আবুল বয়ান, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি :
নওগাঁর ধামইরহাটে গর্ভবতী নারীসহ ২ নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ইউএনওর বিরুদ্ধে। বিচারের দাবীতে ইউএনও অফিসের সামনে ও সড়কে অবস্থান নিয়েছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। ১ অক্টোবর সকালে ধামইরহাট পৌরসভার মঙ্গলকোঠা গ্রাম এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকালে সরকারি খাস জমিতে পৌরসভার ময়লা ফেলতে যায় পৌর পরিচ্ছন্নকর্মীরা। খাস জমি সংলগ্ন বসবাসকারী স্থানীয়রা তাতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও বসবাস অনুপযোগী হবে জন্য ময়লা ফেলতে বাঁধা দেন। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষ জানলে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার রহমান ১ অক্টোবর সকাল ১০ টায় ধামইরহাট পৌর সদরের মঙ্গল কোঠা এলাকায় যান। সেখানে তার সাথে স্থানীয়দের বাক বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে সেটি গন্ডগোলে রূপান্তরিত হলে ধাক্কাধাক্কি ও মারামারিতে রূপ নেয় বলে স্থানীয়রা জানান।
ভুক্তভোগী আব্দুল কুদ্দুস জানান, আমি ঘটনার ভিডিও করলে ইউএনও স্যার আমাকে ধরে গাড়ীতে উঠানোর কথা বললে আমার অন্তঃসত্বা স্ত্রী মিতু বাঁধা দিলে ইউএনও আমার স্ত্রীকে লাল ফ্লাগ দিয়ে বাড়ী মারলে ইউএনও ও আমার স্ত্রী দুজনেই পড়ে যায়। এ সময় একই গ্রামের হবিবরের স্ত্রী সাবিনাও আহত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা, জহুরুল ইসলাম বলেন, যেহেতু আহতের একজন গর্ভবর্তী, তাই আলট্রাসনোগ্রাম না করলে কিছু বলা যাবে না, তবে দৃশ্যমান কোন ইনজুরি নেই।’
স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অভিযুক্ত ইউএনও শাহরিয়ার রহমান বলেন, আমি সরকারি কাজে বাঁধা পাওয়ায় আনসার সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি, কোন নারীকে মারধরের ঘটনাই ঘটেনি, বরং তারাই প্রশাসনের লোক জেনেও আনসার ও লেবারদের মারধর করেছে, আমরা এলাকার শান্তি চাই।
ঘটনার বিষয়টি গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী ইউএনও শাহরিয়ার রহমানের বিচারের দাবীতে প্রশাসন চত্বরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে পরিস্থিতি বেগতিক হলে উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানজালা, পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আবুল বয়ান,
ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি ।।
Leave a Reply