সুজানগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ১৯৭৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী

এম এ আলিম রিপন,সুজানগর: স্মৃতির টানে প্রিয় প্রাঙ্গণে এসো মিলি প্রাণের বন্ধনে’ এই স্লোগানে পাবনার সুজানগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুজানগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ১৯৭৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উদযাপন করা হয় এ অনুষ্ঠান।এ সময় স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের ১৯৭৪ সালের এসএসসি ব্যাচের পরীক্ষার্থী অ্যাডভোকেট আরশেদ আলম, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, শামসুল আলম চৌধুরী জিন্না, মঞ্জু মন্ডল, আব্দুস সাত্তার মুন্সী, মনোয়ার হোসেন মধু, শ্রী অখিল কুণ্ড, সাদেক আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন হারুন শেখ, এনামুল হক সোনাই, শ্রী ভবেশ দাস, মুমতাজ মন্টু, মোকছেদ খান, রাজ্জাক খান, ইব্রাহিম, আব্দুর রশিদ, মনসুর আলী, ছায়েন উদ্দিন, মোকছেদ আলী, সোতাহার, শফিউল আলম, জব্বর হোসেন, আব্দুল মান্নান, হাসেম হোসেন, কিয়ামুদ্দিন, মজিদ, খায়রুল ইসলাম, জালাল উদ্দিন, জাহাঙ্গীর হোসেন, আতাউর মঞ্জু, শফি, রশিদ, সুবাহান, মাবুদ আলী, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুস সাত্তার, শ্রী মধুসোধন, রাজা হোসেন, হারুন অর রশিদ, আব্দুল আজিজ, শ্রী সিদ্ধেশ্বর, লিয়াকত হোসেন, মঞ্জুর হোসেন, জালাল উদ্দিন, আবু বাক্কার, বন্দের আলী, ইমান আলী, আমিরুল ইসলাম ও মাজেদ আলী প্রমূখ।এদিকে পুনর্মিলনী উৎসবে এসব প্রাক্তনরা মেতে উঠেছিলেন আনন্দে, যেন তারা ফিরে গেছেন নিজেদের শৈশবে। পুরোনো বন্ধুদের এক সঙ্গে পেয়ে সব ক্লান্তি যেন দূর হয়ে গিয়েছিল। একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও কোলাকুলির মাধ্যমে তৈরি করেন বন্ধুত্বের নতুন দ্বার। করে রাখেন ক্যামেরাবন্দি।প্রাক্তন শিক্ষার্থী এডভোকেট আরশেদ আলম বলেন, ‘আমরা শৈশব-কৈশোরের খেঁাজে এখানে ছুটে এসেছি, স্বপ্নের দুয়ারে, স্মৃতির আঙিনায়। বহুদিন পর স্কুলবন্ধুদের একত্রিত করতে পারলাম। নানা ব্যস্ততায় অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ ছিল না। পরে বন্ধুদের একত্রিত করার উদ্যোগ নিই, আর সেই ভাবনা বাস্তবায়ন করতেই এই মিলনমেলা। সত্যিই দারুণ একটা দিন কাটিয়েছি।শামসুল আলম জিন্না নামে আরেক প্রাক্তন স্মৃতিচারণে বলেন, ‘এই মিলন মেলা আমাদের আনন্দ বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। এক সময় আমরা একসঙ্গে পড়াশোনা করলেও, জীবিকার তাগিদে অনেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। কেউ ঢাকা, কেউ চট্টগ্রাম, কেউবা আরও দূরদূরান্তের জেলায়। জীবনের এমনই নিয়ম। এখন হয়তো কালেভদ্রে সেসব বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়। ফলে আমরা চেয়েছিলাম এবারে সবাই একত্রিত হতে। সবাইকে দীর্ঘ ৫১ বছর পর পেয়ে অসাধারণ এক সময় উপভোগ করছি।’প্রাক্তন শিক্ষার্থী মঞ্জু মন্ডল বলেন, ‘কৈশোরের বন্ধুত্ব কখনও হারায় না, হারিয়ে যাবার নয়। জীবন-জীবিকার তাগিদে আমরা হয়তো ব্যস্ত থাকি, কিন্তু ছেলেবেলা কখনও মুছে যায় না, অমলিন হয়ে থাকে স্মৃতিপটে। এ কারণে জীবন চলার পথে যতো মানুষের সঙ্গেই বন্ধুত্ব হোক না কেন, স্কুলজীবনের বন্ধুত্বের মতো কখনও স্মৃতিময় হয় না। প্রকৃত বন্ধুই হলো স্কুল জীবনের খেলার সাথীরাই। তারাই প্রকৃত বন্ধু। এ কারণেই আমরা সবাই মিলে চেয়েছিলাম এমন একটা আয়োজন করতে যেখানে সবাই একসঙ্গে দীর্ঘ ৫১ টি বছর পর একত্রিত হতে পারবো। এটি আমাদেরকে ছোটবেলা, স্কুলজীবনকে ফিরিয়ে দিয়েছে।মধ্যাহ্ন ভোজ শেষে খেলাধুলা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পুরো আয়োজনে আনে ভিন্ন মাত্রা। সেখানে একে অপরের সঙ্গে আনন্দে দিনব্যাপী মেতে ওঠেন এসব প্রাক্তনরা।

এম এ আলিম রিপন
সুজানগর প্রতিনিধি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *