জুলাই স্মৃ-তি ও শহী-দদের গ্রা-ফিতি মু-ছে ফেলায় সুজানগরে বিক্ষো-ভ

এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ পাবনার সুজানগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলি ও আওয়ামী লীগ এবং নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের হামলায় নিহত শহিদদের গ্রাফিতি মুছে ফেলায় আওয়ামী দুর্বৃত্ত ও তাদের দোসরদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবিতে গণমিছিল করেছে ছাত্র-জনতা।
সোমবার বেলা ১১টায় সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বের হওয়া মিছিলটি স্থানীয় বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাজার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ‘আবু সাইদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ, দিয়েছি তো রক্ত আরও দেব রক্ত, আওয়ামী লীগের গুন্ডারা রাজপথে থাকিস না, রাজপথে নামলে পিঠের চামড়া থাকবে না, আওয়ামী লীগের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও পুরিয়ে দাও, ছাত্রলীগের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, ছাত্রলীগ-যুবলীগ হুঁশিয়ার সাবধান, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, আপস না সংগ্রাম- সংগ্রাম সংগ্রাম সহ নানা ধরণের স্লোগানে দিতে থাকেন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা।

গণমিছিলে সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ময়েন উদ্দন মোল্লা, সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) শরিফুল ইসলাম, সাতবাড়ীয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন আলাল, জামায়াত নেতা তবিবুর রহমান,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সোহেল রানা মানিক, স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশ নেয়। পরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সোহেল রানা মানিক, ছাত্র প্রতিনিধি আব্দুল মমিন, আশরাফুল ইসলাম, ইসমাইল হাসান আশিক, ছাত্রদল নেতা আশিকুজ্জামান খান, সঞ্জু, ছাত্র অধিকারের সাবেক সভাপতি ফারুক প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং সাতবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজের দেয়ালে অঁাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ আবু সাইদ ও শহীদ মীর মুগ্ধ মঞ্চের গ্রাফিতিসহ জুলাই স্মৃতির গ্রাফিতি মুছে ফেলার ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। প্রসঙ্গত গত ২৪ আগস্ট রবিবার রাতে ওই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে অঁাকা জুলাই স্মৃতির গ্রাফিতি মুছে কালিলেপন করা হয়। এ ঘটনায় এদিন রাতেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সোহেল রানা মানিক বাদি হয়ে পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ওজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আহমেদ ফিরোজ কবিরসহ ১১জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
সুজানগর থানার ওসি মজিবর রহমান জানান, মামলার ভিত্তিতে সিসিটিভি দেখে ঘটনায় জড়িত থাকায় তাৎক্ষণিক পুলিশ অভিযান চালিয়ে রনি এবং সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আসাদকে গ্রেফতার করে সোমবার পাবনা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অপর আসামীদেরকেও গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *