রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের নৈশ্য প্রহরীর খোঁটির জোর কোথায়। পরিবার নিয়ে বাস করেন শ্রেণী কক্ষে

হায়দার আলী।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী।। রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের নৈশ্য প্রহরীর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজশাহী অঞ্চলের উপপরিচালক, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় রাজনীতিবিদ জহির উদ্দিন।
লিখিত অভিযোগ মারফত জানা গেছে, নামমাত্র নৈশ্য প্রহরীর চাকুরি করে মোঃ বাবুল আক্তার বাবুল নামে বেনামে প্রচুর সম্পদের গড়ে তুলেছেন। জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার দামকুড়ার হাতিবান্ধা গ্রামে বিলাস বহুল দোতলা বাড়ী, বড় ভাই আব্দুল খালেককে একতলা বাড়ী নির্মান করে দিয়েছেন, ৭টি দোকানসহ মার্কেট নির্মান করেছেন।

অভিযোগে আরও বলেন, বাবুল ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চার তলা বিশিষ্ট ভবনের ৪র্থ তলায় একটি শ্রেণী কক্ষে ২০১৬ ইং সালে হতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরিবারসহ বসবাস করছেন, স্কুলের একটি শ্রেণী কক্ষে। বিদ্যুৎ, পানি ব্যবহার করে সরকারী সম্পদ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন। তিনি স্বপরিবার কয়েকবার বিদেশ ভ্রমন করেছেন। তার বড় ভাইয়ের বাসায় সরকারি কলেজিয়েট স্কুলের ৩ টি ফ্যান, একটি পিতলের পাতিল রয়েছে। তিনি চাকুরী দেয়ার নাম করে ২ ভূয়া নিয়োগ পত্র দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। গত ২০১৫ ইং সালের ৩০ নভেম্বর যে ভূয়া নিয়োগ পত্র প্রদান করা হয়েছে ৯ হাজার টাকা বেতনের কথা উল্লখ করা হয়েছে
ওই নিয়োগ পত্রটি বাংলাদেশ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র লিঃ ঢাকা থেকে বাবুলের নামে স্কুলের ঠিকানায় আসে বলে অভিযোগকারী জহির উদ্দিন জানান,
গত ২০১৫ ইং সালের ৩০ নভেম্বর টাকা প্রাপ্তির রশিদে ২ হাজার, ২ শ ৫০ টাকা গ্রহন করেছেন।

এ ব্যপারে প্রধান শিক্ষক ড. মোসাঃ নূরজাহান বেগম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যে শ্রেণী ক্লাস হয় না সেখানে নাইড গাড পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। এটা পারেন কি না এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি সুকৌশলে এড়িয়ে যান। তার বাড়ীতে স্কুলের ফ্যান থাকার কথা নয়। তার গ্রামের বাড়ীতে কি কি সম্পদ গড়ে তুলেছেন সেটা আমার জানা নেই।

নাইড গার্ড মোঃ বাবুল আক্তারের সাথে বলেন, যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে আমি শ্রেণী কক্ষে পরিবারসহ বসবাস করি, ব্যাংক লোন নিয়ে সম্পদ গড়ে তুলেছি, ভূয়া নিয়োগ পত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি সুকৌশলে এডিয়ে যান।

নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *