টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের বিশেষ অভি-যানে জুবায়ের নামের এক শীর্ষ স-ন্ত্রাসীকে গ্রে-প্তার করেছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা গজালিয়া গ্রামের কুখ্যাত, একাধিক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী জুবায়ের শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে গিমাডাঙ্গা গ্রামের মাহমুদ শেখের ছেলে। 

আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে পুলিশের একটি বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাহিদুল ইসলাম (বিপিএম, পিপিএম)।

জানা যায়, জুবায়ের শেখ দীর্ঘদিন ধরে টুঙ্গিপাড়া ও আশপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসা, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও নারী পাচার চক্রের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে ৬টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, যার মধ্যে অপহরণ ও মাদকের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাহিদুল ইসলাম (বিপিএম, পিপিএম) এর নির্দেশে এসআই মনির হোসেন এর নেতৃত্বে, এএসআই সাহিন ও এএসআই ফয়েজ এবং এএসআই জাবেদ সহ টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশের একটি চৌকস দল গিমাডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৬টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নারীদের ব্যবহার করে ফাঁদে ফেলে ধরে এনে মুক্তিপণ আদায় করে।

এছাড়া এলাকায় মাদকের সরবরাহ ও ব্যবসার নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বলে  জানা যায়।টুঙ্গিপাড়ার সাধারণ মানুষের মধ্যে জুবায়ের এক আতঙ্কের নাম ছিলো।

টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম (বিপিএম, পিপিএম) বলেন, “জুবায়ের দীর্ঘদিন ধরে আমাদের নজরদারিতে ছিলো। আজ তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

গজালিয়া ও আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষ পুলিশ প্রশাসনের এই সাহসী অভিযানে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। 

তারা বলেন, জুবায়েরের কারণে আমাদের মেয়েরা বাড়ি থেকে বের হতে পারতো না, সে ছিলো আতঙ্কের আর এক নাম। এখন একটু স্বস্তি পেলাম।”

পুলিশ জানিয়েছে, তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে। তদন্তে আরও অপরাধ চক্রের তথ্য উঠে আসতে পারে বলেও ধারণা করছে প্রশাসন।

টুঙ্গিপাড়াকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করতে পুলিশের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে থানা কর্তৃপক্ষ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *