আমরা চাঁ-দাবাজি ও টে-ন্ডারবাজি করি না,একবার ক্ষ-মতায় বসান প্রমাণ করবো-মাওলানা এমরুল

আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের আমির ও ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী কামরুল আহসান এমরুল বলেছেন-রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আমাদের হাতে আসলে জনগণ ও রাষ্ট্র নিরাপদ থাকবে।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতের লোকেরা দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি করে না। জামায়াতের লোকেরা স্বজনপ্রীতি করে না, রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করে না। জামায়াতের প্রত্যেকটি লোক আলাদা আলাদা ব্যবসা ও চাকরি করে। উপার্জিত অর্থ থেকে আমরা একটা অংশ দলকে দিয়ে থাকি। আমরা চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করি না। জনগণ পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশকে যদি জামায়াতের হাতে তুলে দেয়, তারা দেখবে কেমন বাংলাদেশ হয়-তা আমরা ইনশাআল্লাহ দেখাবো।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিনভর তিনি তার নির্বাচনী এলাকা ময়মনসিংহ সদর-৪ আসন এলাকার পরাণগঞ্জ ইউনিয়নের পরানগঞ্জ বাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গণসংযোগ কালে ভোটারদের সাথে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন।

এসময় তার সাথে ছিলেন মহানগর জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি আব্দুল বারী, গাঙ্গিনাপার সাংগঠনিক থানার আমীর এমদাদুল ইসলাম সহ বিশিষ্ট ব্যবসায়ীবৃন্দ, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ এলাকাবাসী।

এসময় জামায়াতের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা ইসলামী ব্যাংকিং পদ্ধতি চালু করে লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান করেছি। বেকার সমস্যার সমাধান করেছি। বাংলাদেশে যে রেমিট্যান্স আসে, তার একটা বড় অংশ আমাদের উদ্যোগের কারণে, আমাদের চেষ্টার কারণে আসে।তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় না গিয়েও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতালসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি করে প্রমাণ করেছি। আমরা সেই পরীক্ষায় ইতোমধ্যে সফল হয়েছি। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান কামরুল আহসান এমরুল।

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার জনগণকে সবধরণের সহযোগিতা প্রদান করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমরা একটি সমৃদ্ধ নগরী চাই। আমরা একটি মানবিক নগরী চাই। আমরা একটি পরিচ্ছন্ন ও দুর্নীতিমুক্ত নগরী চাই। নগরীকে গড়ে তুলতে দলের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

কামরুল আহসান এমরুল আশা প্রকাশ করেন, ময়মনসিংহ সদরে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণ সদরের অভিভাবক হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বকে গ্রহণ করবে। শুধু ময়মনসিংহ সদর এলাকা নয় দেশের অন্যান্য অঞ্চলে সকল নির্বাচনে জামায়াতের নেতৃত্বকে জনগণ গ্রহণ করবে।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার যাওয়ার তিনদিন আগে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিল। তারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল, আর আল্লাহ তায়ালা এই জাতির মাধ্যমে তাদেরকে দেশছাড়া করেছেন। তারা দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়নে কাজ করছে। কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে অবশ্যই একটি দল থাকতে হবে, যারা মানুষকে কল্যাণের দিকে আহ্বান জানাবে। ভালো কাজের আদেশ দেবে ও অসৎ কাজে বাধা দেবে। আর এরাই সফলকাম হবে।’

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *