শহিদুল ইসলাম,
বিশেষ প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা কাঁচাবাজারের পিছনের গলি—যেখানে দীর্ঘদিন ধরে অপরাধচক্রের আতঙ্কে ভুগছিলেন এলাকাবাসী। অবশেষে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের অভিযোগ ও সরাসরি সহযোগিতা, এবং পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনায় চালানো কৌশলগত অভিযানে কুখ্যাত কিশোর গ্যাং সদস্য জিসান মির্জা (১৬) পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়।
এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া। সিএমপি’র বন্দর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) জনাব মোঃ আমিরুল ইসলাম এর সার্বিক দিক-নির্দেশনা, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) মোঃ জাহাঙ্গীর এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) মাহমুদুল হাসানের কঠোর তত্ত্বাবধানে এসআই মোঃ আরিফ হোসেন সংগীয় ফোর্সসহ এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযুক্ত জিসান মির্জার বিরুদ্ধে ইপিজেড থানার মামলা নং-০৫, ধারা ৩৯৯/৪০২ দণ্ডবিধি চলমান ছিল। বহুদিন ধরে সে এলাকায় অপরাধচক্রের হয়ে কাজ করছিল এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তার নেতৃত্বে এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের কার্যক্রম ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল।
গ্রেফতারকৃত জিসান মির্জার বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার ইসাপুর/ভেন্ডার বাড়ি, ৮নং পাইকপাড়া ইউনিয়নে। তার পিতা মোঃ রাশেদ ও মাতা সুমি বেগম। বর্তমানে তারা চট্টগ্রামের বিজয়নগরে বসবাস করছিলেন। এলাকাবাসীর দাবি, পরিবার থেকেও তাকে অপরাধে নিরুৎসাহিত না করে বরং নীরব সমর্থন দেওয়া হতো, যা তাকে আরও ভয়ংকর রূপ দিয়েছে।
জিসানের গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্তি নেমে এসেছে। দীর্ঘদিনের আতঙ্ক থেকে মুক্তির আশ্বাস পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। তারা জানান—”পুলিশ যদি এভাবে কঠোর অবস্থানে থাকে, তাহলে আমাদের এলাকায় এ ধরনের অপরাধচক্র টিকতে পারবে না।”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি তার সহযোগীদের বিরুদ্ধেও অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ধরণের অপরাধচক্র ও প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে সিএমপি’র বন্দর বিভাগ নিশ্চিত করেছে।
Leave a Reply