May 3, 2024, 9:58 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
আশুলিয়ায় ডিবি পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার, দুই ডাকাতসহ ৫ জন গ্রেফতার মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে, আট প্রার্থীর মানোনয়ন পত্র জমা গরমে তরুণ তরুণীদের শরবত, ঠান্ডা পানি বিতরণ সুজানগরে লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারণে সেমিনার ও প্রদর্শনী পাইকগাছায় মহান মে দিবস পালিত পাইকগাছায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা ; ধর্ষক গ্রেপ্তার পাইকগাছা পৌরসভার পক্ষ থেকে তৃষ্ণার্ত পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ;উত্তাপ কমাতে পানি দেওয়া হয় সড়কে পাইকগাছায় আধা কেজি গাঁজাসহ যুবক আটক হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৪ জনই গলাচিপার প্রতিবন্দ্বী ফজর পেল দোকান করার মালামাল
উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন: ওয়াহিদুজ্জামান (ইউএনও)

উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন: ওয়াহিদুজ্জামান (ইউএনও)

একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা একটি স্বনির্ভর জাতি গঠনের পূর্বশর্ত যোগ্য নাগরিক গড়ে তোলা। তাই শিশুদের আগামী দিনের জন্য দক্ষ করে গড়ে তুলতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে অর্থাৎ বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন। যার ফলে প্রাথমিক শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধির সাথে সাথে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। যার শুরুটা হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর হাত ধরেই, যিনি ১৯৭৩ সালে ৩৬ হাজারের অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রযাত্রার শুভ সূচনা করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁরই সুযোগ্য কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩ টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের গৃহীত আরো পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে তিন দফার প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি। এ সকল কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের হাতে বছরের প্রথম দিনেই রঙিন বই তুলে দেয়া, ঝড়ে পড়া রোধে উপবৃত্তি কার্যক্রম, অনগ্রসর এলাকায় স্কুল ফিডিং চালু, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য আনন্দ স্কুল এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম, স্লিপ কার্যক্রমের মাধ্যমে বিদ্যালয়কে শিশু বান্ধব করে গড়ে তোলা, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-৪ এর মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন, নতুন নতুন ভবন নির্মাণ করে শিশুদের শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, ই মনিটরিং এর মাধ্যমে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন, শিক্ষকদের দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাকরণ, শিশুদের মধ্যে নেতৃত্ব ও গণতান্ত্রিক মনোভাব গড়ে তুলতে স্টুডেন্টস কাউন্সিল গঠনের বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এমনকি শিশুদের সেবামূলক মনোভাব গড়ে তুলতে ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক বিকাশ ও খেলাধুলার প্রতি আকৃষ্ট করতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হচ্ছে। শিক্ষার মানোন্নয়নে বিসিএস নন ক্যাডার থেকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষকের নতুন পদ সৃষ্টিসহ শূন্য পদ পূরণ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি-কাম-প্রহরী নিয়োগ, প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি চালু, পিটিআইসমূহে আইসিটি ল্যাব স্থাপন করে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর সরবরাহের মাধ্যমে ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী প্রায় শতভাগ শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি, শিক্ষা ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সমতা আনয়ন, নতুন শিক্ষাক্রমে নতুন পাঠ্যবই, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চালু, অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে যা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের পাশাপাশি আলোকিত জাতি গঠনের মাধ্যমে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ।

লেখক : উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নাগরপুর, টাঙ্গাইল।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD