নতুন জীবন পেল সুজানগরে শি-কারির ফঁা-দে আট-কা ৪৫টি পাখি

এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ পাবনার সুজানগর উপজেলার স্থানীয় বিভিন্ন চর এলাকায় খাবারের খেঁাজে আশ্রয় নেয়া পাখিকে ফঁাদে আটকিয়েছিল একদল শিকারি। খঁাচায় ভরে পাখিগুলো বিক্রিই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।
এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার ওসি মজিবর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ মঙ্গলবার সকালে অভিযান চালিয়ে উপজেলার কেষ্টপুর বাজার এলাকা থেকে ৪৫টি ঘুঘু পাখি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাখি রেখে শিকারিরা পালিয়ে যায়।
পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উদ্ধারকৃত পাখিগুলো মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ ও থানার ওসি মোঃ মজিবর রহমান ।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, প্রকৃতিতে শীতের আমেজ শুরু হতেই রঙ-বেরংয়ের অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে থাকে গাজনার বিলসহ স্থানীয় চরাঞ্চলগুলো। দেখা মেলে সাদা বক, বালিহঁাস, মাছরাঙ্গা, সারস, পানকৌরীসহ দেশি বিদেশি অসংখ্য পাখি। দিগন্তজোড়া উন্মুক্ত হাওয়ায় পাখা মেলে বিল ও চরাঞ্চলের একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্ত পর্যন্ত উড়াউড়ি করে থাকে। খাওয়ার লোভেই নানা প্রজাতির অতিথি পাখি ঝঁাকে ঝঁাকে আশ্রয় নেয় স্থানগুলোতে।কিন্তু এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহল পাখির এমন অবাধ বিচরণে কাল হয়ে দঁাড়িয়েছে। তিনি বলেন, পাখি প্রকৃতির বড় সম্পদ যদি কেউ প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্টের চেষ্টা করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
থানার ওসি মজিবর রহমান বলেন, প্রকৃতিতে পাখির স্বাধীন বিচরণই তাদের প্রাকৃতিক অধিকার। বাজারগুলোতে যেভাবে অসংখ্য পাখি জালে ও খঁাচায় বন্দি করে বিক্রি করা হয় তা শুধু বেআইনি নয়, নিষ্ঠুরও বটে। তিনি জানান, উদ্ধার পাখিগুলো প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে নিরাপদ পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছে। সব নাগরিককে পাখি কেনাবেচা ও খঁাচায় পোষা থেকে বিরত থাকতে এবং এ ধরনের বেআইনি কার্যকলাপের তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে। আর এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ও জানান তিনি।

এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *