ধামরাইয়ে এসআই জিয়াউর রহমানের দক্ষতায় ব-লাৎকারী গ্রে-প্তার

সুমন খান |

ঢাকার ধামরাই উপজেলার ডেমরান এলাকায় এক মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক ১১ বছরের এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ডেমরান মারকায ওমর বিন খাত্তার (রাঃ) মাদ্রাসায়।ভুক্তভোগী ছাত্রের পিতা মোঃ মামুন (৪২), পিতা–মোঃ মুছা, সাং–গাওয়াইল, ইউপি–সোমবাগ, থানা–ধামরাই, জেলা–ঢাকা, গত ৫ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ধামরাই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ আলিফ (১১) ওই মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের ৩য় শ্রেণির ছাত্র। গত ১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ রাতে ছাত্রটি রাতের খাবার শেষে অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে নিচতলার শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত আনুমানিক ১১টার সময় মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোঃ আবুল হাসানাত হানিফ (২০), পিতা–মোঃ আলম হোসেন, সাং চিড়াভিজাগোলনা, থানা–জলঢাকা, জেলা–নীলফামারী, শয়নকক্ষে প্রবেশ করে শিশুটিকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।ছেলেটির চিৎকারে পাশের ছাত্ররা জেগে উঠলে অভিযুক্ত শিক্ষক দ্রুত পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে অভিযুক্ত শিক্ষক হানিফ শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়।পরবর্তীতে ২ নভেম্বর বিকাল ৫টার দিকে, শিশুটি বাড়ি ফিরে ঘটনাটি তার মাকে জানায়। বিষয়টি জানাজানি হলে পরদিন পিতা মোঃ মামুন স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলে, সে উত্তেজিত হয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং একপর্যায়ে পালিয়ে যায়।এরপর স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরিবারটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে।অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধামরাই থানার চৌকস কর্মকর্তা এসআই জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করে ২ নভেম্বর রাতেই অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল হাসানাত হানিফকে গ্রেফতার করেন।পরে গতকাল ৩ নভেম্বর সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন,ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুতর ও স্পর্শকাতর। আমরা বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী শিশুর নিরাপত্তা ও চিকিৎসার বিষয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলেন,
মাদ্রাসার মতো পবিত্র শিক্ষালয়ে এ ধরনের জঘন্য কাজ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *