পটিয়ার কেলিশহরে বিধবা মহিলার জায়গা দখলে নিতে মরিয়া প্রতিপক্ষরা!

মহিউদ্দীন চৌধুরী।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- চট্টগ্রামের পটিয়ার কেলিশহর ইউনিয়নে মৃত মধুসুধন দের স্ত্রী
বিধবা ঝর্ণা দে এর দীর্ঘদিনের ভেগদখলীয় ৩৪ শতক জমি প্রতিপক্ষ সুদীপ দাশ দখল নেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ঝর্না দে বাদী হয়ে সুদীপ দাশের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এছাড়াও ঝর্ণা দে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার ভুমি পটিয়া বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। প্রতিপক্ষ সুদীপ দাশ থানায় জমি পাওয়ার কোন কাগজ দেখাতে পারেনি বলে ঝর্ণা দে জানান। ভুমিহীন হিসেবে সরকার কতৃক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলিল নং ৫৯৭৯
বন্দোবস্ত মামলা নং ১৯৫/২০১১ মুলে প্রাপ্ত জায়গা দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে বলে ঝর্ণা দে এর অভিযোগ।
এসংক্রান্ত বিষয়ে পটিয়ার সার্ভেয়ার সরেজমিনে যাওয়ার একাধিকবার নোটিশ দিলেও তারা যায়নি বলে ঝর্ণা দে এর অভিযোগ। ঝর্ণা দে জানান, কেলিশহরের রতনপুর মৌজার বিএস খতিয়ান নং ০১,বিএস দাগ নং ৬৮৭ এর আন্দরে ৩৪ শতক জমি সুদীপ দাশ একটি সন্রাসী বাহিনী নিয়ে দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। এমনকি নিরীহ বিধবা
মহিলা ঝর্ণা কে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে হুমকি দিচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিধবা
ঝর্ণা দে আরোও অভিযোগ করেন সার্ভেয়ার মশিউর রহমান দীর্ঘদিন আমার জমি পরিদর্শন গিয়ে টিক করে দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা করেনি। সর্বশেষ ৩ অক্টোবর ২২ ইং সকাল ১১ টা ও বিকেল ৩টায় দু’দফায় পটিয়া ভুমি অফিসের কানুনগো উক্ত জমি পরিদর্শনে যাওয়ার নোটিশ দিলেও কানুনগো যায়নি। ফলে নিরীহ বিধবা মহিলা ঝর্ণা দে নানানভাবে হয়রানি শিকার হচ্ছে। ঝর্ণা দে এর আশংকা প্রতিপক্ষ সুদীপ দাশের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাকে হয়রানি করছে। তিনি বিষয়টি জাতীয় সংসদের হুইপ আলহাজ্ব শামসুল হক চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান তিমির বরণ চৌধুরী, মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুইপ এর উন্নয়ন সমন্বয়কারী বিজন চক্রবর্তী, কেলি শহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরোজ সেন নান্টু, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ফরিদুল আলম, কেলিশহর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সুমেন চক্রবর্তী সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *