Author: desk

  • দোয়ারাবাজারে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধ-র্ষণের অ-ভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক গ্রে-ফতার

    দোয়ারাবাজারে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধ-র্ষণের অ-ভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক গ্রে-ফতার

    হারুন অর রশিদ,

    দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম রহমত আলীকে (৪০) পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। তিনি উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের চামতলা ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক। পাশাপাশি স্থানীয় সুড়িগাওঁ জামে মসজিদের ইমাম। ভিকটিম শিশুটি স্থানীয় লিয়াকতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো আরবি শিক্ষা নিতে বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে আরবি শিক্ষা নিতে সুড়িগাঁও জামে মসজিদে যায় শিশুটি। মক্তবের ছুটি শেষে সবাই বাড়ি ফিরলেও ভিকটিম শিশুটিকে কাজের কথা বলে নিজ কক্ষে নিয়ে যান ইমাম রহমত আলী। এক পর্যায়ে তিনি শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে ঘটনাটি প্রকাশ না করতে ভিকটিম শিশুটিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন তিনি। এদিকে বাড়ি ফিরে প্রথমে শিশুটি ভয়ে বিষয়টি কারো কাছে প্রকাশ করেনি। ঘটনার চারদিন পর সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যদের চাপে সম্পূর্ণ বিষয়টি খুলে বলে সে। এসময় ঘটনাটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে লম্পট রহমত আলীকে আটকে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লম্পট ইমামকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

    দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হক আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।

  • গোদাগাড়ীতে বিমান বাহনীর সাবেক কর্মকর্তা জিআরপি মসজিদের ইমাম মাসউদ আলমের দা-ফন স-ম্পন্ন

    গোদাগাড়ীতে বিমান বাহনীর সাবেক কর্মকর্তা জিআরপি মসজিদের ইমাম মাসউদ আলমের দা-ফন স-ম্পন্ন

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ
    রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার মাদারপুর মহল্লার অহংকার,, ডিমভাঙ্গা জিআরপি জামে মসজিদের দীর্ঘদিনের বিনা বেতনের সাবেক ইমাম, বিমান বাহনীর সাবেক ওয়ারেন্ট অফিসার, দৈনিক ইনকিলাবের পাঠক ফোরামের সভাপতি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ মাসউদ আলম ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন।

    সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬ টায় নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যকালে তিনি মা, একমাত্র ছেলে মোঃ ইকবাল, বড় মেয়ে জবা ও ছোট মেয়ে মাহমুদা, মেয়ের জামাইসহ অসংখ্য আত্নীয় স্বজন রেখে গেছেন।

    তিনি গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজ (মহিশালবাড়ী) এর গভর্নিংবডির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। তিনি মসজিদে মসজিদে গিয়ে কুরআন, হাদিসের আলোকে বিভিন্ন মানুষকে আল্লাহর পথে আসার জন্য আহ্বান করতেন। অনেক সময় তিনি নিজ বাড়ীতে মানুষকে ডেকে আল্লাহ পথে আসার জন্য বিস্তর আলোচনা করতেন।

    আজ বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় মহিশালবাড়ী গোরস্থানে নামাজের জানাজা শেষে দাফন করা হয়। তার নামাজের জানাজায় ইমামতি করেন
    ফায়ার সার্ভিস মোড এলাকার মসজিদের সাবেক ইমাম মাও. রুহুল আমিন।

    গোদাগাড়ীর সাদিকুল ইসলাম বলেন, মাসুদ আলম ভাই খুব ভাল মানুষ ছিলেন। তিনি যেমন কুরআন, হাদীস জানতেন তেমনী ইংরেজিতে বেশ পারদর্শী ছিলেন। তিনি ডিমভাঙ্গা জিআরপি জামে মসজিদে দীর্ঘ কয়েকবছর কোন প্রকার সম্মানী ছাড়ায় ইমামতি করেছেন এবং মানুষকে আল্লাহর পথে আসার আহ্বান করেছেন।

    বড় জামাই মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, আব্বা বাসায় একাই থাকতেন। ফজরের নামাজ শেষ করে গ্যাসে নাস্তার জন্য ডিম সিদ্ধ করতে দিয়ে চিয়ারে বসে পড়েন এবং ওই অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন । সকাল ৬ টার দিকে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ডিমগুলি পুড়ে যায়। পরে গেটের তালা ভেঙ্গে বের করা হয়।

    মহিশালবাড়ী বাজার কমিটির সদস্য পারফেক্ট ফ্যাশান এর মালিক সাদিকুল ইসলাম জানান, তিনি দৈনিক ইনকিলাবের জন্মলগ্ন থেকে পাঠক ছিলেন। আমার দোকানে মাঝে মধ্যে এসে ইনকিলাবের নিউজ নিয়ে বিশ্লেষণ করতেন। নিজে ইনকিলাব পেপার কিনে পড়তেন। মাসউদ ক্লথের মালিক ছিলেন এবং ইমামতি করতেন। দু বছর আগে স্ত্রীকে হারিয়ে তিনি বড় একা হয়ে গিয়েছিলেন। দীর্ঘ কয়েকবছর কাপড়ের ব্যবসা করেছেন। মানুষের সাথে ভালোভাবে চলাফেরা করতেন। ছোট বড় সবাই উনাকে সালাম দিতেন। এলাকাবাসী একজন ভাল মানুষকে হারালেন, যার অভাব পূরন হবার নেই।

    মরহুমের নামাজের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, গোদাগাড়ী পৌরসভার সভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রশিদ, মাটিকাটা আর্দশ ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক মোঃ আব্দুল খালেক, মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হায়দার আলী, সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ সিকান্দার আলী, ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোফাজ্জল হোসেন মোফা প্রমূখ।

    মোঃ হায়দার আলী,
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    রাজশাহী

  • মাদ্রাসায় শিক্ষাবৃত্তি বি-তরণে অ-নিয়ম তদন্তে অর্থ আ-ত্মসাত ও স্বজনপ্রী-তির স-ত্যতা মিলেছে

    মাদ্রাসায় শিক্ষাবৃত্তি বি-তরণে অ-নিয়ম তদন্তে অর্থ আ-ত্মসাত ও স্বজনপ্রী-তির স-ত্যতা মিলেছে

    বাবুল হোসেন,
    পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

    পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নাশির মণ্ডল হাট ছালেহীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার ইউসুফ আলীসহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষা বৃত্তির অর্থ আত্মসাত ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ সরকারি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তিন সদস্যের কমিটি এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

    এর আগে পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস (পিবিজিএসআই) প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ পাওয়া বৃত্তির অর্থ বণ্টনে অনিয়ম ও আত্মীয়দের প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

    প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বৃত্তির জন্য নির্বাচিত ২০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫ জন ছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষকদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ৫ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হলেও, মাদ্রাসার এক শিক্ষক তার দুই ভাতিজার কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা করে ফেরত নিয়েছেন। এছাড়া নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হয়, কারণ প্রায়ই নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে ক্লাস বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    ‘ অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশের পর  ’ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আইবুলন ইসলামের নেতৃত্বে একাডেমিক সুপারভাইজার ও শিক্ষা প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

    উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার আইবুলন ইসলাম বলেন, “গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত শিক্ষা বৃত্তি বিতরণে অনিয়মের খবর সংবাদপত্রে দেখে আমি ইউএনও স্যারকে অবগত করি। পরে তদন্তে নেমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তথ্য পাই যে, তিনজন শিক্ষকের সন্তান ভুয়া পরিচয়ে বৃত্তি নিয়েছে। এমনকি এক শিক্ষক তার ভাতিজাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। তদন্তে এসব অনিয়মের সত্যতা মিলেছে।”

    তিনি আরও বলেন, “বৃত্তি বিতরণের আগে আমি সুপারসহ সব শিক্ষকের সঙ্গে বৈঠক করে সতর্ক করেছিলাম, যাতে কোনো ধরনের অনিয়ম না হয়। কিন্তু তারপরও নিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে। এর দায় সুপার কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শিগগিরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    অভিভাবক ও স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রাপ্য অর্থ আত্মসাত করা লজ্জাজনক ও অনৈতিক। যাদের প্রাপ্য নয়, তাদের বৃত্তি দিয়ে নিয়ম ভাঙা হয়েছে। আমরা চাই দোষীদের কঠোর শাস্তি হোক, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন কাজের সাহস না পায়।”

    এর আগে অভিযোগ ওঠার পর সুপার ইউসুফ আলী সংবাদ সম্মেলন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন। তবে তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর সেই দাবি এখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।

  • নলছিটির মোল্লারহাটে বিএনপির ৪৭তম প্র-তিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

    নলছিটির মোল্লারহাটে বিএনপির ৪৭তম প্র-তিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

    ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক

    নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ১লা সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় মোল্লারহাট চৌমাথা এলাকা থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মোল্লারহাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. জাকির হোসেন বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফিরোজ আলম জোমাদ্দার, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক খোকন ব্যাপারী, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো. আসিফ মোল্লা, কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জায়েদ ব্যাপারী ও সাধারণ সম্পাদক মো. রিমন মোল্লা।

    বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শিক্ষা, ঐক্য, প্রগতি ও তারুণ্যের অঙ্গীকার নিয়েই বিএনপি আজও জনগণের পাশে আছে। তাঁরা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন—তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের জন্য হোক। বক্তারা আরও বলেন, বিএনপি হলো দেশের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের নাম।

    অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা মো. মিলন হাওলাদার, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. শাহাদাৎ সিকদারসহ স্থানীয় অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

    মোল্লারহাট ইউনিয়ন বিএনপি পরিবারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অসংখ্য কর্মী ও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • তারাগঞ্জে খু-ন হওয়া ইরফান বাবুর পিতাকে অটো-ভ্যান প্রদান

    তারাগঞ্জে খু-ন হওয়া ইরফান বাবুর পিতাকে অটো-ভ্যান প্রদান

    খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধি।।

    উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘরিনামপুরে নির্মমভাবে খুন হওয়া ইরফান বাবুর দরিদ্র পিতা শফিকুল ইসলামকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬০ হাজার টাকা মূল্যের একটি অটো ভ্যান প্রদান করা হয়েছে। আজ সোমবার (১সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানা তাঁর হাতে এই ভ্যানটি তুলে দেন।

    এ সময় অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
    উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই রাতে সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট চারলিয়া এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে ইরফান বাবু (২০) নিখোঁজ হন। পরদিন ২৯ জুলাই সকালে ঘরিনামপুর বুড়াপীরের ডাঙ্গা এলাকায় খবির উদ্দিনের পুকুরপাড় থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

  • কুমিল্লাতে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনে  নতুন উদ্যা-মে মাঠে সাক্কু

    কুমিল্লাতে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনে নতুন উদ্যা-মে মাঠে সাক্কু

    মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে,
    কুমিল্লাতে নতুন উদ্যামে মাঠে নেমেছে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু,
    কুমিল্লায় ব্যাপক শোডাউন,বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আনন্দঘন পরিবেশে বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দল বিএনপি র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও কুমিল্লা দঃ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল হক সাক্কু ও তার অনুসারী বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

    ১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড় এলাকায় মনিরুল হক সাক্কুর বাসভবনের সামনে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ড ৬টি ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার নারীপুরুষ মিছিল করে সমবেত হয়।

    দুপুর সাড়ে ১১টায় পবিত্র কোরান তেলোয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
    এরপর জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। রঙ্গিন বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মনিরুল হক সাক্কু।এসময়
    তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি ও বিএনপি চেয়ারপার্স ন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেযারপার্সন তারেক রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপস্থিত হাজার হাজার নেতাকর্মীর সামনে বিএনপির প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরে বলেন বিএনপি হলো সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের রাজনৈতিক দল।

    শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের দুঃসময়ে দেশের দ্বায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশকে স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে নিয়েছিলেন। শহীদ জিয়া দেশে খাদ্যউৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে খাল খনন কর্মসূচি চালু করেছিলেন।   বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কখনো কোন অন্যায় বা প্রলোভনের কাছে আপোষ করেননি।
    তাই তিনি আপোষহীন নেত্রী। আগামী সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ গ্রহণের জন্য প্রস্তুতির লক্ষ্যে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড সমূহে গণ সংযোগ করে তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করবেন এবং সমাবেশ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে প্রায় ২০ হজার নারী পুরুষের একটি আনন্দ র‌্যালী বের করে নগরীর ছাতিপট্টি, রাজগঞ্জ, মনোহরপুর, কান্দিরপাড়,জিলা স্কুল রোড,সার্কিট হাউজরোড মোগলটুলি,রাজগঞ্জ বজ্রপুর ,নানুয়ার দিঘীরপাড় হয়ে পুনরায় মেয়র সাক্কুর বাড়ীর সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়।

  • কুমিল্লাতে ৩ পরিবারের সকলকে বেহু-শ করে ডা-কাতি

    কুমিল্লাতে ৩ পরিবারের সকলকে বেহু-শ করে ডা-কাতি

    মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে,

    কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্প্রে ছিটিয়ে তিন পরিবারের অন্তত ১২জন সদস্যকে অচেতন করে তাদের ঘরে থাকা নগদ চার লাখ টাকা সহ স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বত্তরা।
    ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের জিনিদকরা গ্রামে।

    এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের সেখানে ভর্তি করা হয়। সংবাদ পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

    ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চিওড়া বাজারের একতা ট্রেডার্সের মালিক মো. আব্দুস সাত্তার প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার রাত ১০টায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে যান। ঘরে পৌঁছার কিছুক্ষণ পরই তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল কায়েস বলেন, তার মাথা ঘুরাচ্ছে।
    পরে কায়েস সহ ঘরে থাকা সকলে অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পাশের দুটি ঘরে থাকা লোকজনও একই সময় অচেতন হয়ে যায়।
    পরদিন রবিবার সকালে তাদের ঘরের কেউ ঘুম থেকে উঠছে না দেখে আশেপাশের লোকজন তাদের ডাকাডাকি করেন।
    এতে ঘর থেকে কোনো প্রকার সাড়া-শব্দ না পেয়ে এলাকার লোকজন জড়ো হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ঘর থেকে ব্যবসায়ী মো. আব্দুস সাত্তার, তার পিতা মো. শাহজাহান, ছেলে আব্দুল্লাহ আল কায়েস, আব্দুল্লাহ আল শুভ, পাশের ঘরের মো. সোলেমান, তার স্ত্রী রাশেদা বেগম, ছেলে মো. সাজ্জাদ হোসেন, মেয়ে ঝুমুর আক্তার, নুফুর আক্তার ও নিহা আক্তার, অপর ঘরের মো. মিলন ও তার মেয়ে মিশু আক্তারকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
    হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সকলকে ভর্তি দেন। আজ তিন দিন পার হলেও সুস্থ্য হয়নি তারা এখনো তাদের চিকিৎসা চলছে।

    স্থানীয়ভাবে অভিযোগ উঠেছে, এলাকার সংঘবদ্ধ একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে চেতনানাশক স্প্রে ব্যবহার করে তিন পরিবারের সকল সদস্যকে অচেতন করে।
    পরে অজ্ঞাতনামা এ চক্রটি রাতের আঁধারে একটি ঘরে প্রবেশ করে আলমারি ভেঙে বিদেশ যাওয়ার জন্য রাখা নগদ ৪ লাখ টাকা ও ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে উধাও হয়ে যায়।

    হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চিওড়া বাজারের ব্যবসায়ী ভুক্তভোগি মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘কিভাবে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটলো কিছুই বুঝতে পারিনি।
    নতুন ঘটনার ভিকটিম হলাম। আমার পরিবারের সকলে অচেতন হয়ে গিয়েছিলো। সকলের জ্ঞান ফিরলেও এখনো সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছে।

    ভুক্তভোগি ঝুমুর আক্তার বলেন, প্রতিদিনের মতই ছোট ভাইকে নিয়ে পড়তে বসি। খাবার খাওয়ার পর ঘুমাতে যাওয়ার আগে রাত অনুমান ১১টায় মাথা ঘুরাচ্ছে বুঝতে পেরে ঘুমিয়ে পড়ি। পরদিন সকাল ৯টার পরে প্রতিবেশীদের ডাকে ঘুম ভাঙ্গে। মা তখনও অজ্ঞান ছিলো। এ সময় আমরা কেউই ঠিকভাবে দাঁড়াতে পারছিলাম না। সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। ঘরে থাকা আলমারির সামনে ৫শ’ টাকার একটি নোট পড়ে থাকতে দেখি। নগদ টাকা সহ ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে দুর্বত্তরা। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

    এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশিদ আহমেদ চৌধুরী তোফায়েল বলেন, অজ্ঞান অবস্থায় একই বাড়ীর তিন পরিবারের প্রায় ১২জন সদস্যকে নিয়ে আসে স্থানীয়রা। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং উন্নত চিকিৎসা চলমান রয়েছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগিরা কিছুই বলতে পারছে না। ধারনা করা হচ্ছে, কোনো চেতনানাশক ব্যবহার করে তাদের অজ্ঞান করা হয়েছিলো। ভুক্তভোগিদের অন্তত ৪৮ ঘন্টা পর্যবেক্ষণ করার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।

    এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল কালাম জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগিদের সাথে কথা বলেছি। কিভাবে কি ঘটেছে কেউই কিছু বলতে পারছে না। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

  • আশুলিয়ায় এসআই মাসুদ রানা ক্লো-জড

    আশুলিয়ায় এসআই মাসুদ রানা ক্লো-জড

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ায় জোনায়েদ (০৫) নামের এক শিশু অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানাকে ক্লোজড করা হয়েছে।

    সোমবার (১ সেপ্টেম্বর২০২৫ইং) আশুলিয়া থানা পুলিশ সূত্র জানা গেছে, ক্লোজ হওয়া (এসআই) মাসুদ রানা ১৫দিন আগে মানিকগঞ্জ থেকে আশুলিয়া থানায় যোগদান করেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আব্দুল হান্নান। তিনি আজ স্বাক্ষী সংক্রান্ত ছুটিতে আছেন। এসআই মাসুদ রানাকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নিরপরাধ ব্যাক্তিকে চুরির মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগও রয়েছে বলে দাবি করেছেন অপর ভুক্তভোগী। মাত্র ১৫দিন আগে আশুলিয়া থানায় যোগদান করে তিনি ধান্ধাবাজি শুরু করে ধরা পড়ে ক্লোজ হলেন।

    জানা যায়, নিখোঁজ ডায়েরির তদন্তের জন্য ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে টাকা দাবি ও আদায় করেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. মাসুদ রানা। টাকা আদায় করার পরেও তিনি কোন ধরনের তদন্ত করেননি। এমনকি ভুক্তভোগী পরিবার তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি বিরক্ত হয়ে বলতেন, এই থানায় আরও ২০/২৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের কেউ এতোটা বিরক্ত করে না, যতোটা তারা করছেন। পুলিশি সেবা না পেয়ে হতাশা নিয়ে র‍্যাবের সাথে যোগাযোগ করে ভুক্তভোগী পরিবার। পরে নিখোঁজের ১৩দিন পর শিশু জোনায়েদের হাড়গোড় উদ্ধার করে খুনি মোরসালীনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৪।

    পরবর্তীতে টাকা দাবি-দায়িত্বে অবহেলা ও টাকা আদায়ের বিষয়গুলো নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে গত ৩০-৩১ আগস্ট সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের ২৪ ঘন্টার মধ্যে (এসআই) মাসুদ রানাকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার এসপি মহোদয়।

    আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, (এসআই) মাসুদ রানা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ছুটিতে ছিলেন। তাকে ছুটি অবস্থায় ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, এর আগে গত বছর ৫ আগষ্টের পর গত ১০ মাসে ৫জন ওসি ও একজন তদন্ত ওসিকে ক্লোজ বা বদলি করা হয়, আবারও আশুলিয়া থানার (এসআই) মাসুদ রানাকে ক্লোজ করা হলো। আশুলিয়া থানায় অর্ধশতাধিক (এসআই) ও (এ এসআই) থাকেন তাদের মধ্যে এক দুইজনের দায়িত্বে অবহেলা স্বাভাবিক বিষয় বলে দাবি করেন পুলিশ কিছু সদস্য।

  • বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গৌরনদীতে  র‌্যা-লী ও স-মাবেশ অনুষ্টিত

    বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গৌরনদীতে র‌্যা-লী ও স-মাবেশ অনুষ্টিত

    কে এম সোয়েব জুয়েল,
    গৌরনদী প্রতিনিধি।
    বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উপলক্ষে বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় সোমবাল সকালে বর্নাঢ্য র‌্যালী ও সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া উপজেলা) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী আকন কুদ্দুস বলেছেন, আগামী ফেব্রয়াারি মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও সরকারে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। অথচ নির্বাচন অনুষ্ঠান নষ্যাত করতে কোন কোন ফ্যাসিবাদি দালালরা ষরযন্ত্র করছে। যে কোন ষরযন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। জাতীয় সংকট সমাধান ও দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প সমাধান নেই। কিন্তু একটি চিহ্নিত মহল এই ঐকমত্যের বিপরীতে দাঁড়িয়ে নির্বাচন তথা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বানচালের অপচেষ্টা করছে।
    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গৌরনদী উপজেলা-পৌর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে সোমবাল সকালে বর্নাঢ্য র‌্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন সংলগ্ন ফিসারিয়া অফিস থেকে র‌্যালীটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে গৌরনদী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য নির্ভীক কলম সৈনিক জহুরুল ইসলাম জহির। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আরো বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অনুকরণে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে দখল চাদাবাজি করতে করতে গিয়ে অনেক দাপটি নেতা দল থেকে বহিস্কার হয়েছেন। বিএনপির কেউ যদি গডফাদার সংস্কৃতির প্রবর্তন করতে চায় তাদের চিহ্নিত করে দল এবং আইনের মুখোমুখি করার জন্য আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নকে আমরা মোকাবিলা করবই।’
    অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এস, এম, মনিরুজ্জামান মনির। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এস, এম, আফজাল হোসেন, আবুল হোসেন লাল্টু, মোঃ মঞ্জুর হোসেন মিলন, মোঃ তাইফুর রহমান কচি, হোসনেআরা বেবী, টরকী বনিক সমিতির সাধারন সম্পাদক ও বিএনপি নেতা মোঃ বদিউজ্জামান চঞ্চল, বাটাজোর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও বিএনপি নেতা আকতার হোসেন বাবুল, জেলা যুবদল নেতা মাসুদ হাসান মিঠু, এম, এ গফুর, মোঃ মাসুম হাওলাদার, সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ নাসির সরদার, মোঃ আবু বকর, দুলাল আকন, আমজাদ হোসেন ঝিন্টু, মশিউর রহমান লিটন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাফর খান, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক আবুল কালাম হাওলাদার, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ রাসেল হাওলাদার, কলেজ ছাত্রদল নেতা মোঃ আলী প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোঃ মোল্লা মাহফুজ, আগৈলঝাড়া যুবদল নেতা মোঃ হেমায়েত হোসেন, গৌরনদী উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ রুবেল গোমস্তা।

  • মাগুরায় না-নাবিধ সম-স্যায় জ-র্জরিত রেড ক্রিসেন্ট মা ও শিশু হাসপাতাল

    মাগুরায় না-নাবিধ সম-স্যায় জ-র্জরিত রেড ক্রিসেন্ট মা ও শিশু হাসপাতাল

    জিল্লুর রহমান,
    মাগুরা প্রতিনিধি।

    মাগুরার শ্রীপুরে গত ২০২২ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অবঃ) এটিএম আবদুল ওয়াহহাব শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী মা ও শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় হাসপাতালটি হওয়ায় এলাকার গরীব ও অসহায় মানুষগুলো এ হাসপাতাল থেকে স্বল্প খরচে উন্নত চিকিৎসা সেবা গ্রহন করছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠার তিন বছর পেরিয়ে গেলেও পূর্ণতা পায়নি হাসপাতালটি। বরং দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতালটি নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নই, একটি কুচক্রী মহল হাসপাতালটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পায়তারা চালিয়ে আসছে। এলাকার নেতৃত্ব স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সেবা নিতে যাওয়া রোগী ও রোগীর স্বজনেরা এবং এলাকাবাসী হাসপাতালটি অন্যত্র সরিয়ে না নিয়ে পরিপূর্ণ একটি হাসপাতাল গড়ে তোলার জোর দাবি জানিয়েছেন। সেই সাথে হাসপাতালটির নাম পরিবর্তন করে শ্রীপুর মডেল রেড ক্রিসেন্ট মা ও শিশু হাসপাতাল নামকরণের জোর দাবি তাদের। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী মাগুরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন।

    রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মাগুরা-শ্রীপুর সড়কের টুপিপাড়া গ্রামে অত্যন্ত নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশে হাসপাতালটি স্ব-গর্বে দাড়িয়ে আছে। অনেক নারী-পুরুষ ও শিশু রোগী ডাক্তার দেখানোর জন্য অপেক্ষা করছে। এমবিবিএস ডাক্তার মাত্র ৫০ টাকা ফিস নিয়ে রোগী দেখছেন। প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা ৫০% ছাড়ে করা হলেও ল্যাবের দায়িত্বে থাকা একজন মাত্র ল্যাব টেকনোলজিস্টকে গত ২০২৫ সালের ১৪ আগস্ট অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। যার ফলে ল্যাবের সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। রোগীদের মাগুরা এবং শ্রীপুরের বিভিন্ন ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বাড়তি টাকা খরচের পাশাপাশি চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। হাসপাতালটি চালানোর জন্য কমপক্ষে ১০ জন জনবল থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৫ জন। গত ২০২৫ সালের ২০ জুলাই দুইজন সিকিউরিটি গার্ডের মধ্যে একজনকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। শুরু থেকেই অফিস সহকারী ও একাউন্টিং পদটি শূণ্য রয়েছে। হাসপাতালটিতে নেই কোন ডিপ্লোমা নার্স। এছাড়া হাসপাতালটি পরিচালনার জন্য একটি কমিটি থাকার কথা থাকলেও কোন কমিটি গঠন করা হয়নি।

    হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনেরা জানান, হাসপাতালটি আমাদের কাছে হওয়ায় আমরা গ্রামের মানুষ স্বল্প খরচে উন্নত সেবা পাচ্ছি। কয়েকদিন ধরে ল্যাব বন্ধ থাকায় দূরদূরান্তে গিয়ে পরীক্ষা করাতে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। এমনকি আমরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। শুনছি হাসপাতালটি এখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পায়তারা চলছে। আমরা এই নেক্কারজনক কর্মকাণ্ড ও ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    এ বিষয়ে সমাজের বেশ কয়েকজন নেতৃত্ব স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা বললে তারা জানান, হাসপাতালটি আমাদের এলাকাবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে হাসপাতালটি হওয়ায় প্রত্যন্ত এলাকার মানুষগুলো উন্নত স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে আসছে। হাসপাতালটি দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সমস্যা জর্জরিত। আমরা দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে এই হাসপাতালটিকে একটি পরিপূর্ণ হাসপাতাল হিসেবে দেখতে চাই। শুনছি একটি কুচক্রী মহল হাসপাতালটি এখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার পায়তারা করছে। যদি তাই হয়, আমরা হাসপাতালটিকে এখান থেকে নিয়ে যেতে দিবো না। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যানের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন হাসপাতালটি এখান থেকে সরিয়ে না নিয়ে হাসপাতালটিকে একটি পরিপূর্ণ হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তুলবেন বলে আশা করছি।

    হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার লিংকু কুমার বিশ্বাস জানান, হাসপাতালে আড়াই বছর ভালই চলছিল। গত ছয় মাস ধরে হাসপাতালটি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এখানে শুধু জনবল সংকট নয়। এখান থেকে কয়েকদিনের ব্যবধানে সিকিউরিটি গার্ড ও ল্যাব টেকনোলজিস্টকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। গত ৪ মাস যাবত আমার বেতন বন্ধ। কর্তৃপক্ষ ৪ মাস হাসপাতালের কোন বিল ভাউচারে সই করছেন না। হাসপাতালটি পরিপূর্ণতা না পেলেও অন্তত আগের পরিবেশে চললে প্রত্যন্ত এলাকার অসহায় মানুষগুলোর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত হবে।