পলাশবাড়ীতে সারের কৃত্রিম সং-কট,ডিলারদের বি-রুদ্ধে কা-লোবাজারীর অ-ভিযোগ

আমিরুল ইসলাম কবির,
স্টাফ রিপোর্টারঃ

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত সারের কৃত্রিম সংকট তৈরী হয়েছে। এতে করে ভরা মৌসুমে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। এমন অভিযোগ উঠেছে যে ডিলাররা সরকার নির্ধারিত মূল্যে কৃষকদের কাছে সার বিক্রি না করে অবৈধভাবে তা কালোবাজারে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করছেন। যার ফলে কৃষকদের এক বস্তা সারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে।

ভুক্তভোগী এক কৃষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,”গত দুই দিন ধরে জমিতে সার দেয়ার জন্য টিএসপি ও ইউরিয়া সার খুঁজছি। কিন্তু কোনো ডিলারের কাছেই সার পাইনি। পরে বাধ্য হয়ে খুচরা দোকানে যাই,সেখানে এক বস্তা টিএসপি ২ হাজার ৪’ টাকা এবং এক বস্তা ইউরিয়া ১ হাজার ৩’শ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দোকানদার সরাসরি বলেছেন, ‘নিলে নেন,না নিলে এটাও পাবেন না’।”

ক্ষুব্ধ এই কৃষক আরও জানান, তিনি অনলাইনে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে ৩১শে আগস্ট, ২০২৫ তারিখে পলাশবাড়ীর ৩৪ জন ডিলারকে সার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দিলীপ বাবুর রনি ট্রেডার্স ৬২ বস্তা টিএসপি, আবু তালেব সরকার ৫২ বস্তা, আঃ হাই মন্ডল ৫২ বস্তা এবং অবিনাশ চন্দ্র ৫২ বস্তা টিএসপি সার পেয়েছেন। এর পাশাপাশি এই সারের ক্রয়মূল্য ছিল ১হাজার ২’শ ৫০ টাকা,যা ডিলাররা এখন ২ হাজার ৪’শ টাকায় বিক্রি করছেন।
কৃষকের প্রশ্ন,”এত সার যদি ডিলারদের কাছে বরাদ্দ দেওয়া হয়,তাহলে সারগুলো গেলো কোথায়?”

তিনি দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন,এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়া হলে কৃষকদের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে, যার দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে।

পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সাজ্জাদ হোসেন সোহেলের সাথে কথা হলে তিনি জানান,অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল আলমের সাথে কথা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান,“এই ব্যাপারে তেমন কিছু জানা ছিল না। ” তিনি আরো জানান,সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে অভিযোগের বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *