হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় জমির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে দ্রুত হারে কমে যাচ্ছে কৃষি জমি। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা আবাসিক ভবন ও পোশাক কারখানা থেকে নির্গত নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি খোলা জায়গায় ফেলা হয় এবং রাস্তায় ময়লা ফেলায় মারাত্মক পরিবেশ দূষণের সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া ধামসোনা ইউনিয়ন বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, “জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষি জমিতে একের পর এক বাড়িঘর ও কারখানা গড়ে উঠছে। এতে কৃষি উৎপাদন যেমন কমছে, তেমনি পরিবেশের ভারসাম্যও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
শনিবার (২০ ডিসেম্বর ২০২৫) আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ১৮ বছর আগে যেখানে প্রতি শতাংশ কৃষি জমির মূল্য ছিল মাত্র ১০ হাজার টাকা, বর্তমানে সেই জমির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। জমির এই মূল্যবৃদ্ধির সুযোগে কৃষি জমি ভরাট করে অপরিকল্পিতভাবে আবাসিক ভবন ও কলকারখানা নির্মাণ করা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বাসাবাড়ি ও পোশাক কারখানার বর্জ্যপানি রাস্তায় ও খোলা জায়গায় জমে থাকছে। ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, অন্যদিকে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা। এতে সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সচেতন মহল মনে করেন, দ্রুত পরিকল্পিত নগরায়ন, কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং কৃষি জমি রক্ষায় কঠোর আইন প্রয়োগ না করা হলে ভবিষ্যতে আশুলিয়ায় পরিবেশগত সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

Leave a Reply