কুমিল্লা দঃ জেলা প্রতিনিধি, তরিকুল ইসলাম তরুন,
কুমিল্লার ৩৬৮ বছরের পুরাতন মুসলিম সম্প্রদায়ের স্মৃতি আজো মোঘল সাম্রাজ্যের স্বাপিত্বের কথা মনে করিয়ে দেয় তরুন প্রজম্মকে। সেই মোঘল স্মৃতি দাঁড়িয়ে আছে কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলিতে ঐতিহাসিক শাহ সুজা মসজিদ। মঘল আমলের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে এই পুরাতন মসজিদ টি।
কালের সাক্ষী এই মসজিদটি বড় ধরনের তেমন পরিবর্তন না হলেও যুগে যুগে সম্প্রাসারন হয়েছে,
মুসল্লী বেড়েছে, কুমিল্লা শহরের মোগলটুলি এলাকায় আরো মসজিদ রয়েছে অনেক কিন্তু তারপরও মুসল্লীদের প্রথম পছন্দ শাহ সুজা মসজিদই।এই মসজিদের মুসল্লীদের ধারণক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে বহু আগে। শুক্রবার জুম্মার দিনে মসজিদের বাহিরে চলে আসে মুসল্লীদের নামাজের কাতার, এটি ঐতিহাসিক কুমিল্লার ঐতিহ্যের ছাপ বা স্মৃতি হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে।
কুমিল্লা শহরের মুগলটুলি এলাকায় অবস্থিত এই ঐতিহাসিক শাহ সুজা মসজিদ স্থাপিত। ঐতিহাসিক ইতিহাস গবেষক দের মতে জানা যায় ১৬৫৮ সালে বাংলার সুবেদার শাহ সুজা তার ত্রিপুরা বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।
সাড়ে তিনশো বছরেরও অধিক বছর আগে নির্মিত মসজিদটি উত্তর দক্ষিনে লম্বা।
আয়তাকার মসজিদটি বাইরের মাপে দৈর্ঘ্য ১৭.৬৮ মি., প্রস্থ ৮.৫৩ মি. ও প্রাচীরগুলি ১.৭৫ মি. পুরু । মসজিদের চার কোণে ৪টি অষ্টকোণাকার বুরুজ রয়েছে ।
এগুলি কার্নিসের বেশ উপরে উঠে গেছে এবং এর শীর্ষে রয়েছে ছোট গম্বুজ ।
মসজিদের পূর্ব প্রাচীরে ৩টি এবং উত্তর ও দক্ষিণ প্রাচীরে একটি করে খিলানযুক্ত প্রবেশপথ রয়েছে । প্রধান প্রবেশপথটি অপেক্ষাকৃত বড় এবং এতে অধিকতর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে । প্রবেশপথগুলির উভয় পার্শ্বে ও উপরে প্যানেল নকশা অলঙ্কৃত করা হয়েছে। কিবলা প্রাচীরে রয়েছে ৩টি মিহরাব, কেন্দ্রীয়টি অপেক্ষাকৃত বড় ও অধিক আকর্ষণীয় ।
এটি ফুল, লতা পাতা ও জ্যামিতিক নকশায় শোভিত । দুটি পার্শ্ব খিলান দ্বারা মসজিদের অভ্যন্তরভাগ তিন ভাগে বিভক্ত ।
মধ্যের অংশটি বাইরের দিকে পূর্ব ও পশ্চিমে কিছুটা উদ্গত করে নির্মিত। এই অংশের চার কোণে ৪টি সরু মিনার কার্নিসের উপরে উঠেছে । গম্বুজগুলির শীর্ষদেশ পদ্মনকশা ও কলস চূড়া দ্বারা শোভিত সেই আগ থেকে ।মসজিদের কার্নিসের নীচের অংশ মারলোন নকশায় অলংকৃত । বিভিন্ন সময়ে মসজিদটির সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে । একটি শিলালিপির পাঠ অনুযায়ী ১৮৮২ সালে হাজী ইমামউদ্দিন ৭.৩২ মি. প্রস্থের সমতল ছাদ বিশিষ্টবারান্দাটি নির্মাণ করেন।
পরবর্তীকালে মসজিদটি আরও সম্প্রসারিত ও দুপার্শ্বে মিনার নির্মাণ করা হযয়েছে । এব্যপারে বিএনপি নেতা ও সমাজ সেবক মাহবুবুল আলম চপল জানান মসজিদ টি তৈরি ৩৬৮ বছর পূর্বে কিন্তু কালের পরিবর্তনে অনেক বার সৌন্দর্য বর্ধনে স্থানীয় দের আর্থিক সহযোগিতায় উভয় দিকে সম্প্রসারন করা হয় এবং সাথে মাদ্রাসা, পানির ঝর্ণা, অযুখানা নির্মান করা হয়। প্রধান ফটক কারুকার্য শোভিত করে তৈরি করা হয়। আমরা ছোট বেলা এই মসজিদেই বাবা সাথে নামাজ পড়তে যেতাম,তখন এখনকার মতো ঘনঘন মসজিদ ছিল না।
এছাড়াও সমাজ সেবক মোখলেছুর রহমান, ও নাছির উদ্দীন বলেন শাহ সুজা মসজিদ মোগলটুলী,পুরাতন চৌধুরী পাড়া,গাংচরের ঐতিহ্যের প্রতিক,
আমরা এই মসজিদে নামাজ পড়ি,এই মসজিদের ইতিহাস ব্যাপক,পিলারে খচিত আছে ৩৬৮ বছরের স্থাপিত্বের নানান ঐতিহাসিক স্থাপিত্বের কথা।
Leave a Reply