সুন্দরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুবাই প্রবাসী মুকুলের সাথে প্রতারণা

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক দুবাই প্রবাসী যুবকের সাথে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের দক্ষিণ সূবর্ণদহ(কচুগাড়ি) গ্রামের আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে মুকুল মিয়া(২৬) দীর্ঘ ১১ বছর ডুবাইয়ে থাকার পর বিয়ে করে স্ত্রীসহ কানাডায় পাড়ি জমানোর মনোবাসনা নিয়ে চলতি বছরের ১৫ জুন দেশে ফিরে আসেন। আসার কয়েকদিন পর একই গ্রামের (দোলাটাড়ি পাড়ার) শহিদুল ইসলাম শহীদ তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে দিয়ে মুকুলের বিয়ের প্রস্তাব দেয়। পরে শহীদ তার ছেলে আপন মিয়ার মাধ্যমে রাতের বেলা প্রবাসী মুকুল মিয়াকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে মেয়েকে দেখায়। পাশাপাশি বড় ধরনের নৈশভোজ করান। পরদিন শহিদুল ইসলাম শহীদ মুকুলকে ফোন করে জানতে চান তার মেয়েকে পছন্দ হয়েছে কিনা! মুকুল মিয়া হ্যা সূচক মতামত জানালে শহীদ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা থেকে ফোন করে একইভাবে মুকুল মিয়াকে তার বাসায় নিয়ে গিয়ে নৈশভোজসহ মেয়েকে লেলিয়ে দিয়ে অন্তরঙ্গ সময় কাটার সুযোগ করে দেন বলে জানান প্রবাসী যুবক মুকুল মিয়া। সেইসাথে শহিদুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী ময়না বেগম ও তার ছেলে আপন মিয়ার উপস্থিতিতে শহীদের পরামর্শক্রমে ৭ লক্ষ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে বিবাহ রেজিষ্ট্রেশনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। এছাড়াও রেজিষ্ট্রি করে ছেলে মেয়ে একত্রে ছুটির বাকীসময় কাটিয়ে বিদেশ থেকে ফিরে আসার পর বিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে দিবেন। বিয়েতে কোন প্রকার যৌতুক নেবেনা বলে মুকুল মিয়া অঙ্গীকার করে মোহরানার অংশ হিসেবে ৩৯ হাজার টাকা প্রদান করেন। এতদিন দুপক্ষেই গোপনীয়তা মেনে চললেও দুই পরিবারে বিয়ের রেজিষ্ট্রির প্রস্তুতি শুরু হলে শহীদের বড় ভাই আব্দুর রহিম এ বিয়েতে বাঁধা দেয় এবং বিয়ে ভেঙ্গে দিতে পিছন থেকে উস্কানি দেয়। একপর্যায়ে বড় ভাইয়ের কথামত শহীদও মেয়ের বিয়ে এখন দেবেন না বলে মুকুলকে জানান। মুকুল মিয়া যখন বুক আশা নিয়ে বিয়ের ব্যাপক ধুমধাম করে প্রস্তুতি নিচ্ছিল ঠিক তখনি শহীদের এমন কথা শুনে তার মাথায় যেন বাজ পড়ে যায়। সারাক্ষণ মনের মধ্যে ভেসে ওঠে ওই স্কুল পড়ুয়া তরুণীর সাথে কাটানোর অন্তরঙ্গ মহুর্তগুলোর কথা। যার কারণে মাতালের মত হয়ে আর কোন মেয়েকে পছন্দ করতে পারেনি মুকুল মিয়া। তাই মনের তীব্র ব্যাথা ও হতাশা নিয়ে ৬ নভেম্বর ফিরে যান তার সুদূর দুবাইয়ের প্রবাস জীবনে। যাওয়ার সময় মুকুল সাংবাদিকদের জানান, শহিদুল ইসলাম শহীদ আমার সাথে বিয়ের নামে প্রতারণা করে নগদ ৩৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয় বিয়ের কথা বলে কালক্ষেপণ করে আমার মানসিক ও আর্থিক সর্বনাশ করেছে। আমি সময়মত না যেতে পারায় আমার জমা দেয়া কানাডীয় ইমিগ্রেশনে ১৭ লক্ষ টাকা, দুবাইয়ের কর্মস্থলের চাকরির পেনশন বাবদ ৯ লক্ষ টাকা ও ডুবাইয়ের ভিসা বাতিল হলে ৫ লক্ষ টাকা মাইর যাবে। আর তখন আমার এ-কুল ও-কুল দুয়েই যাবে। আর শহীদের পরিবার আমাকে তার মেয়ের সাথে অনৈতিক কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *