলমতি স্কুলগামী শিশুদের একাংশ জীবিকার তাগিদে ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন চালাচ্ছে।

    শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় অভিভাবক, শিক্ষক ও সমাজ সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এভাবে শিশুদের শিক্ষা জীবন ব্যাহত হলে ভবিষ্যতে তারা হয়ে পড়বে অশিক্ষিত ও দক্ষতাহীন প্রজন্ম।

    সংশ্লিষ্টরা জানান, এসব ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালাতে শিশুদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই বা ট্রাফিক পুলিশ আইন সম্পর্কে ধারনা নেই। ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। একই সঙ্গে শিশুরা পড়াশোনা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, যা সমাজ ও দেশের জন্য বড় হুমকি।

    উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এসব ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকদের কোনো লাইসেন্স প্রদান করা হয়নি। তবুও অবাধে রাস্তায় চলছে হাজারো ব্যাটারি চালিত রিকশা। শিশু চালকদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে তারা নিজেরা যেমন ঝুঁকির মধ্যে থাকছে, তেমনি যাত্রী ও পথচারীর জন্যও দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। নবীপুরের হানিফ, সাইফুল বলেন, পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। তাই ছেলে রিকশা চালায়, না হলে সংসার চলবে না। তবে এভাবে শিশুদের কাজে লাগানোকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন অনেকেই।

    এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা শিশু শ্রম ও অবৈধ যান চলাচল রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তারা দ্রুত অভিযান চালিয়ে শিশু শ্রম বন্ধ এবং এসব শিশুদের বিদ্যালয়ে ফেরানোর উদ্যোগ চান।

    শিক্ষকরা বলছেন, শিশুদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিক্ষাব্যবস্থার জন্য বড় ক্ষতি। তাই তাদের আবারো বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনতে সরকার ও সমাজের সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

  • পঞ্চগড়ে বাড়ির পাশে যুব-কের মর-দেহ উ-দ্ধার

    পঞ্চগড়ে বাড়ির পাশে যুব-কের মর-দেহ উ-দ্ধার

    মোঃ বাবুর হোসেন. পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
    পঞ্চগড়ের বোদায় পুকুর থেকে সোয়েল ইসলাম (৩২) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের বানিয়াপাড়ায় বাড়ির পাশে একটি পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

    প্রাথমিক সুরতহালে নিহতের গলায় শ্বাসরোধের মতো চিহ্ন দেখা গেছে। এ নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সুলতান আলী (৩৬) ও স্থানীয় সাইদার রহমানকে (৪৩) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সোয়েল ওই গ্রামের সাবিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন।

    স্থানীয়দের বরাতে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন জানান, নিহত সোয়েলের পরিবারের সাথে তার চাচা এনামুল হকের বিরোধ ছিল। দুদিন আগে চাচার সাথে মঙ্গলবার জমির আইল কাটা ও মাছ ধরা নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। বুধবার রাতে ফোনে কথা বলতে বলতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি সোহেল। বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা।এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিজ বাড়িতে গেল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত

  • ময়মনসিংহ সদরে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে মেধা অ-ন্বেষণ ও অব-কাঠামো উন্নয়নে মতবিনিময় সভা

    ময়মনসিংহ সদরে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে মেধা অ-ন্বেষণ ও অব-কাঠামো উন্নয়নে মতবিনিময় সভা

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।

    ময়মনসিংহে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে উপজেলা পর্যায়ে মেধা অন্বেষণ (ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাব এবং যুক্তি ও গণিত মঞ্চ) প্রতিযোগিতা অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫ আয়োজন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৮আগস্ট) দুপুরে উপজেলা পরিষদের ব্রহ্মপুত্র হলরুমে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে আয়োজিত উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেছেন-ময়মনসিংহ সদরে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার মানোন্নয়নে মেধা অন্বেষণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের উপর জোর দিতে হলে শিক্ষক-অভিভাবক-প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারিভাবে অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলার প্রয়োজন হলে তাই করা হবে, এসময় তিনি মেধা অন্বেষণমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা এবং শিক্ষক-অভিভাবক কমিটির মাধ্যমে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করারও আহবান জানান। তিনি প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে, মেধা অন্বেষণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকা মেধা খুঁজে বের করে এবং তাদের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেন এবং একই সাথে অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ভৌত অবকাঠামোগত মান উন্নয়ন করা, যেমন নতুন ভবন নির্মাণ, পুরোনো ভবন সংস্কার, এবং শ্রেণিকক্ষ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর আহবান জানান। বিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামোর বর্তমান অবস্থা মূল্যায়ন এবং উন্নয়নের জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

    উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন এর সভাপতিত্বে ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাহিদা পারভীন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য- সহকারী শিক্ষা অফিসার মোজাহিদুল ইসলাম।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স আরো বলেন- মানসম্মত শিক্ষা সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমাদের লক্ষ্য শিশুদের সক্ষম করে তোলা। শিক্ষকরা শিশুদেরকে মুখস্ত না করিয়ে তারা যেন মাতৃভাষায় বলতে, পড়তে, লিখতে ও গণিত করতে সে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। যদি শিশুরা পারে তাহলে বুঝবেন আপনি সর্বোচ্চ করে দিয়েছেন। এরপর সে নিজে নিজেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে লেখাপড়া করতে পারবে। প্রধান শিক্ষক তার স্কুলের শিক্ষার মানোন্নয়নে টার্গেট ঠিক করবেন। শিশুদের টার্গেট সে যেন মাতৃভাষায় লিখতে পড়তে বলতে পারে, গণিত করতে পারে, কিছুটা ইংরেজি পারে। আমরা সহায়তা করব।মাতৃভাষায় দক্ষ হলে সহজেই ইংরেজিসহ বিদেশি ভাষা শিখতে পারবে। শিক্ষকের দায়িত্ব পড়াশোনার মান বৃদ্ধি করা, তাহলে অনেক সমস্যা কেটে যাবে। সকলে নিজ নিজ ক্ষেত্রে উদ্যোগী হলে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে পারব।

    সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন বলেন-আগামী দিনে মেধাবী জাতি তৈরী করতে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানকে বৃদ্ধি করার লক্ষে ময়মনসিংহ সদরে যেখানে যা কিছু প্রয়োজন তাই করা হচ্ছে। যে স্কুলের ভবন নাই সেখানে ভবন করা হচ্ছে, যে স্কুলের রাস্তা নাই সেখানে রাস্তা করা হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাছাই করা হবে। যে কারণে ক্লাব করা হয়েছে। ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাব এবং যুক্তি ও গণিত মঞ্চ নামে দুটি ক্লাব করা হয়েছে। যেখানে ইংরেজীতে ৩ জন অংকে ৩ জন মোট ৬ জন করে মেধাবীরা তালিকাভূক্ত হবেন। এভাবে উপজেলা পর্যায়ে মেধা অন্বেষণ করা হবে।

    এসময় তিনি বলেন-প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সমস্যা কোথায়? কিভাবে উন্নয়ন করা যায় -সে বিষয়ে তিনি প্রধান শিক্ষকদের সুনির্দিষ্ট মতামত দেওয়ার আহবান জানান। এসময় তিনি প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে অবকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজনে শিক্ষককে তালিকা পাঠানোর আহবান জানান।

    সভায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হুসনে আরা, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ইন্সপেক্টর হায়দার জাহান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার প্রতিনিধি ডাঃ তাজরিন আক্তার, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম,হার্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম,খাগডহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিন্নাত মহল,নামা কাতলাসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ আলম,

    এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মাকসুদা আক্তার,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা,উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মেরিনা সুলতানা,মো: হারুন সিকদার,রুবি খান,আশীষ কুমার তরফদার,মিতালী বণিক,মো: সাদ্দাম হোসেনসহ উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • চারঘাটে হুইল চেয়ার ও এককালীন অ-নুদান বি-তরণ

    চারঘাটে হুইল চেয়ার ও এককালীন অ-নুদান বি-তরণ

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর চারঘাটে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রাপ্ত প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার ও আদিবাসী বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের এককালীন অনুদান বিতরণ করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১১ টায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ২৩ টি হুইল চেয়ার ও আদিবাসী বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে এককালীন অনুদান বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান, নিমপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, শলুয়া ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান লালন আলী, ইউসুফপুর ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম মাখন সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রধান গন।

    মোঃ মোজাম্মেল হক
    চারঘাট, রাজশাহী

  • আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতা-য়েন প্রসঙ্গে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

    আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতা-য়েন প্রসঙ্গে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

    ঢাকা, ২৮ আগস্ট ২০২৫ (বৃহস্পতিবার): সম্প্রতি, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত বিবিধ সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে যা সেনাবাহিনীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

    এ বিষয়ে জানানো যাচ্ছে যে, সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এ সকল নির্বাচন সমূহে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা প্রদান করা হয়নি এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো দায়িত্বে সম্পৃক্ত হবার সুযোগ নেই।

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মনে করে, বিদ্যমান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন সমূহ একটি শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সকলের জন্য শুভকামনা রইল।

