Author: desk

  • পঞ্চগড়ে ডিবি পুলিশের গাড়ির সাথে ধা-ক্কায় শিশুসহ নিহ-ত ২

    পঞ্চগড়ে ডিবি পুলিশের গাড়ির সাথে ধা-ক্কায় শিশুসহ নিহ-ত ২

    বাবুল হোসেন,

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড়ে ডিবি পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় ইজিবাইকের দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতদের একজন শিশু। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

    শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যার পর পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের মৈত্রী চা কারখানার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন— সদর উপজেলার জগদল গোয়ালপাড়া এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে ইয়াসিন আলী (৭) ও জগদল বালিয়াডাঙ্গী এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে আহমদ আলী (৫৫)।

    আহতরা হলেন— চৈতন্যপাড়া এলাকার ইজিবাইকচালক শরিফুল ইসলাম (৪৫), নিহত ইয়াসিনের বড় ভাই সাদেকুল ইসলাম (৩০) এবং কাজীরহাট এলাকার প্রিয়া আক্তার (১৭)।

    স্থানীয়রা জানান, নিহত ও আহতরা ইজিবাইকে করে পঞ্চগড় জেলা শহর থেকে জগদল বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে হ্যালিপ্যাড এলাকার মৈত্রী চা কারখানার সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ডিবি পুলিশের একটি মাইক্রোবাস একই দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে পাশ কাটাতে গিয়ে ইজিবাইককে ধাক্কা দেয়। এতে ইজিবাইকে থাকা পাঁচজন গুরুতর আহত হন।

    পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়াসিন ও আহমদ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত ইজিবাইক চালক শরিফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত সাদেকুল ও প্রিয়াকে সদর হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

    দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা মাইক্রোবাস ও ট্রাক আটক করে প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেন,

    “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এতে দুইজন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

  • কুমিল্লার ঐতিহাসিক ধর্ম সাগর আর শিশুপার্ক যেন বিনোদনের এক-মাত্র  প্রাণকেন্দ্র

    কুমিল্লার ঐতিহাসিক ধর্ম সাগর আর শিশুপার্ক যেন বিনোদনের এক-মাত্র প্রাণকেন্দ্র

    তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে,

    কুমিল্লার ঐতিহ্য ধর্মসাগর আর শিশু পার্ক যেন কুমিল্লা নগরীর নিশ্বাস ফেলার আর বিনোদনের একমাত্র স্থান হিসেবে গড়ে উঠেছে ।ধর্মসাগরের পূর্ব পাড়ে কুমিল্লার আরেক ঐতিহ্য কুমিল্লা স্টেডিয়াম,তার পাশে ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা জিলা স্কুল। ধর্মসাগরের উত্তর পাশে নজরুল ইনস্টিটিউট আর শিশু পার্ক সাথে রয়েছে আনন্দ নেওয়ার মতো অসংখ্য রাইডার,পাশে রয়েছে ফুট কাট, একটু রাস্তা পারহলেই রেসক্রিসেন্ট, বিআরটিএ অফিস, প্রতিবন্ধি স্কুল, আর্ট স্কুল,গুলবাগিচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,স্টেশনক্লাব,কেন্দ্রীয় ঈদ গা,সার্কিট হাউজ,পোষ্ট অফিসসহ নানান অফিস।
    পশ্চিম উত্তর নিয়ে গড়ে উঠেছে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও ফৌজদারি কোর্ট আর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়।

    দক্ষিণ পাশে আবাসিক বাড়ি ও একটি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান সিডি প্যাথ এন্ড হসপিটাল সাথেই রয়েছে পরিবার পরিকল্পনার রাজদেবি নামে পরিচিত হসপিটাল।

    প্রাইমারী স্কুল আওয়ার লেডি অব ফাতিমা গার্লস স্কুল বা মিশনারি স্কুলে যাওয়ার পথে আবার কুমিল্লা জিলা স্কুল পড়া অবস্থায় এই ধর্মসাগরের নির্মল হাওয়া নগরবাসীর জন্য যেন অক্সিজেন।
    কুমিল্লার স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা প্রতিদিন সকাল বিকাল এখানে হাঁটতে ও ব্যায়াম করতে আসেন। ধর্মসাগরের নির্মল ও সকালের হিমেল হাওয়া পথচারীদের আকৃষ্ট করলেও কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী এই নগর উদ্যানটিতে যত্নের অভাব পরিলক্ষিত হয়।

    ভিতরে প্রচুর মশা রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে আবর্জনার স্তূপ দেখা যায়। ধর্মসাগরের উত্তর পশ্চিম কোনে ময়লার বাগার।
    স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে এখানে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দেয়।এর পশ্চিমে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থাকলেও এসব ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।

    মনে হয় সব কিছুই না দেখার নিয়মে পরিণত হয়েছে।

    সকালে হাঁটার সময় পার্কটিতে ঝাড়ু দেয়ার ফলে হাঁটতে সমস্যা হয়। পথচারীদের জন্য ভিতরে টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে । মসজিদ রয়েছে। সকালে ভাসমান কিছু স্বাস্থ্য সহায়ক কেন্দ্র থাকে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা ব্লাড সুগার,প্রেশার, নিজেদের ওজন ও চিকিৎসা টিপস নিয়ে থাকে। যদিও এসবের জন্য টাকা দিতে হয়। কুমিল্লার হসপিটালের কতৃপক্ষগণ ইচ্ছে করলে বিনা পয়সায় এই সেবা গুলো নগরবাসীর জন্য উৎসর্গ করতে পারেন।

    অথবা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকেও পদক্ষেপ নিতে পারেন সমস্যা সমাধানের দ এই উদ্যানে আসা নগরবাসীদের সেবা দেয়ার জন্য নাগরিকদের সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

  • ময়মনসিংহ সদরে প্রায় ৫০ হাজার টাকার কা-রেন্ট জাল পো-ড়াল প্র-শাসন

    ময়মনসিংহ সদরে প্রায় ৫০ হাজার টাকার কা-রেন্ট জাল পো-ড়াল প্র-শাসন

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহ সদরে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকার চায়না দুয়ারী(অবৈধ) এবং কারেন্ট জাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। পরবর্তীতে নিরাপদ জায়গায় এনে তা পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।

    শনিবার (৩০আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য অফিসের যৌথ উদ্যোগে
    দাপুনিয়া ইউনিয়নের ভেকিবিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব কারেন্ট জাল জব্দ করেন উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্ব আয়োজিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সৈয়দা তামান্না হোরায়রা।

    জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স এর দিকনির্দেশনা মোতাবেক সহকারী কমিশনার ভূমি
    সৈয়দা তামান্না হোরায়রা এর নেতৃত্বে মৎস্য দপ্তরসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা ভেকিবিল এলাকায় এ অভিযান চালায়। এ সময় নিষিদ্ধ ১০ টা চায়না দোয়ারী ও ৭ কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়।

    পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অবৈধ কারেন্ট জাল সংগ্রহ করার অপরাধে দুইজনকে জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে পরবর্তীতে এ ধরনের অবৈধ কারেন্ট জাল সংগ্রহ না করতে না পারে এব্যাপারে সাবধান করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পরে সেখান থেকে জব্দ জালগুলো শহরের স্থানীয় ভেকিবিল সংলগ্ন নিরাপদ স্থানে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ২জন ব্যক্তিকে মৎস্য সুরক্ষা আইন, ১৯৫০ এর ধারা ৩ ও ৫ এর বিধান অনুযায়ী অর্থদণ্ড প্রদান ও আদায় করা হয়।

    এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি সৈয়দা তামান্না হোরায়রা জানান, কিছু অসাধু মাছ শিকারীরা সুযোগ বুঝে এসব অবৈধ জাল ক্রয়ের পর বিভিন্ন খালে,বিলে নদী নালায় মাছ শিকার করছে। তবে এবার নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালানো হয়।মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে আগামীতেও এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।

    এসময় উপজেলা মৎস অফিসার ড.ফারজানা হোসেন,আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগণসহ স্থানীয় রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • তারাগঞ্জে ১০ লাখ টাকা ও হে-রোইনসহ দম্পতি গ্রে-ফতার

    তারাগঞ্জে ১০ লাখ টাকা ও হে-রোইনসহ দম্পতি গ্রে-ফতার

    খলিলুর রহমান খলিল , নিজস্ব প্রতিনিধি:

    রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের অনন্তপুর হাজিপাড়া গ্রামে মাদক ব্যবসায় জড়িত এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারাগঞ্জ থানা পুলিশ ওছপেয়ারার বাবার বাড়িতে অভিযান চালায়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মোছা. ওছপেয়ারা বেগম (৩৫) এবং তার স্বামী মো. লুৎফর রহমান (৪০)। তাদের কাছ থেকে ৪.২৫ মিলিগ্রাম হেরোইন এবং নগদ ১০ লাখ ৬১ হাজার ৫৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওছপেয়ারা বেগম হাজিপাড়া গ্রামের ওসমান গণির মেয়ে, এবং তার স্বামী লুৎফর রহমান গঙ্গাচড়া উপজেলার উত্তর খলেয়া বালাটারি গ্রামের বাসিন্দা। বিয়ের পর থেকে লুৎফর তারাগঞ্জে শ্বশুরবাড়িতে থেকে হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। এই দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। ওছপেয়ারার নামে ১টি ও লুৎফর রহমানের নামে ৩টি মাদক মামলা রয়েছে ।

    তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম. এ. ফারুক জানান, “গ্রেপ্তারকৃত দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার একটি সংঘবদ্ধ চক্র পরিচালনা করছিল। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছি।” তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত টাকা ও হেরোইন মাদক ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত।

  • বরগুনার তালতলীতে ভিপি নুরের উপর হা-মলার প্র-তিবাদে বিক্ষো-ভ মিছিল

    বরগুনার তালতলীতে ভিপি নুরের উপর হা-মলার প্র-তিবাদে বিক্ষো-ভ মিছিল

    তালতলী প্রতিনিধি।।
    গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর জাতীয় পার্টি ও যৌথ বাহিনীর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে বরগুনার তালতলীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (৩০ আগষ্ট) বেলা ১১টার দিকে তালতলী উপজেলার গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সদর রোডের মামুন লাইব্রেরির সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

    এ সময় বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন— “হাসিনা গেছে যে পথে, জাপা যাবে সেই পথে”, “নুরের ওপর হামলা— সইবে না এ বাংলা”, “স্বৈরাচার গেছে ভারতে— জাপা কেন বাংলায়” ইত্যাদি ।

    প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদ তালতলী উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মো. নাসির উদ্দিন মুন্সী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শামীমসহ উপজেলা ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

    বক্তারা ভিপি নুরের ওপর যৌথ বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনীতি এ দেশে নিষিদ্ধ করার দাবিও উত্থাপন করেন।

    মংচিন থান
    তালতলী প্রতিনিধি

  • ‎কাঠইর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক  কমিটি এখন আ-লীগসহ জাতীয় পার্টির অনুসা-রীদের দ-খলে

    ‎কাঠইর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক  কমিটি এখন আ-লীগসহ জাতীয় পার্টির অনুসা-রীদের দ-খলে


    ‎কেএম শহীদুল সুনামগঞ্জ:

    ‎সুনামগঞ্জ সদর উপজেলাধীন কাঠইর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে একঝাঁক আ-লীগ,যুবলীগ এবং জাতীয় পার্টির সুবিধাবাদী  কর্মীদের নিয়ে। যা মেনে নিতে পারছেন  না কাঠইর ইউনিয়ন বিএনপির দুর্দিনের ত্যাগী নেতা কর্মীরা। বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে গত ১৫ বছর যাদের সক্রিয় অবস্থান ছিলনা তারাই এখন বিএনপির কমিটিতে পদপদবী ভাগিয়ে নিচ্ছেন । গত ১৫ বছর  যারা আওয়ামী লীগের এবং জাতীয় পার্টির প্রচার প্রচারণায় সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিলেন এবং সুবিধা নিয়েছেন তাদেরকে  কিভাবে বিএনপির কমিটিতে জায়গা দিলেন সেটা দেখে হতভঙ্গ হয়েছেন কাঠইর ইউনিয়নসহ বিএনপির জেল জুলুমের শিকার ত্যাগী নেতারা। জানা যায় বর্তমান কাঠইর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আবুল কালাম তিনি বিগতদিনে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে অংশ গ্রহন করেননি? তিনি জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কায়রুল হুদা চপলের প্রত্যাকটি নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সক্রিয় ভাবে আওয়ামীলীগের গুনগান গেয়ে প্রচার প্রচারণার দায়িত্ব পালন করে মানুষের কাছ থেকে ভোট আদায় করে বিগত দিনে যুব লীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপলকে  উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিজয়ী করতে সক্রিয় ভাবে ভূমিকা পালন করেছেন। তা ছাড়াও কাঠইর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রত্যাকটি মিটিং মিছিলে লোকজন দিয়ে সহযোগিতা করতেন। এখন আওয়ামী সরকার পতনের পর রুপ পাল্টিয়ে হয়েছেন কাঠইর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক। এছাড়াও বর্তমান কাঠইর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোসাহিদ মিয়া তিনি বিগত দিনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  নুরুল হুদা মুকুটের একজন আস্থা ভাজন কর্মী হিসেবে নিজেকে নিরাপদ রেখে বিএনপিকে তোয়াক্কা করে নিজে আর্থিক  সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন, বর্তমানে পলাতক আওয়ামী নেতাদের সাথে তার যোগ সাজস রয়েছে বলেও জানা যায় । বর্তমানে এখন তিনি নবাগত বিএনপির কাঠইর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক। যা দেখে হতভঙ্গ হয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির অনেক নেতা কর্মীরা।
    ‎অন্যদিকে বর্তমান কাঠইর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ৫নং ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত সভাপতি ছমির উদ্দিন তিনি হচ্ছেন আরেক চোদ্দ বেশি? বিগত দিনে যাকে দেখা গেছে কখনো জাতীয় পার্টির মিছিলে আবার কখনো আওয়ামী লীগের মিটিংয়ে সক্রিয় ভাবে স্লোগান দিতে? আওয়ামী সরকার পতনের পর এখন তিনি বিএনপির স্লোগান নিয়ে ব্যস্ত সময় কাঠাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি স্লোগানে স্লোগানে কাঠইর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রস্তাবিত সভাপতি ? ভবিষ্যতে নতুন কোন দল ক্ষমতায় গেলে সেই দলেরও স্লোগান দিতে তাকে দেখা যাবে। সব মিলিয়ে তিনি সব দলের সুবিদাবাদী নেতা হিসেবে মানুষের মনে ইতিমধ্যে  জায়গা করে নিয়েছেন।
    ‎এছাড়াও আরেক যুবলীগের সক্রিয় ঠিকাদার যিনি বর্তমানে কাঠইর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য রইছ মিয়া, বিগত দিনে যিনি বিএনপি দলের  চোখে দোলা দিয়ে  আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে ১৫ বছর নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য ঠিকাদারি ব্যবসায় লিপ্ত থেকে দলের কথা চিন্তা না করে নিজের পকেট ভারি করেছেন আওয়ামী লীগকে অনুসরন করে। বর্তমানে তিনি আওয়ামী নেতাদের  সাথে নিয়ে মুখোশের আড়ালে চালি যাচ্ছেন তার ব্যবসা বানিজ্য।  যা নিয়ে স্থানীয় এলাকায় চলছে আলোচনা সমালোচনা। সব মিলিয়ে দেখা যায় কাঠইর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি এখন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং জাতীয় পার্টির অনুসারীদের দখলে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির দায়িত্বরত নেতাকর্মীরা বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তের মাধ্যমে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করে বিএনপি থেকে চদ্দবেশি নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমনটাই প্রত্যাশা কাঠইর ইউনিয়ন বিএনপির ত্যাগী নেতাদের। ###

  • আন্তর্জাতিক ফে-লোশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি কুমিল্লার সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী

    আন্তর্জাতিক ফে-লোশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি কুমিল্লার সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী

    স্টাফ রিপোর্টার,
    দক্ষিণ এশিয়ার তরুণ নারী নেতৃবৃন্দের জন্য আয়োজিত আন্তর্জাতিক ফেলোশিপ প্রোগ্রাম ‘সাউথ এশিয়া ইয়ং উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট একাডেমি’তে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কুমিল্লার উদীয়মান নারী নেত্রী সুমাইয়া বিনতে হোসাইনী।
    সুইডেনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেক্টোরাল অ্যাসিস্ট্যান্স (IDEA) এই ফেলোশিপের আয়োজন করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) অর্থায়নে এবং জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা ইউএন উইমেন (UN Women)-এর সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিতব্য এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশের তরুণ নারী নেতৃবৃন্দ অংশ নেবেন।
    ফেলোশিপটি অনুষ্ঠিত হবে ১৬ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর, শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয়। তিন দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা নেতৃত্ব বিকাশ, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাবেন।
    এ প্রসঙ্গে সুমাইয়া বলেন, “আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ আমার জন্য গৌরব ও সম্মানের। দেশের তরুণ নারীদের অবস্থান ও সক্ষমতা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার এই দায়িত্ব আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব ইনশাআল্লাহ। এই অভিজ্ঞতা আমাকে ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে সমৃদ্ধ করবে। একইসঙ্গে ভবিষ্যৎ নারী নেতৃত্ব গঠনে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবেও কাজ করবে।”
    সুমাইয়া বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল গবেষক এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য-প্রযুক্তি সংসদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা মহানগর মহিলা দলের সহ-সভাপতি এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের তরুণ রাজনৈতিক ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবন থেকেই সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় সুমাইয়া ইতোমধ্যে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে তরুণ নেতৃত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
    এই ধরনের আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ বাংলাদেশের তরুণ নারীদের সক্ষমতা ও নেতৃত্বের দক্ষতাকে বৈশ্বিক পরিসরে তুলে ধরছে। সুমাইয়া বিনতে হোসাইনীর মতো নেতৃত্বগুণে সমৃদ্ধ নারীরা আগামী দিনের পরিবর্তনের রূপকার হয়ে উঠবেন—এমনটাই প্রত্যাশা দেশের মানুষের।

  • পঞ্চগড় গু-ম হওয়া ছেলেকে পাওয়ার দাবিতে মা-নববন্ধন

    পঞ্চগড় গু-ম হওয়া ছেলেকে পাওয়ার দাবিতে মা-নববন্ধন

    বাবুল হোসেন,
    পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
    পঞ্চগড়ে গুম হওয়া ছেলেকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে তাদের পরিবারের স্বজনসহ স্থানীয়রা। শনিবার দুপুরে পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মহাসড়কের পাশে গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গুমের শিকার ইমাম হোসেন বাদলের মা মিনারা বেগম, আল আমিনের বাবা মনু মিয়া, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন পঞ্চগড়ের সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল, কলেজ শিক্ষক শেখ সাজ্জাদ হোসেন, মানবাধিকার কর্মী ও সিনিয়র সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন রণিক ও অধিকারের পঞ্চগড়ের ফোকাল পারসন সাংবাদিক সফিকুল আলম।
    এ সময় বক্তারা জানান, বিগত সরকারের সময়ে সারা দেশে শত শত মানুষকে গুম করা হয়েছে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে গুম করা হয়েছে। এখনো অনেক বাবা মা তার সন্তানের অপেক্ষার প্রহর গুণছেন। তাই দ্রুত প্রত্যেক গুমের শিকার ব্যক্তিকে খুঁজে বের করাসহ জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। একই সাথে রাষ্ট্রীয়ভাবে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারকে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও জানান তারা।
    মানববন্ধন শেষে তারা একটি র‌্যালি বের করে। র‌্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন ক্যাম্প এলাকার মিডিয়া হাউজে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

  • ‎সুনামগঞ্জের পাথারিয়া বাজারে প্রবাসী ময়না মিয়ার  জায়গা জো-রপূর্বক দ-খলের পা-য়তারার অ-ভিযোগ

    ‎সুনামগঞ্জের পাথারিয়া বাজারে প্রবাসী ময়না মিয়ার জায়গা জো-রপূর্বক দ-খলের পা-য়তারার অ-ভিযোগ

    কে এম শহিদুল্লাহ,
    ‎সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
    ‎সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ থানাধীন পাথারিয়া বাজারে প্রবাসী ময়না মিয়ার নিজ মালিকানা জায়গার চলাচলের রাস্তা জোরপূর্বক ভাবে দখলের পায়তারা করছে ১টি ভূমি খেঁকো প্রভাবশালী চক্র। এঘটনায় আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রবাসী ময়না মিয়া গংরা। জানা যায় ময়না মিয়া তিনি শান্তিগঞ্জ থানাধীন পাথারিয়া তালুক গাও এর বাসিন্দা মৃত হাজী আব্দুল ওয়াবের পুত্র এবং ১নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা। খোজঁনিয়ে জানা যায় ময়না মিয়া পাথারিয়া বাজারের পাশে ৯০ শতাংশ জায়গা ক্রয় সুত্রে মালিক, ১৯৯৬ সনে তিনি জায়গা ক্রয় করেন আব্দুল ওয়াব গংদের কাছ থেকে। পরবর্তীতে তিনি ভোগ দখল করে ১৯৯৬ সন হতে চলমান সন অধ্যবদি পর্যন্ত নিজ মালিকানা ঐ ৯০ শতাংশ জায়গায় দীর্ঘ দিন চাষাবাদ করে গত ৪ বছর আগে প্লট আকারে বিক্রিয়ের উদ্দেশ্যে মাটি বরাট করেন এবং বর্তমানে ঐ ৯০ শতাংশ জায়গা থেকে প্লট আকারে বিভিন্ন আগ্রহী ক্রয় দাতা গণের কাছে বিক্রয় চলমান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানা যায়। ইতিমধ্যে ১১ জন গ্রহিতার নিকট ফ্লট আকারে বিক্রি করছেন ময়না মিয়া। এছাড়াও দিরাই টু-সিলেট সুনামগঞ্জ মহাসড়কের সংলগ্ন হওয়া এলাকার মানুষজনের এবং ক্রয় দাতাদের সুবিধার জন্য নিজ উদ্যোগে ৯০ শতাংশ জায়গার মধ্যে দিয়ে ৮ফুট প্রসস্ত রাস্তা তৈরি করে দেন ময়না মিয়া যা পাথারিয়া বাজারের সাথে মেইন মহা সড়কে সংযোক্ত হয়েছে। যার জায়গার দাগ নং-৪৫৯৭,মৌজা- পাথারিয়া,জে.এল.নং-১৬, খতিয়ান নং-১২৪২ মালিক প্রবাসী ময়না মিয়া। এ ছাড়াও ঐ প্লটের পাশের উত্তর দক্ষিণ পশ্চিমের প্লটেও প্রবাসী ময়না মিয়ার ক্রয়কৃত নিজ মালিকানাধীন জায়গা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে একটি কুচক্রী ভূমিখেঁকো চক্র প্রবাসী ময়না মিয়ার নিজ মালিকানা জায়গার উপর বর্তমানে প্রায় ১১ টি পরিবারের চলাচলের রাস্তার মুখে জোরপূর্বক ভাবে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দখল করার পায়তারা করছে। এরই প্রেক্ষিতে মালিকগং এর পক্ষ থেকে ঐ কুচক্রী মহলের হাত থেকে রক্ষা পেতে আদালতের আশ্রয় নেন ময়না মিয়ার সহোদর ছোট ভাই ইকবাল হোসেন। যার আদালতে পিঠিশন নম্বর – ৬০৪/২০২৫ইং, যার স্বারক নং- ১৭/৪৮/২০২৫ তারিখ ১৭/৮ ২০২৫ইং। আদালতের বিচারকের আদেশ অনুযায়ী বর্তমানে ঐ রাস্তা যাতে কেউ জোরপূর্বক দখল করতে না পারে সে জন্যে ১৪৪ ধারা জারি জারি হয়েছে বলে জানা যায়। ##

  • সমন্বিত প্র-চেষ্টায় স্বাস্থ্যসেবায় মৌলিক পরিব-র্তন আনা সম্ভব- স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব

    সমন্বিত প্র-চেষ্টায় স্বাস্থ্যসেবায় মৌলিক পরিব-র্তন আনা সম্ভব- স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো: রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেছেন, সমন্বিত প্রচেষ্টায় ময়মনসিংহ-সহ সারা দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় একটি মৌলিক পরিবর্তন আনা সম্ভব। সে সুযোগ আমাদের রয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে প্রতিটি কাজে স্থানীয় সরকার সংশ্লিষ্ট যেকোনো সহায়তা থাকবে। শুধু তাই নয়, দেশের প্রতিটি বিভাগের জন্যও সেই সহায়তা বজায় থাকবে।

    শনিবার (৩০ আগস্ট) সকালে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের শহীদ শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে
    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য স৯হায়তা ট্রাস্টের উদ্যোগে মনসিংহ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায়
    আয়োজিত “প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম জোরদারকরণ বিষয়ক” সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সচিব এসব কথা বলেন।

    প্রধান অতিথি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। এটা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেই দেওয়া উচিত। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এটা দিয়ে যাচ্ছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে উপজেলা জেলা পর্যায়ে যতটুকু প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন সেটা সরকার নিরলসভাবে দিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সরকারের যতটুকু লিংক রয়েছে ততটুকু প্রোভাইড করছে। স্থানীয় সরকারের টাকা স্বাস্থ্য খাতে খরচ করার জন্য বরাদ্দ থাকলে সেটা অবশ্যই করে।

    তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় সরকার, বিদেশি সংস্থার সহায়তায় সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে ময়মনসিংহেও প্রান্তিক পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ভিন্ন আঙ্গিকে ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তোলা যায়। সেখানে তারা ফান্ডামেন্টাল কোর্স ও রিফ্রেশার ট্রেনিং করতে পারবে। কমিউনিটি ক্লিনিক এর সাথে মূল সড়কের সংযোগ স্থাপনে গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামোতে স্থানীয় সরকারের সহযোগিতা সর্বাত্মক থাকবে বলে জানান তিনি।

    জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আখতারুজ্জামান। অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিনা আক্তার, পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা: প্রদীপ কুমার সাহা-সহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাগণ, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তাগণ,জেলার অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, ময়মনসিংহ জেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ-সহ গণমান্য ব্যক্তিবর্গ।

    সেমিনারে জানানো হয়, ময়মনসিংহ জেলায় প্রস্তাবিত ৫৮০টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ৫৪২টির কার্যক্রম চলমান। এতে ৫২৮ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার কর্মরত। ১৭টি শুন্য পদ রয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক হতে সাধারণ অসুস্থতার প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা, গর্ভবতী নারীদের সেবা, প্রসূতি পরবর্তী সেবা, শিশুদের টিকাদান, রক্তচাপ মাপা, ডায়াবেটিস রোগীদের আরবিএস টেস্ট, রোগীর তথ্য সংগ্রহ ও রিপোর্ট তৈরি করা, জরুরী স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, ঔষধ সরবরাহ, রোগীদের রেফার করা প্রভৃতি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়। সেবা গ্রহীতাগণ কমিউনিটি ক্লিনিক হতে বর্তমানে ২২ প্রকারের ঔষধ সেবা গ্রহণ করে থাকেন।

    সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে অনেকেই তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। কমিউনিটি ক্লিনিক একেবারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্য সেবায় কাজ করছে এই অভিব্যক্তি তারা প্রকাশ করেন। বিদ্যুৎ, পানি, সংযোগ রাস্তা ইত্যাদির সুবিধা যাতে ক্লিনিকগুলোতে প্রোভাইড করা যায় সেমিনারে সে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারগণ।