আরিফ রববানী ময়মনসিংহ
বিজয়া দশমীর পূজা শেষে দেবী দুর্গার বিসর্জনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বিসর্জন ঘাটগুলো। প্রতিমা বিসর্জনের দিন যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।
বুধবার (১অক্টোবর) দুপুরে ময়মনসিংহ কাচারী ঘাট প্রতিমা বিসর্জন ঘাট পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের কাচারী ঘাট ছাড়াও আরও একাধিক ঘাটে হবে এবারের প্রতিমা বিসর্জন।
অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সুষ্ঠুভাবে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেছি প্রতিটি ঘাটজুড়ে। আশা করি প্রতিমা বিসর্জনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন কেউ হবে না। সবাই সুষ্ঠভাবে প্রতিমা বিসর্জন করতে পারবেন।
পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি ঘাটে ও বোট নিয়ে পানিতে টহল দেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী । সাদা পোশাকে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা পুরো ঘাট এলাকাজুড়ে অবস্থান করছেন। এছাড়াও নদীর ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও ডুবুরি দলের সদস্যরা উপস্থিত থাকবে।
ঘাটের সার্বিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সুৃমনা আল মজিদ বলেন, আমরা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সকাল থেকে সব ঘাটের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজ সম্পন্ন করেছি। এছাড়া আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা সার্বিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতায় কাজ করবে।
এসময় পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম- ঘাট এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, বিসর্জন উপলক্ষে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না। আমরা চাই ধর্মীয় উৎসব নির্বিঘ্নে ও আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হোক।
পরিদর্শন শেষে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে বিসর্জন অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দেন তিনি।
এসময়- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মোঃ মোহাইমেনুর রশিদ, সদর সার্কেল মোঃ সোহরাওয়ার্দী হোসেন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর প্রশাসন আবু নাছের মোহাম্মদ জহির, ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির নেতা মোঃ মাহবুব আলম, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার, বর্জ্য কর্মকর্তা মোহাব্বত আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply