উপকূলে জলবায়ু ন্যা-য় রূপান্তরের ডাক পটুয়াখালীতে জারি গানে পরিবেশ আ-ন্দোলন

বিশেষ প্রতিনিধি:

উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে গ্লোবাল উইক অব ক্লাইমেট অ্যাকশন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হলো জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় ভিন্নধর্মী সাংস্কৃতিক আয়োজন “প্রকৃতির ডাক: জারি গানে ন্যায় রূপান্তর”।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গ্রীন পিস ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি আয়োজনে গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় প্রোগ্রামটি বাস্তবায়নের সহযোগিতা করছে ধুমকেতু ইয়ুথ ফাউন্ডেশন।

জলবায়ু কার্যক্রমের বৈশ্বিক সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে জারি গানের মাধ্যমে উপকূলের মানুষের দুর্দশা, লবণাক্ত পানির যন্ত্রণা, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ভয়াবহতা ফুটিয়ে তোলা হয়। একইসঙ্গে নবায়নযোগ্য শক্তিতে দ্রুত রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা এবং টেকসই উন্নয়নের দাবি তুলে ধরা হয় গানের কথায়।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক কর্মী, পরিবেশকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। তারা জানান, জারি গানের মতো লোকজ শিল্পমাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো জটিল ইস্যু সহজভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুকতারা মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহফুজা ইসলাম, গ্রীন পিস ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি ফাউন্ডার এন্ড ডিরেক্টর খাইরুল ইসলাম মুন্না.

গ্রিন পিস ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি ফাউন্ডার এন্ড ডিরেক্টর খাইরুল ইসলাম মুন্না বলেন উপকূলীয় মানুষের টিকে থাকার জন্য ফসিল ফুয়েল নির্ভর শক্তির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য শক্তিতে রূপান্তর জরুরি। তারা প্রতিশ্রুতি দেন, তরুণদের সম্পৃক্ত করে এ ধরনের কর্মসূচি নিয়মিত আয়োজন করা হবে, যাতে উপকূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে জলবায়ু ন্যায়ের দাবি আরও জোরদার হয়।

আয়োজক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, উপকূলের মানুষের জীবন-জীবিকা টিকিয়ে রাখতে ফসিল ফুয়েল পরিহার করে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানো জরুরি। তরুণ সমাজকে সম্পৃক্ত করে ভবিষ্যতেও এ ধরনের সাংস্কৃতিক আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে বলে জানানো হয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *