মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন- ২০২৫ উপলক্ষে গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে কনসালটেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালার আয়োজন করে জেলা তথ্য অফিস।
তথ্য কর্মকর্তা উজ্জ্বল শীলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুমন চন্দ্র দাশ। ভার্চুয়ালি যুক্ত হন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক ডালিয়া ইয়াসমিন।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী বলেন, দুষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে টাইফয়েড রোগের জীবাণু ছড়ায় এবং সঠিক সময় রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা না হলে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। এজন্য টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। এই টিকা সম্পর্কে সঠিক তথ্য শিক্ষার্থীসহ সকলের নিকট পৌঁছে দিতে উপস্থিত সকলের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি টিকা সম্পর্কে অপতথ্য প্রচার ও গুজব প্রসঙ্গে বলেন, টিকা নিয়ে অনেক অপতথ্য প্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে। এসব অপতথ্য প্রচার ও গুজব প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এজন্য গণমাধ্যমকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। এ কর্মসূচি সফল করতে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
এর আগে, জেলা তথ্য অফিসার উজ্জ্বল শীল পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
সিভিল সার্জন বলেন, আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি। মাসব্যাপী হলেও মূলত ২০ কর্মদিবস চলবে এই কর্মসূচি। এর মধ্যে ১০ কার্যদিবস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং ৮ কার্যদিবস কমিউনিটিতে এ কার্যক্রম চলবে। কর্মসূচির আওতায় নয় মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী তিন লাখ ৬২ হাজার ১৭৭ জন শিশুকে টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে জেলার এক হাজার ৮৪৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই লাখ ৪৭ হাজার ২৫০ জনকে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত এক লাখ ১৪ হাজার ৯২৭ জনকে এক হাজার ৬২টি কেন্দ্রে টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে।
তিনি এ কর্মসূচি সফল করতে গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
পঞ্চগড়ে টা-ইফয়েড টি-কাদান নিয়ে ক-র্মশালা

Leave a Reply