নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি //
নেছারাবাদের আলকিরহাট গ্রামে সুদের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় মো. চান মিয়া নামে এক গরীব চা দোকানিকে তার দোকানসহ বসতবাড়ির জমি লিখে নিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের “আলকিরহাট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লি:” এর পরিচালক ও উপজেলার ৭০নং পাটিকেল বাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: মিজানুর রহমান সমবায়ের আড়ালে চড়া সুদে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। এর অংশ হিসেবেই চান মিয়ার কাছ থেকে বিশ লাখ টাকার ঋণের বিপরীতে প্রায় ত্রিশ লাখ টাকার সম্পত্তি লিখে নিয়েছেন তিনি।
অভিযোগে জানা যায়, চান মিয়া প্রথমে দেড় লাখ টাকা ঋণ নেন। নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করলেও উচ্চসুদের কারণে দেনার বোঝা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে ঋণ নবায়ন হয়ে দাঁড়ায় ১০ লাখ টাকা, যা সুদে-আসলে পৌঁছে যায় ২০ লাখে। দেনা শোধ করতে না পেরে অবশেষে চান মিয়া নিজের দোকান ও সাত শতক জমি শিক্ষক মিজানের নামে লিখে দিতে বাধ্য হন।
চান মিয়া অভিযোগ করে বলেন, দশ লাখ টাকার বিপরীতে আমার দোকানসহ ত্রিশ লাখ টাকার সম্পত্তি লিখে নিয়েছে মিজান স্যার। এখন আমি পথে পথে ঘুরি।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, চান মিয়া আমার কাছ থেকে বিশ লাখ টাকার লোন নিয়েছিল। টাকা শোধ করতে না পারায় সে নিজেই আমি, আমার স্ত্রী ও ভাইয়ের নামে জমি লিখে দিয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. হাসান রকি বলেন, যারা সমবায় সমিতির আইন লঙ্ঘন করে ব্যবসা করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক সমবায়ের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তার সমিতির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আনোয়ার হোসেন
নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি।
Leave a Reply