নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পাবনার সুজানগরের এক দরিদ্র ও নরিহি পরবিাররে বিরুদ্ধে রংপুর ও বগুড়া আদালতে পৃথক দুটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জানাযায়, গত ২০২৩ সালে রংপুর আদালতে সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নরে ফকিৎপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল ওহাব সেখ এবং তার ছেলে হৃদয় শেখকে (২৩) গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী বানিয়ে রংপুর আদালতে আলমগীর হোসনে নামক এক ব্যক্তিকে বাদি সাজিয়ে ২০২৩ সালে এবং পরে ২০২৪ সালে বগুড়া আদালতে বেলাল হোসেন নামক এক ব্যক্তিকে দিয়ে হৃদয় শেখের নামে পৃথক আরেকটি হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করান প্রতারক ও দালাল হিসেবে পরচিতি শাহরয়িার কবির নামের এক ব্যক্তি। রংপুর আদালতে দায়েরকৃত মামলার নং-১৪৩/২৩ এবং বগুড়া আদালতে দায়েরকৃত মামলা নং- ৫১৭/সি/২০২৪। প্রতারক শাহরিয়ার কবিরের বাড়ী গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ফকিৎপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল ওহাব শেখ স্থানীয় সাতবাড়ীয়া বাজারের একজন ক্ষুদ্র পান বিক্রেতা এবং তার ছেলে হৃদয় শেখ ২০২৩ সালে সে সময় সাতবাড়িয়া কলেজের এইচ এসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। এরমধ্যে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহীনীতে সৈনিক পদে লোকবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে দরিদ্র পরিবার হওয়ায় আব্দুল ওহাব শেখ তার ছেলেকে বগুড়া পাঠান সেনাবাহীনীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য। এ সময় শাহরিয়ার কবির নামে ওই দালাল ও প্রতারকের খপ্পরে পড়েন হৃদয় শেখ। এ সময় হৃদয় শেখকে শতভাগ চাকুরির নিশ্চয়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে পরবর্তীতে সাদা স্ট্যাম্প ও ব্যাংকের ৪টি ব্ল্যাংক চেকের পাতা রেখে দেন এবং চাকরি না হলে সেগুলো ফেরত প্রদানের কথা বলেন। কিন্তু সে সময় চাকুরী না হলে ওই চেকের পাতা ও স্ট্যাম্প ফেরত চান হৃদয় শেখ ও তার পিতা। কিন্তু তা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন শাহরিয়ার কবির। এরমধ্যে ঢাকাতে নিজ যোগ্যতায় ফায়ার সার্ভিসে চাকুরী হয় হৃদয় শেখের। এরপর বিষয়টি ওই দালাল ও প্রতারক শাহরিয়ার কবির জানতে পেরে মোটা অংকের টাকা দাবি করে হৃদয় শেখের দরিদ্র পিতা পান বিক্রেতা আব্দুল ওহাব শেখের কাছে, তা না হলে মামলা দায়েরের হুমকি দেন । পরবর্তীতে টাকা না দিলে ওই প্রতারক রংপুর আদালতে আলমগীর হোসেন নামক এক ব্যক্তিকে বাদী বানিয়ে হৃদয় শেখ ও তার পিতা আবুল ওহাব শেখের কাছে ৮ লক্ষ টাকা পাওনা দাবি করে এবং বেলাল হোসেন নামক এক ব্যক্তিকে বাদী বানিয়ে রিদয় শেখের কাছে বগুড়া আদালতে ২২ লাখ টাকা ব্যবসায়ীক পাওনা দাবি করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল বাছেত জানান, ২০২৩ সালে হৃদয় শেখ তার কলেজের শিক্ষার্থী ছিল। এবং তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল না হওয়ায় কলেজের পক্ষ থেকে ফ্রি বেতনে পড়াশনা করাতেন। এ বিষয়ে পাবনার সুজানগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এ আলিম রিপন জানান, একটি দরিদ্র পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনা খুবই দুঃখজনক,আমার জানামতে রিদয় এ উপজেলার সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের দরিদ্র একজন পান বিক্রেতার সন্ধান। এদিকে হৃদয় শেখ ও তার পিতা আব্দুল ওহাব শেখের মতো দরিদ্র একটি পরিবারের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক আদালতের কাছে সঠিক বিচার প্রার্থনার পাশাপাশি এ ঘটনার অন্তরালে থাকা ওই দালাল ও প্রতারক শাহরিয়ার কবিরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
এম এ আরিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।
Leave a Reply