  • পানছড়িতে আ-ত্মসামাজিক উন্নয়নে সহা-য়তায় প্রদান করলো  ৩ বিজিবি

    পানছড়িতে আ-ত্মসামাজিক উন্নয়নে সহা-য়তায় প্রদান করলো ৩ বিজিবি

    বিশেষ প্রতিনিধি ।।

    আত্মসামাজিক উন্নয়ন ও সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে লোগাং জোন (৩ বিজিবি) কর্তৃক পাহাড়ী, বাঙ্গালি, দুঃস্থ নারী পুরুষেও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাঝে বিশেষ মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

    বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল এগারোটার দিকে লোগাং জোনের সদর দপ্তর কার্যালয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের মাঝে এসব সহায়তা প্রদান করা হয়।
    ৩ বিজিবি দায়িত্বপূর্ণ এলাকার দরিদ্র পরিবারকে নগদ আর্থিক সহায়তা , এবং নারীদের স্বাবলম্বী করতে দেওয়া হয়েছে সেলাই মেশিন, ও অসহায় ব্যক্তিকে ঘর তৈরি করতে দেওয়া হয়েছে ঢেউটিন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে চেয়ার এবং টেবিল।

    এসব সামগ্রী বিতরণে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পানছড়ি ব্যাটালিয়ন (৩ বিজিবি) ও লোগাং জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম পিপিএম। আর্থিক অনুদান প্রদান শেষে এলাকার শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি সকলকে আশ্বস্থ করেন।

  • সুজানগরে আ-শ্রয়ণ প্রকল্পের জ-রাজীর্ণ ঘরে হ-তদরিদ্র মানুষদের ক-ষ্টের জীবন

    সুজানগরে আ-শ্রয়ণ প্রকল্পের জ-রাজীর্ণ ঘরে হ-তদরিদ্র মানুষদের ক-ষ্টের জীবন

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও, রহিমন্দীর ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও। বাড়ি তো নয় পাখির বাসা-ভেন্না পাতার ছানি, একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি। একটুখানি হওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে, তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে। পল্লী কবি জসিম উদ্দিনের এই বিখ্যাত আসমানী কবিতার সাথে তাল মিলিয়ে বলা যেতেই পারে অসহায় দরিদ্র মানুষদের দেখতে যদি তোমরা সবে চাও, সুজানগরের ভঁায়নার আশ্রয়ণ প্রকল্পে যাও। বাড়ি তো নয় পাখির বাসা-ভেন্না পাতার ছানি, একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি। একটুখানি হওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে, তারি তলে অসহায় মানুষগুলো থাকে বছর ভরে।
    বুধবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পাবনার সুজানগর উপজেলার ভঁায়না সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো এখন পলিথিন ও পাটখড়ির আদলে আবদ্ধ। ইট-বালু খুঁটির ওপর লোহার সঙ্গে থাকা টিন মরিচা ধরে খসে পড়ায় ঘর থেকেই আকাশ দেখা যায়। কোনো মতে পাটখড়ি ও পলিথিনের জোড়াতালি দিয়ে থাকছেন বসবাসকারীর। মেঝের পলেস্তারা উঠে মাটি বের হয়ে গেছে। ছাউনির টিন ক্ষয়ে আকাশ দেখা যায়। ভেঙে গেছে চারপাশের বেড়া ও সিমেন্টের খুঁটি। বৃষ্টির পানি ঠেকাতে দেওয়া হয়েছে পলিথিনের ছাউনি। এমনই জরাজীর্ণ ও বসবাসের অনুপযোগী আশ্রয়ণ (ব্যারাক) প্রকল্পের ঘর।
    প্রকল্পের বাসিন্দা ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র পরিবারের জন্য ভঁায়না আশ্রয়ণ প্রকল্পটি (ব্যারাক) তৈরি করা হয়। উপজেলার ভঁায়না ইউনিয়নে রাস্তার পাশে নির্মিত সরকারি এ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোতে মাথা গেঁাজার ঠঁাই মেলে দরিদ্র কিছু পরিবারের। নির্মাণের পর আর কোনো মেরামত করা হয়নি। ফলে দিনে দিনে নষ্ট হতে থাকে ঘরগুলো। মরিচা পড়ে ক্ষয়ে যায় টিন। ভাঙতে থাকে সিমেন্টের খুঁটিগুলো। বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়লেও বিকল্প কোনো আশ্রয় না থাকায় দরিদ্র পরিবারগুলো বাধ্য হয়েই এখানে বসবাস করছেন।
    বর্তমানে একটু বৃষ্টি হলেই ফুটো চাল দিয়ে পানি পড়ে। তাই বৃষ্টির দিনে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় তাদের।
    এমন কোন ঘর নেই যে, বৃষ্টি হলে ঘরে পানি না পড়ে। তাই কেউ কেউ ঘরের চালার সাথে পলিথিন দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও করেছে।
    সংস্কারের অভাবে এ ঘরগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নানা সমস্যায় জর্জরিত হলেও এসব ঘর মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে বসবাসকারী দরিদ্র অসহায় পরিবারগুলোর। তাদের দাবি, ভাঙাচোরা ঘরের চালায় পলিথিন দিয়ে ফুটো বন্ধ করে কোনো রকম বসবাস করে আসছেন। অন্যত্র সরে যাওয়ার কোনো সুযোগ না থাকায় বাধ্য হয়েই পরিত্যক্ত ভাঙাচোরা ও অস্বাস্থ্যকর এ ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে বসবাস করছে এসব পরিবার।
    তৎকালীন সুজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আজম আলী বিশ্বাস জানান, আমি সে সময় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ঘরগুলো নির্মাণ করা হলেও বিগত প্রায় ২৬ বছরেও এখানকার কোনো ঘর সংস্কার করা হয়নি। যদি সংস্কার করে না দেয়া হয়, তাহলে সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে গরিব মানুষদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, সেই উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।
    এ বিষয়ে আর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ জানান, অর্থ বরাদ্দ পেলে সংস্কার করা হবে জরাজীর্ণ ঘরগুলো।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।

  • ঝিনাইদহ হিরা বেকারিকে ৪০ হাজার টাকা জ-রিমানা

    ঝিনাইদহ হিরা বেকারিকে ৪০ হাজার টাকা জ-রিমানা

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
    বাজার তদারকিমূলক অভিযান ২৭-০৮-২০২৫, তারিখ বুধবার চানপাড়া, আরাপপুর, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা, ঝিনাইদহ জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, ঝিনাইদহ এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা কার্যালয়, ঝিনাইদহ এর যৌথ অভিযান।
    এসময় খাদ্য পণ্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্নের তারিখ, বিক্রয়মূল্য ও অন্যান্য তথ্য উল্লেখ না করা, বিভিন্ন টেক্সটাইল রং ও কেমিক্যাল ব্যবহার করে খাদ্য পণ্য প্রস্তুত, বিক্রয় ও সংরক্ষণ ও অন্যান্য অপরাধে ০১টি প্রতিষ্ঠানকে (হিরা বেকারী) ২টি ধারায় প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব নিশাত মেহের এর নেতৃত্বে পরিচালিত বাজার তদারকিমূলক অভিযানে সহযোগিতায় ছিলেন জনাব সাধন সরকার, নিরাপদ খাদ্য অফিসার, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা কার্যালয়, ঝিনাইদহ এবং অন্যান্য সহায়ক সদস্যবৃন্দ। এই অভিযানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের একটি টিম। জনস্বার্থে এই তদারকি চলমান থাকবে।

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।

  • আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের  ৪৯ তম মৃ-ত্যুবার্ষিকী

    আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯ তম মৃ-ত্যুবার্ষিকী

    লেখকঃ মো: হায়দার আলীঃ কি নিয়ে লিখবো ভাবছিলাম, যেন ঠিক করতে পারছিলাম না। আজ বুধবার টিভি, স্থানীয় ও জাতীয়, অনলাইন পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে প্রচারিত হচ্ছিল বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯ তম মৃত্যু বাষির্কী বিষয়ে। তাই এবিষয়ে আল্লাহর নাম নিয়ে লিখা শুরু করলাম। জানি না পাঠকগন কতটা উপকৃত হবেন।

    আজ ১২ ভাদ্র, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলার বিদ্রোহী কবি নামে পরিচিত কাজী নজরুলের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ কুমিল্লা। নজরুলের রাজনীতি, প্রেম, বিয়ে, ব্যক্তিজীবন, সঙ্গীত ও সাহিত্যের বর্ণিল অধ্যায় জুড়ে রয়েছে কুমিল্লা।

    কাজী নজরুল ইসলাম তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো কাটিয়েছেন শিক্ষা-সাহিত্যের পাদপীঠ কুমিল্লায় ১৯২১ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো কুমিল্লায় এসেছিলেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। এরপর ১৯২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি কুমিল্লায় মোট পাঁচবার এসেছেন। প্রায় তিন বছরে পাঁচবার কুমিল্লায় এসে অবস্থান করেছেন ১১ মাসেরও বেশি সময়। কুমিল্লায় বিভিন্ন সময় অবস্থানকালে সৃষ্টিশীল নানা গান, কবিতা লিখেছেন তিনি। কবি নজরুলের রাজনৈতিক জীবনেও কুমিল্লার প্রভাব রয়েছে। তিনি ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতা লিখে শহরের রাজগঞ্জে গ্রেফতার হয়েছিলেন। কবি নজরুলের প্রাণের শহর কুমিল্লায় নজরুল প্রেমিরা কবিকে স্মরণ করে আপন মহিমায়।

    কবি নজরুলকে কেন্দ্র করে কুমিল্লায় সাংস্কৃতিক কর্মকা- ১৯৪৫ সালের মাঝামাঝিতেই শুরু হয়। এর আগে ১৯২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে কুমিল্লা ঈশ্বর পাঠশালায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা আবৃত্তি ও নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। কুমিল্লার সঙ্গে কবি নজরুলের সম্পর্কগুলো স্মৃতিফলক ও নামকরণে আজও চিরজাগরুক হয়ে আছে। কবি নজরুল কুমিল্লার মুরানগরসহ শহরের যেসব এলাকায় অবস্থান করেছেন, আড্ডা দিয়েছেন, গল্প করেছেন, সঙ্গীত-সাহিত্য চর্চা করেছেন সেসব স্থানে নামফলক, স্মৃতিফলক নির্মাণ করে চেতনায় কবি নজরুলকে ধারণ করে আছে কুমিল্লাবাসী।

    ১৯৮৩ সালে কুমিল্লার তৎকালিন জেলা প্রশাসক সৈয়দ আমিনুর রহমানের উদ্যোগে নজরুল স্মৃতিরক্ষা পরিষদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কুমিল্লায় কবির স্মৃতিবিজড়িত স্থানে স্থাপন করা হয় স্মৃতিফলক। এরমধ্যে মুরাদনগরের দৌলতপুরে কবি নজরুল মঞ্চ, মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জ-নবীনগর সড়কের পাশে নজরুল তোরণ, আলী আকবর খানের দ্বিতল বাড়ি আঙ্গিনায় ‘আম তলা’ (যেখানে বসে কবি বাঁশি বাজাতেন), কুমিল্লা শহরের ঝাউতলা মসজিদের কাছে, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শাখার পূর্ব-দক্ষিণ কোণে (রানীর দিঘির পাড়ে), নজরুল এভিনিউ সড়কের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে, ফরিদা বিদ্যায়তনের সামনে, দারোগা বাড়ি, মুরাদপুর জানু মিয়া চৌধুরীর বাড়ি, দারোগা বাড়ি, চর্থায় শচীন দেববর্মনের বাড়ি, কান্দিরপাড় বসন্ত স্মৃতি পাঠাগারসহ বিভিন্ন এলাকায় স্মৃতিফলক রয়েছে।

    অবিভক্ত বাংলার (বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ) বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে তিনি জন্মেছিলেন। তাঁর ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন।

    প্রেমের, বিরহ-বেদনা ও সাম্যের কবি নজরুল বাংলা সাহিত্য-সংগীত তথা সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান পুরুষ। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে তার লেখনী ধূমকেতুর মতো আঘাত হেনে ভারতবাসীকে জাগিয়ে দিয়েছিল। তিনি পরিণত হন বিদ্রোহী কবিতে। সাম্ররাজ্যবাদ, ফ্যাসিবাদ, নিপীড়ন, অনাচার, বৈষম্য, শোষণ ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে অগ্নিকণ্ঠে সোচ্চার হয়ে কবি লিখে গেছেন অসংখ্য কবিতা, গল্প, উপন্যাস, গান।
    চির প্রেমের কবি নজরুল। তিনি যৌবনের দূত। তিনি প্রেম নিয়েছিলেন, প্রেম চেয়েছিলেন। মূলত তিনি বিদ্রোহী, কিন্তু তার প্রেমিক রুপটিও প্রবাদপ্রতিম। তাই তিনি অনায়াসে বলে গেছেন, ‘আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন খুঁজি তারে আমি আপনায়।’ পৃথিবীতে এমন কম মানুষই আছেন যিনি প্রেমের টানে রক্তের সম্পর্কে অস্বীকার করে পথে বেরিয়ে পরতে পারেন।
    বাংলা কবিতায় নজরুলের আবির্ভাব একেবারেই উল্কার মত। হঠাৎ করে একদিন তিনি বাংলা সাহিত্যে আবির্ভুত হয়ে সমস্ত আকাশকে কীভাবে রাঙ্গিয়ে গেলেন অথবা উজ্জ্বল করে দিলেন তা নিয়ে এখনো গবেষণা হতে পারে।
    কোন সঞ্জীবনি মন্ত্রে তিনি উচ্চকন্ঠে বলতে পারেন ‘বল বীর, বল উন্নত মম শির’ অথবা মহা-বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত/ আমি সেই দিন হব শান্ত/ যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না /অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণভূমে রণিবে না’।
    বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বস্তুনিষ্ঠ জীবনী লেখার ইচ্ছে অনেক দিনের, অনেকেই লিখেছেন কিন্তু আমার সময় হয়ে উঠেনি। বর্ণাঢ্য কবিজীবনকে সব শ্রেণির পাঠকের জন্য সহজ করে, প্রামাণ্যতা অক্ষুন্ন রেখে উপস্থাপনের চেষ্টা মাত্র। তাঁর নজরুল জীবনকথা (প্রথমা প্রকাশন, প্রথম প্রকাশ ২০১৬, ২য় মুদ্রণ, মার্চ ২০১৭) বইয়ে। ৩২টি অধ্যায়ে সাতাত্তর বছরের এক মহাজীবনকে তিনি ধাপে ধাপে বর্ণনা ও ব্যাখ্যা করেছেন।

    নজরুলের জন্মগ্রাম চুরুলিয়ার নিকটবর্তী সাঁওতাল পরগনার বিদ্রোহী প্রতিবেশকে লেখক বিদ্রোহী নজরুলের প্রাথমিক চেতনাভূমি হিসেবে শনাক্ত করেন: ‘নজরুলের জন্মের দশ বছর আগেই এই অঞ্চলে ঘটে মুন্ডা বিদ্রোহ। এসব বিদ্রোহের গল্প ও গান চুরুলিয়া ও এর আশপাশের অঞ্চলের, বিশেষ করে একটু বেশি বয়সী মানুষের মুখে মুখে ফিরত। বিদ্রোহী কবি নজরুল তাঁর ছোটবেলায় এসব লড়াই-সংগ্রামের গল্প শুনেছেন বলে মনে হয়। তাঁর মনের গঠনে নিশ্চয়ই তা কমবেশি প্রভাব ফেলেছিল।’
    শিয়ারশোল স্কুলের দুজন শিক্ষক-সতীশচন্দ্র কাঞ্জিলাল ও হাফিজ নূরন্নবীর কথা আমাদের বিশেষভাবে মনে করিয়ে দেন লেখক; যাঁদের কাছ থেকে হিন্দুপুরাণ ও মুসলিম ঐতিহ্যের সমন্বয়ী সুর উপহার পেয়েছেন কবি।
    এ বছরের ডিসেম্বরে নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা রচনার শতবর্ষ পূর্ণ হবে। ১০০ বছর আগে এই কবিতা লেখার সেই স্মরণীয় রজনী যেন ছবির মতো অক্ষরে এঁকেছেন মোরশেদ শফিউল হাসান:
    ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির যে ঘরটিতে নজরুল ও মুজফফর আহমদ থাকতেন, সেখানে বসেই ১৯২১ সালের বড়দিনের ছুটির সময় এক রাতে নজরুল তাঁর “বিদ্রোহী” কবিতাটি লেখেন। কবিতাটি তিনি প্রথমে লেখেন পেনসিল দিয়ে। সেকালে বলপেন এমনকি ফাউন্টেন পেনেরও চল ছিল না। দোয়াতে বারবার কলম ডুবিয়ে লিখতে হতো। মুজফফর আহমদের মতে, এভাবে লিখতে গিয়ে পাছে তাঁর ভাবনায় ছেদ পড়ে, তাই নজরুল পেনসিল দিয়েই পুরো কবিতাটি লিখেছিলেন।’

    এ বছর নজরুলের কুমিল্লা আগমনেরও শতবর্ষ। তাঁর জীবন ও সৃষ্টিতে ‘কুমিল্লা’ এক বিশিষ্ট অধ্যায় হয়ে আছে। ১৯২১ সালে কয়েক দফা কুমিল্লা আগমন ও অবস্থান, দুই ভুবনের দুই নারীÑনার্গিস ও প্রমীলার সঙ্গে সহৃদয় সংযোগের পাশাপাশি তৎকালীন কুমিল্লার বিপ্লবী আবহে লেখক তুলে ধরেছেন নজরুল ইসলামকে:
    ‘সময়টা তখন অসহযোগ আন্দোলনের। মহাত্মা গান্ধীর ডাকে সারা দেশে ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে। সে আন্দোলনের ঢেউ ত্রিপুরার মহকুমা শহর কুমিল্লাতেও এসে লেগেছে। নজরুলকেও এ সময় রাজনৈতিক নানা সভা-মিছিলে অংশ নিতে দেখা গেল। মিছিলের সামনে গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে নিজের লেখা গান গাইতে গাইতে শহর প্রদক্ষিণ করছেন তিনি। সেই গানের কথা ছিল:
    ভিক্ষা দাও! ভিক্ষা দাও!
    ফিরে চাও ওগো পুরবাসী
    সন্তান দ্বারে উপবাসী…’
    লেখক নজরুলের জীবনী লিখতে গিয়ে তাঁর সমসাময়িক কাল সম্পর্কেও সম্পূর্ণ সচেতন। তাই ধূমকেতু পত্রিকায় ১৯২২-এর ১৩ অক্টোবর ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা চেয়ে লেখা নজরুলের সম্পাদকীয় প্রবন্ধের কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি উর্দু কবি ও রাজনীতিক হসরত মোহানির প্রসঙ্গ, যিনি এর আগে ১৯২১-এর ডিসেম্বরে একই দাবি উত্থাপন করেছিলেন: ‘যত দূর জানা যায়, বাঙলা দেশে নজরুলই প্রথম, এমনকি সমগ্র ভারতবর্ষেও মওলানা হসরত মোহানির পর দ্বিতীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি, যিনি প্রকাশ্যে পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি জানান।’
    হুগলিতে বসবাসকালে হুগলি, নৈহাটির শ্রমিকদের কবিতা পড়ে শোনানো, তাঁদের শ্রান্তি বিনোদনের জন্য বাংলা ও হিন্দি গান গাওয়া, চটকল শ্রমিকদের ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিলে নামার তথ্য প্রমাণ করে নজরুল শুধু লেখাতেই নয়, বাস্তবেও ছিলেন মাটির কাছাকাছি কবি। ১৯২৭ সালে গণ-বাণী পত্রিকায় ‘অন্তর-ন্যাশনাল সঙ্গীত’ শিরোনামে শ্রমিকশ্রেণির আন্তর্জাতিক সংগীতের নজরুল-কৃত বাংলা রূপান্তর প্রকাশ পায়: ‘জাগো অনশন-বন্দী, ওঠ রে যত/ জগতের লাঞ্ছিত ভাগ্যাহত।’
    নজরুলের প্রাণছোঁয়া অনুবাদ বিষয়ে লেখকের পর্যবেক্ষণ: ‘এই অনুবাদটি করার সময় নজরুল ইউজেন পত্তিয়েরের লেখা মূল ফরাসি গানটির কিংবা তার ইংরেজি বা অন্য কোনো অনুবাদের নোটেশন বা স্বরলিপি দেখার সুযোগ পাননি। তার পরও নজরুলের অনুবাদ সম্পর্কে মুজফফর আহমদ বলেছেন: “বাংলা ভাষায় সর্বোৎকৃষ্ট তো বটেই, আমার বিশ্বাস ভারতীয় ভাষাগুলিতে যতসব অনুবাদ হয়েছে সে-সবের সেরা”।’
    নজরুল-জীবনের অনেক অজ্ঞাত বা স্বল্পজ্ঞাত তথ্যের সমাহার এই বই। যেমন ১৯২৯ সালে এক কৃষক সম্মেলনে কুষ্টিয়া সফরকালে চারণকবি মুকুন্দ দাসের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ও সখ্যের বিবরণ পাই: ‘নজরুলের কুষ্টিয়া অবস্থানকালীন কুমারখালীতে তাঁকে একটি সংবর্ধনা দেওয়া হয়। চারণকবি মুকুন্দ দাস সে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনার উত্তরে দেওয়া বক্তৃতায় নজরুল মুকুন্দ দাসকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, “যাঁরা গান বা বক্তৃতা দ্বারা দেশের জাগরণ আনতে চেষ্টা করেন তাঁরা সকলেই চারণ। আপনি, আমি, আমরা সবাই চারণ, তবে আপনি আমাদের স¤্রাট, অর্থাৎ চারণস¤্রাট”।’
    বাংলা গানের বুলবুল নজরুলের সংগীতজীবন নিয়ে তিনি বিশদ ও মনোহর আলোচনা করেছেন। নজরুলের রাগরাগিণীর তত্ত্বীয় প্রসঙ্গের সমান্তরালে অনায়াসে আসে ১৯৩৪ সালে কলকাতার বিবেকানন্দ রোডে ‘কলগীতি’ নামে নজরুলের গ্রামোফোন যন্ত্র ও রেকর্ড বিক্রির দোকান খোলার অনুষঙ্গ। দাবা খেলার আমুদে খতিয়ানের সঙ্গে সঙ্গে এসেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষার গুরুদায়িত্ব পালনের কথাও। রঙ্গমঞ্চের নজরুলও থাকেননি অনালোচিত। নজরুল জীবনকথায় পাই সর্বত্রগামী এমন নজরুলকে:
    ‘নজরুলের লেখা গীতিনাট্য মধুবালার অভিনয় দিয়েই ১৯৪০-এর দশকের গোড়ায় নাট্যভারতী থিয়েটার তার যাত্রা শুরু করে। এতে গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন হরিমতী ও রাধারাণী দেবী। মধুবালা যে চল্লিশ রজনী চলেছিল, তা এই গানগুলোর আকর্ষণেই।’
    এই বইয়ে কিছু প্রচলিত ভ্রান্তি দূর করেছেন মোরশেদ শফিউল হাসান। ‘যদি আর বাঁশি না বাজে’ শিরোনামে ১৯৪১-এর এপ্রিলে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির রজতজয়ন্তী উৎসবে প্রদত্ত সভাপতির অভিভাষণকে অনেকেই তাঁর জীবনের শেষ ভাষণ বা বক্তৃতা হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন। তবে নজরুল জীবনকথায় লেখক জানাচ্ছেন, এর কয়েক মাস পর ১৯৪১-এর সেপ্টেম্বরে হাওড়ায় রবীন্দ্র-স্মরণ অনুষ্ঠানে এবং একই সালের ২৯ নভেম্বর হাজী মোহাম্মদ মুহসীনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভাতেও তিনি বক্তৃতা প্রদান করেন।
    এরপর ৩৫ বছরের নিস্তব্ধতা। নজরুল বেঁচেছিলেন ১৯৭৬ পর্যন্ত কিন্তু ১৯৪২ থেকেই তাঁর অসুস্থতার শুরু। লেখক এই সময়কালে নজরুলের চিকিৎসা তৎপরতা এবং ১৯৪৭-এ বিভক্ত বাংলার দুই অংশে নজরুলচর্চার আদ্যোপান্ত তুলে ধরেছেন। একদিকে কায়েমি স্বার্থবাদী পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর খ-িত নজরুলকে সাম্প্রদায়িক অভিসন্ধিতে ব্যবহারের চেষ্টা আর অন্যদিকে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকজুড়ে পূর্ব বাংলার স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-পাড়া-মহল্লায় ‘রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্তজয়ন্তী’ পালনের মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদী চেতনা শাণিত করার বিষয়টিও উঠে এসেছে।
    ১৯৭২ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ ‘জ্যৈষ্ঠের ঝড়’ নজরুল কলকাতা থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আসেন। ঝোড়ো জীবনের শেষভাগে ঢাকায় অবস্থান, সংবর্ধনা ও কবিকে ঘিরে জনতার বিপুল আগ্রহের কথা সবিস্তার এসেছে বইয়ের শেষ দুই অধ্যায়ে। ঢাকার বাইরে কবিকে প্রদত্ত দুটো সংবর্ধনার কৌতূহলোদ্দীপক বিবরণ দিয়েছেন লেখক:
    ‘১৯৭৪ সালেই ঢাকার বাইরে টাঙ্গাইলে ও নারায়ণগঞ্জেও কবিকে দুটি সংবর্ধনা দেওয়া হয়। নারায়ণগঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল সেখানকার “শাপলা” নামক একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে রণেশ দাশগুপ্ত, অধ্যাপক করুণাময় গোস্বামী প্রমুখ বক্তব্য দেন। সেদিন কবিকে দেখতে আসা মানুষের ভিড়ের চাপে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের দেয়াল ভেঙে পড়েছিল।’
    বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন। ধানমন্ডিতে কবির জন্য একটি বাড়ি প্রদান করেন।
    ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শোকাবহ ঘটনার এক বছর পর ১২ই ভাদ্র ১৯৭৬ সালের শোকের মাসেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নজরুল।
    কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।
    কবি নজরুল তাঁর ৭৭ বছরের জীবনকালের ৩৪ বছরই ছিলেন নির্বাক (১৯৪২-১৯৭৬)। বেঁচে থাকার জীবন সংগ্রাম, অভাব-অনটন, নানা প্রতিকূলতা, জেলজুলুম ও হুলিয়ার মধ্যেই তাঁর সাহিত্যচর্চার সময় ছিল মাত্র ২৪ বছর (১৯১৯-১৯৪২)।
    এই ২৪ বছরে নজরুল সৃষ্টি করে গেছেন ২২টি কাব্যগ্রন্থ, সাড়ে ৩ হাজার, মতান্তরে ৭ হাজার গানসহ ১৪টি সংগীত গ্রন্থ, ৩টি কাব্যানুবাদ ও ৩টি উপন্যাস গ্রন্থ, ৩টি নাটক, ৩টি গল্পগ্রন্থ, ৫টি প্রবন্ধ, ২টি কিশোর নাটিকা, ২টি কিশোর কাব্য, ৭টি চলচ্চিত্র কাহিনীসহ অসংখ্য কালজয়ী রচনা।
    তাই তো একাধারে তিনি ছিলেন কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, শিশু সাহিত্যিক, অনুবাদক, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক, সাংবাদিক, গীতিকার, সুরকার, স্বরলিপিকার, গীতিনাট্যকার, গীতালেখ্য রচয়িতা, চলচ্চিত্র কাহিনীকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, সঙ্গীত পরিচালক, গায়ক, বাদক, সঙ্গীতজ্ঞ ও অভিনেতা।