ময়মনসিংহে হারুন টাওয়ারের দোকানের লু-ন্ঠিত আংশিক মালামাল উ-দ্ধার

আরিফ রব্বানী।।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ময়মনসিংহ শহরের হারুন টাওয়ার মার্কেটের সাইম টেলিকম মোবাইল দোকানেরথ সারে ৮৬ লক্ষ টাকার লুন্ঠিত মালামালের মধ্যে আংশিক মালামাল উদ্ধার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। বুধবার ১৫ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে ভোর রাতে হারুনের নিজস্ব বাসার বান্ডারীর ভেতরে অব্যবহৃত কক্ষ থেকে ছবির তথ্যচিত্রের মালামাল উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি অপারেশন সজিব বারই এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা ১নং পুলিশ ফাড়ীর এসআই মাজহারুল ইসলাম সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স।

জানা যায় সাইম টেলিকম পজিশন ক্রয় করা দোকানে গত ২০ জুন মালামাল লুটের ঘটনায় দোকান মালিক আতিকুর রহমান খানের দায়েরকৃত অভিযোগে কোতোয়ালী থানার মামলা নং ৭৯(৬)২০২৫ রুজু হয়। এ ঘটনায় প্রধান আসামী গোলাম আম্বিয়া হারুন এর ম্যানেজার তাপস সাহাকে ৬ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়। ৮ জুলাই তার স্বীকারোক্তি মূলক তথ্যের ভিত্তিতে আবু রায়হান জহির ও সাব্বির দুজনের নামের সংশ্লিষ্টতা প্রকাশ পায়। ৯ অক্টোবর উক্ত আসামীদ্বয়ের মধ্যে আবু রায়হান জহিরকে গ্রেপ্তার করা হলে রিমান্ডে এসে তার দেওয়া তথ্যমতে ১৫ অক্টোবর ভোর রাতে আংশিক লুন্ঠিত মালামাল ফার্নিচার আনুসাঙ্গিক অনুমান ৫০ হাজার টাকার জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়।

এব্যাপারে ভূক্তভোগী বাদী আতিকুর রহমান খানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন বিবাদী হারুনের ছেলেদের যোগসাজসে লুন্ঠিত মোবাইল ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী বিভিন্ন স্থানে হস্তান্তর করেছে। তাঁর দাবী জামিনে থাকা প্রধান আসামিকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে লুণ্ঠিত ও মোবাইল সহ সমুদয় মালামালের সন্ধান উদ্ধার হওয়া সম্ভব। দোকানে থাকা (আটষট্টি হাজার তিনশত তিপান্ন) টাকার মালামাল দোকান ভাড়া পরিশোধের রশিদ ফাইল, বিদ্যুৎ বিল ফাইল, ইসলামী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক এর তিনটি চেক বাদীর ব্যক্তিগত ফাইল ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র বিবাদীরা নিয়ে যায়। লুষ্ঠিত মালামালের মধ্যে রয়েছে সিম্ফোনি বাটন ফোন, বই বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানীর সাথে ব্যবসায়িক চুক্তিপত্র ফাইল সহ মার্সেল বাটন ফোন, জিডিএল বাটন ফোন, নকিয়া বাটন ফোন, আইটেল বাটন ফোন, বেঙ্গল বাটন ফোন, আইটেল স্মার্ট ফোন, ইনফিনিক্স স্মার্ট ফোন, ওয়ো স্মার্ট ফোন, সিফোনি স্মার্ট ফোন, টেকনো স্মার্ট ফোন, ওয়ান প্লাস স্মার্ট ফোন, শান্ডাম (শ্যামসং) স্মার্ট ফোন, ভিভো স্মার্ট ফোন, কম্পিউটার আইপিএস, সিসি ক্যামেরা, ফ্যান, ডেকোরেশন সহ আসবাবপত্র উদ্ধার হওয়ার প্রয়োজনীয়তা বাদী করেন।

এঘটনায় অভিযুক্ত হারুন এর মুঠো ফোনে এ প্রতিবেরক লুন্ঠিত মালামালের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জামিনে আছেন, মামলার ঘটনা সত্য নয়, তার মার্কেটের সকল দোকান আদালতের আদেশে ১৩টি দোকানে অভিযান পরিচালনাকালে সকল দোকান তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। দোকানের মালামাল বাদী আগেই সরিয়ে নেয়ে যায়। পুলিশ আমার বাসায় অভিযান কালে মালামাল উদ্ধারে নামে লুটপাট করে।

কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অনেক লোকজনের উপস্থিতিতে তদন্তের প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ উদ্ধার অভিযানে আইনের সঠিক প্রয়োগ করছে।

মামলার তদন্ত তদারকী অফিসার সদর সার্কেল অতিঃ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন পুলিশের তদন্তে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে সার্বক্ষণিক নজরদারি তদারকি করা হয়। পুলিশের কার্যক্রমের সফলতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অনৈতিক সুবিধা পেতে একটি শ্রেণী কাজ করে থাকে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে প্রাপ্ত তথ্যের সত্যতা যাচাই করে কিছু লুন্ঠিত জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যান্য মালামালের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *