দীর্ঘ ৫০ বছরের দুঃ/খ লা/ঘব হতে চলেছে শার্শার দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের, উপকৃত হবে ৫০ হাজার পরিবার

আজিজুল ইসলাম, যশোরঃ যশোরের শার্শা উপজেলার প্রস্তাবিত মাখলার খাল সংস্কার প্রকল্প বাস্তবে রুপ দিতে চলেছে। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় ইছামতী নদীর জোয়ারের পানিতে শার্শা উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের ৫২ টি বিল বরাবরই নিমজ্জিত থাকে। প্লাবিত হয় হাজার হাজার বিঘা আমন ফসলের জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাজারো পরিবার। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। এবছরও ভারত থেকে আসা জোয়ারের পানি ইছামতী নদীর দু’কুল ছাপিয়ে রুদ্রপুর দাউদখালী খাল দিয়ে মাখলা বিলে প্রবেশ করে হাজার হাজার বিঘা ফসলের জমি ভাষিয়ে দেয়। এতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়। এ নিয়ে লোকসমাজ পত্রিকায় ছবিসহ বেশ কয়েকটি রিপোর্ট প্রকাশ হলে নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এলাকা পরিদর্শন করেন। এবং এর সমাধানের আশ্বাস দেন। পানি প্রবেশের পথ রুদ্রপুর দাউদখালী খালমুখে হওয়ার কারনে কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রবিউল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামকে খালের নকশা প্রনয়ন পুর্বক খাল সংস্কার ও কার্যকর স্লুইসগেট নির্মানের প্রস্তাবনা পেশ করার আহবান জানানো হয়। কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রবিউল হোসেন এবিষয়ে লোক সমাজকে বলেন, নকশা তৈরী করে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডে জমা দেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এটি বাস্তয়ন হবে। তিনি বলেন এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডাঃ কাজী নাজিব হাসান যাবতীয় সহযোগিতা করছেন। তিনি আরও বলেন, মাখলা খাল পুণঃ সংস্কারসহ রুদ্রপুর দাউদখালী খালমুখে উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন স্লুইসগেট নির্মান এবং সাহেবের খালমুখ থেকে নতুন খাল খনন করে কলারোয়া উপজেলার সোনাই নদীর সাথে সংযোগ স্থাপনের নকশা এরই মধ্য জমা দেয়া হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হলো ভারতীয় পানি ইছামতী নদী দিয়ে আর শার্শার ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেনা। উপরন্তু শার্শা উপজেলার উত্তর ও দক্ষিনাঞ্চলের বর্ষার পানি মাখলা খাল দিয়ে সোনাই নদীতে প্রবাহিত হয়ে সুন্দরবন অঞ্চলে প্রবেশ করবে। ফলে শার্শা উপজেলার বিলগুলি আর প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। তখন আমন, ইরি ও তরকারি চাষ আগের মতই সম্ভব হবে। এতে করে উপজেলার ৫০ হাজারেরও অধিক চাষি উপকৃত হবেন। এতে করে দীর্ঘ ৫০ বছরের দুঃখের অবসান ঘটবে। শার্শা উপজেলার দক্ষিনাঞ্চলের সকল চাষিদের ভাগ্যেরও পরিবর্তন হবে ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *