September 18, 2025, 7:26 pm
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নের প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন আসমা উল হুসনা ফাতেমা জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি একজন সৎ ও দক্ষ সরকারি কর্মকর্তা। যিনি বর্তমানে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে দায়িত্বে থেকে উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সেবা প্রদান করে সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করছেন। তিনি সফলভাবে পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও উপকরণ নিশ্চিত করে, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি জনগণের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সরকারি নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুস্থ ও পরিকল্পিত পরিবার গঠনে অবদান রাখছেন।
উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সেবা প্রদানে মেধা-দক্ষতা ও সততার সাথে কাজ করার অবদান আছে বিধায় তাকে সরকারি সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে ময়মনসিংহ সদরের চেয়ারম্যান পদ শুন্য ১২নং ভাবখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আসমা-উল-হুসনা ফাতেমা জান্নাতুল ফেরদৌস গত ০৭ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে ভাবখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদ এর প্রশাসক হওয়ার পর থেকেই উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর দিক-নির্দেশনায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সরকার ঘোষিত প্রতিটি কার্যক্রম ইউনিয়ন ও এলাকার উন্নয়নে সফলভাবে সম্পাদন করে আসছেন।
জনসেবা প্রদানের মাধ্যমে এলাকায় সফল ও জনবান্ধব প্রশাসক হিসেবে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনসাধারণ ও সামাজিক, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে রয়েছে তার সু সম্পর্ক। তিনি ভাবখালী ইউনিয়নের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে ইউনিয়নের সকলের সহযোগিতা ও পরামর্শে এগিয়ে নিচ্ছেন।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক কাজ করে দলমত নির্বিশেষে তিনি সর্ববৃহৎ এই ইউনিয়ন মধ্যে আস্থা অর্জন করেছেন। এছাড়াও ভাবখালী ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দকৃত টিআর, কাবিখা-টাবিখা, কর্মসৃজন প্রকল্প, এলজিএসপি, ওয়ান পারসেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেঞ্চ, কমিউনিটি ক্লিনিকে ফ্যান, চেয়ার, আলমারি, অবহেলিত রাস্তাঘাট সংস্কার ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মাণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পরিচয় দিয়েছেন।
উন্নয়ন পাগল, জনগণের আস্থাভাজন পরিশ্রমী বিচক্ষণ প্রশাসক ইউনিয়ন বাসীর সার্বিক উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করে দিচ্ছেন। ফলে অনেকে বলছেন দীর্ঘদিন পর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সেবক পেয়েছেন ইউনিয়নবাসী। নাগরিক সেবা ও উন্নয়নে তার প্রশংসা করছেন ইউনিয়নবাসী। তিনি সরকারের সকল সেবা ও উন্নয়ন কর্মকান্ডকে স্বচ্ছ ও দুর্নীতি মুক্ত পরিবেশে জনকল্যাণে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়ার মাধ্যমে ইউনিয়নকে আধুনিক ও মডেল ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে চলেছেন।
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে তিনি ইউনিয়নের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ইউনিয়নের সকল অসংগতি দূরসহ নাগরিক অধিকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করে চলেছেন। বিশেষ করে কর্মসূচী প্রকল্প, কাবিখা-টাবিখাসহ সকল উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলো স্বচ্ছতার সাথে বাস্তবায়ন করছেন। উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডগুলো সবসময় তদারকি করে চলেছেন। তিনি তার সরকারি দপ্তর চালানো পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদের সেবাকে জনকল্যাণে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিয়ে সর্বমহলের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন।
তার সততা ও মেধায় ইউনিয়নটিতে শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে সরকার ঘোষিত সকল প্রকার সুবিধাদি পাচ্ছেন ইউনিয়নে বসবাসকৃত সর্বসাধারণ। তিনি বলেন- আমি যখন যে দায়িত্বেই থাকি, সরকারী কর্মকর্তা হিসাবে চেষ্টা করি মানুষের কল্যাণে ও উন্নয়নে কাজ করতে । সবার সহযোগিতাশ আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।