September 7, 2025, 11:45 pm
এম এ আলিম রিপন ঃ পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল গাফফার খান বলেছেন, ফঁাসির মঞ্চে শীর্ষ আলেমদের অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে ফ্যসিবাদী হাসিনা সরকার। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি আদর্শিক বিপ্লবের নামÑযাকে ধ্বংস করতে বারবার ষড়যন্ত্র করেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা। হাসিনা জানে, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে এদেশে লুটপাট থেমে যাবে, ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধ হবে, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও দুঃশাসনের অবসান ঘটবে। তাই আমাদের হাজারো নেতা-কর্মীর ওপর চালানো হয়েছে অমানবিক নির্যাতন। মিথ্যা মামলা, জেল-জুলুম, পুলিশি হামলা এমনকি আমাদের নেতা-কর্মী ফঁাসিও দিয়েছে। আমরা জানি, এই পথ সহজ নয়। কিন্তু আমরা আদর্শের লড়াইয়ে পিছপা হইনি। তারা ভয় পায় জামায়াতকে, কারণ তারা জানেÑজামায়াত ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি করে হাত ঘষে খাওয়া যাবে না, চাইলেই মদের আসর বসানো যাবে না, রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করা যাবে না। এ কারণেই তারা অঁাতকে ওঠে জামায়াতের নাম শুনলেই।
আমরা এসেছি সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থাকে বদলে দিতে। ইনশাআল্লাহ, জনগণের রায়েই এই পরিবর্তন নিশ্চিত হবে। শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার পাবনার সুজানগর উপজেলা উলামা মাখায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, এদেশের সব আলেমদের সেরা আলেম ছিলেন আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী। জেলের মধ্যে তাকে সীমাহীন জুলুম নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। তার জনপ্রিয়তা ভয় পেয়ে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে। এদেশে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে তার হত্যার বদলা নেওয়া হবে। রাজপথে রক্ত ঢেলে দিয়ে মানবরচিত আইন কবর দিতে হবে। এদেশের মানুষের জন্য আলেমদের ভূমিকা অনেক রয়েছে। আলেমদের থেকে মানুষের চাওয়া পাওয়া অনেক বেশি। এদেশে চঁাদাবাজ, দখলবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আগামীতে জনগণ রায় দিবেন। দঁাড়িপাল্লার বিজয়ের মাধ্যমে এদেশের মানুষের মুক্তি মিলবে। উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন আপনাদের এলাকার বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ অধ্যাপক হেসাব উদ্দিনকে ভোট দিয়ে বিজয় করতে হবে। তিনি সংসদে গিয়ে কোরআনের কথা বলবেন। সন্ত্রাস ও চঁাদবাজমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে দঁাড়িপাল্লায় ভোট দিতে হবে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক কেএম হেসাব উদ্দিন বলেন, আমাদের লক্ষ্য স্পষ্টÑএমন একটি সমাজ গঠন, যেখানে বৈষম্য থাকবে না, অন্যায়ের জায়গা থাকবে না। ইসলামি মূল্যবোধ হবে রাষ্ট্রের চালিকাশক্তি, আর প্রতিটি নাগরিক পাবে তার ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা।
দঁাড়িপাল্লা প্রতীক আমাদের আদর্শের প্রতীকÑএটি ইনসাফ, শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতার প্রতীক। এই প্রতীকের বিজয় মানে শুধু একটি দলের জয় নয়, বরং একটি শোষিত জাতির জাগরণ। ইনশাআল্লাহ, জনগণই এবার পাবনা-২ আসনে ইতিহাস সৃষ্টি করবে। আমরা শাসক নয়Ñআমরা সেবক হতে চাই। ভোট দিয়ে জনগণ এই আন্দোলনে সঙ্গী হলে আমরা প্রমাণ করবো, কীভাবে ন্যায়ের ভিত্তিতে একটি রাষ্ট্র পরিচালিত হয়।
এ সময় হেসাব উদ্দিন আরো বলেন “আমরা রাজনীতি করি ক্ষমতার জন্য নয়, আদর্শের জন্য। এই আদর্শের পথ কতটা কণ্টকাকীর্ণÑতা আপনাদের সামনেই প্রমাণ। এই জাতিকে অন্ধকার থেকে মুক্ত করার সংগ্রাম এখনই সবচেয়ে জরুরি। ইতিহাসের চাকা ঘুরছে, এবং এই জনগণই শিগগিরই তাদের রায় দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দঁাড়াবে।
জেলা উলামা মাখায়েখ পরিষদের সদস্য মাওলানা মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে ও সুজানগর উলামা মাশায়েখের সভাপতি মাওলানা মো: রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, মাওলানা মাসুম খান, মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মাহতাব উদ্দিন, মাওলানা শফিউল্লাহ প্রমুখ।
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।