November 24, 2024, 2:32 am
নিজস্ব প্রতিবেদক : কলেজ অধ্যক্ষকে পেটানোর ঘটনা সত্য নয় দাবি করেছেন রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। একই সঙ্গে নিজে মারপিটের শিকার হননি বলেও দাবি করেছেন গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ দাবি করেন।
রাজশাহী নগরের নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় এমপি ফারুক চৌধুরীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন এমপি ফারুক চৌধুরী ও অধ্যক্ষ সেলিম রেজা ছাড়াও মাটিকাটা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল রাজু।
অধ্যক্ষ সেলিম রেজা বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে গত ৭ জুলাই আব্দুল আওয়াল রাজু আমাদের ফোন করে এমপির কার্যালয়ে আসতে বলেন। সেখানে ৭/৮ জন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ উপস্থিত হয়। পরে আমাদের অধ্যক্ষ ফোরামের কমিটি গঠন ও অভ্যন্তরীণ অন্যান্য বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এ সময় এমপি আমাদেরকে নিবৃত করেন। এছাড়া আর অন্য কোনো ঘটনা ঘটেনি সেখানে।’
সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, অধ্যক্ষ ফোরামের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে গত ৭ জুলাই তার কার্যালয়ে যা ঘটেছে তা বিকৃতি করে উপস্থাপন করা হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। একটি চক্র ইস্যু তৈরী করার জন্য মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে আমার সম্মানহানী করেছে।
তিনি আরও বলেন, মূলত ঈদের আগে শুভেচ্ছা বিনিময়র করার জন্য অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদের ডাকা হয়েছিল। সেখানে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে তারা। বিশেষ করে অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল রাজু ও অধ্যক্ষ সেলিম রেজার মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে আমি গিয়ে তাদের থামায়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাত ৯টার দিকে রাজশাহী নগরীর থিম ওমর প্লাজায় রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। যা গত মঙ্গলবার জানাজানি হয়। এর পর তা গণমাধ্যমে ছাপা হলে তোলপাড় শুরু হয়।
বুধবার ঘটনাটি তদন্তে কমিটি গঠন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে মারধরের ঘটনা জানার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান এই তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। কমিটিকে যত দ্রুত সম্ভব সরেজমিনে ঘটনা বিস্তারিত জেনে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেন উপাচার্য।
নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী।