Author: desk

  • টুঙ্গিপাড়ায় অ-বৈধভাবে বালু উ-ত্তোলনের দায়ে ড্রে-জার মালিক ও জমির মালিককে অ-র্থদণ্ড

    টুঙ্গিপাড়ায় অ-বৈধভাবে বালু উ-ত্তোলনের দায়ে ড্রে-জার মালিক ও জমির মালিককে অ-র্থদণ্ড

    কে এম সাইফুর রহমান,
    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

    গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের কড়ফা বিল এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় এক আত্মঘাতী ড্রেজার মালিক ও জমির মালিককে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার।

    টুঙ্গিপাড়ার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের কড়ফা বিলে আত্মঘাতী ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ইউএনও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় হাতেনাতে আটক হন জমির মালিক ও বালু বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম (রফিক) ও
    ড্রেজার মালিক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। রফিকের বাড়ি উপজেলার কড়ফা এলাকায় আর ড্রেজার মালিকের বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার পেনাখালী এলাকায়।

    তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) অনুযায়ী ২৫,০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

    ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে ইউএনও ফারজানা আক্তার বলেন, “বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী অনুমোদন ব্যতীত যেকোনো ধরনের বালু উত্তোলন দণ্ডনীয় অপরাধ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এই অভিযান চলমান থাকবে।”

    তিনি আরও জানান, কড়ফা বিল এলাকার পরিবেশ ও কৃষিজমি ধ্বংস করে চলা এ ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

    এদিকে ইউএনও’র এমন সাহসী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এলাকাবাসী বলেন, “নদী ও বিল থেকে এভাবে বালু কেটে নেওয়ায় আমাদের ফসলি জমি ও পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করতে হবে।
    ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধে জড়ালে তাদের জেল জরিমানা সহ কঠোর শাস্তির আওতায় নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

    নিশ্চিত করা হবে বলে
    টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বালু উত্তোলন ও পাচার এবং পরিবেশ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে বলেও কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রশাসন।

  • দল থেকে বহি-ষ্কার হলেন ইয়া-বাসহ গ্রেফ-তার সুজানগর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ

    দল থেকে বহি-ষ্কার হলেন ইয়া-বাসহ গ্রেফ-তার সুজানগর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ গ্রেফতার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল পাবনার সুজানগর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ মন্ডলকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) পাবনা জেলা কৃষকদলের সভাপতি মো.আবুল হাশেম ও সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান (আসিপ) স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে এই সাময়িক বহিষ্কার আদেশ সংবাদমাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। সুজানগর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ মন্ডল সুজানগর পৌর এলাকার ভবানীপুর এলাকার মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে । প্রেস রিলিজে অনাকাঙ্খিত কর্মকান্ড, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং তাকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সংসদের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে ।

    উল্লেখ্য , গত রবিবার সকালে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের ফুড ভিলেজ হোটেলের সামনে থেকে কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ সুজানগর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ মন্ডলসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ইয়াবা, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে
    সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

    পুলিশ ও র‍্যাব জানায়, তারা নিয়মিত কক্সবাজার থেকে ইয়াবা আনা নেয়া করতো, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাবনা-কক্সবাজারগামী সেন্টমার্টিন সৌহাদর্য পরিবহনে তল্লাশি চালায় র‍্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা। তল্লাশির এক পর্যায়ে আটককৃতদের কাছ থেকে এইসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের সিরাজগঞ্জ সলঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং
    আটককৃতদের নামে মাদকের মামলা দায়ের করা হলে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।

  • সি-দ্ধ সাধক শ্রী শ্রী ন্যাং-টা বাবার আশ্রম

    সি-দ্ধ সাধক শ্রী শ্রী ন্যাং-টা বাবার আশ্রম

    উজ্জ্বল রায়, নিজস্ব প্রতিবেদক
    শ্রী শ্রী ন্যাংটা বাবার আশ্রম নবগঙ্গা নদীর তীরে সাতদোহা গ্রামে অবস্থিত। শ্রী শ্রী ন্যাংটা বাবা ১৯২৫ সালে নড়াইল জেলার ভবানীপুুর গ্রামে বারেন্দ্র শ্রেনীর ব্রাম্মন পরিবারে ভাদ্র মাসে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম শ্রী বেণীমাধব চক্রবর্তী, মায়ের নাম পূর্ণ সুন্দরী দেবী। জন্মের পরই তার পিতামাতা কিছু অলৌকিক লক্ষন দেখতে পান। সংসারে আয় উন্নতি বাড়তে থাকে বিভিন্নভাবে। জনশ্রতি আছে ভবানীপুর গ্রামে একবার কলেরার প্রদুর্ভাব হলে গ্রামবাসীরা ন্যাংটা বাবার সরণাপন্ন হন। তিনি জল পড়ে গ্রামে ছিটিয়ে দিলে কলেরা বন্ধ হয়ে যায়।
    তিনি ছিলেন সিদ্ধ সাধক। মুখ দিয়ে তিনি যা বলতেন তাই সঠিকভাবে ফলে যেতো। তার কাছে লোকজনের আসা যাওয়া বেড়ে যায়। অতঃপর তিনি বার বছর বয়সে গৃহত্যাগ করেন। তারপর তিনি মাগুরা জেলার সাধুহাটি গ্রামে ধ্যানমগ্ন হন। কিন্ত তার পায়ের ধূলো নেওয়ার জন্য এখানেও উপচে পড়ে জন মানুষের ভীড়। এখানে তিনি ধ্যানমগ্ন হয়ে বসুদেবের দর্শণ পেয়ে ধন্য হলেন। তিনি মায়ার জালে আবদ্ধ হওয়ার উপক্রম হলে তিনি নবগঙ্গায় ঝাপ দিয়ে অদৃশ্য হন। পরদিন একদল জেলে শবদেহ ভাসছে দেখে সন্যাসীকে উদ্ধার করেন। জেলেরা তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে পোশাকে আচ্ছাদিত করতে চায়লেও কোন বস্ত্র তার গায়ে থাকেনি। এভাবেই উলঙ্গ অবস্থাতেই তিনি পদ্মাশন হয়ে পূনরায় ধ্যানমগ্ন হন। এরপর বালক সন্যাসীর সাথে পাগলা কানাইয়ের আলাপ হয় তিন দিন ধ্যানমগ্ন থাকার পর। তখন থেকেই তার নাম হয় ন্যাংটা বাবা।
    ঐতিহাসিক সাতদোহা আশ্রম, নবগঙ্গা নদী তীরস্থ সাতদোহা আশ্রমটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মসজিদের বামপার্শ্বের রাস্তা দিয়ে মাঝিপাড়ার ভিতর দিয়ে পারলা গ্রামের অভিমুখে গ্রামের শুরুতেই সাতদোহা পাড়ার সাতদোহা মহশ্মশানে অবস্থিত। এই শ্মশানের পাশেই ইংরেজদের নীলকুঠি ছিল। এখানে নীল চাষও হতো। পরবর্তীতে ইংরেজরা দেশ ছেড়ে গেলে বন জঙ্গলে ভরে যায় এই শ্মশান। পরবর্তীতে ন্যাংটা বাবা এই শ্মশানে ধ্যানমগ্ন হলে তার সংস্পর্শে আসেন এই এলাকারই ফটিক চন্দ্র বিশ্বাস (মাঝি)। ফটিক মাঝি নিজ ভূমি দান করে জঙ্গল কেটে ন্যাংটা বাবার আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। এই শ্মশানে ন্যাংটা বাবার সমাধি মন্দিরসহ নাটমন্দির প্রতিষ্ঠিত। পাশেই কালা সাধক নামে এক সাধকের সমাধিসহ আরো কয়েকটি শবের সমাধি মন্দির রয়েছে। প্রতিবছর এখানে নির্দিষ্ট সময়ে হরিনাম সংকীর্তন জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উপলক্ষে মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলাতে বিভিন্ন লোকজ সামগ্রীর সমাগম ঘটে এবং হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে।
    কথিত আছে ন্যাংটা বাবা নামযজ্ঞ শুরু হতেই ১ সের চাল ও ১ পোয়া ডাল মিশ্রিত করে শিষ্য সনাতনকে রান্না করতে বলেন এবং তাকে না জানিয়ে কাউকে দিতে নিষেধ করেন। রান্না শেষ হলে একজন ক্ষুধার্ত ব্রাম্মনকে সনাতন সেবা দেন ন্যাংটাকে না জানিয়ে। ন্যাংটা বাবা অগ্নিমূর্তি ধারণ করলে পাগলা কানাই ন্যাংটা বাবার দর্শন দিয়ে অদৃশ্য হন। এরপর অবশিষ্ট প্রসাদ নিয়ে সনাতন বাবার হাতে দিলে তিনি আশ্রমের আঙ্গিনায় ৩টি কুকুর নাম সংকীর্তন শুনছিল তাদের ডেকে প্রসাদ খেতে দিয়ে সনাতনকে বলেন, আমাকে স্পর্শ কর, এবার দেখ এরা কারা। সনাতন দেখল স্বয়ং ব্রম্ম, বিষ্ণু ও শিব আহার করছেন। সনাতন মূর্ছা গেল। আহার শেষে তিনজন অন্তর্ধান হলেন।
    এরপর শুরু হয় মজার ব্যাপার অলৌকিক অবস্থা। নবগঙ্গা নদীপথে নৌকা বোঝায় বস্তা বস্তা চাল, ডাল, তেল, লবণ, তরকারীসহ অগনিত ভক্ত আসতে লাগলো, ৭২ ঘন্টার নামযজ্ঞ পক্ষকালেও শেষ হতে চায় না। সেই থেকে মাঘী পূর্ণিমার তিথিতে ৭২ ঘন্টার নামযজ্ঞের সংকীর্তন শুরু হয়। এই মহা সাধক পুরুষ বাংলা ১৩৭০ সালের ৩১ শে বৈশাখ মঙ্গলবার আসনে উপবিষ্ট অবস্থায় অগণিত ভক্তকে অশ্রু সাগরে ভাসিয়ে দেহ ত্যাগ করেন। এখানেই তাকে সমাহিত করা হয়। আজও ভক্তরা ন্যাংটা বাবার কৃপা লাভের আশায় সাতদোয়া মহাশ্মশানে আসেন বাবাকে শ্রদ্ধাঞ্জলী দিতে।

  • নওগাঁ ডিবিসি টেলিভিশনের সাংবাদিক একে সাজুর উপর হা-মলার প্র-তিবাদে মা-নববন্ধন

    নওগাঁ ডিবিসি টেলিভিশনের সাংবাদিক একে সাজুর উপর হা-মলার প্র-তিবাদে মা-নববন্ধন

    আবুল বয়ান, ধামইরহাট নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

    নওগাঁর মহাদেবপুরে সাব রেজিস্ট্রার অফিসে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ডিবিসি নিউজ এর নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি এ,কে সাজু’ র উপর সাব রেজিস্ট্রারের অনুমতি তে হামলা চালায় দলিল লেখক সমিতির সন্ত্রাসীরা। এরই প্রতিবাদে ০২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টায় ধামইরহাট উপজেলার সর্বস্তরের সাংবাদিক এর ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে সাংবাদিক মাসুদ সরকার এর সঞ্চালনায় সাংবাদিক নূরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক এম এ মালেক, সহ-সভাপতি আবুল বয়ান, সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা স্বপন, ধামইরহাট প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি মোসাদ্দেকুর ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, উজ্জল হোসেন, নাজমুল হক. শামীম হোসেন, সাংবাদিক শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক নূর সাঈদ, পত্নীতলা প্রেস ক্লাবের নির্যাতিত সাংবাদিক মাহমুদুন্নবী প্রমূখ।
    এ সময় সাংবাদিকগণ হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আজ থেকে প্রায় ৭ দিন পূর্বে মামলা হলেও প্রধান আসামী সন্ত্রাসী কনোক সারোয়ার গ্রেফতার হয়নি। বক্তব্যে মহাদেবপুর থানা পুলিশ কে ২৪ ঘন্টা সময়ের দিয়ে বলেন , যদি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এজাহার ভূক্ত সকল আসামীদের গ্রেফতার না করা হয় কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলে হুশিয়ারি দেন।
    উল্লেখ্য গত ২৭ আগষ্ট মহাদেবপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে এই হামলার শিকার হয় ডিবিসি নিউজের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি এ,কে সাজু ।

    আবুল বয়ান,
    ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি।

  • রাজশাহীতে বিএনপির দুপক্ষের সংঘ-র্ষের পর ১৪৪ ধা-রা জা-রি

    রাজশাহীতে বিএনপির দুপক্ষের সংঘ-র্ষের পর ১৪৪ ধা-রা জা-রি

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পৌরসভা এলাকায় দুই দিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

    মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ আদেশ জারি করেন। এতে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে ও বুধবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত পৌরসভা এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

    জানা গেছে, বুধবার পৌরসভা এলাকার মহিষালবাড়িতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শরীফ উদ্দিনের অনুসারীরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। কাকনহাট পৌরসভা বিএনপির ব্যানারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল শরীফ উদ্দিন। গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিষালবাড়ি থেকে কাঁকনহাট পৌরসভা দুরুত্ব ১৯ কিলোমিটার।

    অন্যদিকে গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপি বুধবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আলাদা কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। সাতদিন আগে আবেদন করে প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নেয় উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এ অনুষ্ঠানে অতিথি থাকার কথা চিল বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর এডভোকেট সুলতান ইসলাম তারেক, ইঞ্জিনিয়ার কে এম জুয়েল, ব্যারিস্টার মাহফুজুল হক মিলন, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সালাম বিপ্লব।

    মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠান প্রস্তুতির সময় শরীফ উদ্দিন গ্রুপের অনুসারীরা বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নেয়।

    উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম শাওয়াল বলেন, আমরা এক সপ্তাহ আগে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন করা হয়েছিল। আজ বিকেলে সেখানে মঞ্চ তৈরী করতে গেলে শরীফ উদ্দিনের অনুসারিরা বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তারা অন্যায়ভাবে আমাদের প্রতিষ্ঠবার্ষিকীর অনুষ্ঠান করতে বাধা দিল।

    তিনি বলেন, শরীফ উদ্দিনের অনুসারিরা তাদের ইউনিটের বাইরে ১৯ কিলোমিটার দুরে গিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন করে সেখানে আমরা কিছু বলিনি। কারণ দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী তাদের মত তারা করবে আমাদের মত আমরা করবো। এই দুইটি স্থানের দুরত্ব এক কিলোমিটারেরও বেশী।

    ইউনিটের বাইরে ১৯ কিলোমিটার দুরে গিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান করার বিষয়ে জানতে চাইলে কাকনহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি জিয়াউল হক সরকার বলেন, শরীফ উদ্দিনের নির্দেশে সেখানে আয়োজন করা হয়েছিল। এখন যেহেতু ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে সেহেতু আমাদের নেতার রাতে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিব। পৌরসভার বাইরে করা গেলে সেখানে করা হবে বলে জানান তিনি।

    গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি রুহুল আমিন বলেন, বিএনিপর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পালন কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের উত্তেজনা ও সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে শান্তি বজায় ও আইন শৃঙ্খলা রাক্ষর্থে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ জানান, বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ঘটনা এড়াতে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা হতে বুধবার রাত ১২ পর্যন্ত পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, আগেই দুই গ্রুপই সভা করা বিষয়টি আমাদের অবগত করেছিলো। যেহেতু দুই অনুষ্ঠানের দুরত্ব এক কিলোমিটার দুরে সে কারণে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে যেহেতু অনুষ্ঠানের আগেই দিনই দুপক্ষ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে তাই গোদাগাড়ী পৌর এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর মি-ছিলে জনগণের অ-ধিকার ফিরিয়ে আনার অ-ঙ্গীকার

    চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর মি-ছিলে জনগণের অ-ধিকার ফিরিয়ে আনার অ-ঙ্গীকার

    শহিদুল ইসলাম,
    বিশেষ প্রতিনিধি

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল ও সমাবেশে প্রকম্পিত হলো পুরো নগরী।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও অভিজ্ঞ রাজনীতিক আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন— “গত ১৬ বছরের দমন-নিপীড়ন, মামলা-হামলা ও আগুন-রক্তের ভেতর দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা খাঁটি সোনার মানুষে পরিণত হয়েছেন। এই ত্যাগই আগামী দিনের রাজনীতির আসল শক্তি।”

    তিনি আরও বলেন, “সামনে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দেশে নতুন করে ষড়যন্ত্র ও সংঘর্ষের কালো ছায়া দেখা দিচ্ছে। তাই আমাদের সবাইকে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে হবে।”

    ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপির জন্ম দেন। একদলীয় শাসনের গণ্ডি ভেঙে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথ উন্মুক্ত করার অঙ্গীকার থেকেই এই দল আত্মপ্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠার মাত্র দুই বছরের মাথায় ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে বিএনপি বিপুল বিজয় অর্জন করে জাতীয় রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করে।

    জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তাঁর সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্বের দায়িত্ব নেন। ১৯৯১ সালে তিনি দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর দীর্ঘ যাত্রায় বিএনপি কখনও ক্ষমতায়, কখনও রাজপথে থেকেছে।

    গত ১৬ বছর ধরে দলটি প্রায় অবরুদ্ধ রাজনীতি, মামলা-গ্রেফতার ও দমননীতির মধ্য দিয়েও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির নেতাদের ভাষায়—এই নির্যাতনের আগুনেই আজকের কর্মীরা “খাঁটি সোনা”।

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে চট্টগ্রাম সবসময় বিএনপির শক্ত ঘাঁটি। ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ২০০৬-০৭ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতা কিংবা সাম্প্রতিক গণআন্দোলন—সবক্ষেত্রেই এ শহরের নেতা-কর্মীরা অগ্রভাগে মাঠে ছিলেন।

    নেতারা বলেন, “চট্টগ্রামের সাহসী কর্মীরা শুধু দলকে বাঁচিয়েই রাখেননি, বরং আন্দোলনের প্রাণও যুগিয়েছেন।”

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম,
    সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম,যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ,,শ্রমিক নেতা নাজিম উদ্দিন চৌধুরী,,যুবদলের মোশাররফ হোসেন দীপ্তি,,ছাত্রদলের সাইফুল আলম,,মহিলা দলের সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি,,স্বেচ্ছাসেবক দলের বেলায়েত হোসেন ভুলু।

    নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হাজারো নেতা-কর্মী মিছিলে যোগ দেন। পতাকা, ব্যানার আর স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ।
    নেতারা বক্তব্যে স্পষ্ট বার্তা দেন—“গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারই এখন বিএনপির প্রধান লক্ষ্য। এই লড়াইয়ে চট্টগ্রাম থাকবে অগ্রভাগে।”

  • পলাশতলী দাখিল মা-দ্রাসা এডহক কমিটির ন-বনির্বাচিত সভাপতিকে ফুলেল শু-ভেচ্ছা

    পলাশতলী দাখিল মা-দ্রাসা এডহক কমিটির ন-বনির্বাচিত সভাপতিকে ফুলেল শু-ভেচ্ছা

    মো. সেলিম মিয়া ফুলবাড়িয়া: ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার পলাশতলী আমিরাবাদ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা ১১ নং রাধাকানই ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা যুবদলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সহ সম্পাদক ও ফুলবাড়ীয়া উপজেলা শাখা শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোট তথ্য গবেষনা সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান ( জামান মাষ্টার )
    বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ং সোমবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্টার(প্রশাসন) প্রফেসর ছালেহ আহমাদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে মাদ্রাসা পরিচালনা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে অব্যাহত রাখার স্বার্থে আগামী ৬ মাস মেয়াদের জন্য এই এডহক কমিটি অনুমোদন করে পত্র জারি করা হয়।
    মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় মাদ্রাসা কার্যালয়ে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভারপ্রাপ্ত সুপার আমিরুল ইসলাম, অত্র মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি এ.কে.এম সায়ফুল ইসলাম, অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত সভাপতিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পলাশতলী আমিরাবাদ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্সার সাবেক সভাপতি এ.কে.এম সায়ফুল ইসলাম, কুশমাইল টেকিপাড়া এডহক কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন, ফুলবাড়ীয়া উপজেলা শাখা জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) সদস্য সচিব হারুন অর রশিদ, মাদ্রাসা অভিভাবক সদস্য উমর ফারুক, ০৯ নং ইউপি সদস্য এহেসান উল্যাহ উজ্জল, বিএনপি নেতা আঃ রউফ, মোশাফর, আবুল হোসেন প্রমূখ।
    সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতি বদিউজ্জামান মাদ্রাসার সার্বিক উন্নয়ন ও শিক্ষার মানোন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রæতি দেন। তিনি বলেন, “মাদ্রাসা শিক্ষা ও অবকাঠামো উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের পরামর্শ নিয়ে মাদ্রাসাকে একটি মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে।”অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সাংবাদিকতার আলো-কবর্তিকা: রিমন মাহফুজ

    সাংবাদিকতার আলো-কবর্তিকা: রিমন মাহফুজ

    শেখ সাইফুল ইসলাম কবির

    সাংবাদিকতা এক মহান পেশা, যেখানে সত্য, সাহস ও ন্যায়ের জন্য কলম চালাতে হয়। এই কঠিন পথে চলতে গিয়ে আমার জীবনে যিনি ছিলেন সবচেয়ে বড় প্রেরণা, শিক্ষক এবং আদর্শের প্রতীক — তিনি হলেন রিমন মাহফুজ। তিনি শুধু একজন সাংবাদিক নন, তিনি একজন সত্যনিষ্ঠ, সাহসী কলম সৈনিক, একজন দক্ষ সম্পাদক, এবং একজন নিঃস্বার্থ সাংবাদিক নেতা।

    রিমন মাহফুজ বর্তমানে জাতীয় দৈনিক “সংবাদ প্রতিদিন”-এর সম্পাদক এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির সাবেক সফল সম্পাদক। সাংবাদিকতা পেশায় তাঁর বিচরণ ছিল পরিপূর্ণ প্রজ্ঞা, দক্ষতা ও আদর্শ নিয়ে। দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক যেমন —নাঈম ইসলাম খান সম্পাদিত

    দৈনিক আমাদের সময়,

    দৈনিক আমাদের অর্থনীতি,

    ডেইলি আওয়ার টাইম,

    দৈনিক আমাদের নতুন সময় —
    এই সব কাগজে তিনি বিভাগীয় সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন।

    এইসব জায়গায় দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে তিনি কেবল নিজেই আলোকিত হননি, আমার মতো অসংখ্য নতুন সাংবাদিককে হাতে-কলমে শিক্ষা দিয়েছেন, শিখিয়েছেন কিভাবে সত্যের পক্ষে দাঁড়াতে হয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরতে হয়, আর সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিগুলো কখনো বিসর্জন না দিতে হয়।

    আমি নিজে সৌভাগ্যবান যে, তাঁর সরাসরি সান্নিধ্য ও তত্ত্বাবধানে আমি সাংবাদিকতার জগতে প্রথম পদক্ষেপ নিতে পেরেছি। তিনি শুধু পেশাগত দিক থেকে আমার শিক্ষক নন, তিনি আমার জীবনের এক আদর্শ মানুষ, এক গুরু, যিনি আমাকে বিশ্বাস করেছেন, সময় দিয়েছেন, ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন, আবার প্রেরণাও জুগিয়েছেন।

    আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমার এই প্রাণের মানুষ, আমার শ্রদ্ধেয় গুরু রিমন মাহফুজ-কে দীর্ঘ হায়াত দান করেন।
    আল্লাহ যেন তাঁকে সুস্বাস্থ্য, শান্তি ও পরিবারসহ সুখের জীবন দান করেন। তিনি যেন জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সফলতা ও সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকেন, এবং আরও অনেক নবীন সাংবাদিককে আলোর পথ দেখাতে পারেন।

    শেষ কথা

    এই যুগে যখন সাংবাদিকতা অনেক সময় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে, তখন রিমন মাহফুজের মতো একজন সাহসী, সৎ ও আদর্শবান সাংবাদিকের ভূমিকা আমাদের জন্য অনুকরণীয়। তাঁর মতো গুণীজনের ছায়ায় সাংবাদিকতা পেশাকে যদি আমরা এগিয়ে নিতে পারি, তবে দেশের গণমাধ্যম আরও বেশি শক্তিশালী, স্বাধীন এবং জনবান্ধব হয়ে উঠবে।

    নিবেদিত: এক কৃতজ্ঞ ছাত্র ও অনুরাগী সাংবাদিক
    (শেখ সাইফুল ইসলাম কবির চেয়ারম্যান জাতীয় মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কেন্দ্রিয় কমিটি ঢাকা।

  • ‎গৌরনদীতে ভিপি নূরের ওপর হা-মলার প্র-তিবাদে মশাল মি-ছিল ও বিক্ষো-ভ সমা-বেশ অনুষ্ঠিত

    ‎গৌরনদীতে ভিপি নূরের ওপর হা-মলার প্র-তিবাদে মশাল মি-ছিল ও বিক্ষো-ভ সমা-বেশ অনুষ্ঠিত


    ‎নিজস্ব প্রতিবেদক।।
    ‎ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের ওপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে গৌরনদীতে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ‎শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় গণঅধিকার পরিষদ গৌরনদী উপজেলা শাখার আয়োজনে উপজেলা কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে মশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে গৌরনদী জিরো পয়েন্টে সমাবেশে মিলিত হয়।

    ‎সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সভাপতি সোলায়মান তুহিন। তিনি তার বক্তব্যে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তিনি বলেন, “ভিপি নুরের ওপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি কেবল একজন নেতার ওপর আক্রমণ নয়, বরং ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর তরুণ সমাজ যে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছে, সেই স্বপ্নকে ধ্বংস করার গভীর চক্রান্তের অংশ।”

    ‎প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদ বরিশাল জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুরুল আমিন বলেন, “দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টিতে আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টির ভূমিকা স্পষ্ট। অবিলম্বে এ দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

    ‎এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগৈলঝাড়া উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ নাজিরুল ইসলাম।

    ‎গৌরনদী পৌর আহ্বায়ক জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মো. নিশান হাওলাদার, যুব অধিকার পরিষদ বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাজন মৃধা, ছাত্র অধিকার পরিষদ জেলা প্রচার সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল সুজন ও গৌরনদী উপজেলা সভাপতি মেহেদী হাসান তানভীর।

    ‎অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম সজল, মোহাম্মদ আলী হোসেন, কর্মসূচি ও নিরাপত্তা সম্পাদক মো. সজিব মল্লিক, নির্বাহী সদস্য রবিউল ইসলাম, সড়ক ও নিরাপত্তা সম্পাদক মো. কামাল হোসেন ও ছাত্রনেতা শাহরুখ প্রমুখ।

  • পিআর কি খায়, না মা-থায় দেয়- আমরা পি-আর বুঝি না-  গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

    পিআর কি খায়, না মা-থায় দেয়- আমরা পি-আর বুঝি না- গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

    কুমিল্লা থেকে তরিকুল ইসলাম তরুন,

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন,
    পিআর কি খায়, না মাথায় দেয়। এত বছর রাজনীতি করি আমরা পিআর বুঝি না, সাধারণ জনগণ কি বুঝবে। নির্বাচন না হলে তাদের লাভ। যেমনে সবাই মিলে হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, তেমনে সবাই মিলে নির্বাচন করব।
    সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা নগরীতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে কুমিল্লায় এক জনসভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে এ কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

    তিনি আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি নির্বাচন নিয়ে অন্তবর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা রয়েছে। কিন্তু এই আন্তরিকতা যথেষ্ট নয়। ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত হবার পরও নির্বাচন নিয়ে যে আশংকা রয়েছে, তা একাত্তর ও ৭ নভেম্বরের পরাজিত শক্তি দেশে বিদেশে বসেই ষড়যন্ত্র করছে।
    গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপির সরকারে থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে আবার বিরোধী দলে থাকার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। দলের দুঃসময়ে বড় বড় অনেক নেতা দল ছেড়ে গিয়েছে, কিন্তু তৃণমূলের কোন নেতা কর্মী বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ছেড়ে যায় নাই। বিএনপি হলো তৃণমূল মানুষের দল। বিএনপিকে নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র করে লাভ নাই।
    কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে হয় এক আনন্দ র‌্যালির আয়োজন করা হয়। এ র‌্যালিটি কুমিল্লা নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয় দক্ষিণ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে।
    কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখে বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমিন উর রশিদ ইয়াছিন।

    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম, বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার মারুফ ভুইয়া, বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সীসহ অন্যান্যরা।