গুয়ারেখা ইউনিয়নের বিএনপি কর্মী আসাদুজ্জামান ফকিরকে ষ-ড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রে-প্তার

আনোয়ার হোসেন,
নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি //

পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ থানার গুয়ারেখা ইউনিয়নের সাহসী বিএনপি কর্মী, এগারগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের একাধিক মিথ্যা মামলার ভুক্তভোগী আসাদুজ্জামান ফকির (বিপ্লব)কে ডিবি পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেফতার এর ঘটনায় নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ নিন্দা জানিয়েছেন।

আসাদুজ্জামান ফকিরের পরিবার সুত্রে জানা যায়, সে ছোট বেলা নারায়ণগঞ্জে বসবাস করতেন। ১৯৯১ সাল থেকে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১০ সালে নিজ গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে পোলট্রি ফার্ম ব্যবসা গড়ে তোলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০২২ ও ২০২৩ সালে স্থানীয় আওয়ামী নেতা বিমল মিস্ত্রী, পলাশ সিকদার ও মুজিবুল হাসান রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে একাধিক মামলায় তাঁকে জড়িয়ে দেন, যার ফলে তিনি দীর্ঘদিন এলাকা ছেড়ে থাকতে বাধ্য হন।
তিনি ২০২৩ সালের জুলাই মাসের বিএনপির বিক্ষোভ ও আন্দোলনসহ জাতীয় পর্যায়ের প্রায় সকল আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

গুয়ারেখা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব রাসেল ফকির বলেন, ৫ আগস্ট ২০২৪ এর পরে। ওই সময় বিএনপির কিছু বহিষ্কৃত কর্মী গুয়ারেখা ইউনিয়নে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই শুরু করলে আসাদুজ্জামান ফকির প্রকাশ্যে এর প্রতিবাদ করেন।

২০২৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ প্রশাসনের “ওপেন হাউস ডে” অনুষ্ঠানে (কারফা বালুর মাঠে) প্রায় দুই হাজার মানুষের উপস্থিতিতে আরিফ ফকির, সোহেল মোল্লা ও শাকিল সিকদার নামে তিনজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে। পিরোজপুরের এসপি ঘটনাস্থলেই মামলা রুজুর নির্দেশ দেন। সেই তিন চাঁদাবাজ ভেবে নেয় যে আসাদুজ্জামান ফকিরই এই অভিযোগের পেছনে ছিলেন—এবং সেখান থেকেই দ্বন্দ্বের সূচনা। অন্যদিকে, গুয়ারেখা ইউনিয়নে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা সক্রিয়ভাবে বিএনপি দমন তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় বিএনপির সদস্য মোঃ দুলাল বলেন, ৫ আগস্টের পর আসাদুজ্জামান ফকির (বিপ্লব) প্রকাশ্যে এই চক্রের অন্যায় ও প্রভাবের বিরুদ্ধে দাঁড়ান। মাত্র এক সপ্তাহ আগে এগারগ্রাম স্কুলের সামনে মুছিবুল হাসান কর্তৃক আয়োজিত “আওয়ামী ঐক্যের চায়ের আড্ডা” এবং রাজনৈতিক আলোচনা তিনি ও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান লিমন মিলে বাধা প্রদান করে পণ্ড করে দেন।
পরবর্তীতে স্কুলে মুছিবুল হাসানের প্রভাবে নতুন কমিটি গঠনচেষ্টাও তিনি ব্যর্থ করে দেন।

এই সব ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে আওয়ামী লীগের দোসররা তাঁকে টার্গেট করে মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগে গ্রেপ্তার করিয়েছে। এর মাধ্যমে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দলকে দুর্বল করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

আমরা এ ধরনের রাজনৈতিক দমন-পীড়নের তীব্র নিন্দা জানাই এবং আসাদুজ্জামান ফকির (বিপ্লব)-এর অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।

নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি।।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *