আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
সম্প্রতি ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের সরকারি বাসভবনের সীমানাপ্রাচীরে আঁকা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি মুছে ফেলা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবী করেছেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।বরং দীর্ঘ দিন ধরে সীমানা প্রাচীরের সংস্কার না করায় সেখানে ময়লা লেগে এর পরিচ্ছন্নতা নষ্ট হওয়ায় সেখানে নতুন করে রং করার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আরো জানান-ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের বাংলো, জেলা প্রশাসকের বাংলোর দেয়াল সহ বাসভবন , ভবনের গেইট, এবং পাঁচটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই ভবন ও দেয়াল মেরামত করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনেক লেখালেখি করার পরে কিছু আর্থিক বরাদ্দ পাওয়ার পর গণপূর্ত অধিদপ্তর ময়মনসিংহ পরিচালিত এই নির্মাণ ও সংস্কার কার্যক্রম ও ঠিকাদার নিয়োগ নিয়ে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসককে নিয়ে প্রকাশিত ভিত্তিহীন সংবাদের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বক্তব্য পোস্ট করেছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে যা লিখেছেন তা হুবহু তুলে ধরা হলো- তিনি লিখেছেন
এটা সকলেই অবগত আছেন যে ৫ ই আগস্ট ২০২৪ তারিখে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের বাংলো, জেলা প্রশাসকের বাংলোর দেয়াল সহ বাসভবন , ভবনের গেইট, এবং পাঁচটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ভবন ও দেয়াল মেরামত করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনেক লেখালেখি করার পরে কিছু আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া যায়। ওই বরাদ্দ প্রাপ্তির পরে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন দেয়াল এবং চতুর পাশে বেড়া কাঁটাতারের বেড়াসহ নানাবিধ সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কাজের অনেকদূর অগ্রগতি হয়েছে। এ জীর্ণশীর্ণ ওয়ালের মধ্যে কিছু গ্রাফিতি ছিল। এগুলো থাকা অবস্থায় সংস্কার করা না হলে ভবন ও দেয়াল অরক্ষিত থাকবে। অর্থ বরাদ্দ ল্যাপস হয়ে যাবে।
ভবনের নিরাপত্তার স্বার্থে চার পাশে কাঁটাতারের বেড়া লাগানো হয়েছে।ওয়ালগুলোকে উপরের দিকে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ওয়ালকে টাচ না করে কাজ করার কোন সুযোগ নেই মর্মে গণপূর্ত অধিদপ্তর , ময়মনসিংহ কর্তৃক জানানো হয়। তাদের কাজের সময় কিছু গ্রাফিতির উপর সিমেন্টের আঁচড় লাগে। এতে কিছুটা বেমানান লাগছিল। এটা নিয়ে ভুল বুঝবুঝির কোন অবকাশ নেই। গণপূর্ত কর্তৃক নির্মাণ ও মেরামত কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে গেলে আমি পূর্বের চাইতে আরো সুন্দর ও মনোমুগ্ধকরভাবে গ্রাফিতি অংকন করে দিব- ইনশা আল্লাহ ।
এই নির্মাণ ও সংস্কার কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে গণপূর্ত অধিদপ্তর ময়মনসিংহ জেলার পক্ষ থেকে। ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তরের থেকে। ঠিকাদার নিয়োগের সাথে জেলা প্রশাসকের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
আমি নিজেও ২৪ কে ধারণ করি এবং লালন করি। ২৪ এর আদর্শকে সমুন্নত রাখতে চাই। ২৪ এর চেতনার পরিপন্থী কোন কাজ আমার দ্বারা হবেনা – এটা সকলকে আশ্বস্ত করতে চাই।
বিনীত
মুফিদুল আলম
জেলা প্রশাসক
ময়মনসিংহ।
জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম ময়মনসিংহে যোগদানের পর থেকে ২৪ এর আদর্শ ও চেতনা সমুন্নত রাখাসহ আদর্শ ও চেতনাগুলোকে টিকিয়ে রাখতে, গুরুত্ব দিতে এবং এর বাস্তবায়নে কাজ করছেন। তিনি
জনসাধারণের কল্যাণে কাজ করার জন্য তাঁর দৃঢ় অঙ্গীকার রয়েছে। সফলভাবে বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করায় জেলাব্যাপী তার ব্যাপক সুনাম রয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নিয়মিত পরিদর্শন এবং উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করে স্বচ্ছ ও দুর্নীতি মুক্ত জনপ্রশাসন কে জনকল্যাণে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।
গ্রাফিতি নিয়ে ভূল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, “ভবন ও দেয়ালের নিরাপত্তা রক্ষায় গণপূর্ত অধিদপ্তর কাজ পরিচালনা করছে। ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে গণপূর্ত, জেলা প্রশাসকের এ বিষয়ে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কাজ চলাকালীন সময়ে কিছু গ্রাফিতিতে সিমেন্টের আঁচড় পড়ায় কিছুটা বেমানান দেখাচ্ছে। তবে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই। কাজ শেষ হলে পূর্বের চাইতে আরও সুন্দর ও মনোমুগ্ধকরভাবে গ্রাফিতি পুনরায় আঁকা হবে—ইনশা আল্লাহ।
Leave a Reply