রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় ম-হাশ্মশান সভাপতি-অরবিন্দু সাধারণ সম্পাদক-রাসুদেব

আমিরুল ইসলাম কবির,
স্টাফ রিপোর্টারঃ

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌর এলাকার রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান এর সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ সহ নানাবিধ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনবিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ গেলো ৩ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে ওই শ্মশান ও মন্দির চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ৯ই অক্টোবর দুপুর ১২টায় রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান এর সকল ভক্তবৃন্দ ও ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্বসম্মতি ও সিদ্ধান্তক্রমে ১১সদস্য বিশিষ্ট ত্রিবার্ষিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

আর এ কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করা হয়,ওই এলাকার বাসিন্দা পলাশবাড়ী এমএ সামাদ কারিগরি ও বিজ্ঞান কলেজের ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর বাবু অরবিন্দু সরকার’কে। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয় বাবু রাসুদেব সরকার।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন,সহ সভাপতি বাবু সন্তোষ চন্দ্র মহন্ত,সহ সাধারণ সম্পাদক বাবু প্রভাত সরকার,কোষাধ্যক্ষ বাবু রনজিৎ চন্দ্র সরকার,ধর্মীয় সম্পাদক বাবু অপূর্ব কুমার রায়,প্রচার সম্পাদক শরী রনজিৎ চন্দ্র সরকার-২,সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সজল কুমার বর্মন,ক্রীড়া সম্পাদক বাবু উৎসব চন্দ্র ও কার্যকরী সদস্য হলেন যথাক্রমে বাবু সুকমল চন্দ্র বর্মন ও বাবু মানিক চন্দ্র’কে নিয়ে পলাশবাড়ী পৌর এলাকার রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান এর ১২সদস্য বিশিষ্ট ত্রিবার্ষিক কমিটি ৯ই অক্টোবর ২০২৫ খৃঃ নির্বাচিত করা হয়েছে।

যার কপি পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার,পলাশবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নব গঠিত কমিটির সদস্যরা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান।

উল্লেখ্য,গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌর এলাকার রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান এর সভাপতি পলাশবাড়ী পৌর শহরের কালীবাড়ি বাজারের স্থায়ী বাসিন্দা বাবু দিলীপ চন্দ্র সাহা ওই সভাপতি পদটি কুক্ষিগত করে অর্থ আত্মসাৎ সহ নানাবিধ অনিয়মের কারণে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ফুঁসে উঠে। একপর্যায়ে তারা গত তেসরা অক্টোবর
রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান এর সকল ভক্তবৃন্দ ও ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ এ জনবিক্ষোভ ও সমাবেশের আয়োজন করেন।

বিক্ষোভকারীরা দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর যাবৎ ওই শ্মশানের সভাপতি পলাশবাড়ী পৌর শহরের কালীবাড়ি বাজারের স্থায়ী বাসিন্দা দিলীপ চন্দ্র সাহা সভাপতি পদটি আঁকড়ে ধরে অর্থ আত্মসাৎ বাণিজ্য সহ নানাবিধ অনিয়মের করে আসছেন বলে বিক্ষোভকারীরা দাবী করেন। এসময় তারা বলেন,ওই ধুরন্ধর সভাপতি শ্মশানের ৪ লাখ টাকার গাছ বিক্রি করে সে অর্থ আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও যেসব লাশ দাহ করা হয়না সেসব লাশগুলো মঠে সমাধি বা কবরস্থ করা হয় এবং মঠে কবরস্থ করতে হলে লাশ প্রতি মঠের জায়গার জন্য ৫০/৬০ হাজার করে ওই সভাপতি নেন বলে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন।

এসব অর্থ আত্মসাৎ সহ নানাবিধ অনিয়মের কারণে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায় ফুঁসে উঠে অভিযুক্ত সভাপতি দিলীপ চন্দ্র সাহা’কে বিক্ষোভকারীরা অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে ওই শ্বশ্মানের সভাপতি বাবু দিলীপ চন্দ্র সাহা’র সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে গাছ বিক্রি করে তিনি ৮ শতাংশ জমি কিনেছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান।

জনবিক্ষোভ সমাবেশে পলাশবাড়ী এমএ সামাদ কারিগরি ও বিজ্ঞান কলেজের ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর ও মহাশ্মশান এলাকার বাসিন্দা অরবিন্দু সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মহাশ্মশানের জমি দাতা ও মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা রনজিত চন্দ্র সরকার, রাঙ্গামাটি গ্রামের বাসিন্দা ও জমি দাতা সুভাশ চন্দ্র চুনি,চন্দন কুমার দাস এলাকাবাসী,সুলতানপুর বাড়াইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাসুদেব কুমার রায়,জমি দাতা সজল কুমার রায়,অপূর্ব কুমার রায় এলাকাবাসী,প্রভাত চন্দ্র দাস এলাকাবাসী,এর সংগে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন,পাশ্ববর্তী পলাশগাছী গ্রামের বাসিন্দা,সমাজ সেবক ও বিএনপি নেতা শাহীন মন্ডল,সুভাষ চন্দ্র মন্ডল,রাঙ্গামাটি গ্রামের বাসিন্দা রনজিত চন্দ্র সরকার-২,সুমল চন্দ্র সরকার,উৎসব চন্দ্র মহন্ত, কাঞ্চন চন্দ্র সরকার,সুশীল চন্দ্র সরকার,আনন্দ চন্দ্র মহন্ত,সুবল চন্দ্র সরকার,উৎপল চন্দ্র প্রমুখ।।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *