February 5, 2025, 10:00 am
খলিলুর রহমান খলিল নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক যোগদানের পর থেকে অনিয়মিত ও অনির্দিষ্ট সময়ে ঋণ দেওয়া-নেওয়া, গ্রাহক হয়রানী ও কর্মে ফাঁকিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মাস্টার পাড়া গ্রামের সুফল রায়ের ছেলে বিকাশ রায় বলেন, আমি গত মার্চ মাসে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার অফিসে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নেওয়ার জন্য আবেদন করি। ওই অফিসের কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক আমার কাছে ৬ হাজার টাকা দক্ষিণা দাবি করেন। আমি তার দক্ষিণা দিতে অস্বীকার করায় আমকে ঋণ না দিয়ে আজকাল করে দীর্ঘদিন নানান ভাবে হয়রানি করছে। ওই যুব উন্নয়ন অফিসের কর্মচারী কর্মকর্তাদের এমন আচরণে সেবা গ্রহীতাগণ সেবা না পেয়ে বিমুখে ফিরছে। ফলে আমার মত বেকার যুবকেরা বেকারত্বের অভিশাপে ভুগছে।
আরেক ভুক্তভোগী উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের সরকার পাড়া গ্রামের ওহিদুল ইসলামের ছেলে মমিনুর ইসলাম বলেন, আমি উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস থেকে ঋণ নিয়েছিলাম তা নিয়মিত ও নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ করছি। ঋণ পরিশোধ করার পর আমি আমার সঞ্চায় জামানতের টাকা উত্তোলনের জন্য উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসে গেলে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক আজ কাল করে নানান ভাবে আমাকে হয়রানী করছে। ওই যুব উন্নয়ন অফিসের কর্মচারী কর্মকর্তাদের এমন আচরণে সেবা গ্রহীতাগণ সেবা না পেয়ে বিমুখে ফিরছে।
অভিযুক্ত যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমি নিয়ম মেনে কাজ করি কিন্তু মাঝে মধ্যে অফিসের কাজে বাইরে যেতে হয়। তবে সকাল ৮-থেকে বিকাল ৩টা প্রযন্ত আমার মত কোনো অফিসার নিয়ম মানে না।
এলাকাবাসী ও সচেতন মহল যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক অভিযুক্ত তারাগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন।