স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহে জামিয়া ফয়জুর রহমান বড় মসজিদ ও মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা আব্দুল হকের বহিষ্কার ও মাদ্রাসার হিফয বিভাগের প্রধান শিক্ষক হাফেজ মুহাঃ শহিদুল ইসলামের উপর একের পর এক হামলার বিচারের দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামিয়া ফয়জুর রহমান বড় মসজিদ ও মাদরাসার শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। একই দিনে তারা দোষীদের দৃষ্টান্ত মোলক শাস্তির দাবী জানিয়ে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে স্মারক লিপি প্রদান করেন।
সোমবার (৩রা নভেম্বর ) বড় মসজিদ মোমেনশাহীর সর্বস্তরের মুসল্লীদের ব্যানারে আয়োজিত এই প্রতিবাদ মিছিলে মসজিদের মুসল্লীসহ বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা অংশ গ্রহণ করে। এসময় বিক্ষোভ মিছিলকারীরা বড় মসজিদ- মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা আব্দুল হকের বহিষ্কার,হামলাকারীদের বিচারসহ নানান শ্লোগানে মেতে উঠেন। তাদের দাবি হচ্ছে মাওলানা আব্দুল হককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা এবং শিক্ষক শহিদুল ইসলামের উপর হামলার বিচার করা।
এর আগে ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ফয়জুর রহমান বড় মসজিদ মাদ্রাসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরী হলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মো. শহীদুল ইসলাম (৪৭) মারাত্মকভাবে আহত হন।
এসময় তারা ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ফয়জুর রহমান বড় মসজিদ ও মাদরাসার মোহতামিম
মাওলানা আব্দুল হকের আধিপত্যবাদ এবং পরিবারতন্ত্রে জিম্মি হয়ে পড়েছে ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ফয়জুর রহমান বড় মসজিদ ও মাদরাসা এমন অভিযোগ করে বলেন একটা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এমন স্বেচ্ছাচারীতা ও পরিবারতন্ত্র চলতে পারেনা। তাই এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ করায় মাদরাসা শিক্ষার্থীদের দিয়ে হামলা, অবরুদ্ধ করে শিক্ষককের ওপর আঘাত, জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করা, প্রশাসন নিয়ে কটুক্তিসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে মোহতামিম আব্দুল হক। তারা তার এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ শিক্ষক শহিদুল ইসলামের উপর হামলাকাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মোলক শাস্তি দাবী করেন। তারা বলেন-প্রশাসন যদি এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয় তাহলে তারা যতদিন এসব হামলাকারীদের বিচার না হবে ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষক বলেন, বড় মসজিদ মাদ্রাসাটিকে পরিবারতন্ত্র থেকে রক্ষা করতে মাদ্রাসার শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন তারা। এটি তাদের ন্যায্য এবং যৌক্তিক অধিকার। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, বড় মসজিদ মাদ্রাসার মোহতামিম আব্দুল হক এর স্বেচ্ছাচারিতার কারণে এখন পর্যন্ত তাদের এ দাবিটি পুরণ হয়নি। অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করা প্রত্যেক নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু এর পরিবর্তে স্বৈরাচারী কায়দায় শিক্ষকদের ওপর মাদ্রাসার ছাত্র নামক কিছু সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলা চালানো হয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তারা এই নির্মম ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং দাবি জানান, শিক্ষকদের এ যৌক্তিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক এবং তাদের প্রতি এমন অমানবিক আচরণ বন্ধ করা হোক।

Leave a Reply