এম এস সাগর,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
ভুরুঙ্গামারী এলজিইডির তত্ত্বাবধনে প্রভাতী প্রজেক্ট এবং উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিল ও এডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে বাজার উন্নয়ন ও ড্রেন, রাস্তা নির্মাণ কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয়েছে। ফলে প্রভাতী প্রকল্পের আওতায় সমাজের পিছিয়েপড়া দারিদ্র জনগোষ্ঠীদের প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান ও জীবনমানের উন্নয়ন আর যোগাযোগ ব্যবস্থা, হাটবাজারের বিবর্তন ঘটেছে।
ভুরুঙ্গামারী এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র তত্ত্বাবধনে ২০২৪-২০২৫অর্থবছর উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিল এবং এডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে নার্সারি মোড় হতে সরকারি কলেজ মসজিদ পর্যন্ত আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজ নির্দিষ্ট সময়ে ঠিকাদারের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়েছে। এতে জলাবদ্ধতা নিরসনসহ জনগন উপকৃত হচ্ছেন। এছাড়াও ভুরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদের এডিপি এবং রাজস্ব বরাদ্দ হতে ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬অর্থবছরে জন-গুরুত্বপূর্ন প্রকল্প টেন্ডার/আরএফকিউ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ চত্বর শোভা বর্ধন, মহিলা মাদ্রাসাগামী রাস্তা, কবরস্থানগামী ও মিলনী স্কুলগামী রাস্তা নির্মাণসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নমূলক কাজ সর্বোচ্চ গুণগতমান ও সচ্চতা বজায় রেখে ঠিকাদারের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
অপরদিকে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা এলজিইডির অধীনে প্রভাতী প্রকল্পের মাধ্যমে আন্ধারীঝাড়, জয়মনিরহাট, পাথরডুবি, চর ভুরুঙ্গামারী, বঙ্গসোনাহাট ৫টি ইউনিয়নের সমাজের পিছিয়েপড়া হতদারিদ্র জনগোষ্ঠীরা।পেয়েছে কর্মসংস্থান আর হয়েছে জীবনমানের উন্নয়নসহ বদলেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও হাটবাজার। প্রভাতী প্রকল্পের আওতায় বেকারদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বনির্ভর করেছেন ভুরুঙ্গামারী এলজিইডি। উল্লেখ্য, ভুরুঙ্গামারী এলজিইডির প্রভাতীর মাধ্যমে ভূরুঙ্গামারী উপজেলাট ৫টি ইউনিয়নের এলসিএস সদস্য প্রায় ৫০০জন বেকারের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হয়েছে কর্মসংস্থান ও জীবনমানের উন্নয়ন। এছাড়াও প্রভাতী প্রকল্পের মাধ্যমে ১০কিলোমিটার পাকা রাস্তা ও ৮টি গ্রামীণ হাটবাজার নির্মাণ হয়েছে।
আন্ধারীঝাড় এবং জয়মনিরহাট বাজার নির্মাণে প্রভাতী প্রকল্পের এলসিএস দলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি নার্গিস বেগম, সুমি বেগম সাহিদা বেগম, কোহিনুর বেগম, রহিমা বেগম, সাবানা, হালিমা, আলেয়া, মোর্শেদা বলেন, এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী ইনছাফুল হক সরকারের সার্বিক নির্দেশনায় হিসাব সহকারী সাজ্জাদুল ইসলাম ও প্রভাতী প্রকল্পের সহকারী মাঠ প্রকৌশলী বোরহানের সার্বিক সহযোগিতায় প্রভাতী প্রকল্পের আওতায় আন্ধারীঝাড় বাজার ও জয়মনিরহাট বাজার নির্মাণ কাজ আমাদের (এলসিএস মহিলাকর্মী) তত্তাবধানে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে এবং প্রকল্পে কর্মসংস্থান পেয়ে দরিদ্র পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। সামাজিক উন্নয়নে বদলে গেছে গ্রামীণ পরিবেশ। পাথরডুবি ইউনিয়নের থানাঘাট বাজারের এলসিএস কর্মী শুখরন ও ইয়াসমিন বলেন, গ্রামীণ হাটবাজার উন্নয়ন এবং নারীদের কর্মসংস্থান ও এলাকার আত্ন-সামাজিক উন্নয়নে বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ পরিবেশ। সরকারের দিগুন রাজস্ব বেড়েছে। আর এসব কাজে কর্মসংস্থান ও সঠিকভাবে লভাংশ নির্দিষ্ট সময়ে পেয়ে সংসারে নেমেছে স্বচ্ছলতা। পাশাপাশি বেকার যুব ও নারীদের চলছে বিনা-অর্থে বিভিন্ন ট্রেডে আবাসিক কারিগরি প্রশিক্ষণ।
সরেজমিনে জানা গেছে, দেশের সবচেয়ে দারিদ্র পিড়িত জেলা কুড়িগ্রাম। যেখানে প্রায় প্রতি বছর বন্যার মুখোমুখি হয় সাড়ে চার শতাধিক চরাঞ্চল এবং নিভৃত মফস্বল অঞ্চলের অসংখ্য মানুষ। এতে জেলার অভ্যন্তরীণ প্রভাব পড়ে আর জীবিকায় অনিশ্চয়তা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে প্রভাতী প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এই প্রকল্পে হাট বাজার গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন ওমবন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের মত গুরুত্বপূর্ন অবকাঠামো উন্নয়ন বাস্তবায়ন করছেন এলজিইডি এবং অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকার ও ইফাত। সেখানে চরাঞ্চল ও নিভৃত মফস্বল অঞ্চলের কর্মহীন মানুষ পায় বেশী গুরুত্ব।
স্থানীয় একরামুল হক, কবির উদ্দিন, বাচ্চু মিয়া, আলতাব হোসেন ,ইসাহাকসহ অনেকে বলেন, অবহেলিত এই উপজেলায় রাস্তা, ড্রেন ও বাজার উন্নয়নে আমরা অত্যন্ত খুশি এবং সকল কাজ সচ্চতার মাধ্যমে সঠিক গুনগতমাণ নিশ্চিত করে ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী জয়নাল আবদিন, মহির উদ্দিন, জালাল হোসেন জানান, প্রভাতী প্রকল্পের হাটসেটে ব্যবসা করে অনেক সুবিধা ভোগ করে আসছি। ব্যবসায় বেড়েছে অনেক লাভ।
এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী ইনছাফুল হক সরকার বলেন, প্রভাতী প্রকল্পের আওতায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের কারিগর প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বনির্ভর করতে কাজ করা হচ্ছে এবং নিদিষ্ট সময়ের পূর্বে হাট বাজারের কাজ সমাপ্ত হবে এবং এলসিএস কর্মী তাদের লভ্যাংশ বুঝিয়া পাবে। এছাড়াও উপজেলা প্রকৌশলী আরো জানান উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত এবং জনগুরুত্ব বিবেচনা করে ২০২৪-২০২৫ ও ২০২৫-২০২৬অর্থবছরের এডিপি ও উপজেলা পরিষদ রাজস্ব তহবিলের মাধ্যমে কিছু প্রকল্প টেন্ডার/আরএফকিউ প্রক্রিয়ায় সচ্চভাবে ঠিকাদার নিযুক্ত করে সুষ্ঠুভাবে সচ্চতার সহিত সমাপ্ত করা হয়েছে এবং উপজেলায় জীবনমান উন্নয়ন হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপ জন মিত্র বলেন, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার জনগনের চাহিদার ভিত্তিতে এডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে জনগুরুত্বপূর্ন কিছু রাস্তা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নমুলক কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে এবং উপজেলা প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারসহ কাজগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। কাজের গুনগতমান সন্তোষজনক মর্মে প্রতিয়মান হয়। এতে সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ শিক্ষারমান উন্নয়ন হয়েছে।
কুড়িগ্রাম এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুস হোসেন বিশ্বাস বলেন, প্রভাতী প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মহীন মানুষদের স্বনির্ভরসহ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও জীবনমানের উন্নয়ন হচ্ছে। ২০১৯সালে শুরু হওয়া প্রভাতী প্রকল্প শেষ হবে আগামী জুন ২০২৬সালে।
এলজিইডি আগারগাঁ কার্যালয়ের প্রভাতী প্রকল্প পরিচালক রায়হান সিদ্দিকী বলেন, সারা দেশের









