September 5, 2025, 5:42 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
র‌্যাব-১২ এর অভি-যানে ২০ কেজি গাঁ-জাসহ ১ জন মা-দক ব্যবসায়ী গ্রে-ফতার গোদাগাড়ীতে এবার বর্ষায় কৃষকের আমন চাষে কো-টি টা-কা সাশ্রয়-আমনের সবুজ পাতায় দুল-ছে কৃ-ষকের স্বপ্ন নেছারাবাদে মা-নষিক ভা-রসাম্যহীন গৃহবধূ নিজের গায়ে আ-গুন দিয়ে আত্মহ-ত্যা করার অভি-যোগ বাবুগঞ্জে মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নতুন নে-তৃত্ব নি-র্বাচিত ময়মনসিংহে জামায়াতে ইসলামী অমুসলিম শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অ-নুষ্ঠিত আশুলিয়ার জামগড়ায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলো-চনা সভা অনুষ্ঠিত মুকসুদপুর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নে জামায়াতের সাধারণ স-ভা অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জে ছু-রিকাঘাতে ওজোপাডিকো’র এক কর্মচারী গুরুতর আহ-ত, লক্ষাধিক টাকা ছিনি-য়ে নেওয়ার অভিযোগ ক্ষমতা-য় গেলে নারীদের অধি-কার নিশ্চিত করবে জামায়াত: মাওলানা এমরুল বিয়ের দাবি-তে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অ-নশন
খালি চো-খে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় কখন আসবেন

খালি চো-খে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় কখন আসবেন

মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে যেন আকাশের বুকে প্রকাণ্ড পাহাড়ের ওপর একগুচ্ছ রঙিন প্রতিচ্ছবি। কখনো দেখতে শ্বেত-শুভ্র আবার কখনো দেখতে সূর্য ও কমলা রঙের। ২৮ হাজার ১৬৯ ফুট উচু এই চূড়া মাথায় নিয়ে মহান হিমালয়ের অবস্থান নেপাল ও ভারতের সিকিম রাজ্যের মাঝামাঝি সীমান্তরেখায়। আর বাংলাদেশ থেকে এই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে যেতে হবে পঞ্চগড়ে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় ভ্রমণের পদ্ধতি

দেশের উত্তরাঞ্চলের শেষ বিভাগ রংপুরের জেলা পঞ্চগড়। এর পূর্বে ফাঁমাগড় প্রশাসন, পশ্চিমে ও উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ ও দক্ষিণে ঠাকুরগাও ও দিনাজপুর জেলা।

পঞ্চগড়ের কোন জায়গা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়

পঞ্চগড়ের অন্তর্গত তেঁতুলিয়া দেশের সর্ব উত্তরের উপজেলা। এই সদরের প্রাণকেন্দ্রে একটি ঐতিহাসিক ডাকবাংলো রয়েছে। কথিত আছে– এটি নির্মাণ করেছিলেন কুচবিহারের রাজা। জেলা পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত ডাকবাংলোটির পাশে তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে গড়ে তোলা হয়েছে সুন্দর একটি পিকনিক স্পট।

দুটি স্থাপনা একসাথে দারুণ এক দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। সৌন্দর্যমণ্ডিত এ জায়গাটি দেখার জন্য ভূমি থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিটার উচুতে উঠতে হবে। এর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে স্রোতস্বিনী মহানন্দা। নদীর ওপারে ভারত আর এপারে সুউচ্চ গড়ের ওপর এই ডাকবাংলো ও পিকনিক স্পটটি। এই ডাকবাংলোর বারান্দা থেকেই দেখা যায় দূরের দিগন্তরেখায় ভেসে আছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। এ ছাড়া তেঁতুলিয়ার অন্যান্য জায়গার মধ্যে বাংলাবান্ধা, বাইপাস, ভজনপুর করতোয়া সেতু, ভিতরগড় থেকেও দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘাকে।

পঞ্চগড় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সেরা সময়

সাধারণত শীতকালে দূরের মেঘমুক্ত আকাশে যেন ভেসে থাকতে দেখা যায় তুষারশুভ্র পাহাড়ের চূড়া। রোদের আলোয় চিকচিক করতে থাকে কাঞ্চনজঙ্ঘার সেই মোহনীয় শোভা উপভোগ করার জন্য শীতই সবচেয়ে সেরা সময়। পাহাড় চূড়ার প্রাকৃতিক দৃশ্যটি সারা দিনের ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন রুপ ধারণ করে। তাই বছরের যে কোন সময় না গিয়ে অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়টাতে যাওয়া উত্তম। এই সময়টাতে আকাশ একদম পরিষ্কার থাকে। মেঘের সঙ্গে বরফে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘার লুকোচুরি খেলার কোন উপায় থাকে না। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানের ফাঁকা জায়গায় দাড়ালে খুব ভোরে মেঘ ও কুয়াশামুক্ত নীল আকাশ জুড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোরম দৃশ্য পর্যটকদের খালি চোখেই এঁকে দেয় বিস্ময়ের চিহ্ন।

ঢাকা থেকে পঞ্চগড় যাওয়ার সহজ পদ্ধতি

বাস এবং ট্রেনের মাধ্যমে ঢাকা থেকে পঞ্চগড় জেলায় পৌঁছানো যায়। ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল, শ্যামলী ও মিরপুর থেকে পঞ্চগড়ের বাস পাওয়া যায়। পঞ্চগড় নেমে লোকাল বাসে করে যেতে হবে তেঁতুলিয়ায়। এ পথে সারাদিন এই বাসগুলো চলাচল করে। পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়া যাওয়ার পথে এশিয়ান হাইওয়ে পড়ে। ঢাকা থেকে সরাসরি তেঁতুলিয়ারও বাস আছে। ট্রেনে যেতে হলে ঢাকার কমলাপুর থেকে সরাসরি পঞ্চগড় ট্রেন রয়েছে। পঞ্চগড় নেমে এখানকার কেন্দ্রীয় বাসস্টেশন ও চৌরঙ্গী মোড়ে পাওয়া যাবে প্রাইভেটকার ও মাইক্রো। এগুলোতে করে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যাবে।

পঞ্চগড় ভ্রমণে থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থা

তেতুলিয়া উপজেলায় আবাসিক হোটেল রয়েছে। মহানন্দা নদীর তীরের ডাকবাংলোতে থাকা যেতে পারে। তবে তার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের জেলা পরিষদের ডাকবাংলো এবং বন বিভাগের ও সওজ রেস্টহাউস আছে এগুলোতেও থাকার জন্য অনুমতির প্রয়োজন হবে। আর পঞ্চগড়ে এসে থাকতে চাইলে এখানে সাধারণ মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে।

পঞ্চগড়ের বেশ কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবার রয়েছে, যেগুলো এখনো গ্রামগুলোতে রান্না হয়ে থাকে। অবশ্য এগুলোর অধিকাংশই এখন বিলুপ্তির পথে। খাবারগুলোর মধ্যে ডিম ভূনা, তেঁতুলিয়া উপজেলায় হালকা, শীদলের ভর্তা, পাটা শাকের খাটা, কাউনের ভাত, সজির মুড়ার ছ্যাকা ও মোড়ত লাভা শাকের পেলকা অন্যতম।

পঞ্চগড়ের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানসমূহ

কাঞ্চনজঙ্ঘার মোহনীয় দৃশ্য ছাড়াও পঞ্চগড় ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক নিদর্শনের অপূর্ব উপচার সাজিয়ে রেখেছে। এগুলোর মধ্যে মহারাজার দিঘী, চা বাগান, ভিতরগড়, শাহী মসজিদ, মিরগড়, জিরো পয়েন্ট, রক্স মিউজিয়াম, এবং বারো আউলিয়া মাজার অন্যতম।

বাংলাদেশ থেকে সুদূর কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ সৌন্দর্য দর্শনে পঞ্চগড় ভ্রমণে পাওয়া যাবে এক অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পের অভিজ্ঞতা। ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর নানা শ্রেণীর পর্যটকদের আসা–যাওয়ার ফলে এ অঞ্চলটিতে তৈরি হয়েছে পর্যটন শিল্পের সমৃদ্ধির সুযোগ। হাজার বছরের চমকপ্রদ ইতিহাস-ঐতিহ্য, পাথর ও চা শিল্প; সব মিলিয়ে ভ্রমণের জন্য এক পরিপূর্ণ এলাকা। শুধু প্রয়োজন অবকাঠামোগত উন্নয়নের। বিশেষ করে সরকারি উদ্যোগে এখানে পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হলে, এই ছোট্ট উপজেলাই পরিণত হতে পারে রাজস্ব আয়ের একটি কার্যকর উৎস।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD