Author: desk

  • মাগুরায় না-নাবিধ সম-স্যায় জ-র্জরিত রেড ক্রিসেন্ট মা ও শিশু হাসপাতাল

    মাগুরায় না-নাবিধ সম-স্যায় জ-র্জরিত রেড ক্রিসেন্ট মা ও শিশু হাসপাতাল

    জিল্লুর রহমান,
    মাগুরা প্রতিনিধি।

    মাগুরার শ্রীপুরে গত ২০২২ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অবঃ) এটিএম আবদুল ওয়াহহাব শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী মা ও শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় হাসপাতালটি হওয়ায় এলাকার গরীব ও অসহায় মানুষগুলো এ হাসপাতাল থেকে স্বল্প খরচে উন্নত চিকিৎসা সেবা গ্রহন করছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠার তিন বছর পেরিয়ে গেলেও পূর্ণতা পায়নি হাসপাতালটি। বরং দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতালটি নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নই, একটি কুচক্রী মহল হাসপাতালটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পায়তারা চালিয়ে আসছে। এলাকার নেতৃত্ব স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সেবা নিতে যাওয়া রোগী ও রোগীর স্বজনেরা এবং এলাকাবাসী হাসপাতালটি অন্যত্র সরিয়ে না নিয়ে পরিপূর্ণ একটি হাসপাতাল গড়ে তোলার জোর দাবি জানিয়েছেন। সেই সাথে হাসপাতালটির নাম পরিবর্তন করে শ্রীপুর মডেল রেড ক্রিসেন্ট মা ও শিশু হাসপাতাল নামকরণের জোর দাবি তাদের। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী মাগুরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন।

    রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মাগুরা-শ্রীপুর সড়কের টুপিপাড়া গ্রামে অত্যন্ত নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশে হাসপাতালটি স্ব-গর্বে দাড়িয়ে আছে। অনেক নারী-পুরুষ ও শিশু রোগী ডাক্তার দেখানোর জন্য অপেক্ষা করছে। এমবিবিএস ডাক্তার মাত্র ৫০ টাকা ফিস নিয়ে রোগী দেখছেন। প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা ৫০% ছাড়ে করা হলেও ল্যাবের দায়িত্বে থাকা একজন মাত্র ল্যাব টেকনোলজিস্টকে গত ২০২৫ সালের ১৪ আগস্ট অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। যার ফলে ল্যাবের সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। রোগীদের মাগুরা এবং শ্রীপুরের বিভিন্ন ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বাড়তি টাকা খরচের পাশাপাশি চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। হাসপাতালটি চালানোর জন্য কমপক্ষে ১০ জন জনবল থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৫ জন। গত ২০২৫ সালের ২০ জুলাই দুইজন সিকিউরিটি গার্ডের মধ্যে একজনকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। শুরু থেকেই অফিস সহকারী ও একাউন্টিং পদটি শূণ্য রয়েছে। হাসপাতালটিতে নেই কোন ডিপ্লোমা নার্স। এছাড়া হাসপাতালটি পরিচালনার জন্য একটি কমিটি থাকার কথা থাকলেও কোন কমিটি গঠন করা হয়নি।

    হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনেরা জানান, হাসপাতালটি আমাদের কাছে হওয়ায় আমরা গ্রামের মানুষ স্বল্প খরচে উন্নত সেবা পাচ্ছি। কয়েকদিন ধরে ল্যাব বন্ধ থাকায় দূরদূরান্তে গিয়ে পরীক্ষা করাতে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। এমনকি আমরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। শুনছি হাসপাতালটি এখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পায়তারা চলছে। আমরা এই নেক্কারজনক কর্মকাণ্ড ও ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    এ বিষয়ে সমাজের বেশ কয়েকজন নেতৃত্ব স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা বললে তারা জানান, হাসপাতালটি আমাদের এলাকাবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে হাসপাতালটি হওয়ায় প্রত্যন্ত এলাকার মানুষগুলো উন্নত স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে আসছে। হাসপাতালটি দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সমস্যা জর্জরিত। আমরা দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে এই হাসপাতালটিকে একটি পরিপূর্ণ হাসপাতাল হিসেবে দেখতে চাই। শুনছি একটি কুচক্রী মহল হাসপাতালটি এখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার পায়তারা করছে। যদি তাই হয়, আমরা হাসপাতালটিকে এখান থেকে নিয়ে যেতে দিবো না। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যানের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন হাসপাতালটি এখান থেকে সরিয়ে না নিয়ে হাসপাতালটিকে একটি পরিপূর্ণ হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তুলবেন বলে আশা করছি।

    হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার লিংকু কুমার বিশ্বাস জানান, হাসপাতালে আড়াই বছর ভালই চলছিল। গত ছয় মাস ধরে হাসপাতালটি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এখানে শুধু জনবল সংকট নয়। এখান থেকে কয়েকদিনের ব্যবধানে সিকিউরিটি গার্ড ও ল্যাব টেকনোলজিস্টকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। গত ৪ মাস যাবত আমার বেতন বন্ধ। কর্তৃপক্ষ ৪ মাস হাসপাতালের কোন বিল ভাউচারে সই করছেন না। হাসপাতালটি পরিপূর্ণতা না পেলেও অন্তত আগের পরিবেশে চললে প্রত্যন্ত এলাকার অসহায় মানুষগুলোর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত হবে।

  • রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সাথে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

    রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সাথে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
    ঢাকা, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (সোমবার): বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সাথে এবং পরবর্তীতে বঙ্গভবনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

    সাক্ষাৎকালে, সেনাবাহিনী প্রধান সম্প্রতি তাঁর চীন সফরকালীন অনুষ্ঠিত বিভিন্ন বৈঠকের অভিজ্ঞতা ও আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ তুলে ধরেন। পাশাপাশি, দেশের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং তা উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় হয়। আলোচনায় সেনাবাহিনী প্রধান আশ্বস্ত করেন যে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। এছাড়াও, সেনাবাহিনী প্রধান সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ চলমান উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।

  • খুলনায়  সাংবাদিক ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলু’র লা-শ উ-দ্ধার

    খুলনায় সাংবাদিক ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলু’র লা-শ উ-দ্ধার

    তৈয়ব আলী পর্বত।।
    খুলনায় পীর খানজাহান আলী (র:) সেতুর ২ নম্বর পিলারের বেজমেন্ট থেকে সাংবাদিক ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলু (৪০) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত বুলু খুলনা মহানগরীর শিববাড়ি এলাকার আকবর আলীর ছেলে। সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    রোববার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান লবণচরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রহিম। তিনি জানান, লাশটি নদীর ভেতরে ভাসমান অবস্থায় থাকায় নৌপুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে রূপসা নৌপুলিশ ফাঁড়ির এসআই বেল্লাহ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা সন্ধ্যা ৭টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করেন।

    নিহতের পরনে ছিল নীল রঙের গ্যাবাডিন প্যান্ট ও আকাশি রঙের টি-শার্ট। তবে তার ডান হাত ও মুখমণ্ডল ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় পাওয়া যায়, যা ঘটনাটিকে রহস্যজনক করে তুলেছে।

    এদিকে পিবিআই ও সিআইডি ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেছে এবং মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

    স্থানীয়দের দাবি, নদীর বেজমেন্টে এভাবে সাংবাদিকের লাশ ভেসে ওঠা এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করেছে। অনেকে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছেন।

    এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের পর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।

  • গোপালগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভি-যানে ট্রাফিক আ-ইনে ২১ মাম-লা দা-য়ের 

    গোপালগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভি-যানে ট্রাফিক আ-ইনে ২১ মাম-লা দা-য়ের 

    কে এম সাইফুর রহমান, 
    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

    গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ট্রাফিক আইনে ২১ মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

    গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমানের নির্দেশে  আজ রোববার (৩১ আগস্ট) শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মুহাম্মদ সরোয়ার হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাখাওয়াত হোসেন সেন্টু বিশেষ এ অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। বিকাল ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত শহরের লঞ্চঘাট এলাকার ট্রাফিক চেকপোস্টে অভিযান পরিচালনা করেন তারা। অভিযানে আরও অংশগ্রহণ করেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যগণ। উক্ত অভিযান পরিচালনা করে সর্বমোট ২১ টি মামলা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

    নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণ ও ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

  • ময়মনসিংহে তিনদফা দা-বীতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অব-রোধ, ভো-গান্তিতে যাত্রীরা

    ময়মনসিংহে তিনদফা দা-বীতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অব-রোধ, ভো-গান্তিতে যাত্রীরা

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিএডিসি এবং অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের দশম গ্রেডের পদগুলো শুধুমাত্র কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত রাখাসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।

    রবিবার (৩১আগস্ট)সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাকৃবি জব্বারের মোড়ে ঢাকাগামী হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

    এ আন্দোলনের ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ থাকে। পরে হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনটি এক ঘণ্টা আটকে রাখাসহ দুপুর একটার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনটিও আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা।

    ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তার হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকা পড়েছে। এতে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

    শিক্ষার্থীরা জানায়, এই আন্দোলন ’কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে পরিচালিত হচ্ছে। তারা বলছেন, তাদের মূল দাবিগুলো হলো—কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিএডিসি এবং অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের দশম গ্রেডের পদগুলো শুধুমাত্র কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে।

    ময়মনসিংহের জব্বারের মোড়ে ঢাকাগামী হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেন বাকৃবির শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
    ময়মনসিংহের জব্বারের মোড়ে ঢাকাগামী হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেন বাকৃবির শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
    এছাড়াও, কোনো ডিপ্লোমাধারীরা যেন নামের পাশে ’কৃষিবিদ’ পদবি ব্যবহার করতে না পারেন, সে বিষয়েও তারা সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।

    আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়- তারা তাদের পেশাগত সম্মান এবং অধিকার রক্ষা করতে চান।

    রুবেল আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা দীর্ঘ পাঁচ বছর পড়াশোনা করে এই ডিগ্রি অর্জন করি। অথচ ডিপ্লোমাধারীরা যদি আমাদের মতোই পদবি ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে আমাদের এই ডিগ্রির গুরুত্ব কোথায়? আমরা চাই সরকার দ্রুত আমাদের দাবিগুলো মেনে নিক।”

    সুমাইয়া আক্তার নামের শিক্ষার্থী জানান, “আমরা চাই না সাধারণ মানুষের কোনো দুর্ভোগ হোক। কিন্তু আমাদের দাবিগুলো আদায়ের জন্য এর চেয়ে ভালো কোনো উপায় আমাদের কাছে নেই। যদি সরকার আমাদের দাবিগুলো না মানে, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাব।”

    শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-১. কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ১০ম গ্রেডের পদ (উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা/উপ-সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা/সমমান) কেবল কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত করা।

    ২. নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়ে ৯ম গ্রেডে পদোন্নতির কোনো সুযোগ রাখা যাবে না (বিএডিসির কোটা বাতিল করতে হবে)।

    ৩. কৃষি বা কৃষি-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি না থাকলে নামের সঙ্গে ‘কৃষিবিদ’ পদবি ব্যবহার না করার বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা।

    অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

    এদিকে ৩ দফা দা’বি নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢাকা- ময়মনসিংহ রেলপথে চলাচল ব’ন্ধ থাকার খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মফিদুল আলম ও জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম। জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম এর সাথে আলোচনার পর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।

    তবে আন্দোলনে অংশ নেওয়া কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী মো. সানাউল্লাহ বলেন, আমরা বারবার শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি। বাধ্য হয়ে আজ রেল অবরোধ করেছি। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

  • পটুয়াখালীতে যুব অধিকারের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ভিপি নুর সহ সকল আহ-তদের সুস্থতার জন্য দো-য়া ও মিলাদ

    পটুয়াখালীতে যুব অধিকারের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ভিপি নুর সহ সকল আহ-তদের সুস্থতার জন্য দো-য়া ও মিলাদ

    পটুয়াখালী প্রতিনিধি। 

    বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৫’ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পটুয়াখালী জেলা যুব অধিকার পরিষদের আয়োজনে গন-অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সহ সকল আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া, মিলাদ ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রবিবার ৩১’আগস্ট সন্ধ্যা ৭ টার সময় নতুন বাজার এলাকায় জেলা কার্যালয়ে দোয়া মিলাদ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

    জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম (রুম্মান) এর সভাপতিত্বে এবং জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান এর সঞ্চালনায় উক্ত দোয়া মিলাদ ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব শাহ-আলম সিকদার, এম,সোহেল রানা যুগ্ন-আহব্বায়ক গনঅধিকার পরিষদ পটুয়াখালী জেলা, মশিউর রহমান সাদ্দাম মৃধা যুগ্ন-আহবায়ক গন-অধিকার পরিষদ পটুয়াখালী জেলা, এ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ ইউসুফ (পাশা) ১ নং সদস্য পটুয়াখালী জেলা গন-অধিকার পরিষদ। এছাড়াও বাউফল উপজেলা গন-অধিকার পরিষদের আহব্বায়ক হাবিবুর রহমান, পটুয়াখালী জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান, জেলা যুব-অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, মনির মোল্লা সিনিয়র যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক পটুয়াখালী জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ সোহাগ হোসেন সহ জেলা উপজেলার গন অধিকার, যুব অধিকার, ছাত্র অধিকার, শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

    এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, ঢাকায় গন অধিকার পরিষদের শান্তিপূর্ন সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও সেনাবাহিনী বাংলাদেশ গন-অধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুর সহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের উপর উদ্দেশ্য প্রনোদিত ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়।হামলায় ভিপি নুর গুরুত্বর আহত হন। এসময় দলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও আহত হয়েছেন। জুলাই আগস্ট বিপ্লবদের হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে এটাই তার নমুনা। অমানবিক এ হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারী ও তাদের ইন্দোনদাতাদের বিচারের আওতায় আনা এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগি জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানান। 

    আলোচনা শেষে দলের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুর সহ আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে দোয়া ও মোনাজাত করেন মাওলানা সাইফুল ইসলাম।

  • সড়ক অ-বরোধ করে মানিকহাট ইউনিয়ন পরিষদে ভূমি অফিস স্থানান্তরের দাবিতে বিক্ষো-ভ ও মা-নববন্ধন

    সড়ক অ-বরোধ করে মানিকহাট ইউনিয়ন পরিষদে ভূমি অফিস স্থানান্তরের দাবিতে বিক্ষো-ভ ও মা-নববন্ধন

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ পাবনার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস ইউনিয়ন পরিষদে স্থানান্তরের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয়রা।
    রবিবার (৩১ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সুজানগর-কাজিরহাট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে মানিকহাট ইউনিয়নের রাইপুরে মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ, থানার ওসি মজিবর রহমানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে সুষ্ঠ সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন।পরে এ সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। মানিকহাট ইউনিয়নের সর্বস্তরের সচেতন মহলের আয়োজনে এ কর্মসূচিতে ইউনিয়নের সহস্রাধিক নারী পুরুষ অংশগ্রহন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মানিকহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে আমিনুর রহমান, হাফিজ, হাবিবুর রহমান, সাকিবুল, রনাই প্রাং, রিপন শেখ, কালাম মোল্লা, আব্দুল মজিদ , মকছেদ শেখ, দবির শেখ, আলমগীর হোসেন, নাজিম প্রামানিক, নজরুল ইসলাম, সুমন ও ঝন্টু প্রমুখ। বক্তারা জানান, উপজেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন হচ্ছে মানিকহাট ইউনিয়ন,এই ইউনিয়নের জনসংখ্যা ৩৩ হাজারের অধিক এবং ১৭টি গ্রাম ও ১৮টি মৌজা নিয়ে গঠিত এ ইউনিয়নের কোন ভূমি অফিস নেই। সাতবাড়িয়া নামক অন্য ইউনিয়নে গিয়ে মানিকহাট ইউনিয়নের বাসিন্দাদের ভূমি সংক্রান্ত সকল সেবা নিতে যেতে হয়। এতে সময়ের অপচয়সহ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই মানিকহাট ইউনিয়নের মাঝ বরাবর অবস্থিত পরিষদ কার্যালয়টিতে ইউনিয়ন ভূমি অফিস স্থানান্তরের দাবি জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট। তারা আরো বলেন, ইতিমধ্যে তারা অবগত হয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্ধতন কয়েকজন কর্মকর্তাকে অনৈতিক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে মানিকহাট ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ গাজনার বিলের এক পাশের প্রত্যন্ত একটি গ্রাম উলাটে স্থানান্তরের চেষ্টা করছে বিতর্কিত প্রভাবশালী এক ব্যক্তি তার নিজের সুবিধা আদায়ের জন্য। যেখানে যাতায়েত ব্যবস্থা ভাল না এবং একটি অরক্ষিত জায়গা। আমরা এটার প্রতিবাদ জানাই। আমরা জীবন দিব, তবু ইউনিয়ন ভূমি অফিস উলাটে স্থানান্তর করতে দিবনা বলে হুশিয়ারী দেন মানববন্ধনকারীরা। মানিকহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন, মানিকহাট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়টি ইউনিয়নের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত, তাই ইউনিয়ন ভূমি অফিসটি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে স্থানান্তর করতে হবে। সর্বোপরি কথা হচ্ছে এই পরিষদটিতে ইউনিয়নের যেকোন স্থান থেকে সহজেই আসা যায়। এরপরও একটি কুচক্রী মহল ইউনিয়নের একপাশের একটি গ্রাম উলাটে নেওয়ার চেষ্টা করছে। উলাট গ্রামটি ইউনিয়নের এক পাশে অবস্থিত, সেখানে কোন যুক্তিতে ভূমি অফিস নেওয়ার সুযোগ নেই। এরপরও যদি কোন কুচক্রী মহল উলাটে স্থানান্তর করতে চায়, তাহলে দলমত নির্বিশেষে ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা প্রতিবাদ করব। যারা উলাটে স্থানান্তরের চেষ্টা করছে, তারা সুযোগ সন্ধানী বলেও উল্লেখ করেন তিনি । আমিনুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, মানববন্ধনে নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধ সবাই এসেছে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ভূমি অফিস স্থানান্তরের দাবিতে । আমরা আশাকরি ইউনিয়ন ভূমি অফিস উলাটে স্থানান্তর না করে মানিকহাট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে করা হয় সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আর তাদের দাবি মানা না হলে পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন ।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, সরকারের ঊর্ধ্বতনকর্তৃপক্ষ স্থানীয় ইউনিয়নবাসীর দাবির যৌক্তিকতা নিরুপনে যাচাই-বাছাই করতে নির্দেশনা দিলে উপজেলা প্রশাসন সেটি করতে প্রস্তুত রয়েছে।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • আশুলিয়ায় কিশোর গ্যা-ং মা-দক স-ন্ত্রাসীদের অ-ত্যাচারে অতি-ষ্ঠ পোশাক শ্রমিক এলাকাবাসী

    আশুলিয়ায় কিশোর গ্যা-ং মা-দক স-ন্ত্রাসীদের অ-ত্যাচারে অতি-ষ্ঠ পোশাক শ্রমিক এলাকাবাসী

    হেলাল শেখঃ বাংলাদেশের মধ্যে ঢাকার আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীদের সবচেয়ে বেশি নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে, এর কারণে মানুষের বাসা বাড়ি, ব্যবসা ও রাস্থা দখলের চেষ্টা করছে সন্ত্রাসীরা। এলাকায় বাড়ছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, চাঁদাবাজি, হত্যা চেষ্টা ও হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), র‍্যাব সেনাবাহিনীর অভিযানে কিছু কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী ডাকাতসহ অপরাধীদের আটক করা হলেও তারা আদালত থেকে জামিনে এসে আবারও সেই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে। মাদক সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলার আসামিদের খোঁজে পায় না বেশিরভাগ পুলিশ অফিসার।
    রবিবার (৩১ আগষ্ট ২০২৫ইং) জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে পৃথক ব্যক্তির একাধিক লাশ উদ্ধার করেন আশুলিয়া থানা পুলিশ, কিন্তু বেশিরভাগ বড় ধরণের আসামীকে থানা পুলিশ খোঁজে পায় না। আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আস্তানা। স্থানীয়রা জানায়, কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাস বাহিনীর ১৫-২০ জনের পৃথক পৃথক দল পিস্তল ও চাকু ছুরিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল ও বাড়ি ঘর ও রাস্তা দখল করাসহ বিভিন্ন শ্রমিক সাধারণ মানুষের উপর হামলা করে, অপহরণ করে মুক্তিপণ ও চাঁদাবাজি করে। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত ভেবে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায় সন্ত্রাসীরা। অনেকেই জানান, ভিকটিমের উপর হামলা করে কুপানোর সময় তার ডাক চিৎকারে লোকজন ছুঁটে আসলে তাকে মৃত ভেবে ফেলে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। এরপর প্রতিবেশীসহ লোকজন ভিকটিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয় এরপর আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
    উক্ত আশুলিয়ার জামগড়া রূপায়ন মাঠের আশপাশে ১৫-২০ জন করে পৃথক ১০-১২টি কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাস বাহিনী দেশীয় অস্ত্র চাকু ছুরি ও দা নিয়ে প্রায়ই মহড়া দিতে দেখা যায় বলে অনেকেই জানান, এই কিশোর গ্যাং আতঙ্ক পুরো এলাকাজুড়ে। সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জিরাবো, জামগড়া দি-রোজ পোশাক কারখানার ঝুট নিয়ে চলছে বিরোদ। উক্ত এলাকায় প্রায় শতাধিক কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসী সক্রিয় ভাবে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ফিটিংবাজি অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করছে বলে অভিযোগ। কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের উপর হামলা ও মারপিট করা হয়।
    উক্ত আশুলিয়ায় এখন কিশোর গ্যাং মাদক সন্ত্রাসীরা চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করছে। তারা প্রায়ই বিভিন্ন এলাকায় মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসা বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ করছে, এতে আহত ও নিহতের ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে কারো কোনো ছাড় দেওয়া যাবেনা, সাংবাদিক, পুলিশ প্রশাসন ও র‍্যাবের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।
    আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬ ওয়ার্ডের বাসিন্দা শোভন মাহমুদ বলেন, মাদক সন্ত্রাসী আলফাজ, বাহিনীর অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর হাজীপাড়া এলাকার মোঃ সাইফুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ আলফাজ (২৫), পিতা মৃত- রাজ্জাক মিয়া, মাতা-শান্তনা বেগম ভাড়া বাড়িতে বসেই দীর্ঘদিন ধরে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকের ব্যবসা ও অসামাজিক কার্যকলাপ করছে। শুধু তাই নয় এলাকার মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। আমি বাদী হয়ে এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি, জিডি নং ৩১৯৬। তারিখঃ ২৮/০৮/২০২৫ইং।
    পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী জানান, অপরাধী যেইহোক না কেন তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে, কোনো অপরাধীই ছাড় পাবে না। উক্ত ব্যাপারে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, আশুলিয়া থানা এলাকায় অপরাধ করে কেউ পালিয়ে থাকতে পারবে না। অপরাধী সে যেইহোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

  • সুনামগঞ্জ-৫ আসনে জ-মজমাট ল-ড়াইয়ে বিএনপি জামায়াত ও উদীয়মান ইসলামি নেতৃত্ব

    সুনামগঞ্জ-৫ আসনে জ-মজমাট ল-ড়াইয়ে বিএনপি জামায়াত ও উদীয়মান ইসলামি নেতৃত্ব

    হারুন অর রশিদ দোয়ারাবাজার থেকেঃ
    সুনামগঞ্জ-৫ আসনে নির্বাচনী মাঠে জমজমাট লড়াই, আলোচনায় বিএনপি-জামায়াত ও উদীয়মান ইসলামি নেতৃত্ব।

    সুনামগঞ্জ-৫ আসন—শিল্পনগরী ছাতক ও সীমান্তবর্তী দোয়ারাবাজার উপজেলা নিয়ে গঠিত—বাংলাদেশের রাজনীতিতে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা হিসেবে বিবেচিত। স্বাধীনতার পর থেকে এ আসনে পালাবদল হয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন, কারণ রাজপথে সক্রিয় ও মাঠে জনপ্রিয় কয়েকজন প্রার্থীর উপস্থিতিতে ভোটযুদ্ধ জমে উঠেছে।
    বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন এবং একই কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী। উভয়েই ছাতকের বাসিন্দা। কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন এর আগেও তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, আর মিজানুর রহমান চৌধুরী ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং একবার ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এবার এই দুই নেতার একজনকে মনোনয়ন দিলে অন্যজন স্বতন্ত্র হয়ে মাঠে থাকতে পারেন বলেও আলোচনা রয়েছে।

    এদিকে, বিএনপির ঐতিহ্যবাহী ঘাঁটিতে অবস্থান নিতে মরিয়া জামায়াতে ইসলামি। ৫ আগস্টের পর থেকে সংগঠন গোছানো, সভা-সমাবেশ, গণসংযোগসহ সবধরনের তৎপরতা ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে তারা। ছাতকের বাসিন্দা মাওলানা আবদুস সালাম আল মাদানী জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন।
    অন্যদিকে, তরুণদের মধ্যে ব্যতিক্রমী জনপ্রিয়তা পাওয়া এক নেতা মাওলানা সাদিক সালীমও আলোচনার কেন্দ্রে।

    বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মনোনীত রিকশা মার্কার প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ করছেন মাওলানা সাদিক সালীম। তিনি ইসলামী অঙ্গনে সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে তার রয়েছে দেশব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীতে ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর একটি সমন্বিত নেতৃত্বে তিনিই এগিয়ে থাকতে পারেন।
    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে প্রার্থী হয়েছেন ছাতক উপজেলা শাখার সহ-সেক্রেটারি মাওলানা আলী আকবর। ইসলামি আলোচক হিসেবে স্থানীয়ভাবে তিনি পরিচিত এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডে তাঁর তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
    এ ছাড়া জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে লন্ডনপ্রবাসী কমিউনিটি নেতা মাওলানা লুৎফর রহমান বিননুরী এবং খেলাফত মজলিস থেকে প্রবাসী নেতা মাওলানা আব্দুল কাদির প্রার্থী হবেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম, যিনি ছাতকের জাবা মেডিকেল সেন্টারের চেয়ারম্যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সমাজসেবামূলক কাজ ও গণসংযোগের মাধ্যমে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন।
    তবে এখনও পর্যন্ত মাঠে দেখা যাচ্ছে না গণ-অধিকার পরিষদ, এবি পার্টি কিংবা এনসিপির কোনো নেতাকে। ভোটারদের ভাষ্যমতে, এই দলগুলো সাংগঠনিকভাবে ছাতক ও দোয়ারাবাজারে একেবারেই নিষ্ক্রিয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দীর্ঘ দেড় দশক ধরে জনগণ প্রকৃত ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। এবার তারা মুক্ত পরিবেশে সৎ, সাহসী ও দেশপ্রেমিক প্রার্থীকে ভোট দিতে চান। বিশেষ করে তরুণ ভোটাররা দুর্নীতিগ্রস্ত, দখলদার বা অপরাধের সঙ্গে জড়িত কোনো প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার ব্যাপারে বেশ সচেতন।
    সামনের নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মধ্যে যেমন প্রত্যাশা, তেমনি প্রার্থীদের ভেতরে দেখা যাচ্ছে নতুন করে জনসম্পৃক্ততা তৈরির প্রতিযোগিতা—যা সুনামগঞ্জ-৫ আসন এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে, নেতৃত্ব রদবদলের পালা।

  • ধামইরহাটে অ-গ্নিকান্ডে ক্ষ-তিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ঢেউটিন, টাকার চেক ও খা-দ্যদ্রব্য বি-তরণ

    ধামইরহাটে অ-গ্নিকান্ডে ক্ষ-তিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ঢেউটিন, টাকার চেক ও খা-দ্যদ্রব্য বি-তরণ

    আবুল বয়ান, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ

    ধামইরহাটে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ঢেউটিন, টাকার চেক ও খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করা হয়েছে।

    ৩১ আগষ্ট বিকেল ৫টায় ইসবপুর ইউনিয়নের ধুরইল গ্রামের ছয়ফর আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলামকে ২ বান্ডিল টিন, ৬ হাজার টাকার চেক, চাল, তেল সহ অন্যান্য শুকনা খাবার প্রদান করেন ইউএনও ভারপ্রাপ্ত জেসমিন আক্তার। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনছুর আলী, উপজেলা বিএনপি’র সাঃ সম্পাদক মোঃ হানজালা, নওগাঁ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম লিটন ও গন্যমান্য ব্যাক্তিগণ। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ত্রান শাখা সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জুলাই শনিবার বৈদুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে জাহিদুল ইসলামের ঘর-বাড়ির টিনের চালা সহ ১১ বান্ডিল টিন, কাঠ, বাঁশ, খাট, ২টি ডেক্সটপ কম্পিউটার, ১টি ল্যাপটপ ও অন্যান্য মালামাল সহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়।