দোয়ারাবাজারে লেনাদেনের সমা-ধানের নামে টাকা আ-ত্মসাৎ ফেরত চাওয়াতে হুম-কি” থানায় অ-ভিযোগ

হারুন অর রশিদ,
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের সুড়িগাঁও গ্রামের মো. নুর মোহাম্মদ এর পুত্র মো. জিয়াউর রহমান দোয়ারাবাজার থানায় উপস্থিত হয়ে টাকা আত্মসাৎ ও প্রাণনাসের হুমকিতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন
একই ইউনিয়নের পশ্চিম মাঠগাঁও (ইসলামপুর) গ্রামের ছিদ্দি মিয়ার পুত্র গোলাপ মিয়ার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় জিয়াউর ও গোলাপ মিয়া হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানা এলাকায় একটি ইটের ভাটায় কাজ করতো। ইটের ভাটার মালিক জিয়াউরের নিকট প্রায় লাখ দেড়েক টাকা পায়। সেই টাকার জন্য গোলাপ মিয়াকে মালিক পক্ষ বললে, গোলাপ মিয়া জিয়াউর ও ইট ভাটার মালিকের মধ্যে লেনাদেনার বিষয়টি সমাধা করে দিবে বলে গোলাপ মিয়া জিয়াউরের নিকট থেকে ৭৫.০০০(পচাত্তর) হাজার টাকা নেয়। টাকা নিয়ে ও ইট ভাটার মালিককে টাকা না দিয়ে গোলাপ মিয়া সমূহ টাকা আত্মসাৎ করে। সেই টাকা দেই দিচ্ছি বলে বছর খানেক চলে গেলেও টাকা চাওয়াতে গোলাপ মিয়া জিয়াউরকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
ঘটনার দিন ২২/০৮/২০২৫ইং শুক্রবার সন্ধ্যা
অনুমান ৬.৩০ ঘটিকার সময় গোলাপ মিয়ার বাড়ির পাশ দিয়ে জিয়াউর রোগী দেখতে তার শশুর বাড়ি যাওয়ার পথে ইসলামপুর গ্রামের আজিদ মিয়ার মুদি দোকানের পিছনে ব্রীজের উপর পৌছা মাত্র গোলাপ মিয়া তার ভাই ও ছেলেদের নিয়ে জিয়াউরকে প্রাণে মারার জন্য দৌড়াতে দৌড়াতে ইসলামপুর লাল ফকিরের গেইট পর্যন্ত নেয়। ঐ সময় জিয়াউর দৌড়ে প্রাণ রক্ষা করলে ও পরবর্তীতে বাড়ি ফেরার সময় ২য় বার রাত ৮:৩০ মিঃ সময় মাঠগাঁও হোসেন মেম্বারের চা-দোকানের সামনের রাস্তার উপর আসলে পুনরায় আক্রমণ চালায়। ঐ সময় স্থানীয় লোকজন ঘটনা স্থলে এগিয়ে এলে এবং মানিত স্বাক্ষীদের চেষ্টায় জিয়াউর প্রাণে রক্ষা পায়।
পশ্চিম মাঠগাঁও গ্রামের শিরু মিয়া বলেন ঘটনার দিন শুক্রবার সন্ধ্যা ৬:৩০ মিঃ সময় গোলাপ মিয়া ও তার ছেলেরা জিয়াউর কে ব্রীজের উপর থেকে দৌড়াতে দৌড়াতে লাল ফকিরের গেইট পর্যন্ত নিয়ে আসে। তবে দুজনের মধ্যে কিসের বিরোধ তা জানিনা।
ইসলামপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ঐদিন গোলাপ মিয়া ও জিয়াউর দুজন ব্রীজের উপর দিয়ে দৌড়ে যেতে দেখেছি তবে কেন দৌড়ে যাচ্ছে বুঝতে পারিনি।
ইসলামপুর ব্রীজের পাশে মুদিমালের ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ বলেন, ঘটনার দিন শুক্রবার গোলাপ মিয়া জিয়াউরকে দৌড়াতে দেখেছি। তবে দুজনের মধ্যে টাকা পয়সার লেনাদেনা আছে বলে শুনেছি।
অভিযোগ কারী জিয়াউর রহমান বলেন, আমার লেনাদেনার একটা বিষয় শেষ করার কথা বলে গোলাপ মিয়া আমার নিকট থেকে ৭৫.০০০ পচাত্তর হাজার টাকা নেয়। দীর্ঘ একবছর পরও বিষয়টি মিমাংসা না করে আমার সমুহ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এখন টাকা চাওয়াতে আমাকে হত্যার হুমকি সহ মেরে ফেলার জন আক্রমণ করেছে। আমি দেশবাসী সহ প্রশাসনের নিকট সঠিক বিচার চাই।
এব্যাপারে গোলাপ মিয়াকে মোবাইল ফোনে
জিয়াউরকে আক্রমণের কারণ জিজ্ঞেস করলে, সে বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি জিয়াউরের নিকট পুকুরের মাছ বিক্রি করেছি। জিয়াউর আমাকে মাছের টাকা দেয়নি। জিয়াউরের দেওয়া ৭৫.০০০ টাকা আমি মালিক পক্ষকে দিয়েছি।

এব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহিদুল হক জানান, এ বিষয়ে একটা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *