তুলসীঘাট ডিগ্রি কলেজের যতসব অ-নিয়ম দুর্নী-তির খ-ন্ড চিত্র

আমিরুল ইসলাম কবির,
স্টাফ রিপোর্টারঃ

তুলসীঘাট শামছুল হক হক ডিগ্রী কলেজের বিভিন্ন খাতের অর্থ ব্যক্তিগত একাউন্টে লেনদেনসহ
অবৈধ নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত হওয়ার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় শোকজ।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার তুলসীঘাট শামছুল হক ডিগ্রী কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্ণীতিসহ অবৈধ পন্থায় নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হওয়ায় শোকজ। এসব বিষয়ে নিয়ে তদন্তে নামে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা শাখা (মাউশি)। বিগত ০৭/১১/২১ তারিখে সরেজমিন তদন্ত করে ২৬/০১/২২ তারিখে প্রতিবেদন পেশ করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা শাখা। তদন্তে কলেজের বিভিন্ন খাত হতে আয়কৃত অর্থ তৎকালীন অধ্যক্ষের ব্যক্তিগত হিসাব নম্বরে লেনদেন, কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে দুইজন সহকারি অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম মন্ডল ও নূর নেহার ইয়াসমিন সরকার এবং কম্পিউটার প্রদর্শক মো. তৌফিকুল ইসলাম মন্ডলের নিয়োগ অবৈধ প্রমাণিত হয়।
কলেজের আয়কৃত অর্থ আত্মসাৎসহ অবৈধ পন্থায় নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা দীর্ঘদিন হইতে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। বিগত ২৬/০১/২০২২ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হলেও শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও মাউশির দীর্ঘ সূত্রিতায় অবৈধ নিয়োগকৃত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই। গত ০৩/০৮/২০২৫ তারিখে মাউশি কর্তৃক কলেজের অধ্যক্ষের বরাবর শোকজ নোটিশ প্রেরণ করেন। কেন এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো ২০২১ এর ১৮(খ) ও ১৮(গ) মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না মর্মে জবাব চেয়েছেন মাউশি। উক্ত ধারা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অবৈধ নিয়োকৃত শিক্ষকদের এমপিও বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
ইতোপূর্বে তুলসীঘাট শামছুল হক ডিগ্রি কলেজের কারিগরি শাখার বাংলা বিভাগের প্রভাষক এসএম শামীম সুলতান সুমনের কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় বিগত ২৮/০১/২০২১ তারিখের এক প্রজ্ঞাপনে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর উক্ত শিক্ষকের এমপিও আবেদন বাতিল করেন। কিন্তু অধ্যক্ষ ও বর্তমান সভাপতির অত্যন্ত আস্থাভাজন হওয়ায় উক্ত অবৈধ নিয়োগকৃত শিক্ষক এসএম শামীম সুলতান সুমনকে কলেজ থেকে মাসিক ভাতা দিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সহিত জড়িত রাখছেন। অনতিবিলম্বে উক্ত অবৈধ নিয়োগকৃত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো ২০২১ এর ১৮(খ) ও ১৮(গ) ধারা মোতাবেক এমপিও বাতিল করিয়া সরকারি অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরতসহ কাম্য যোগ্যতাহীন শিক্ষক এসএম শামীম সুলতান সুমনকে কলেজ হতে অব্যহতি প্রদান করিয়া কলেজটিকে ধ্বংসের হাত হইতে রক্ষা করা আশু প্রয়োজন।
অভিযুক্ত শিক্ষক শহিদুল ইসলাম মন্ডল (সহকারি অধ্যাপক কম্পিউটার) তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,এ রকম সাংবাদিক বহুবার এসেছে কিছুই করতে পারে নাই।
তৌফিকুল ইসলাম (লাইব্রেরিয়ান) বলেন,আপনাদের তথ্য কে দিলো, তাকে খুন করে ফেলবো বলে হুমকি প্রদর্শন করেন।
এসএম শামীম সুলতান সুমন কারিগরি শাখার প্রভাষক (বাংলা) বলেন,আমার তো,এমপিও হয়নি। আমার বিষয় নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলমান রয়েছে।
এসব বিষয়ে অত্র কলেজের বর্তমান অধ্যাপক শফি আহম্মেদ সরকারের সাথে কথা হলে তিনি জানান,আমি মাত্র ১ মাস হলো যোগদান করেছি। অভিযুক্ত শিক্ষকরা কেউই আমাকে ফাইল দিচ্ছে না। ওই শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানাবো।।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *