স্বরূপকাঠি টু পিরোজপুর সড়কের গনমান খালের ব্রীজ তো নয় যে মৃ-ত্যুকূপে পরি-নত হয়েছে

স্বরূপকাঠি(পিরোজপুর)প্রতিনিধি:

স্বরূপকাঠি টু পিরোজপুর আঞ্চলিক সড়কের গনমান খালের ব্রীজ তো নয় যে মৃত্যুকূপে পরিনত হয়েছে। মাত্র ৩ টন ধারণক্ষমতার এই পুরনো ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিনই ১০ থেকে২০ টন ওজনের ভারী মালবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস ও ছোট যানবাহন চলাচল করছে। ফলে ব্রীজটির রেলিং ও পাটাতন ভেঙে পড়েছে, আর যেকোনো সময় ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

স্থানীয় বৃদ্ধ মো. আবুল বাশার বলেন, “ত্রিশ বছর আগে নির্মিত এই ব্রীজটি এখন একেবারেই অচল। রেলিং ও পাটাতন ভেঙে গেছে বহু বছর আগে, এখন তো প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলাচল করছে।”

এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আদনান হোসনাইন জানান, “এরশাদ সরকারের আমলে ব্রীজটি নির্মিত হয়েছিল। বহু বছর সংস্কার না হওয়ায় এখন এটি সম্পূর্ণ নাজুক অবস্থায় আছে। দ্রুত সংস্কার না হলে বড় দুর্ঘটনা অনিবার্য।”

স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষক মো. মাইনুল হোসেন বলেন, “ব্রীজটির পাটাতন ও রেলিং প্রায় পুরোপুরি ধসে পড়েছে। প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী ও মুসল্লি এই পথে যাতায়াত করে, যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এমতবস্থায় ব্রীজটি দ্রত মেরামত সংস্কার প্রয়োজন।”

রবিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রীজের ভাঙা জায়গাগুলোতে লোহার পাত ও ইট–পাথরের সুড়কি দিয়ে অস্থায়ীভাবে মেরামতের চেষ্টা করা হয়েছে। অনেক স্থানে রড বেরিয়ে পড়েছে, এবং টমটম উঠলেই ব্রীজ দুলে ওঠে।

পিরোজপুর সড়ক বিভাগের (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তানভীর আহমেদ এর নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়া গেছে।

নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “ব্রীজটির অবস্থা খুবই খারাপ। পিরোজপুর সড়ক বিভাগকে চিঠির মাধ্যমে দ্রুত মেরামতের জন্য জানানো হয়েছে।

আনোয়ার হোসেন
স্বরূপকাঠি উপজেলা প্রতিনিধি।।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *