মুন্সীগঞ্জের ৩টি সংসদীয় আসনে মনোনয়ন জ-মা দিলেন ২৩ প্রার্থী

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত মুন্সীগঞ্জের তিনটি সংসদীয় আসনে বিএনপি, বিদ্রোহী প্রার্থী, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয়পার্টি, এনসিপি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশসহ কয়েকটি দল থেকে ২৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে একজন এবং মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে দুইজন বিএনপি নেতা বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এসব প্রার্থীরা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দা নুরমহল আশরাফীসহ বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।

মুন্সীগঞ্জ-১
মুন্সীগঞ্জ-১ (শ্রীনগর ও সিরাজদিখান) আসনে বিএনপির প্রার্থী শেখ মো. আব্দুল্লাহ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু ও শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. মমিন আলী, কেএম আতিকুর রহমান (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ), এ কে এম ফখরুদ্দিন রাজি (জামায়াতে ইসলামী), আব্দুর রহমান (বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি) ও রোকেয়া আক্তার (ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ) মনোনয়নপত্র জমা দেন।

মুন্সীগঞ্জ-২
মুন্সীগঞ্জ-২ (টংগীবাড়ী ও লৌহজং) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মাজেদুল ইসলাম (এনসিপি), মো. নোমান মিয়া (জাতীয় পার্টি), আশিক মাহমুদ (ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ), কে.এম, বিল্লাল হোসেন (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ), এ বি এম ফজলুল করিম (জামায়াতে ইসলামী) ও মো. আমিনুল ইসলাম (বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস) মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

এ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী করা হয়েছিল সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মিজানুর রহমান সিনহাকে। তিনি অসুস্থ হওয়ায় তার পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ।

মুন্সীগঞ্জ-৩
মুন্সীগঞ্জ-৩ (মুন্সীগঞ্জ সদর ও গজারিয়া) আসনে কেন্দ্রীয় বিএনপির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান রতন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দা নুরমহল আশরাফীর কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসেবে জমা দেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. মহিউদ্দিন।

এছাড়াও এ আসনে অন্যদের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেন শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন (বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি), হাজী আব্বাস কাজী (খেলাফত মজলিস), নূর হোসেন নূরানী (বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস), সুমন দেওয়ান (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ), আনিস মোল্লা (বাংলাদেশ লেবার পার্টি), মো. আরিফুজ্জামান দিদার (জাতীয় পার্টি) ও শেখ মো. শিমুল (বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ারকার্স পার্টি)।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *