রুমা ও থানচি উপজেলা দু-র্গম এলাকায় শীতার্তদের পাশে সেনাবাহিনীর

বান্দরবান (থানচি) প্রতিনিধি: মথি ত্রিপুরা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
শীতের তীব্রতায় কষ্টে থাকা দুর্গম এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বান্দরবানের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় শতাধিক অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
বিজয়ের মাসে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের থানচি ও রুমা উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ১০টি পাড়ার অসহায় ও দরিদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আজ ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫,মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে কম্বল, সোয়েটার ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের মধ্যে এসব শীতবস্ত্র দেওয়া হয়।
এ সময় সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, “মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে সেনাবাহিনী সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে। শীত মৌসুমে দুর্গম এলাকার মানুষ যেন কষ্ট না পায়, সে লক্ষ্যেই আমাদের এই উদ্যোগ।”
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দায়িত্বপূর্ণ বাকলাই পাড়া সাবজোনের প্রাতা পাড়ায় এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট (দি ম্যাজেস্টিক টাইগার্স) এর উপ অধিনায়ক মেজর মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত হয়ে উক্ত পাড়াতে সকলের সাথে কুশলাদি বিনিময় ও উক্ত শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
এ সময় সাবজোন কমান্ডার, বাকলাইপাড়া সেনা সাবজোন, কে এম নজরুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, আলীকদম ও সামরিক-বেসামরিক বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
শীতবস্ত্র পেয়ে পাড়াবাসী সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং বলেন,
সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শীতের সময়ে এ ধরনের সহায়তা তাদের জন্য অনেক উপকারে আসে।
“সেনাবাহিনী আমাদের যে সেবা ও সহযোগিতা করছে তা দিয়ে আমরা পাড়াবাসী, পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজন নিয়ে সুন্দর ভাবে জীবনযাপন করছি। আমরা সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
পাড়া পরিদর্শনকালে ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ অধিনায়ক মেজর মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনী সব সময় সাধারণ জনগনের পাশে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইন শা আল্লাহ। পাহাড়ে বসবাসরত সব জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সুরক্ষার পাশাপাশি সবার মাঝে সম্প্রীতি বজায় রাখতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর।  
উপ অধিনায়ক আরও বলেন, পাহাড়ের শান্তি বিনষ্টকারী কোন দল কিংবা গোষ্ঠীর পাহাড়ে কোন স্থান নেই। পাহাড়ে যে কোন ধরণের অন্যায় প্রতিহত ও নির্মূল করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সদা প্রস্তুত। যে কোন ধরণের চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, রাহাজানি, লুটতরাজ ইত্যাদি নির্মূলকল্পে সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য উপ অধিনায়ক পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে আহবান জানান। এবং ভবিষ্যতেও দেশের বিভিন্ন দুর্গম ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *