ডেস্ক রিপোর্টঃ
বর্তমান বিশ্বে যখন গুজব, অপপ্রচার ও পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য দিয়ে জনমত প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে, তখন সত্য প্রকাশে অটল থাকা সংবাদকর্মীরা সমাজের সত্যিকারের নায়ক। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে সাংবাদিকেরা কেবল তথ্যই সরবরাহ করেন না, বরং গড়ে তোলেন একটি সচেতন সমাজ। সাহসী কলম যোদ্ধারা হচ্ছেন সেই অদম্য কণ্ঠ, যারা চাপ, হুমকি কিংবা প্রলোভনের তোয়াক্কা না করে নিরপেক্ষ ও সত্য সংবাদ পরিবেশন করেন।
একজন সাংবাদিকের প্রধান দায়িত্ব হলো সত্য ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ পরিবেশন করা। এটি কখনোই সহজ কাজ নয়, বিশেষ করে যখন সংবাদ প্রকাশের ফলে প্রভাবশালী গোষ্ঠী ক্ষুব্ধ হয় অথবা সাংবাদিকের জীবনের ওপর হুমকি আসে। তা সত্ত্বেও অনেক সাংবাদিক আছেন, যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েও জনগণকে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত আছেন। তারা শুধু পেশাগত দায়িত্বই পালন করছেন না, বরং গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবেও কাজ করছেন।
বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা মানে হচ্ছে, অপ্রিয় হলেও সত্য বলা, পক্ষপাতহীন বিশ্লেষণ তুলে ধরা এবং প্রতিটি ঘটনার পেছনে সত্য অনুসন্ধান করা। আজকের ডিজিটাল যুগে যখন যে কেউ তথ্য তৈরি ও ছড়াতে পারে, তখন এই বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা হয়ে উঠেছে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সাহসী কলম যোদ্ধারা শুধু রাজনৈতিক অনিয়ম বা দুর্নীতিই প্রকাশ করেন না, তারা সমাজের গভীরে লুকিয়ে থাকা বৈষম্য, নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্রও তুলে আনেন। তাদের কলম হয়ে ওঠে প্রতিবাদের হাতিয়ার, যা জাগিয়ে তোলে জনসচেতনতা, উন্মোচন করে লুকানো সত্য এবং দাবী তোলে ন্যায়ের।
তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, দেশে-বিদেশে অনেক সাংবাদিক হুমকি, নিপীড়ন এমনকি জীবন হারানোর ঘটনাও ঘটছে। তবুও তারা পিছু হটছেন না। কারণ তারা বিশ্বাস করেন সত্যের পক্ষে থাকা, ইতিহাসের সাক্ষী হওয়া এবং মানুষের কণ্ঠস্বর হওয়াই সাংবাদিকতার মূল উদ্দেশ্য।
একজন বস্তুনিষ্ঠ ও সাহসী সাংবাদিক শুধু খবর প্রকাশ করেন না, তিনি হয়ে ওঠেন সমাজ পরিবর্তনের পথিকৃৎ। তাই এই কলম যোদ্ধাদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সত্য-ভিত্তিক সাংবাদিকতা রক্ষার জন্য আমাদের সকলেরই সচেতন হওয়া জরুরি।
Leave a Reply